নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

May Allah Bless Bangladesh till the dooms day.

আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ

I want very active debate

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশবাসী ও সংসদ কিছুই জানে নাঃ এখন প্রশ্ন হল ভারত কি বাংলাদেশকে ন্যায্য টোল দিবে?

২৬ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:১৯







'বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারতীয় পণ্য যাবে ত্রিপুরায়' (অডিও)



ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ট্রানজিট সুবিধা নিয়ে ত্রিপুরা রাজ্যে চাল ও গম পাঠানোর ব্যবস্থা চূড়ান্ত হয়ে গেছে। বাংলাদেশ সরকার এ সংক্রান্ত অনুমতি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ত্রিপুরার খাদ্যমন্ত্রী ভানু লাল শাহা।



ভারতের ইংরেজি দৈনিক বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকায় গতকাল প্রকাশিত খবরে জানা যায়, “বাংলাদেশ সরকার তাদের ট্রানজিট সংক্রান্ত নীতির পরিবর্তন করে দেশটির ভেতর দিয়ে ত্রিপুরাকে খাদ্যশস্য আমদানি করার অনুমতি দিতে সম্মত হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ১০ হাজার টন খাদ্যশস্য নিয়ে আসার অনুমতি দিচ্ছে বাংলাদেশ।”



চলতি বর্ষা মৌসুমের শুরুতে কোলকাতার হলদিয়া বন্দর থেকে চাল, চিনি ও গমের চালান নিয়ে জাহাজ এসে বাংলাদেশের আশুগঞ্জ নদীবন্দরে ভিড়বে। সেখান থেকে পণ্য খালাস করে তা সড়ক পথে আগরতলা যাবে।



ত্রিপুরার খাদ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, কূটনৈতিক পর্যায়ে বেশ কয়েকদফা আলাপ-আলোচনার পর বাংলাদেশ সরকার গত সপ্তাহের শুরুতে এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় আদেশ জারি করে। নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিশ্চিত হলে আগামী এক মাসের মধ্যেই খাদ্যশস্য আনা-নেয়ার কাজ শুরু হবে।



ত্রিপুরার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মুখ্য সচিব বি কে রায় কে উদ্ধৃত করে বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ার পরই ফুড করপোরেশন অব ইন্ডিয়া বা এফসিআই খাদ্যশস্য পরিবহন করার জন্য বাংলাদেশের নদীবন্দর ও রাস্তা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ খাদ্যশস্য পরিবহনের জন্য এরইমধ্যে দরপত্রও আহ্বান করেছে এফসিআই।



সময় ও খরচ বাঁচাতে ত্রিপুরার পর মিজোরাম, মনিপুর ও দক্ষিণ আসামেও খাদ্যশস্য সরবরাহে বাংলাদেশের এ ট্রানজিট ব্যবহার করা হবে বলে এফসিআই কর্মকর্তারা জানান।



কোলকাতা থেকে আসামের গোহাটি হয়ে ত্রিপুরার আগরতলায় যেতে ১,৬৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়। আর দিল্লি থেকে এ দূরত্ব ২,৬৩৭ কিলোমিটার। সেক্ষেত্রে কোলকাতা থেকে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে সড়ক পথে দূরত্ব দাঁড়াবে মাত্র সাড়ে তিনশ’ কিলোমিটার।



এর আগে, ২০১১ সালের মে মাসে ত্রিপুরায় একটি বিদ্যুতকেন্দ্র নির্মাণে প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ নেয়া হয় বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে। ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা থেকে ২৬ কিলোমিটার দূরে পালটানায় ওই বিদ্যুতকেন্দ্র নির্মাণ হচ্ছে।



বাংলাদেশ-ভারত ট্রান্সশিপমেন্টের আওতায় ওই যন্ত্রাংশের চালান বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ত্রিপুরা নেয়া হয়।



এবার নৌপথে ট্রানজিট সুবিধা দিতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন সংস্থা বা আইডাব্লিউটিএ ফুড কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া’র সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।



এর আগে, আরেকটি একটি খবরে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষার তীরে একটি কনটেইনার ডিপো নির্মাণের উদ্যাগ নিয়েছে ভারত। ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দরপত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে ঢাকার একাধিক পত্রিকায় কয়েকদিন ধরে খবর ছাপা হলেও এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের নিরব রয়েছে। তবে নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহাজান খান বলেছেন,কী কী শর্তে বা কারণে এই পোর্ট নির্মাণের অনুমোদন দেয়া হয়েছে তা না দেখে বলা যাবে না।



এ প্রসঙ্গে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, “দেশের জনগণের অগোচরে এভাবে নৌ-ট্রানজিট দিয়ে সরকার দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে কাজ করছে। এর বিরুদ্ধে দেশের জনগণকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।” তিনি আরো বলেন, “লিজ দেয়ার জন্য তো দেশ স্বাধীন হয়নি। মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল একটি স্বাধীনতা রক্ষা ও সার্বভৌমত্ব বজায় রাখার জন্য।”

স্বাধীনতার ৪২ বছর পর এ ধরনের ঘটনা কিভাবে ঘটনা পারে সে প্রশ্নও তোলেন তিনি।



এর আগে বিরোধীদল ভারতকে ট্রানজিট দেয়ার বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকলেও ইদানিং তেমন একটা জোড়ালে বক্তব্য রাখতে দেখা যাচ্ছে না।



ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত দরপত্রের টার্মস অব রেফারেন্সে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জে ৪৬ একর জমি রয়েছে কুমুদিনি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গল লিমিটেডের। প্রতিষ্ঠানটি ভারতের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ওই জমিতে একটি অভ্যন্তরীণ নৌ-কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। টার্মিনাল নির্মাণে কারিগরি ও বাণিজ্যিক সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য ভারত সরকারের পক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ দরপত্র আহ্বান করেছে।



Click This Link



******************



যেখানে উজানের অভিন্ন ৫৪-৫৫টি নদ-নদীর পানির ন্যায্য বন্টন নিয়ে শক্ত দেনদরবার করার কথা সেটাতো করেই না বরং তিস্তা নদীর বিষয়েও কোন অগ্রগতি নাই। যেহেতু বিষয়টি ভারতের উপর নির্ভরশীল তাই এই ক্ষেত্রে হাসিনার সরকারকে পুরোপুরি দোষ দেওয়া বা ব্যার্থ বলা যায় না। কিন্তু বাংলাদেশের ন্যায্য স্বার্থ আদায় না করে কেন ভারতকে তথাকথিত ট্রানজিটের নামে করিডোর সুবিধা দিব? তখনই বলতে হয় হাসিনা গং ভারতের দালাল। সেই ১৯৯৬তে ৩০ বছর মেয়াদী ফারাক্কা চুক্তি এবং ২০১০ এর জানুয়ারীতে চুক্তির বিষয়ে আগে কিছুই জানায়নি। পরে ১৯৯৬ এর চুক্তি বিষয়ে জানলেও ২০১০ সালের চুক্তি সমন্ধে এখনও আমরা অজ্ঞাত। প্রথমে হাসিনা বলেছিল ট্রানজিটের বিনিময়ে বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর হয়ে যাবে। আর এখন একের পর এক গোপন সুবিধা ভারতকে দিচ্ছে তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি আওয়ামী সরকার। এরই সর্বশেষ ঘটনা হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ হতে বছরে ১০ হাজার টন খাদ্য শস্য ত্রিপুরায় নেওয়া। এখন কথা হচ্ছে ভারতকি আদৌ আন্তর্জাতিক মানদন্ডে টোল বাংলাদেশকে এর জন্য টোল দিবে? যেখানে যমুনা ব্রিজে মাত্র ৫কিমি পথের জন্য একটি মটরবাইককেও ছাড় দেওয়া হয় না, সেখানে ভারত কত টাকা টোল ধার্য হবে? নাকি টোল না নিয়ে ভর্তূকি মূল্যে ভারতীয় যানবহান ও নৌজাহাজকে বাংলাদেশ জ্বালানি তেল দিবে? অপেক্ষায় থাকলাম!

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:৩২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কিন্তু বাংলাদেশের ন্যায্য স্বার্থ আদায় না করে কেন ভারতকে তথাকথিত ট্রানজিটের নামে করিডোর সুবিধা দিব? তখনই বলতে হয় হাসিনা গং ভারতের দালাল। সেই ১৯৯৬তে ৩০ বছর মেয়াদী ফারাক্কা চুক্তি এবং ২০১০ এর জানুয়ারীতে চুক্তির বিষয়ে আগে কিছুই জানায়নি। পরে ১৯৯৬ এর চুক্তি বিষয়ে জানলেও ২০১০ সালের চুক্তি সমন্ধে এখনও আমরা অজ্ঞাত। প্রথমে হাসিনা বলেছিল ট্রানজিটের বিনিময়ে বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর হয়ে যাবে। আর এখন একের পর এক গোপন সুবিধা ভারতকে দিচ্ছে তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি আওয়ামী সরকার।


আর কুমুদিনি ষ্ট্রাট কি ষ্টেট নাকি?????!!!!!!

অন্য রাষ্ট্রের সাথে ট্রাষ্ট চুক্তি করে ফেলল, এদেশের এত এত সংস্থা কি াল ফেলে???????

আর যদি জানেই তবে তা সংসদে পাস না করিয়ে কিভাবে ানুমোদন দেয়????

এই নাকি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা?????

২৬ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:৩৫

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: হাসিনা গংদের ধর্মনিরপেক্ষতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হইল হিন্দুস্থানের স্বার্থের পক্ষে তাতে দেশের ক্ষতি হয় হউক। তাই হাসিনা দেশবাসী ও সংসদকে তোয়াক্কা করে না। দিল্লী খুশ তো হাসিনা খুশ :)

২| ২৬ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:৪৬

নবকবি বলেছেন: ধুর মিয়া ফ‍ালতু কথা কন। ভারত কি বাংলাদেশের লগে পিরীত কইরা পেট বাধাইছে এমনি এমনি।
মধু খাওয়া শেষ হলেই দাদারা ফিইরা যাইব। টোলের কথা আসব কেন?
আপনি তো দেথি স্বাধীনতার চেতনা বিরুদ্ধ।

২৬ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:৪৬

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: :)

৩| ২৬ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:০২

শিরিষ গাছ বলেছেন: সরকার দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের পদক্ষেপ হিসেবে ভারতকে বিনা শর্তে ট্রানজিট দিয়েছে। পাশাপাশি রামপালে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করে সুন্দর বনের মত একটি জঙ্গলকে পরিষ্কার করে ভারতীয় সভ্যতার আলোয় আলোয় আলোকিত করছে। এদুটো দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের মহান বিরিয়ানী চেতনা। যারা এই বিরিয়ানী চেতনার বিরুদ্ধে কথা বলবে তারা ছাগু, রাজাকার এবং দেশদ্রোহী।

২৬ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:০৫

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: এই দেশে হিন্দুস্থানের গেলমানদের ঐ একটাই অস্ত্র যে সবাইরে ঢালাও ভাবে ছাগু, রাজাকার এবং দেশদ্রোহী বলে :)

৪| ২৬ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৫৭

দুরন্ত-পথিক বলেছেন: হাসিনা বল না কেন যে বাংলাদেশ এখন ভারতের ২৯ তম রাজ্য।তাহলে তো হাসিনা বাংলাদেশের চীর মুখ্যম্নত্রীত্ত নিয়া থাকতে পারে। যত্ত সব ।

২৬ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:১৩

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: এর জন্যই ভারতীয়রা মূখ্যমন্ত্রী বললেও হাসিনার কোন প্রতিবাদতো নাই বরং মুচকি মুচকি হাসে :)

৫| ২৭ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:৩৯

মাজহারুল হুসাইন বলেছেন: দেশপ্রমিকরা এখন রবির অ্যাডে । দেশ তাই এখন এই দুর্বিপাকে । আর র' আর এমনে এমনে সাড়ে ৪০০ কোটি টাকা খরচ করে এই সরকারকে আনে নাই ।

২৭ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:৫২

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: এরাই হল ধর্মনিরপেক্ষ ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি! :)

ধন্যবাদ।



৬| ২৯ শে মে, ২০১৩ রাত ১:০৪

গেস্টাপো বলেছেন: চেতনার বিরানি খাইতে মুঞ্চায় :(

২৯ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:২৯

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: হা হা :)

ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.