নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কেউ নই, আমি আমার নই, আমি তোমার নই, আমি তুমিও নই

বেচারা

Walid

বেচারা › বিস্তারিত পোস্টঃ

অপরিণত বাবা-মায়ের অন্ধ স্নেহ আর তার ভবিতব্য

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১৯

সদ্য সদ্য সন্তানের বাবা-মা হলে সোসাল মিডিয়াতে তার পিক আপলোড করবেন, নানান ভঙ্গিতে তার সাথে সেলফি তুলবেন খুবই ভাল কথা। সন্তানের ছবি দেবেন না তো কার দেবেন? বৃদ্ধ বাবা-মায়ের? ওহ ম্যান? খ্যাতের মতো কথা বলো না।..................
তবে একটা অন্যরকম চিন্তা আপনার মাথায় ঢুকিয়ে দিই? তার আগে একটা থট দিয়ে রাখি যাতে আপনি আমার কথাটা ভাল করে পড়েন? শাহরুখ তার সর্বশেষ সন্তান (আব্রাম) এর ছবি প্রথম কতদিন পরে মিডিয়াতে দেন? কিংবা অ্যাঞ্জেলিনা জোলি অথবা রাজপুত্র উইলিয়াম?........ ভাবতে থাকুন।
নিকট অতীত হতে অতি সম্প্রতি যে দেখা যাচ্ছে সন্তানের হাতে মা-বাবা আগুনে পুড়ে খুন, সন্তান কর্তৃক মা নিহত, সন্তানের মাদকের টাকা না দেয়ায় বাবা খুন, উশৃঙ্খল মেয়ের হাতে বড় কর্মকর্তা সপরিবারে নিহত..........................ইত্যাদি ইত্যাদি। সমাজবিজ্ঞানীরা অন্যান্য কারনের সাথে সাথে এর একটা বড় কারন হিসেবে দায়ী করেছেন শিশুদের মোবাইল ফোন, ট্যাব, ইন্টারনেটের ব্যবহার, ভার্চুয়াল মিডিয়ায় ব্যস্ততা, অবাধ স্বাধীনতা ও বাবা-মায়ের অন্ধ ইমম্যাচিওরড পিতৃত্ব বা মাতৃত্ব। তো আপনি বলবেন, ট্যাব তো দিচ্ছি না, শুধু পিক তুললে ক্ষতি কী? ভাইয়া বা আপু, শুধু ২টা জবাব দিব।
এক: যদি ভাবেন এতটুকু শিশু কী বোঝে? আমি বলব, সব শিশু তার বাবা ও মায়ের ২৫-৩০ বছর বয়সের সব লব্ধ বিদ্যা ও অপবিদ্যা (বদবুদ্ধি) তার ব্রেনের ডিএনএ তে কপি পেষ্টসহ জন্মায় বিধায় প্রথম দিন হতে সে তার বাপ-মার সমান পোংটা হয়েই পয়দা হয়। শুধু হয়তো হাত-পা শক্ত হয় না বলে আর মায়ের দুধ খেয়ে বাঁচতে হয় বিধায় সেই বিদ্যা কাজে লাগাতে সাহস পায় না। পরবর্তি
জীবনের জন্য জমা রাখে। (হা হা হা)।
দুই: আমি খেয়াল করে দেখেছি এমনকি ৬ মাস বয়সের শিশুরাও আজকাল পিক বা সেলফি তোলার সময় পোজ দিতে পারে কিংবা ছবি তোলার ব্যাপারটা বোঝে। (আমি প্রমান দিতে পারি)। আর এটা দিয়েই তাদের মনোজগতে ক্যামেরা, ফ্লাশ, ফ্ল্যাশি লাইফ, মিডিয়া, ভার্চুয়ালিটির প্রথম পাঠ শুরু হয়।
ওইযে, শাহরুখের বেটা আব্রাম বা টম ক্রূজ+কেটি হোমস এর মেয়ে সুরীর কথা বললাম না? উত্তরটা পেলেন?
আমার কেন যেন মনে হয়, এদেশের বাবা-মায়েদের মধ্যে একটা বড় অংশ বাবা-মা হবার কাবেলিয়াত অর্জনের আগেই সন্তানের বাবা-মা হয়ে বসে থাকে। বিয়ে বা বিয়ে ছাড়াই তাদের মধ্যে দ্রুত সন্তানের মালিক (!) হয়ে যাবার একটা প্রবণতা কাজ করে। হয়তো বলবেন এটাতো বায়োলজিক্যালী হয়ে এসেছে এবং হবে। হ্যা, অবশ্যই, বংশবৃদ্ধির চিন্তা প্রাণীদের জীবনবিস্তারের অন্যতম অনিবার্য লক্ষ্য। কিন্তু আমার ব্যক্তিগত বিশ্বাস, বাবা-মা হবার নিশ্চই একটি দারুন প্রস্তুতি দরকার। সবদিক হতে-আর্থিক, আত্মিক এবং জ্ঞানগত। তবে যারা সংসার টিকিয়ে রাখার মাধ্যম হিসেবে সন্তান কামনা করেন তাদের হিসাব আলাদা। আজাকাল তো আবার নানান রকম ম্যাজিক ড্রিংকস খাইয়ে বাচ্চাকে তরতর করে টলার, শার্পার, স্ট্রঙ্গার করে দ্রুত কাবিল করে তোলার হাজারটা মাধ্যম টিভিতে চটকদার করে পরিবেশন করা হচ্ছে আর বাবা-মায়েরা সেগুলো গোগ্রাসে গিলছে মানে এ্যাড গিলে খাচ্ছে আর সেগুলো তাদের বাচ্চাদের গিলিয়ে তাদের দ্রুত আরো দ্রুত এ্যাডাল্ট করে নিচ্ছে। কেন ভাই? এত তাড়া কেন? বাচ্চা ছোট থাকলে সমস্যা? তাকে তিন বছরে ৩০ বছরের সমান ম্যাচিওরড করতে চাচ্ছেন কেন? আর যদি চান আর তাকে দ্রুত হাত-পায়ে বড় করেন (শুধু কি হাতে-পায়ে বড় হয়, মনে মনে হয় না?) তবে সে ৫ বছরের বয়সে ২৫ বছরের কর্ম ও অপকর্ম করতে চাইবে না? যখন করতে দেবেন না, তখন সে কিভাবে আপনাদের সাথে রিএ্যাক্ট করবে? আর ড্রিংকস খাইয়ে শরীরে বড় করলেন, পাশাপাশি ট্যাব, নেট, ফেবু, সেলফী, গেমস তো আছেই তাকে মেন্টালী সেয়ানা করে তুলতে। আমি কোনো বিজ্ঞানী বা মনোবিশেষজ্ঞ নই। শিশু বিশেষজ্ঞও নই। সাদাচোখে যা মনে হয়েছে তাই বলেছি। বিশেষজ্ঞরা নিশ্চই আরো ভাল বলতে পারবেন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.