নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এসপি সাহেবের বাসার নাইট গার্ডকে তিনি একদিন জিজ্ঞেস করলেন, কিরে ব্যাটা খবর কী? কেমন যাচ্ছে দিনকাল? নাইট গার্ড তাচ্ছিল্য ও হতাশার চূড়ান্ত দেখিয়ে এসপি সাহেবকে বলল, “স্যার, আমাদের আর থাকা না থাকা। আমাদের আবার একটা জীবন! রাতে ঘুমাতে পারিনা ডিউটির জন্য। দিনে ঘুমাইতে পারিনা মশার কামড়ে। আপনারা যখন রাতে আরাম করে ঘুমান আমি তখন ঘুমে পাগল হলেও ঘুমাতে পারিনা। আপনারা যখন শীতে লেপের তলায় আরাম করেন আমি তখন শীতে ঠকঠক করে ডিউটি করি। আমাদের কি আর কোনো আরাম আছে। খোদার এ কেমন ইচ্ছা!
।
(এতটুকু শুনে আপনার মনে হতে পারে সত্যিইতো! বেচারাদের কত কষ্ট। এসপি সাহেব কত আরামে অথচ তার নাইট গার্ড কত কষ্ট করে। বাকি গল্পটা শুনুন। তারপর আপনার দৃষ্টিভঙ্গি এক থাকে কিনা দেখুন।)
।
এসপি সাহেব সব শুনে বললেন, সবতো বুঝলাম। তোমার জন্য আমার পূর্ন সহানুভুতি থাকল। তবে কি জানো? হিসাবটা তোমার মনের মতো তো হবে না। কারণ তোমারও কিছুটা দায় আছে এই অবস্থার পেছনে।দেখ, তোমার আর আমার বয়স প্রায় কাছাকাছি। আমার যখন স্কুলে যাবার বয়স তখন আমার বাবা তার সামর্থ্যের সবটুুকু দিয়ে যখন আমার বই, কাগজ কলম কিনতেন তখন তুমি সেই বই কাগজ কেনার টাকায় লুকিয়ে সিনেমা দেখে বেড়াতে।আমি যখন রাতের ঘুম হারাম করে ঢুলে ঢুলে পড়া মুখস্ত করতাম তুমি তখন অকাতরে নাক ডাকিয়ে ঘুমাতে।আমি যখন শীতের রাতে পরীক্ষার জন্য ঠকঠক করে কেপে কেপে পড়া তৈরী করতাম।তুমি যখন মাঠে মনের আনন্দে ডাঙ্গুলী খেলে বেড়াতে তখন আমি ক্লাসরুমে স্যারদের বোরিং লেকচার শুনতাম আর তোমার সুখে দেখে কষ্ট পেতাম। সুুতরাং আজ যে আমি এতকিছুর পর আরামে আছি আর তার বিপরীতে তুমি সব আরামের বিনিময়ে আজ কষ্ট করছ-সেটাইতো ন্যাচারাল তাই না?
২| ২৭ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:১২
কাওসার_সিদ্দিকী বলেছেন: হুম স্বাভাবিক! আমি যখন ব্লগিং করি আপনি তখন গাধার খাটনি খাটেন!
৩| ২৭ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৯
বিজন রয় বলেছেন: সব কাজকেই সন্মান করতে হবে।
৪| ২৭ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:৫৫
রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: কথা সত্য।
৫| ২৮ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৮:৫৬
বেচারা বলেছেন: জহির ভাই ও বিজন দাদা: প্রথমত; এটা একটা সামান্য কল্পিত এ্যানালজি। নাইট গার্ড কেন, সকল পেশাকেই আমি সম্মানিত মনে করি। কোনো কাজকেই খাটো করা আমার উদ্দেশ্য নয়। শুধুমাত্র একটা উদাহরন দিতে এটা ব্যবহার করা হয়েছে। আমার মুল উদ্দেশ্য হল, মানুষ নিজের দুরবস্থা বা দুর্ভাগ্যের জন্য যে সবসময় হতাশায় ভোগে তার একটা বড় অংশের কারন যে সে নিজে সেটা একটা কল্পিত গল্প দিয়ে বলা। যাই হোক, এত ছোট একটা লেখায় আপনারা তবু পড়েছেন এবং পর্যালোচনা করেছেন সেটা দেখে ভাল লাগল। আপনাদের লেখা পড়ার চেষ্টা করি। সময় বড্ড কম বলে সেটা সবসময় পারি না।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৩০
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: পোস্টের স্পিরিট বা মূল সুরের সাথে একমত হতে পারলাম না।
দুনিয়াতে যদি কেউ নাইটগার্ডের কাজ না করে, আপনি নিরাপদ জীবন যাপন করতে পারবেন? তাহলে নাইট গার্ডের কাজকে ছোট করা কেন? মেথর যদি ড্রেন পরিস্কার না করে, ময়লা না নিয়ে যায়, সুস্থ জীবন যাপন করতে পারবেন? সুতরাং, আপনার এই পোস্টের চিন্তাধারা সত্যিই মনুষ্যত্বের ধারনার সাথে যায় না। সব পেশাকে সম্মান দিতে শিখুন।
আর পুলিশ রাতে ডিউটি করে না?