নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কেউ নই, আমি আমার নই, আমি তোমার নই, আমি তুমিও নই

বেচারা

Walid

বেচারা › বিস্তারিত পোস্টঃ

কবে মানুষ হব?

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৭

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক কে? অ্যারিষ্টোটল? তিনি ছিলেন গ্রীসের লোক। গ্রীক ভাষায় তিনি রাষ্ট্রের যে সংজ্ঞা দিয়েছিলেন তার পাশে ব্রাকেটে একটা কথা লেখা ছিল, “ইহা গার্মেন্টসের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।” তবে যেহেতু এটি গ্রীক ভাষায় লেখা তাই বাংলাদেশের পন্ডিতরা যখন এটিকে বাংলাদেশের বইয়ে অনুবাদ করে লেখেন তখন তারা অপ্রয়োজনীয় ভেবে বাদ দেন কারণ তারা ভেবেছিলেন অ্যারিষ্টোটল ইয়ার্কী করে এটি লেখেন আর তখন যেহেতু গার্মেন্টস নামক কোনো বস্তুর সাথে বাংলাদেশ পরিচীত ছিলেন না তাই ভেবেছিলেন ইরিলিভ্যান্ট হওয়ায় এটি বাংলাদেশে সংজ্ঞায়নে কেটে দেয়া যেতেই পারে। আর এই ভুলের জন্য ভাগ্যক্রমে আমরা বাংলাদেশে অ্যারিস্টোটল প্রদত্ত রাষ্ট্রের সংজ্ঞা পেয়েছি। অন্যথায় গার্মেন্টস প্রধান এই দেশে রাষ্ট্রের সংজ্ঞায় অ্যারিষ্টোটলের তত্ত্ব তারা অপ্রযোজ্য মনে করে অন্য সংজ্ঞা দিতেন।
গণতন্ত্রের সংজ্ঞায় আব্রাহাম লিংকন যখন লিখেছিলেন, অফ দ্যা পিপল, ফর দ্যা...........পিপল” তখনও ওই ব্রাকেট, “ইহা......... এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়”। আর সেই একই রকমভাবে বাংলাদেশের পন্ডিতরা ব্রাকেটের অংশ বাদ দেন আর পরিণতিতে আমরা গণতন্ত্রের সংজ্ঞা পেলাম। এই লাইনে আরো অনেক কিছু যোগ হতে পারে। কম্পিউটার আবিষ্কার করেও এর গায়ে এই লেবেল এঁটে দেয়া হয়েছিল, “ইহা.......... ক্ষেত্রে ব্যবহার্য নয়।” কিন্তু কোনো এক অর্বাচীন মফিয এটিকে গার্মেন্টসে কিভাবে কিভাবে যেন সিস্টেম করে ফেলে। গার্মেন্টসে ফুটবল চলে না, ক্রীকেট চলেনা, ম্যালথাসের জনসংখ্যা তত্ত্ব চলে না, এ্যাডাম স্মিথের ইকোনোমিকসের মৌলিক তত্ত্ব চলে না, গ্রেসামের মুদ্রা তত্ত্ব অচল, পিথাগোরাসের জ্যামিতি তো অথর্ব। নিউটন ভুলে গিয়েছিলেন “ইহা......... এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়” এই অংশটি লিখতে তবে তার হয়ে বাংলাদেশের পন্ডিতরা এ কাজটি করেছিলেন বলেই........।
ম্যানেজমেন্ট থিওরীর মৌলিক বুনিয়াদি তাত্ত্বিক ফেয়ল, টেইলর, হার্যবার্গ, মাসলো, নাইগ্রো সবাই একইভাবে বিশ্বকে কাঁপিয়ে দেয়া তাদের তত্ত্বকেও গার্মেন্টসের আওতামুক্ত করার কথা বলে গেলেও চামে চামে তা কেন যেন গার্মেন্টসে ঢুকেই ছেড়েছে।
একটা কথা প্রায়ই শুনতে পাই, “আরে ভাই আপনাদের ওসব তত্ত্ব, নিয়ম, সিস্টেম, আধুনিক ব্যবস্থা আমাদের গার্মেন্টসে চলে না। গার্মেন্টসে ৭/৮ বছর পার করেও এখনও শুনতে হয় “আপনাদের তত্ত্ব/আমাদের গার্মেন্টস” যেন আমরা এ জগতের লোক না বাইরের কেউ। গার্মেন্টসে এই হয়না, গার্মেন্টসে ওই হয় না, এটা চলে না, ওটা করা যাবে না, এটা করলে চলে না, ওটা না হলে হয় না। যেন দুনিয়ার ভাল যা কিছু আছে তার কোনোটাই গার্মেন্টসে চলবে না। ভাল কোনো নিয়ম, যুগোপযোগী কোনো সিস্টেম, কার্যকর কোনো ব্যবস্থাপনা, মৌলিক কোনো উদ্যোগ, স্বচ্ছ কোনো তথ্য ব্যবস্থাপনা-কোনো কিছু গার্মেন্টসে অচল। এমনকি দুই দু গুনে চার-এই তত্ত্ব পর্যন্ত। এখানে শুধু চলবে পুরানোর রাজত্ব, কোনো রিনোভেশন, মডার্নাইজেশন, রেক্টিফিকেশন এখানকার জন্য নয়। (সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: এই লেখা .......... এর লোকেদের পড়বার জন্য নয়)

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৩

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: সুন্দর হয়েছে।এখানে যা চলার দরকার তা চলে না...

২| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৩

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: সুন্দর হয়েছে।এখানে যা চলার দরকার তা চলে না...

৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৩

হামিদ আহসান বলেছেন: :-P

৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:২৪

ঢাকাবাসী বলেছেন: পৃথিবীর সবচাইতে নিকৃস্ট অসৎ অসভ্য লোভী মহা দুর্ণীতিবাজ ব্যাবসায়ী হল বাংলাদেশের গার্মে..ব্যাবসায়ীরা।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৬

বেচারা বলেছেন: না, সবসময় তা নয়। বাইরে থেকে এটা সরলভাবে মনে হয়। সত্যিকারভাবে ভিতর হতে দেখুন।

৫| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৩২

কালের সময় বলেছেন: হুম কিছু বুঝি না..............................।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.