নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কেউ নই, আমি আমার নই, আমি তোমার নই, আমি তুমিও নই

বেচারা

Walid

বেচারা › বিস্তারিত পোস্টঃ

চক্ষুষ্মান হবার জন্য কী লাগে?

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৫৭

লেখাটা একটা নেশায় দাড়িয়ে যাওয়ায় রোজই কিছু না কিছু লিখতে ইচ্ছে হয়। কিন্তু সময় জীবনের এমনই এক আফসোসের নাম। কত কী লেখার আছে অথচ সময় বড্ড কম। কত কথা জানিয়ে যেতে ইচ্ছে করে অথচ সময় দিতে হয় আলু মুলা রুটি রুজির পেছনে। সময়ের অভাবে আজ পুরানো কয়েকটা গল্প আবার রিপিট করব।

গল্প-১: আপনার চোখের উপরের পাতায় তর্জনীটাকে কিঞ্চিত ঠেসে ধরুন। দেখবেন সামনের সব দু’টো করে দেখাচ্ছে। দু’টো রাস্তা,দু’টো টিভি।আসলেই কি তাই, দু’টো দু’টো সব? নাকি আগের মতো একটাই আছে? আমার এক গ্রাম্য চাচা শহরে এসে ফুটপাতে দেখেন রঙিন চশমা বিক্রি হচ্ছে। একটা কিনে চোখে দিতেই দেখেন সবকিছু লাল দেখাচ্ছে। লাল গরু, লাল বাস, লাল দালান, লাল আকাশ। সব লাল হয়ে গেল এমনকি তার পরনের সাদা পাঞ্জাবীটা পর্যন্ত।চাচাতো মহাখুশি।চশমা খুলতেই আবার সব আগের মতো।উপরতলার কিংবা বড় বড় মানুষেরা সাধারণত অন্যের চোখে পৃথিবীকে দেখেন।বড় বড় মানুষদের চোখে তাদের তথাকথিত মন্ত্রণাদাতা এবং সাঙ্গপাঙ্গরা সবসময় একটা রঙিন চশমা পড়িয়ে রাখেন।ফলে বড় মানুষেরা সবকিছু রঙিন দেখেন। কখনো আবার মন্ত্রণাদাতাদের স্বার্থে তাদের কালো চশমা পড়ানো হয়্। তাতে তারা সবকিছু কালো দেখেন।যদিও সবকিছু লালও নয়, কালোও নয়। সেটা বড়রা দেখতে পারেন না কিংবা দেখতে দেয়া হয় না। কারন তাদেরকে তাদের উপদেষ্টাদের চোখে দেখেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়।তবে সমস্যা হল সদ্য আবিষ্কৃত থ্রি ডি চশমায় দেখলে আকাশটাকে হাতের নাগালে মনে হলেও সেতো সত্যি সত্যি হাতের নাগালে না।

গল্প-২: বুজু্র্গদের কাছে শুনেছিলাম মানুষের শরীরে একটা ছোট্ট মাংসের টুকরা আছে যার নাম কালব। মানুষ যখন একটা গুনাহ করে সেখানে একটা কালো দাগ পড়ে আবার তওবা করলে সেটা মুছে যায়। কিন্তু কিছু মানুষ এত এত গুনাহ করে এবং এক প্ায়ে সেটাসএতটাই কালো হয় যে শত তওবা বা ভাল কাজেও সেটা আর পরিষ্কার হয় না। কিছু মানুষ তার কালবকে ইচ্ছা করে একটা কঠিন প্রোগ্রাম দিয়ে রাখে যে, আমার চারপাশে যতই ভাল ভাল কথা, ভাল কাজ, ভাল বিষয়, ভাল হবার সুযোগ, ভাল হবার আহবান উচ্চারিত হোক না কেন, তাদের হৃদয়ে এসব সুশীল আহবান কোনো প্রভাব ফেলে না। শুধু যখন তাদের কেউ কোনো হেদায়েতের কথা বলে বা কোথাও সে এমন কোনো লেখা পড়ে শুধু ফোৎ করে একটা তাচ্ছিল্যের হাসি হাসে আর যারা তারে এমন কথা বলে তাদের বেকুব ভাবে। আপনার কী মনে হয়? কে সত্যিকারের বেকুব?

গল্প-৩: ছোট বেলার ভাবসম্প্রসারণ মনে আছে?কেরোসিন শিখা বলে মাটির প্রদীপে-ভাই বলে ডাকো যদি, দেব গলা টিপে-হেন কালে গগনেতে উঠিলেন চাঁদা-কেরোসিন শিখা বলে, এসো আমার দাদা।কিংবা ”শক্তের ভক্ত নরমের জম-বলে গেছে কানা আজম”। আমাদের নৈতিকতা বা সততার মাপকাঠি কী? অপরাধীর পদ, পদবী নাকি এথিকস?বড় বাবু গরিবের ঘরে আগুন লাগালেন-সবাই তাকে সাধু সাধু করে বাহবা দিলেন তার অসাধারন আগুন প্রজ্জলন কারিশমায়।আর কেষ্টা বেটা সেই পোড়া ঘর হতে একটা আধাপোড়া আলু লবণ লাগিয়ে যেই খেতে গেল অমনি তাকে অবৈধভাবে অন্যের সম্পদ লুন্ঠনের অপরাধে ১৪ বছর জেল।ম্যান ইজ মরটাল-মানুষ মাত্রই ভুল হয়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.