![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বৈঠক শেষ। নাজমুল হাসান পাপন তারপর উড়ে গেছেন সিঙ্গাপুরে। সেখানে অবতরণ বাংলাদেশ সময় বেলা দেড়টায়। তারও আগে পাকিস্তান থেকে একটা ক্ষুদে বার্তা আমার মোবাইলে এলো তাঁর ও জাকা আশরাফের বৈঠকের সারাংশ হিসেবে। তিন লাইনের সেই বার্তায় একটা স্পষ্ট বার্তা: বাংলাদেশ পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেই! সেটা হচ্ছে মে মাসে। বিপিএলে খেলার ব্যাপারে পাকিস্তানী ক্রিকেটারদের ছাড় পত্র দেবে পিসিবি! ভালো। মান ভাঙ্গলো তবে পাকিস্তানের। কিন্তু বাংলাদেশের অগণিত ক্রিকেট প্রেমীর তো মন ভাঙ্গলো। যদিও বিসিবি রাত সাড়ে আটটার দিকে একটা বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। যেখানে লেখা আছে প্রেসিডেন্টের বরার দিয়ে এবং মিডিয়া চেয়ারম্যানকে উদ্ধৃত করে যে, এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সভা শেষে ৯ জানুয়ারি দেশে ফিরবেন জনাব নাজমুল হাসান। তারপর বোর্ডের নির্বাহী সভায় পাকিস্তানের সম্ভাব্য সফর সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে। কিন্তু পাকিস্তান থেকে উড়ে আসা ক্ষুদে বার্তা তো বলছে, মে মাসে সে দেশে যাচ্ছে বাংলাদেশ! তার মানে কি আগেই সব কথা দেয়া শেষ? বিষয়টি মীমাংসার দাবী রাখে। অর্ন্তবর্তী কমিটির পক্ষে কখনোই এমন সিদ্ধান্ত নেয়ার উপায় নেই। গঠনতন্ত্র তাদেরকে ধারাবাহিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি ছাড়া আর কিছুর এক্তিয়ার রাখেনি। তবে? উপ মহাদেশের ভূ রাজনীতি বড় বিচিত্র। দেখতে দেখতে সময় চলে এসেছে জাতীয় নির্বাচনের। পাকিস্তানে এপ্রিলের দিকে নির্বাচনের ডামাডোল বাজার কথা। একই অবস্থা এশিয়ার আরো কয়েকটি দেশেরও। এরও আগে বিসিবির নির্বাচনের বিষয় আছে। যেখানে নাজমুল হাসান পাপন স্বয়ং বোর্ড সভাপতির জন্য লড়বেন। বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ডের ইতিহাসে যা বিরল। সেটাকেও বাদ দেয়া হলো হিসাব থেকে। দেশের জাতীয় নির্বাচনের বছর এটি। মহাজোট সরকারের পক্ষে এই এক সফরকে কেন্দ্র করে খুব বজ্রাহত করার মত কোন সিদ্ধান্ত নেয়া কি সহজ হবে? রাজনীতির মারপ্যাঁচগুলো্ এমন সব গিট্টু লাগিয়ে রেখেছে যে, সব হিসেবগুলো নির্দেশ করে শেষ পর্যন্ত সময় ক্ষেপন করে বাংলাদেশ আর পাকিস্তানে মে-মাসে যাবে না। হয়তো এবছরই আর যাবে না। হয়তো প্রথম দেশ হিসেবেও নয়! কিন্তু রাজনীতিই যেহেতু, সুতরাং আগাম কিছু বলাটা মনে হয় বিপজ্জনকই।
©somewhere in net ltd.