নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটা আধপোড়া বিড়ি দু’আঙুলের ফাঁকে
ধরে রাখা অদ্ভূৎ কায়দায়
মোক্ষম সুখটানে ফুলে ওঠা রগ
সুকঠিন চোয়ালের হাড় ইস্পাত দৃঢ়তায়
কী এক অজানা ক্রোধে নিষ্পেশিত করে মধ্যদুপুরের রাজপথকে।
সদ্যফোটা রক্তজবার মতো
লাল হয়ে ওঠা নেত্রযুগল
শান্ত অথচ প্রতিশোধের নেশায় উন্মত্ত
শান্ত সাদা পটভুমিতে জ্বলজ্বলে খুনের নেশা
বিষ্ফোরিত ক্রোধের হুতাশনে জ্বলে অঙ্গার হয়।
আর আছে তীব্র যন্ত্রণাবোধ, তীক্ষ্ণতম হিংস্র শ্বাপদ ঘৃণা
জলন্ত বিড়ি পুড়ে যায় নিজের মতো
বৃষ্টির জলের তরঙ্গ
যান্ত্রিক শকটের একঘেয়ে শব্দ
তপ্ত রাজপথে তরুনীর ঘামে ভেঁজা পিঠ
দ্বিচক্রযানের টুংটাং ছন্দময় প্যাডেল
আকাশচুম্বি অট্টালিকার হাস্যকর রোদ বারান্দায়
সময়ের হঠাৎ থমকে যাওয়া
কোনো কিছুই
তার হাবিয়া দোযখের মতো দৃষ্টিতে
বিন্দুমাত্র ব্যাঘাত ঘটায় না।
কিছুতেই ভ্রূক্ষেপ নেই শিকারীর।
মিউনিসিপ্যালিটির ঘড়িতে ঘন্টা পড়ে
ঘন্টার বিকট শব্দে একটা কাক কা কা আর্তনাদে
শহরটাকে ভেঙচি কেটে উড়াল মারে।
শান্ত একটা অজগরের মতো এঁকেবেঁকে
দুপুরের তপ্ত রাজপথ
অলস পড়ে রয় নগরের বিচিত্র দৃশ্যপটে
না, কোনো কিছুই টানেনা জলন্ত চোখের নিরব আততায়ীকে।
সে শুধু একা
জান্তব এক অজানা উল্লাসের টানে
শ্বাপদ নখরে ক্ষতবিক্ষত করার জন্যে
অপেক্ষা করে পাহাড়ের অবিচল গাম্ভির্যে।
অর্ধচন্দ্র নাগরিক সুখ
হাশর মাঠের নিদারুন তৃষ্ণা নিয়ে
গনগনে রাজপথে
নুলো ভিখিরীর করুণা ভিক্ষা দেখে।
না দয়া, না বিন্দুমাত্র করুণা
-কিছুই জাগেনা হন্তারকের চোখে।
ব্যাগ্র নয়নে শুধু অপেক্ষা করে
মৃগ শিকারের শান্ত ধৈর্য্যে।
একাকী শিকারী খুনের মত্ত নেশায়
জিঘাংসার মাদকে, শিকারীর লালসে।
শিকার ঐ আসে।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৯
মিথ্যে অবয়ব বলেছেন: অতি বৈচিত্রময়। অসাধারণ লাগলো।