নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কেউ নই, আমি আমার নই, আমি তোমার নই, আমি তুমিও নই

বেচারা

Walid

বেচারা › বিস্তারিত পোস্টঃ

চাকরী দে হারামজাদা নইলে সার্টিফিকেট খাব

৩১ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৩:১৪

অতিসম্প্রতি ফেসবুকে একটা নিউজ ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। আমাদের তথাকথিত জিপিএ-৫ ধারীদের সত্যিকারের অবস্থাটা সবাই এতদিন বলাবলি করত, ফিসফিস করত, চুপচাপ কানাকানি করত, অনেকে আমতা আমতা করে পাশ কাটাতো। এইবার এই সাংবাদিক একবারে লুঙ্গী টান মেরে খুলে জিপিএ-৫ এর দোদুল্যমান সতিত্ব একবারে ঘুঁচিয়ে দিয়েছে। একজন মহান বুদ্ধিজীবি সাংবাদিক আবার বলেছেন, এরকম সাংবাদিকতা নৈতিকতা বিরোধী, এরকম তাদের চেহারা দেখানো ঠিক হয়নি, প্রশ্নগুলি যথাযথ নয়, এসব প্রশ্ন না পারা মানেই তারা লেখাপড়া করেনি-তা ঠিক নয় ইত্যাদি ইত্যাদি। সেই পুরোনো গল্পের মতো যেখানে নিম্ন বংশীয় চকিদার উচ্চবংশীয় চোরের কলার পাকড়ে ধরে ফেললে পরে সেই চকিদারের শাস্তি হয় যথেষ্ট তমিজের সাথে চোরকে না ধরার অপরাধে। যাহোক সাংবাদিকতার মান আমার ভাবনার বিষয় নয়। দেশের শিক্ষার মান কেমন-সেটা বলার আমি কেউ নই। আমি দেশের শিক্ষাব্যবস্থার সমালোচনা বা পর্যালোচনা কোনটাই করব না। সেটা বিশেষজ্ঞদের কাজ। আমার এই ভিডিও দেখে আলোড়িত হবার কারণ ভিন্ন।

অনেক দিন আগে একজন তথাকথিত উচ্চ ডিগ্রিধারী গবেটকে নিবিড়ভাবে যথানিয়মে মেধাযাচাই করে তার অন্তঃসারশুন্যতা অনুধাবন করে অতঃপর তাকে অধঃস্তন একটা পদে নিয়োগ করায় তখন আমার এইচ আরে দক্ষতা, আমার মেধা, আন্তরিকতা, উজবুকতা, বুদ্ধিবৃত্তির জোর, আমার সার্বিক বিচক্ষণতা-এসব নিয়ে ব্যপক প্রশ্নের মুখে পড়ি। ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রিধারী একজন বিজ্ঞ লোককে নিম্নশ্রেনীর পদে নিয়োগ করাটাই ছিল এতকিছুর কারন। তিনি সার্টিফিকেটধারী ইঞ্জিনিয়ার-এটাই ছিল তার একমাত্র যোগ্যতা আর আমার একমাত্র ভুল। এমনকি আমিও আমার যোগ্যতা নিয়ে সন্দেহের মধ্যে পড়ি যে সত্যিই আমি উজবুক কিনা।

সাম্প্রতিক জিপিএ-৫ দের নিয়ে নিউজ ভিডিওটি দেখে আমার সেই ক্ষতে এবার একটু হলেও মলম লেগেছে। আর আমি কিছুটা হলেও আত্মবিশ্বাস পেলাম যে, না আমি হয়তো ভুল ছিলাম না। সার্টিফিকেট মানেই শিক্ষিত নয়।

(উপরের অংশটুকু ৩১ মে প্রকাশ করেছিলাম। এরপর মনে পড়ল একই রকম অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখা আরেকটা লেখার দুটি লাইন আরেকবার চর্বিত চর্বন করা যায়। তাই নিচে নতুন করে আজ যোগ করলাম।)


অতি সম্প্রতি আমরা একজন প্রার্থীকে ইন্টারভিউ করি যিনি একজন মাস্টার্স হোল্ডার। তিনি এমনকি তার নিজের সিভিটি পড়ে শোনাতে পারেননি। তিনি হিজ ও হার এর তফাৎ জানেন না। একবার একজন EEE ইঞ্জিনিয়ারকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল অনু ও পরমানুর মধ্যে কোনটি বড়। তিনি বলতে ব্যর্থ হন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৩:১৮

বিজন রয় বলেছেন: চাকরী দে হারামজাদা নইলে সার্টিফিকেট খাব, সাবাস।

২| ৩১ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৩:৩০

বেচারা বলেছেন: নামটা বোধহয় আলাউদ্দীন আল আজাদ হতে ধার করলাম। ভবিষ্যতে এমন না হয়, চাকরীপ্রার্থীদের এভাবে বলতে হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.