প্রবাসীর পরিবার এর অভাব বাড়ে, আর বাড়ে সরকারের রেমিট্যান্স

১৩ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৩:১৮

দুবাই* এ সাধারনতো cleaner (পরিষ্কারক)এ অনেক বাংলাদেশি জব করে। যারা সাধারনতো কোন কাজ পারে না বা দেশ থেকে কাজের উপর ট্রেনিং নিয়ে আসে না তাদের কে দালাল রা এই ভিসাই পাঠিয়ে দেই। দীর্ঘ দিন প্রবাস এ থাকার কারনে অনেকই আমার কাছে জানতে চাই। আমি সবাই কে একি কথা বলি, ট্রেনিং কর , সেটা যেকোনো ট্রেড হতে পারে পাল্মবার, কাঠের কাজ, এসি/ফ্রিজ, বৈদ্যুতিক কাজ, সহ আর অনেক কাজ আছে । এই দেশ এ বেসিক বেতন তা বেশি পাবেন ৭০০- ১৩০০ dhs মধ্যে বেসিক বেতন হলে আপনি ওভার টাইম , ইন্সেনেটিভ সব মিলিয়ে ১৪০০ - ২০০০ dhs পর্যন্ত বা এর বেশি ও আসতে পারে । আমার জানা মধ্যে অনেকই ট্রেনিং করতে ভই পাই, যদিও ট্রেনিং করে তা হলে বিদেশি নির্বাচক দের সামনে পরীক্ষা দিতে ভয়ই পাই , সেই কারনে অনেকই দালাল এর সাথে চুক্তি করে বসে, নো ট্রেনিং,নো পরীক্ষা !
সরাসরি বিদেশ। দালালরা বিশাল বড় দান মেরে বসে ২৫০ লাখ - ৩৫০ লাখ ।
এর মধ্যে যারা ঘাগু দালাল তারা আর এক হাত সুযোগ নিবে যেদিন আপনার নিধারিত ফ্লাইট এর দিন , সব ঠিক , আপনি আপনার নির্ধারিত টাকা নিয়ে দিয়েছেন আজ বিদাই নিয়ে বিমানবন্দর গেলেন
অমনি আপনাকে দালাল জানাবে আর ৩০-৫০ হাজার লাগবে, ভিসার দাম নাকি আচমওকা বেড়ে গেছে !!!!!
এবার ঠেলা সামলান !
না হলে আগে যা টাকা দিয়েসেন তা ভুলে যান । তখন আপনি ভাববেন যে এত টাকা যখন দিলাম, তাহল আর ৫০ হাজার কি।
শুরু হল এয়ারপোর্ট থেকে সব সজন, বন্ধুদের ফোন , , , , , , ,
এবং কষ্ট করে টাকা গুলি যোগার করে ঘাগু দালাল এর হাতে দেবার পর এই দেশ এ আসে ।
দুবাই এ আসার পর আপনি বুঝবেন ৮০ ভাগ মানুষ cleaner এর কাম পাই । ওমানুসিক মেহেনত, রত দিন এক করে ,কঠিন রোদ উপেক্ষা করে যে টাকা পেলেন তা আপনার দালাল এর কথার অরেধেক ও হই না।
কিন্তু করার কি আছে ?
তার চারিদিকে ধার দেনা, ভাবে কিছু দিন কষ্ট করে ধার মিটানোর চেষ্টা ।
তার সাথে প্রবাসীর পরিবার এর অভাব বাড়ে, আর বাড়ে সরকারের রেমিট্যান্স (চলবে )

* দুবাই = আরব আমিরাত কে বাংলাদেশ এর বেশি ভাগ মানুষ দুবাই নামে চেনে । দুবাই হল আরব আমিরাত এর একটি উন্নত ষ্টেট ।

০ টি +০/-০