নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সূর্য উঠতে তখনও ঢের বাকী। আড়মোড়া ভেঙ্গে গুহা বাড়ি থেকে বাইরে এসে দাড়ালো উলা।
রাতের শেষ প্রহরের বিভিন্ন রকমের শব্দ পাওয়া যাচ্ছে, যেটা একান্তই রাতের; দিনের আলোয় এই শব্দগুলো একেবারেই পাওয়া যায় না। বাতাসে ভেসে আসছে কেমন একটা সোদা সোদা গন্ধ। মন মেজাজ ভালো থাকলে এই গন্ধটাও খুব ভালো লাগে ওর, তবে এখন লাগছে না। মেজাজ চরম আকারে খারাপ হয়ে আছে। শীতের শুরু হতে এখনও অনেক দেরী, তারপরেও এই সময়ের বাতাস কেমন জানি একটা শীতল পরশ বুলিয়ে যায় আপাদমস্তকে। হঠাৎ হঠাৎ শিউরে ওঠে শরীর! মাথা ঝাকিয়ে ঘোৎ করে একটা বিদঘুটে শব্দ করলো ও। ঘুম তাড়ানো জরুরী, এখন কোন আরাম আয়েশের সময় না। ধীরে ধীরে আরও কয়েকজন এসে জড়ো হলো। শিকারে যাওয়ার সময় হয়েছে।
নিঃশব্দে প্রায় আধা ঘন্টা হেটে একটা ছোট্ট হ্রদের ধারে এসে পৌছুলো দলটা। যার যার হাতিয়ার শক্ত করে ধরে অপেক্ষায় থাকলো শিকারের। এই সময়ে জীবজন্তুরা পানি খেতে আসে এখানে। আস্তে আস্তে আকাশ ফর্সা হতে শুরু করলো। সূর্যদেবতা উঠি উঠি করছে। আর শিকারের সুযোগ নাই। আজ চতুর্থ দিন। চারদিন ধরে ওরা কোন শিকার পাচ্ছে না। দলের সবাইকে হতচকিত করে রাগে-দুঃখে-ক্ষোভে বিকট শব্দে চিৎকার করে উঠলো উলা। নিজের ঘরে দু'টা কোলের শিশু। ওদের গোত্রেও আরো অনেক শিশু আছে। গত চারদিন ধরে লতা-পাতা খেয়ে আছে সবাই। শরীর গরম রাখার জন্য, শক্তির জন্য ওদের প্রচুর পরিমানে মাংস চাই। গোত্রের প্রধান হিসাবে শিকারের যোগান দেয়া ওর দায়িত্ব। সেটা করতে পারছে না। এভাবে আর চলতে পারে না।
পূবের আকাশের দিকে তাকালো উলা। সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললো। আরো পূর্বদিকে সরে যেতে হবে ওদেরকে। বন্য প্রানীদের পালগুলো ওদিকেই যাচ্ছে। কতো পুরুষ ধরে এখানে ওদের আবাস জানা নাই উলার, তবে এখন আর এসব চিন্তা করারও কোন মানে নাই। শীতের আগেই নতুন জায়গায় না যেতে পারলে মরতে হবে সবাইকে।
আজ থেকে কম-বেশী ত্রিশ হাজার বছর আগে ঘটা উলার ঘটনাটা……..বুঝতেই পারছেন আমার মনের মাধুরী মেশানো কল্পনা। তবে, ঘটনা মোটামুটিভাবে এমনটাই ছিল। সে'সময়ে মানুষের অভিবাসনের প্রধানতম কারন ছিল খাদ্যের সহজলভ্যতা নিশ্চিতকরন, আবহাওয়া তেমন একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল না। আবার এটাও মাথায় রাখতে হবে, এ'ধরনের অভিবাসন ঘটেছে হাজার হাজার বছর ধরে, কাল্পনিক উলার মতো কোন একক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে না। একটা বিশাল এলাকা জুড়ে বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন গোত্রের গোত্রপতি ''উলা'' এভাবেই জায়গা বদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
এমনই একটা অভিবাসন বিজ্ঞানীদেরকে যুগের পর যুগ ভাবিত করেছে। সেটা হলো, নতুন বিশ্ব বা আমেরিকা মহাদেশে (উত্তর এবং দক্ষিণ) মানবসম্প্রদায় ঠিক কবে থেকে বসতি স্থাপন করে। আরো ভাবিত করেছে, এরা কোত্থেকে এসেছিল, আর কিভাবেই বা এসেছিল। তবে, আমেরিকার আদিবাসীদের জিন বিশ্লেষণ করে তারা নিশ্চিত ছিল যে, এরা এশিয়া থেকেই মাইগ্রেট করে আমেরিকায় আসে। এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুজতে গিয়েই বেরিন্জিয়ার বিষয়টা তাদের সামনে চলে আসে। বেরিন্জিয়াকে বলা হয়ে থাকে, ''একটা ডুবে যাওয়া সেতু যার আকার ছিল মহাদেশের সমান''।
অভিবাসনের অনুমিত রুট
আচ্ছা, আপনাদের সামনে পৃথিবীর সে'সময়ের একটা চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করা যাক।
ত্রিশ হাজার বছর আগে পৃথিবীর চেহারা স্বভাবতঃই আজকের মতো ছিল না। চলমান শেষ বরফ যুগের সর্বোচ্চ পর্যায় ছিল তখন, যেটা বিজ্ঞানীদের কাছে ''লাস্ট গ্লেসিয়াল ম্যাক্সিমাম'' নামে পরিচিত। উত্তর আর দক্ষিণ মেরুর হিমবাহগুলি সহ পৃথিবীর এক তৃতীয়াংশই কঠিন বরফের নীচে ঢাকা পড়েছিল, কোথাও কোথাও বরফের পুরুত্ব ছিল এমনকি দুই মাইলের মতো। পানি বরফ আকারে আটকে থাকার কারনে তখন সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা আজকের চাইতে অন্ততঃ ১২০ মিটার নীচে ছিল। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে সাথে অনেক বিশাল বিশাল ভুখন্ড যেগুলো আজ সমুদ্রের নীচে চলে গিয়েছে, সেখানে গাছপালা ছিল, ছিল মানুষ আর জীবজন্তুদের অবাধ বিচরন। তেমনিভাবেই সাইবেরিয়া থেকে আলাস্কা পর্যন্ত একটা বিশাল ভুখন্ড, যা ছিল আয়তনে একটা মহাদেশের সমান; উত্তর-দক্ষিণে ১,৬০০ কিলোমিটার আর পূর্ব-পশ্চিমে ৪,৮০০ কিলোমিটার দের্ঘ্য-প্রস্থবিশিষ্ট এই ভুখন্ড বর্তমান কানাডার ম্যাকেন্জি নদী থেকে শুরু করে রাশিয়ার ভারখোয়ান্স্ক পর্বতমালা পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। বিজ্ঞানীরা একে বেরিন্জিয়া বলে থাকেন।
বেরিন্জিয়ার ব্যাপ্তি
১৯৩৭ সালে এরিক হুল্টন নামে একজন সুইডিশ (উদ্ভিদ বিজ্ঞানী এবং জিওগ্রাফার) জানান, আলেউশিয়ান দ্বীপমালা এবং বেরিং প্রণালী অঞ্চলের আশেপাশে তুন্দ্রা অন্চলের অনুরূপ গাছপালা ছিল যা মূলত আলাস্কা এবং চুকোটকার মাঝামাঝি একটি বর্তমানে নিমজ্জিত ভুখন্ড থেকে ছড়িয়ে পড়ে। এই ভুখন্ডটাকে তিনি ভিটাস জোনাসেন বেরিং এর নামে নামকরন করেন বেরিন্জিয়া। জোনাসেন ছিলেন একজন ডেনিশ কার্টোগ্রাফার এবং এক্সপ্লোরার যিনি রাশান নৌবাহিনীর হয়ে ১৭২৮ সালে সর্বপ্রথম ওই অন্চলে ভ্রমন করেন।
এই পুরো অন্চলটাই হিমবাহের আওতামুক্ত ছিল।
বেরিন্জিয়া-সম্পর্কিত গবেষণারত বিজ্ঞানীরা তাত্বিকভাবে একমত হন যে, এশিয়া থেকে মানুষ বেরিন্জিয়াতে বসতি স্থাপন করে। কিন্তু শুধু একমত হলেই তো হবে না, এটাকে প্রতিষ্ঠিত করতে মানুষের উপস্থিতির শক্তপোক্ত প্রমাণ চাই। এ'সম্পর্কিত প্রথম সবচেয়ে বড় সাফল্য আসে ২০০১ সালে রাশিয়ান একাডেমি অফ সায়েন্সেসের প্রত্নতত্ত্ববিদ ভ্লাদিমির পিটুলকোর হাত ধরে। রাশিয়ার বর্তমানের সাইবেরিয়ার ইয়ানা নদীর ধারের বিখ্যাত ইয়ানা সাইটগুলিতে (Yana Rhinoceros Horn Site, যা একসময় পশ্চিম বেরিন্জিয়ার অন্তর্ভূক্ত ছিল) খনন করার সময় পিটুলকো এবং তার দল প্রচুর (প্রায় ২,৫০০) প্রাচীণ আইভরি আর্টিফ্যাক্ট পান। তিনি রেডিও কার্বন ডেটিংয়ের জন্য একটি নমুনা যুক্তরাষ্ট্রে পাঠান। ফলাফল ছিল বিস্ময়কর, নমুনাটি ২৭,০০০ থেকে ২৮,০০০বছর আগেকার! ফলে বরফযুগের সময়গুলোতে এ'অন্চলে মানুষের উপস্থিতির একটা বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়। বেরিন্জিয়ার হারিয়ে যাওয়া অতীতের সন্ধানকারী বিজ্ঞানীদের অন্যতম একজন হলেন ইউনিভার্সিটি অফ কলোরাডোর ইনস্টিটিউট অফ আর্কটিক অ্যান্ড আলপাইন রিসার্চ-এর প্রত্নতাত্ত্বিক এবং মানব-পুরাতত্ত্ববিদ জন হফেকার। ইনি অনুসন্ধানে যথাযথ প্রমানের অভাবে একপর্যায়ে একটু হতাশ হয়ে গিয়েছিলেন। এই আবিস্কারে হফেকারের প্রতিক্রিয়া ছিল, আকাশের চাদ হাতে পাওয়ার মতো। তবে একইসঙ্গে তিনি এটাও জানান…...আরো প্রমাণের জন্য অনুসন্ধান চালিয়ে যেতে হবে।
ইয়ানা সাইট
গন্ডারের শিং দিয়ে তৈরী বর্শা
এদিকে ২০০৭ সালে বেরিন্জিয়া সংক্রান্ত গবেষণায় আরেকটা পালক যুক্ত হয়। এস্তোনিয়ার তারতু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জেনেটিক বিশেষজ্ঞ এরিকা ট্যাম আর তার ২০ জন সহকর্মী ৬০১ জন আদিবাসী আমেরিকান এবং ৩,৭৬৪ জন আদিবাসী এশিয়ানদের মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ তথ্য বিশ্লেষণ করেন। তাদের গবেষণা পিএলওএস ওয়ান (PLOS One) জার্নালে প্রকাশিত হয়। এই গবেষণার ফাইন্ডিংস অনুসারে, নতুন পৃথিবীতে যাত্রার আগে প্রাচীন এশীয় অভিবাসীরা মধ্যবর্তী কোথাও দীর্ঘকাল আবাস গেড়েছিল। আমেরিকাতে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বৈশিষ্ট্য অর্জনকারী নতুন জিনগত বংশ বিকাশ কোন স্বল্পকালীন বিষয় না। জিন মিউটেশানে বিস্তর সময়ের প্রয়োজন। এখানেই বেরিন্জিয়ান স্ট্যান্ডস্টিল মডেল বা হাইপোথেসিসের ইন্ট্রো ঘটে। এই মডেল অনুসারে আমেরিকায় অভিবাসনকারীরা এশিয়া থেকে সরে আসতে আসতে অভিবাসনের পূর্বে এমন কোন একটা জায়গায় হাজার হাজার বছরের জন্য স্থায়ী হয়, যার ফলশ্রুতিতে তাদের জেনেটিক মেইক আপের পরিবর্তন ঘটে। এটাই ছিল এরিকা ট্যামের গবেষণা অনুযায়ী এশিয়ান আর আমেরিকান আদিবাসীদের জেনেটিক পার্থক্যের মিসিং লিঙ্ক।
এই দুই অগ্রগতিতে উৎসাহিত হয়ে হফেকার একটা সমন্বিত জোড়ালো অনুসন্ধানের তাগাদা অনুভব করেন। এই উপলব্ধি থেকেই অনুসন্ধান আর গবেষণা জোরদার করার লক্ষ্যে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারীতে মার্কিন জাতীয় বিজ্ঞান ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে হফেকার ব্রেইন স্টর্মিং এর জন্য বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বেরিন্জিয়া বিজ্ঞানীদের কলোরাডোতে নিয়ে আসেন। সবাই সেখানে মোটামুটিভাবে বেরিন্জিয়ান স্ট্যান্ডস্টিল মডেল নিয়ে একমত হন এবং সমন্বয়ের মাধ্যমে গবেষণা চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
এরই মধ্যে বেরিন্জিয়া-গবেষণায় আরেকটা উল্লেখ করার মতো অগ্রগতি হয়। কানাডার য়্যুকানে (যা পূর্ব বেরিন্জিয়ার অন্তর্ভূক্ত ছিল) ব্লুফিশ কেভ নামে তিনটা গুহায় বেশকিছু প্রাচীণ আর্টিফ্যাক্ট পাওয়া যায় সত্তুরের দশকে। তখন এগুলোর রেডিওকার্বন টেস্টও করা হয়, এবং বলা হয় এগুলো ২৪,০০০ বছরের পুরানো। তবে এই পরীক্ষা বিতর্কিত হয়ে পড়ে। ২০১৭ সালে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে আবার পরীক্ষা করে পূর্বের পরীক্ষার সত্যতা পাওয়া যায়। এর ফলে এটা প্রতিষ্ঠিত হয় যে বেরিন্জিয়ার পূর্ব কিংবা পশ্চিম, সব অংশেই মানুষদের বসতি এবং আনাগোনা ছিল।
ব্লুফিশ গুহায় এসব পাথরের অস্ত্র-শস্ত্র পাওয়া গিয়েছে
ইয়ানা সাইট আর ব্লুফিশ গুহার প্রাপ্তি, এরিকা ট্যামের গবেষণা আর বেরিন্জিয়ান স্ট্যান্ডস্টিল হাইপোথেসিসের উপর ভিত্তি করে বিজ্ঞানীরা ধারনা করেন যে, এশিয়ার অন্য অন্চল থেকে আগত অভিবাসীরা নতুন বিশ্বে পাকাপোক্তভাবে মাইগ্রেট করার আগে বেরিন্জিয়াতে আনুমানিক ১০ থেকে ১৫ হাজার বৎসরকাল অতিবাহিত করে, যা তাদের জেনেটিক মিউটেশান বা ডিএনএ সিকোয়েন্স পরিবর্তনের জন্য যথেষ্ট ছিল।
এখানে উল্লেখ্য যে, আমি যে সময়টার কথা বলছি তখন বেরিন্জিয়ার আবহাওয়া আজকের মতো ছিল না। এখন পর্যন্ত ওই অন্চলে প্রাপ্ত জীবাশ্ম এবং পোলেন এভিডেন্স অনুসারে এটি তখন কোনও হিমশীতল বন্ধ্যা ভূ-ভাগ ছিল না, বরন্চ সেখানকার আবহাওয়া অনেকটাই বর্তমানের আলাস্কার মতো ছিল। গ্রীষ্মে এখানে গাছপালাতে ফুল-ফলাদি হতো আর প্রাগৈতিহাসিক বাইসন, উট, ঘোড়া, হাতি, হরিণ এবং গণ্ডারের মতো প্রাণী বিচরণ করতো। এদেরকে তাড়া করে ফিরতো হিংস্র বাঘ, ভালুক, সিংহ…….আর দু'পেয়ে হিংস্রতর আরেকটা প্রাণী…….হোমো সেপিয়েন্স তথা মানুষ। উত্তর গোলার্ধের বেশিরভাগ অংশ যখন পুরু বরফে ঢাকা, বেরিন্জিয়ার বেশিরভাগ অন্চল তখন বরফমুক্ত ছিল।
শিল্পীর কল্পনায় তখনকার বেরিন্জিয়া
সাইবেরিয়ায় ম্যামথের এই আইভরি পাওয়া গিয়েছে
আজ থেকে প্রায় ১২,০০০ বছর আগে শেষ বরফ যুগের অবসানের পর পৃথিবীর তাপমাত্রা আস্তে আস্তে বাড়তে শুরু করে, ফলে দুই মেরুর জমাট বাধা বরফও আস্তে-ধীরে গলতে শুরু করে। এর ফলশ্রুতিতে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়তে থাকে এবং একসময়ে বেরিন্জিয়ার ভূমির পরিমান কমতে কমতে আজকের পর্যায়ে চলে আসে, আর বেরিং প্রণালীর সৃষ্টি হয়। এখানে জানিয়ে রাখি, আপনি চাইলেই প্রাচীণ মানুষদের মতো করে হেটে এশিয়া আর আমেরিকার মধ্যে যাতায়াত করতে পারেন, তবে শুধুমাত্র শীতকালে। যাই হোক, যা বলছিলাম। লাস্ট গ্লেসিয়াল ম্যাক্সিমাম এর সময়টাতে বর্তমান কানাডার অধিকাংশ আর যুক্তরাষ্ট্রের উত্তরাংশ পুরু বরফে ঢাকা ছিল। সেগুলো গলতে শুরু করার সাথে সাথে পশু আর মানুষের দলও ধীরে ধীরে নতুন বিশ্বের বিভিন্ন অন্চলে ছড়িয়ে পরে। আর এভাবেই মূলতঃ পৃথিবীর এই অংশে মনুষ্য আবাদের সূচনা হয়।
২১,০০০ বছর ধরে সমুদ্র-পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে সাথে এভাবেই বেরিং প্রণালীর সৃষ্টি হয় (পরিবর্তনের ধাপগুলো দেখুন)
বেরিন্জিয়া নিয়ে অনুসন্ধান আর গবেষণা এখনও চলছে, হয়তো আরো দীর্ঘকাল ধরে চলবে। যেহেতু বেরিন্জিয়ার একটা বড় অংশই বর্তমানে পানির নীচে, তাই বর্তমানের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে পানির নীচেও অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে। আমরা আশায় থাকতেই পারি আরো চমকপ্রদ নতুন নতুন আবিস্কারের।
তবে, এশিয়ান আদিবাসী পূর্বপুরুষদের ভিটামাটি থেকে উচ্ছেদের জন্য আমরা ইওরোপিয়ান হানাদারদেরকে কোনদিনই ক্ষমা করতে পারবো না। অন্ততঃ এশিয়ান হিসাবে আমরা এই সান্তনাটুকু পাইতেই পারি যে, ২৫-৩০ হাজার বছর আগেই গোটা আম্রিকা এশিয়ানগো আছিল!!!
ব্লগার জুন আপা আমারে ধৈর্য্য সহকারে খোচাখুচি না করলে এই পোষ্টটা আলোর মুখ দেখতো কিনা……..আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে। তাই সঙ্গতকারনেই পোষ্টটা জুন আপাকে উৎসর্গ করা হইলো। কারো এ'সংক্রান্ত কোন আপত্তি থাকলে এক সপ্তাহের মধ্যে জানানোর জন্য অনুরোধ করা যাইতেছে!!!
শিরোনামের ছবিটা ডুবে যাওয়া অংশসহ বেরিন্জিয়ার। সবগুলো ছবি আর তথ্যের কৃতিত্ব গুগল মামার। এগুলোকে একজায়গায় জড়ো করার কৃতিত্ব আমার, আর খোচানোর কৃতিত্ব জুন আপার।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:১৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: লাইক বুঝিয়া পাইলাম। ধন্যবাদ।
কয়েকদিন পরে কেন, দরকার হলে এক সপ্তাহ সময় নেন। অপেক্ষা করবো, অসুবিধা নাই।
জওহরলাল নেহেরুর বিশ্ব ইতিহাস প্রসঙ্গ পড়া ধরলাম এখন। পড়া শেষ করে পোষ্ট দিয়েন।
আমার অন্য পোষ্টে আপনার মন্তব্য আর লিঙ্ক পেলাম। পড়ে, সময় করে বিস্তারিত মন্তব্য করার আশাবাদ ব্যক্ত করছি।
২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০৭
শোভন শামস বলেছেন: শিক্ষণীয়, তথ্য বহুল, সুন্দর লিখেছেন
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:১৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: কষ্ট করে পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
৩| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০৯
নেওয়াজ আলি বলেছেন: শিক্ষণীয় ও তথ্যমূলক পোষ্ট। লাইক
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:১৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার লাইক তো চোখে দেখা যাচ্ছে না। সামু'তে অদৃশ্য লাইক দেওয়ার নিয়ম নাই।
৪| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:২৯
শায়মা বলেছেন: বেরিন্জিয়া
হায়রে এই জীবনে মনে হয় প্রথম এই নাম শুনলাম ভাইয়া। যাক পানির তলা থেকে আমাকেও উঠিয়ে আনলো এই পোস্ট। পম্পাই নগরীর ভূতলে হারিয়ে যাওয়া শুনেই অত্যাশ্চরয্যিত হয়েছিলাম আজ তো আরও আরও হলাম ভাইয়া।
এমন কত শত ইতিহাস আখ্যান নিয়ে লুকিয়ে আছে কত শত নগরী কে জানে!!!!
আইভরীএর সাইজ দেখে তো আরও অবাক হলাম।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৫৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: হায়রে এই জীবনে মনে হয় প্রথম এই নাম শুনলাম ভাইয়া। মনে হয় কেন? নিশ্চিত না?
পম্পাই নামে কোন নগরী ছিল না। ওটা পম্পেই। আমার ইতালী ভ্রমনের পোষ্টগুলোতে, দুইটা পোষ্ট সম্ভবতঃ, ওই নগরী ঘোরার উপরে আছে। প্রচুর ছবিও দিয়েছিলাম। মন চাইলে দেখতে পারো। দাওয়াত না দিলে তো কেউ কারো বাসায় আজকাল যায় না। যদিও তোমার সাথে ফর্মালিটি করার কিছু নাই......তাও দিলাম!!!
আইভরীএর সাইজ দেখে তো আরও অবাক হলাম। আমিও হয়েছি। তবে এটাতো সাধারন হাতি না, ম্যামথ বলে কথা!!
৫| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: চমৎকার গবেষণা - বেরিঞ্জিয়া গবেষকদের কথা বলছি
জি, আপনার গবেষণা আরো ব্যাপক।
ঘোড়া, হাতিদের তাড়া করে ফিরতো অধিকতর হিংস্র দু'পেয়ে হোমো সোপিয়েন্স, কথাটা ভালো লেগেছে কিন্তু
পড়তে পড়তে যেটা বলবো ভেবেছিলাম, সেটা আপনি নীচে বলে দিয়েছেন- পুরো আমেরিকা কিন্তু আমরা এশিয়ানদের
সুন্দর পোস্টের কৃতিত্ব দিলাম এবার আপনাকে। শ্রমসাধ্য পোস্ট।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: বিভিন্ন গুণীজনেরা গবেষণা করেছেন.......আমি আবার তাদের গবেষণা নিয়ে গবেষণা করেছি, ব্যাপক তো হতেই হবে।
আমেরিকা তো আমাদের, এশিয়ানদেরই। সাদারা তো উড়ে এসে জুড়ে বসা! কি আর করা, বর্তমান যতোই অসহ্য হোক, মেনে তো নিতেই হয়।
মানুষের চেয়ে হিংস্র প্রানী তো এই জগতে নাই। এরা অন্যদের সাথে যা করে তো করে, নিজেরাও সারাদিন কামড়া-কামড়ি করতে থাকে।
শ্রমসাধ্য পোস্ট। এইটা একটা ভালো কথা বলেছেন। আসলেই প্রচুর শ্রম দিতে হয়েছে এই পোষ্টটা তৈরী করতে গিয়ে।
৬| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪৭
জুন বলেছেন: শেষপর্যন্ত বেরিঞ্জিয়া নিয়ে লিখেছেন ভুয়া! অনেক অনেক খুশী হয়েছি একটি নতুন আস্তানা সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য। তবে এই ভাইবা আমি অবাক হইলাম যে আমার জানার বাইরেও তাইলে কিছু আছে
এত সুন্দর করে লিখেছেন মনে হলো উলার সাথে সাথে আমিও আম্রিকার (কাকুর ) দিকে একটু একটু সরে যাচ্ছি। আমেরিকার রেড ইন্ডিয়ানরা আমাদের জাতগোষ্ঠী শুনে ব্যপক গর্ব বোধ কর্তেছি। অবশ্য এইটা আমি আগেই জানতাম
মাহা দাওয়াত দিছে এই জন্য তাকে বিশাল ধন্যবাদ না জানাইলেই না। আরেকটা কথা ১২.২৩ মিনিটে পোস্ট দিছেন সেইটা এখনো পয়লা পোস্ট হিসাবে সামুতে ঝুলতাছে, কাহিনী কিতা
আমি পোস্ট দিয়া ব্লগে উকি দিলেই দেখি পরের পৃষ্ঠায় যাওয়ার অপেক্ষায়। কি সিস্টেম করেন কন দেহি
আরেকবার আসতে হবে বেরিঞ্জিয়া নিয়ে আলাপ করার জন্য। + আর প্রিয়তে।
আমি না খোচাইলে এমুন একটা জ্ঞ্যানের পোস্ট লেখা হইতো নাকি কন
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:২০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: হ.....কথা রাখার ব্যাপারে আমার একটা সুনাম আছে। সেইটা তো আর নষ্ট হইতে দিতে পারি না!!
তবে এই ভাইবা আমি অবাক হইলাম যে আমার জানার বাইরেও তাইলে কিছু আছে এইটা কি কইলেন! আপনের কাকুর কাছ থিকা টেরনিং তো দেহি ভালোই লইতাছেন!! আম্রিকার দিকে সরতে সরতে দেহেন কোনরহমে নিউইয়র্কে পৌছাইতে পারেন কিনা। তাইলে তো পোয়াবারো!!!
মাহা'র দাওয়াতী কার্যক্রমটা ভালো। আমার এইখানে এহনও আসে নাই......আইলে আমিও একটা বড় কইরা ধন্যবাদ দিয়া দিমু।
আমি আবার কি সিস্টেম করুম......তয় একটা কথা মনের ম্ইদ্দে উকিঝুকি মারতাছে, কিন্তু কইতে শরম লাগে, কমুনি......না, থাক, কমুনা।
খোচানের লাইগা ধন্যবাদ!
৭| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:০০
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: অজানা বিষয় জেনে ভালো লাগছে। চমৎকার তথ্যসমৃদ্ধ লেখা।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:২২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।
৮| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২৬
রাজীব নুর বলেছেন: কত কিছু যে জানি না। বারবার শুধু আফসোস হয়।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:২৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আফসোসের কিছু নাই। আপনে না জানলেও আপনের গুরু তো সব জানে। সেইটাই বা কম কি?
৯| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩৫
রাসেল বলেছেন: Thanks to you and June apa (For whom you post this history ). Hope, you will write more & more and we will able to know human history.
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:২৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ইংরেজিতে চমৎকার মন্তব্যের জন্য আপনাকে অভিনন্দন!!
১০| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:১৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম। লেখাটা ঠেলায় পরে লিখেছেন সেটাও জানলাম। আপনার লেখার এই তথ্য ট্রাম্প জানে কি না জানাবেন। কারণ ২৫-৩০ হাজার বছর আগেই আমেরিকা এশিয়ানদের আছিল এই খবর ট্রাম্প শুনলে চিন্তায় পরে যেতে পারে। তবে তখন হয়তো সে নিজেকে এশিয়ান বলে দাবী করে বসতে পারে।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৩১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ঠেলায় পড়ে লিখতে গিয়ে ঢেকি গেলার অবস্থা হয়েছিল। ফেলতেও পারি না, গিলতেও পারি না। যা তা অবস্থা! বহুত খাটনি......যাক, শেষ পর্যন্ত শেষ করতে পারলাম।
ট্রাম্পের সাথে আসলে দুনিয়ার মাত্র একজন ব্লগারের সাথেই যোগাযোগ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তবে, এটা ঠিক। ট্রাম্প উনার কাছ থেকে এই খবর জানলে, এশিয়ান তো বটেই......নিজেকে বাংলাদেশী বলেই দাবী করে বসতে পারে!!
১১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৬
আখেনাটেন বলেছেন: বিরাট গিয়ানি পোস্ট।
পরদাদা উলার জন্য শুভকামনা। আমাদের পদ দেখিয়েছেন।
ম্যামোথের আইভরিটা কি আসল নাকি ভুয়া.......।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: গিয়ানিরা তো গিয়ানি পোষ্টই দিবো, তাইনা!!
উলা যে কয়টা পরের দাদা, সেইটাও একটা গবেষণার বিষয়।
ছবিটা ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের ওয়েবসাইট থেকে নেয়া। এখন তারা যদি ভুয়া নিউজ করে, আমার মতোন ভুয়া আর কি করতে পারে? লিঙ্ক দিলাম। আর্টিক্যালটা পড়েন। নীচে স্লাইড শো আছে, সেটাও দেখতে পারেন। এ'ধরনের লেখায় সোর্স অথেনটিক না হলে আমি তথ্য নেই না। সেইজন্যেই সময় বেশী লাগে, খাটতেও হয় প্রচুর।
Of Mammoths and Men
১২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৮
আখেনাটেন বলেছেন: নয়া নয়া আবিষ্কার করে বিজ্ঞানীরা আমাদেরও ধাঁধায় রাখেন। এটা মানি না।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনে কি আন্দোলন, ভাঙ্গচুর করার পরিকল্পনা করতাছেন?
১৩| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০৫
করুণাধারা বলেছেন: আপাতত লাইক দিয়ে গেলাম। ঘরের গ্যান্জাম কিছু মিটায় আসি...
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আচ্ছা, অপেক্ষা করি। ঘরে আবার কি গ্যান্জাম লাগলো!!
১৪| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১৮
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আমার নতুন বাড়ির দাওয়াৎ দিলাম। আপনার বিলুপ্ত নগরে কখন কোন বাইসনের ভূত তাড়া করে। ভয় পাচ্ছি।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৪৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: সামু'তে দাওয়াতী কার্যক্রম দেখা যাচ্ছে বেশ জোরেসোরে চলছে! দাওয়াত কবুল। অনেক লেখা এখনো পড়ি নাই। আস্তে-ধীরে পড়তে হবে।
তবে এখানে কোন বিলুপ্ত নগরের গল্প নাই। কাজেই ভয় পাওয়ারও কিছু নাই।
১৫| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৫৩
বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: শেষ করতে পারি নি। লেখা যদি আরো ছোট হতো কতই না ভাল হতো।
ধন্যবাদ রইল।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৫০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এই লেখা শেষ করতে পারেন নাই! দেখি, আপনার জন্য ভবিষ্যতে ফেসবুকমার্কা পোষ্ট দেয়া যায় কিনা।
১৬| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৮
জুন বলেছেন: আমার অনুরোধে ঢেকি গিলেও যে অসামান্য একটি পোষ্ট লিখেছেন তার জন্য আরেক দফা ধন্যবাদ দেন ভুয়া তাও হাল্কা পাতলা ঢেকির উপর দিয়েই গেলো, কিন্ত শায়মা অনুরোধ করলে আপনাকে আস্ত একটা ম্যামথ গিলতে হতো এইটা আমি শিউর
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৫৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: কিন্ত শায়মা অনুরোধ করলে আপনাকে আস্ত একটা ম্যামথ গিলতে হতো এইটা আমি শিউর জানা থাকলো। শায়মা কোন অনুরোধ করলে আগেই চোখ বন্ধ কইরা ফালামু। ম্যামথের গায়ে অনেক বড় বড় পশম, গেলা সম্ভব হইতো না।
আমার অনুরোধে ঢেকি গিলেও যে অসামান্য একটি পোষ্ট লিখেছেন তার জন্য আরেক দফা ধন্যবাদ দেন ভুয়া আইচ্ছা, এইবার ফাইনাল ধন্যবাদ দিলাম। আর দিতে পারুম না। এরপরে লাগলে এইটা দেইখ্যা নিয়েন!
১৭| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: ভুয়া মফিজ
উলা থেকে চুলা ( যেহেতু খাদ্যান্বেষনের জন্যেই এই মাইগ্রেশন) পর্যন্ত টানলেন । এতো প্যাঁচ না দিয়ে সোজা লিখতেই পারতেন -বেরিঞ্জিয়া হলো সাইবেরিয়া আর আলাস্কাকে সংযুক্তকারী স্থলভাগ। একটি সেতুর মতো যা এশিয়া আর আমেরিকাকে একত্রে বেঁধে রেখেছিলো। আর সে পথেই আমাদের বাপ-দাদারা X ৪০০ ভিসা ছাড়াই কানাডা আর আমেরিকাতে আমাদের ব্লগের ইবনে বতুতা “জুন” এর মতোই ভেরমোনে ( ভ্রমন) গিয়েছিলো। তাই আমেরিকানরা যতোই গর্ব করুক আর ফাল পাড়ুক না কেন তারা আমাদের এশিয়ানদেরই ছানাপোনা।
বলা যায়না “সাড়ে চুয়াত্তর” যা বলেছেন সেভাবে দেখলে ট্রাম্প সাহেব আমাদের কাজিন টাজিন হয়ে যেতেও পারেন।
তবে এখানটাতে খটকা লেগেছে - বলেছেন , "পানি বরফ আকারে আটকে থাকার কারনে তখন সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা আজকের চাইতে ১২০ মিটার নীচে ছিলো।"
কিন্তু যতোদূর জানি, পানি বরফ হলে আয়তনে বাড়ে। তাহলে তখন সমুদ্রের উচ্চতা তো আজকের চেয়ে বাড়ার কথা। ঘাপলাটা কোনখানে ?
সবটা মিলিয়ে জেনে ও শিখে রাখার মতো পোস্ট।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভাবতাছি, পরেরবার সামু'তে একটা গল্প পোষ্টামু। গল্পটা এমন, ''২৩ বছরের তরুণী আমগাছে গলায় ফাস দিয়া ঠাস কইরা মইরা গেল।'' কোন প্যাচাপ্যাচি নাই, একদম সহজ সরল! আর গল্পটা আপনেরে উৎসর্গ করমু!!
আজকের আমেরিকা মহাদেশের বেশীর ভাগ লোকজনই ইওরোপ অরিজিন। বিশেষ কইরা উত্তর আমেরিকার। আমাগো অরিজিনগোরে তো হ্যারা রিজার্ভেশান এলাকায় রাখছে। অনেকটা চিড়িয়াখানার মতো!!
আপনের খটকার জায়গা কি সত্যিই খটকা? আপনে এই সহজ জিনিসটা জানেন না, এইটা আমারে বিশ্বাস করতে কন? আমারে বাজায়া দেখনের দরকার কি ভাইজান!
আমার গত পোষ্টে আপনে ডরে আহেন নাই বুজছি........এই পোষ্টে আইছেন! সইত্যই খুব খুশী হইছি!!!
১৮| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: জানার কোন শেষ নাই
জানার চেষ্টা বৃথা তাই
কিন্তু ব্লগে আসলে আপনাদের যন্ত্রণায় না যেনে, না শিখে উপায় কি।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এইসব উল্টাপাল্টা কবিতা শিখায়াই তো কবিরা জাতির সর্বনাশ করছে!! স্যরি......আপনে নিজেও তো একজন কবি; কারে কি কইলাম!!!
দোয়া রাইখেন, যেন এমন গিয়ানী পোষ্ট ঘন ঘন দিতে পারি। ঝাতি তো আমাগো দিকেই চোখ রসগোল্লার মতোন কইরা চায়া রইছে!
১৯| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:২৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ধন্যবাদ জুনাপুকে। উনি না খোঁচালে এমন বিদ্যে বার না হওয়ার সরল স্বীকারোক্তিতে যাবতীয় প্রশংসা তাহলে আপুকে। তবে একটু হলেও রাতজেগে পড়া করে পোস্টটি দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকেও।
সময় নিয়ে আবার আসছি....
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: যাক, আমাকেও একটু ছিটাফোটা ক্রেডিট দিয়েছেন। আমি এতেই খুশী।
সময় নিয়ে আবার আসছি.... ভুইলেন না। অপেক্ষায় থাকলাম।
২০| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০১
ইসিয়াক বলেছেন: লাইক দিয়ে রাখলাম । কইয়েন না আবার ইট পাইত্যা রাখছি। ভরসা আছে বইল্যা লাইক দিছি। পড়ে পইড়া মন্তব্য করুমনে।
মহা ব্যস্ততা চলতাছে। যারে কয় কুকুর বেড়াল ব্যস্ততা ।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভরসা করনের জন্য আপনেরে সাধুবাদ। এইবার তো ইট না, চক দিয়া দাগাইছেন মনে হইতাছে।
কুকুর বেড়াল বৃষ্টির কথা হুনছি; কুকুর বেড়াল ব্যস্ততার কথা তো হুনি নাইক্কা!! যাউকগ্যা, পদাতিক ভাইজানের মতোন আপনেরেও কই.......ভুইলেন না। অপেক্ষায় থাকলাম।
২১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আফসোসের কিছু নাই। আপনে না জানলেও আপনের গুরু তো সব জানে। সেইটাই বা কম কি?
গুরুর অনেক অসুস্থ।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার গুরুর সুস্থতা কামনা করছি।
২২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৪:১৯
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: এটা কি নিশ্চিত মানুষের আদি নিবাস আফ্রিকা।ওখান থেকেই আগে পরে তিনটি দল তিন দিক দিয়ে বাকি বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।
কোন ধর্ম গ্রন্থের ইতিহাসের সাথেই এই ইতিহাসের মিল নেই।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: মানুষের আদি নিবাস কোথায়, কোন দল কোন দিকে গেল কিংবা ধর্ম গ্রন্থগুলো কি বলে, সেগুলো নিয়ে এই পোষ্ট না ভাইজান। আপনি ওসব নিয়ে পোষ্ট দেন, সেখানেই না হয় আলাপ করবো!!
২৩| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:২৫
আনমোনা বলেছেন: পুরোটাই মনের মাধুরী মিশিয়ে একটা গল্প লিখে ফেলুননা। খুব জানতে ইচ্ছে করছে, উলা পরেরদিন শিকার পেল কিনা। আর ঐ যে বিশাল ম্যামথের আইভরি, ঐ ম্যামথটাকেই বা কে, কিভাবে শিকার করলো।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: উলা পরেরদিন শিকার পাইলেই কি, আর না পাইলেই কি? এটা নিয়ে টেনশান করবেন না। মানুষ যখন, ব্যবস্থা একটা করেই ফেলবে।
আপনি মনে হচ্ছে, আমাকে হাতি গেলানোর চেষ্টা করছেন!! মনের মাধুরী আপাততঃ শেষ, আস্তে-ধীরে মনে আবার বেশ কিছু মাধুরী জমুক.....তারপরে না হয় চিন্তা করবো!!!
আচ্ছা যান, মাথায় থাকলো। চেষ্টা করার চেষ্টা করবো।
২৪| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৫১
এমএলজি বলেছেন: লেখাটি ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
২৫| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:০৩
রাশিয়া বলেছেন: আয়ারল্যান্ডের দক্ষিণ পশ্চিমে সমুদ্রে তলিয়ে যাওয়া আটলান্টিস সম্পর্কে কিছু জানতে চাই
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: জানাতে চেষ্টা করবো, তবে এটা অনেক সময়ের ব্যাপার। মাত্রই এটা লিখলাম।
সবচেয়ে ভালো হয়, যদি এটা নিয়ে আপনিই লিখে ফেলেন। দারুন একটা লেখা হবে নিঃসন্দেহে!
২৬| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:২৮
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
অজানা ইতিহাস জানলাম।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: জানাতে পেরে ভালো লাগছে।
২৭| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৩
নীল আকাশ বলেছেন: পুরোটা শেষ করে মন্তব্য করবো। অনেক বড়। কেবলই পড়া শুরু করেছি।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আগে যারা ইট রেখে গিয়েছেন, তাদের বেশিরভাগই এখনও আসেন নাই। সিরিয়ালি উনারা হলেন, যথাক্রমে আমি সাজিদ, জুন, করণাধারা, পদাতিক চৌধুরি, ইসিয়াক। আপনার ইটের নাম্বার ৬। আপনার জন্যও অপেক্ষায় থাকলাম।
২৮| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৩৭
করুণাধারা বলেছেন: আসলাম এতক্ষণে! ঘরের গ্যান্জাম মিটে নাই কিন্তু পরিস্থিতি শান্ত আছে, ক্যাচাল দেখি লাগানো খুব সোজা। এখনও ২৪ জনকে মিট করা বাকি
বেরিন্জিয়ার নাম এই প্রথম শুনলাম। এই পোস্ট পড়ার পর বুঝলাম মানব ইতিহাস, আবহাওয়া, ভূগোল সবকিছু সম্পর্কে কত কম জানি!! এই জ্ঞান নিয়ে কথা বলি কীভাবে!!! আমিও আনমোনার সাথে একমত, গল্পের মতো হলে বুঝতে সুবিধা হতো, অনেকটা ভোলগা থেকে গঙ্গা গল্পের স্টাইলে বলা গল্প। ঐ মন্তব্য আর উত্তর দুটাতেই লাইক দিলাম।
উত্তর আর দক্ষিণ মেরুর হিমবাহগুলো সহ পুরো পৃথিবীর এক তৃতীয়াংশ বরফে ঢাকা, তাহলে উত্তর মেরুর এত কাছে থাকা সত্ত্বেও বেরিন্জিয়া হিমবাহ মুক্ত ছিল বলছেন... মাথায় ঠিক ঢুকলো না!
ডুবে যাওয়া বেরিন্জিয়া আবার ভেসে ওঠার সম্ভাবনা নিয়ে বৈজ্ঞানিকরা কিছু বলছেন? আবার ভেসে উঠলে আমরাও বাস নিয়ে নিউইয়র্কে যাইতে পারতাম, এই আর কি!!
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আসার জন্য ধন্যবাদ। একটা ইট অন্ততঃ সরাতে পারলাম!
কোন গ্যান্জামই সহজে মিটে না। এই জন্য গ্যান্জাম এড়িয়ে যাওয়া ভালো, যদিও সবসময়ে তা সম্ভবপর হয়ে ওঠে না।
মানব ইতিহাস, আবহাওয়া, ভূগোল সবকিছু সম্পর্কে কত কম জানি!! এই জ্ঞান নিয়ে কথা বলি কীভাবে!!! আমিই বা কি ছাই জানি। মামা না থাকলে তো এসব জানার সুযোগও হতো না। একটু আগ্রহ আছে, আর টুকটাক ইংরেজি পড়তে পারি.....তাই একটু জানার চেষ্টা করি আর কি!!!
ব্লগার আনমোনার কথা বলে আপনিও দেখি আমাকে হাতি গেলানোর ফন্দি করছেন!!
এসবই ফসিল আর পোলেন এভিডেন্সের উপরে ভিত্তি করে অনুমান। সব কিছুই তো এ্যকিউরেটলি জানা সম্ভব না। ভৌগলিক বৈচিত্র, বৃষ্টিপাত, বায়ু-প্রবাহ, সমুদ্রস্রোত এসব কারন হিসাবে এসেছে। বেরিন্জিয়া একটা বিশাল এলাকা....যেমনটা বলেছি। হয়তো কোন অংশে হিমবাহের এক্সটেনশান ঢুকে গিয়েছিল। কে বলতে পারে। এ'নিয়ে প্রচুর আলোচনা আছে। সব তো আর মন্তব্যে লেখা সম্ভব না। তারপরেও আপনার আগ্রহের কারনে একটা লিঙ্ক দিলাম। কিছুটা কৌতুহল হয়তো মিটতে পারে।
view this link
ডুবে যাওয়া বেরিন্জিয়া আবার ভেসে ওঠার সম্ভাবনা নিয়ে বৈজ্ঞানিকরা কিছু বলছেন? বিজ্ঞানীরা বলেছেন কিনা জানি না, তবে সেটা যে সম্ভব না, তা এমনিতেই বোঝা যায়। এমনকি, আরেকটা বরফ যুগ আসলেও না। কাজেই বাস নিয়ে যাওয়ার চান্স নাই। তবে দরকার কি? স্লেজগাড়িতে করেই তো যেতে পারেন! শীতকালে!!
২৯| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৯
জুন বলেছেন: সব প্রানীই মনে হয় খাদ্যের সন্ধানে হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিতে কুন্ঠা বোধ করে না ভুয়া। তবে নতুন একটি বসতি আবিস্কারের চিন্তাও হয়তো থাকে তাদের । গোত্রে গোত্রে দ্বন্দ, ঝগড়াও এই অবিভাসনের একটি কারন। তেমন করেই হয়তো সেই বরফ যুগের শেষ ভাগে আমাদের মহাদেশের লোকজন সেই বরফ পেরিয়ে গিয়েছিল নতুন পৃথিবীর সন্ধানে । এতে তারা পাড়ি দিয়েছে সমতল, পাহাড়, নদী বা বিস্তীর্ন বরফের মহাদেশ । যেমন মহা সমুদ্র পাড়ি দিয়ে পলিনেশিয়ানরা হাজার হাজার বছর আগে বিভিন্ন দ্বীপে পৌছেছিল , গঠন করেছিল এক নতুন সভ্যতার যেমন ধরেন ইস্টার আইল্যান্ডের কথাই । এখন এই পলিনেশিয়ানদের আদিভুমি কই সেটাও একটা প্রশ্ন থেকে যায় ।
ব্লুফিশ কেভে পাওয়া আর্টিফেক্ট দেখে মনে হয় সদ্য তৈরি । কি ফিনিশিং ! তবে আপনি বিভিন্ন প্রানীর উল্লেখ করতে গিয়ে ম্যামথ, হাতি গন্ডার উট বাঘ ভাল্লুকের কথা বলেছেন । উট কি সেখানে ছিল সে সময় । আমরা যতটুকু জানি উট গরম দেশের প্রানী । কি জানি হয়তো ছিল অন্য নামে । কিছু দিন আগে নিউজে পড়লাম উত্তর মেরুর বরফ গলে পরায় প্রচুর ম্যমথের কংকাল বেরিয়ে আসছে ।
আজ আমাদের মহাদেশের লোক কিছু শেত্বাংগ লোকজনের জন্য রিসারভেশনে দিন গুজরান করছে ভাবতেই কষ্ট হয় । হাউ দ্যা ওয়েষ্ট ওয়াজ ওন দেখলেই বোঝা যায় ইউরোপীয়রা কি শয়তান ছিল । যাক আপনে সেই দেশে খাইয়া পইরা তাদের বদনাম করতে পারেন না , এইটা নীতিগত ভাবে ঠিক না
তবে যাই বলেন এত প্রাঞ্জল আর খুটিনাটি বর্ননায় লেখাটি আপনার উচ্চমানের একটি লেখার দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে । সবশেষে আমাকে উৎসর্গ করে পোস্টটি দেয়ার জন্য আপনাকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা ।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: যাক, আরেকটা ইট সরাইতে পারলাম। খুব আনন্দ হচ্ছে।
আপনি ঠিকই বলেছেন। সব প্রাণীদের জন্যই খাওয়া হলো টপ প্রায়োরিটি। সেটার জন্য সম্ভব যা করার, তারা করে। মানুষও কোন ব্যতিক্রম না। তবে, প্রাণীটা যেহেতু মানুষ, খাবারের সাথে সাথে তার আরো কিছু এজেন্ডাও থাকে। সেজন্যেই একমাত্র মানুষই সেই প্রাচীণকাল থেকেই তারা কে, কোত্থেকে এলো, কে তাদেরকে সৃষ্টি করলো, মারা যাওয়ার পর কোথায় যাবে......এসব নিয়ে চিন্তা করতো।
ব্লুফিশ কেভে পাওয়া আর্টিফেক্ট দেখে মনে হয় সদ্য তৈরি । কি ফিনিশিং ! পাথরের তৈরী তো, নষ্ট হয় নাই। একটু ঘষামাজা করলেই চকচকে দেখায়।
উট এখন গরম দেশের প্রাণী ঠিকই। এখানে আবার সেই মিউটেশানের প্রশ্ন। হাতিও কিন্তু বর্তমানে গরম দেশেরই প্রাণী। একটা লিঙ্ক দিলাম, দেখেনview this link। চাইলে আরো দেওয়া যাবে। খালি আওয়াজ দিবেন।
শেতাঙ্গ কৃষ্নাঙ্গ বইলা কোন কথা নাই আপা। সুযোগ পাইলে সবাই এইসব করবে। সাদারা সুযোগ বেশী পায় বিবিধ কারনে। যে খারাপ কাম করবো, তার বদনাম তো করুমই, আবার এগো প্রশংসাও তো করি। আর এরা আমারে মাগনা খাওয়ায় না। কাম করি। আবার সরকাররেও ট্যাকা দেই। এইখানে এরা আমাগো ডাইকা আনছে নিজেগো স্বার্থেই।
শেষের দুই লাইনে যা কইছেন, তা নিয়া বেশী কিছু কমু না। আমার শরম লাগে।
তয় উৎসর্গ আপনে ডিজার্ভ করেন দেইখাই করছি। যে যেইটার যোগ্য, তারে সেইটা দিতে আমি কোন কার্পন্য করি না।
৩০| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: একদম শুরুটা আমার রাহুল সাংকৃত্যায়নের ভল্গা থেকে থেকে গঙ্গা'র মতোই লাগলো। ছোট ছোট গোষ্ঠীগুলোর লড়াই,কে কাদের উপর প্রভুত্ব বিস্তার করবে, কিছু দিন পরে খাবারে টান, আবার অন্যত্র স্থানান্তর, মাতৃতান্ত্রিক সমাজে গোষ্ঠী মাতার নামেই গোষ্ঠীর নামকরণ, গোষ্ঠী মাতার সম্মতিতে গোষ্ঠীর পুরুষদের সঙ্গে আমোদিত হওয়া, পুরুষকে যেকোনো নারীরা সেবায় নিয়োজিত হওয়া-প্রভৃতি ছিল মিশা,নিশা সহ হরককিসিমের গোষ্ঠীর জীবনযাত্রা। ওখানে লেখক দেখিয়েছেন কীভাবে ভল্গা থেকে গঙ্গা নদীর উপকুলের অভিগমন ঘটেছিল। আপনার বেরিজ্ঞিয়াদের মার্কিন মুলুকে অভিগমনটা আমার তেমনি লাগলো।
বেরিনজিয়া নিয়ে গবেষণার শেষ নেই। চমৎকার সব তথ্য গবেষণায় উঠে এসেছে।যে বিষয়টি আমার কাছে খুব ইন্টারেস্টিং লেগেছে অত বছর পূর্বেও যে পূর্ব ও পশ্চিম বেরিনজিয়াতে মনুষ্য বসতি আভাস মিলছে এটা একটা বিরাট খবর। শিল্পীর কল্পনায় বেরিনজিয়ার ছবিটি থেকে বন্য জন্তু সম্পর্কে আভাস পাওয়া গেল। ব্লুফিশ গুহায় প্রাপ্ত অস্ত্রশস্ত্র গুলো থেকে অনুমিত হয় তারা যথেষ্ট হিংস্র ছিল। সব মিলিয়ে দারুণ আকর্ষণীয় পোস্ট ভালোলাগা।
শুভেচ্ছা জানবেন।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: রাহুল সাংকৃত্যায়নটা কে? আমি তো শুধুমাত্র আপনাদের রাহুল গান্ধীকেই চিনি। শুনে মনে হচ্ছে, বিরাট কোন লেখক। আসলে এই দুনিয়ার কতো কিছুই না অজানা! যাক, এমন একজন লেখকের সাথে আমাকে তুলনা করে উনাকে নামাইলেন, নাকি আমাকে উঠাইলেন......বুঝলাম না।
ব্লুফিশ গুহায় প্রাপ্ত অস্ত্রশস্ত্র গুলো থেকে অনুমিত হয় তারা যথেষ্ট হিংস্র ছিল। আজ থেকে ৩০,০০০ বছর পর তখনকার কোন এক ব্লগার পদাতিক চৌধুরি মিউজিয়ামে আজকের মেশিনগানসহ অন্যান্য যুদ্ধাস্ত্র দেখে হয়তো এই কথাই বলবে। তবে, আসল কথা হলো.......কোন কালেই মানুষ নীরিহ প্রানী ছিল না। তারা সবযুগে, সবসময়েই হিংস্রতার চরম রুপই দেখিয়ে এসেছে।
আপনার ভালোলাগায় অনুপ্রেরণা পেলুম।
৩১| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:১৬
মা.হাসান বলেছেন: আমি জানিতাম কুমিরের চামড়া শক্ত। এই শক্ত চামড়ায় যাহারা খোচাখুচি করিতে পারে তাহারা কী পরিমান শক্তিশালী হইতে পারে তাহা শুধু কল্পনাই করিতে পারি।
খোচা খাওয়া জায়গায় বোরোলিন লাগাইয়া লন। (স্ত্রীর দেশের জিনিস ভালো না হইয়া পারে না, নিজের দেশের জিনিস দেই নাই , নিজের দেশের জিনিস ভুয়া হইবার সম্ভাবনা আছে)।
এই পোস্ট তৈরি এবং লেখার কাজে কমপক্ষে ১০-১২ ঘন্টা সময় ব্যয় হইয়াছে। কমেন্টের জবাবে আরো ঘন্টা দুই-তিন। ১২-১৫ ঘন্টা সময় হাতে পাইলে আশ পাশের স্বজনদের বাড়িতে ৩-৪ দিন দাওয়াত খাওয়ার ওসিলায় ঘুরিয়া আসা সম্ভব হইতো । যাহারা আপনার মূল্যবান সময় এই ভাবে নষ্ট করার জন্য খোচাখুচি করে, তাহারা বন্ধু না শত্রু ভাবিয়া দেখিবেন।
আইভরির আর্টিফ্যাক্ট হইতে হাতির অস্তিত্ব প্রমানিত হয়, মানুষের অস্তিত্ব কেমনে প্রমান হয় ? নাকি নিজেকে ভুয়া কুমিরের সাথে সাথে ভুয়া হাতিও দাবী করিতেছেন?
ব্লগে হাটিয়া বাংলাদেশ হইতে উগান্ডা বা রাশিয়া হইতে আমেরিকা যাবার মতো ব্লগার দু-একজন আছেন। এনার উলার উত্তর পুরুষ হইবার কথা। এনাদের ছ্রি চরণে প্রনাম।
আম্রিকার বাতাসে ভিটামিন ভাসে ইহা জানিতাম। এক্ষনে জানিলাম ত্রিশ হাজার বছর পূর্বেও এই ভিটামিন ছিলো। ভিটামিন আবার সকলের সহ্য হয় না। কাজেই আপাতত এই আল্লাহওয়ালাদের দেশেই থাকি।
বেরিঞ্জিয়া পানিতে ডুবিয়া গেলে উলার দল আম্রিকা গেলো কেনো? উল্টা দিকে রাশা বা রাশা ঘুরিয়া এশিয়াতেও আসিতে পারিতো। এশিয়ানরা যদি আম্রিকায় যায়, তবে অস্ট্রেলিয়ায় গেলো কাহারা? ঐ সময়ে আফ্রিকার আবহাওয়া কি ভালো ছিলো না? ব্যাটারা এই দিকে কি করিতে আসিয়াছিলো?
যাহোক ট্রাম্প যে তাহার পূর্ব পুরুষের সাথে মিলিত হইয়াছে ইহাতেই আমি খুশি।
ব্লগে কয় দিন ধরিয়া আমি অনুপস্থিত। এমতাবস্থায় করুণাধারা আপার ঘরে গ্যাঞ্জাম কে লাগাইলো বুঝিতেছি না। কাল একবার পাত্তা লইতে হইবে। এখন ৮০।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এই কুমীর সেই কুমীর না, এইটা ভুয়া কুমীর। আর খোচাটা ডিজিটাল খোচা। এই খোচায় এন্টিসেপ্টিক ক্রীমের দরকার নাই। আপনেরে তো আবার সব কথা ভাইঙ্গা কওন লাগে, নাইলে বুঝেন না। আপনে অসীম ধৈর্য্য নিয়া আমাগো ভাইবোইনের মধ্যে ঝগড়া লাগানের চেষ্টা চালায়া যান। কোন লাভ হইতো না। হুদাই সময় নষ্ট। জুন আপার খোচা আমার কাছে আশির্বাদের মতোন। উনি খোচাক, অসুবিধা নাই। খোচাখুচি তো আপনেও করতাছেন, তাতেও অসুবিধা নাই। দাগ থেইকা যেমন ভালো কিছু হইতে পারে, তেমনি খোচা থিকাও ভালো কিছু হইতে পারে!!
আইভরির আর্টিফ্যাক্ট হইতে হাতির অস্তিত্ব প্রমানিত হয়, মানুষের অস্তিত্ব কেমনে প্রমান হয় আপনের কথায় চিন্তার খোরাক আছে। আইভরির আর্টিফ্যাক্ট হাতি নিজেই যদি বানায়া থাকে তাইলে অবশ্য মাইনষের অস্তিত্ব প্রমান হয় না। কথায় যুক্তি আছে!
আপনের যে ভিটামিন সহ্য হয় না, তা আমি জানি। সহ্য হইলে তো এদিকেই থাইক্যা যাইতেন।
বেরিঞ্জিয়া পানিতে ডুবিয়া গেলে উলার দল আম্রিকা গেলো কেনো? উল্টা দিকে রাশা বা রাশা ঘুরিয়া এশিয়াতেও আসিতে পারিতো। আপনের মন বিক্ষিপ্ত। পোষ্ট মনোযোগ দিয়া পড়লে এর উত্তর নিজেই পাইতেন।
এশিয়ানরা যদি আম্রিকায় যায়, তবে অস্ট্রেলিয়ায় গেলো কাহারা? ঐ সময়ে আফ্রিকার আবহাওয়া কি ভালো ছিলো না? ব্যাটারা এই দিকে কি করিতে আসিয়াছিলো? এই প্রশ্নের উত্তর খুইজা বাইর করনের দায়িত্ব আপনেরে দেওয়া হইলো। নিজে না পারলে লগে এফবিআই গো নিয়েন।
করুণাআপার ঘরে কেউ গ্যান্জাম লাগায় নাই। উনি খাল কাইটা কুমীর (আমি না) আনছেন। আপনে গিয়া একটু কেরোসিন ঢাইলা আসেন। সবাই আপনের কেরোসিন মিস করছে!!!
৩২| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ২:২৪
সোহানী বলেছেন: হুম বুঝলাম, তয় দেইখেন এর মাঝে নোয়াখাইল্যা ও ছিল । (নোয়াখালি বাসিন্দারা মাইন্ড করবেন না, এটা এ্যাপ্রিসিয়েশান)।
ভালো একটা বিষয় জানলাম। আর কোন মিউজিয়ামে আছে তা জানলে সেখানে হানা দিতাম আর কি?
কানাডায় যে পরিমান ঝামেলা বাধাঁয়ছে এই ইউরোপিয়ানরা, তার ইতিহাশ বিশাল। এখনো ঝামেলায় আছে কুইবেক নিয়া। ঘাড় তেড়া কুইবেক (ফ্রেন্স অধিবাসী) সকাল বিকাল ঝামেলা বাঁধায়।
জুনাপুরে ধন্যবাদ খোঁচা অব্যাহত রাখার অনুরোধ।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: সর্বনাশ! আপনে দেহি ব্লগে আয়া পরছেন। আপনেরে না দেইখ্যা ভাবলাম, আপনের মন্তব্য স্কীপ কইরা জী এস ভাইয়ের খটকাটা মিটাই। স্যরি.....আবার চেইতেন না কইলাম।
অবশ্যই উলার লোকজনের মইদ্দে নোয়াখাইল্যা ছিল। দুর্মুখেরা কয়, চান্দের বুড়িও নাকি নোয়াখাইল্যা!!!view this link
গুহাগুলি যেই শহরে, মিউজিয়ামও সেই শহরে হওনের কথা। ইউরোপিয়ানরা তো গোটা দুইন্যাতেই ঝামেলা পাকায়া রাখছে, খালি কি কুইবেক??
আপনেরে কোন পোষ্টে জানি জিগাইছিলাম, শামসুন্নাহার হলের একসময়ের নেত্রী কিরণরে চিনতেন নাকি? কিছু কন নাই। চিনতেন?
জুনাপুরে ধন্যবাদ খোঁচা অব্যাহত রাখার অনুরোধ। আর খোচায় কাম হইতো না। অহন আমি খোচা প্রুফ!!!
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: একটা লিঙ্ক দিলাম, দেহি কাম করে না। আবার দিলাম, shorturl.at/jBMZ5
এইটারে কপি/পেষ্ট করেন।
৩৩| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৪
আমি সাজিদ বলেছেন: সবার আগে ইট রেখে পরে আসার জন্য দুঃখিত। আপনি ত্রিশ হাজার বছর আগে নিয়ে গেলেন। আমি অবাক হয়ে ভাবছি। আগেও একটা লেখা ছিল আপনার যেখানে আমেরিকা থেকে পায়ে হেঁটে রাশিয়া যাওয়ার এক্সপেরিমেন্ট করার ট্রাই করেছিলেন আপনি আর আপনার সেই কলিগটি৷ বেরিঞ্জিয়া নিয়ে আগে জানতাম না। ইদানীং পূর্বপুরুষদের অভিবাসন নিয়ে জানতে বেশ ভালো লাগছে।
এই যে আজ ইউরোপের এত বড়াই। যখন মেসোপোটেমিয়ার সভ্যতা, পারস্য সভ্যতা ভারতীয় সভ্যতা, চৈনিক সভ্যতা, মিশর বা এরপরের গ্রীক সভ্যতার স্বর্নযুগ চলে তখন ছোট একখানি ইউরোপে তো অন্যদের চোখে বর্বর মানুষরা ঘুরতো বোধহয়। ইউরোপিয়ান মানুষদের শেকড় নিয়ে কিছু কি বলবেন? আমি পড়েছি ভারতীয় আর ইউরোপীয় মানুষ ওই আর্যদের থেকেই এসেছে?
চমৎকার পোস্ট। এর পেছনে আপনার পরিশ্রম বেশ চোখে পড়ে। জুন আপুকে বলে প্রায়ই আপনারে ঠেলার চেষ্টায় থাকবে ব্লগাররা এখন থেকে। এমনেই চমৎকার লেখেন। ঠেললে লা জবাব।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: অসুবিধা নাই। আসছেন, এতেই আমি খুশী। অনেকে তো আসেই না। এখনও দু'জনের ইট পাহারা দিচ্ছি।
আপনার মন্তব্যে সুমেরিয়ান সভ্যতা বাদ পরে গিয়েছে। সেটা আরো প্রাচীণ। তখন ইওরোপের লোকেরা গুহাবাসী ছিল।
আমি পড়েছি ভারতীয় আর ইউরোপীয় মানুষ ওই আর্যদের থেকেই এসেছে? ভারতীয়রা তাই দাবী করে। তবে, এটাতে ঘাপলা আছে। ইউরোপিয়ান মানুষদের শেকড় নিয়ে কিছু বলতে গেলে তো বহু কিছু বলতে হবে। আমার আপাততঃ এনার্জি নাই। আপনি একটা লেখা দেন; নয়তো পরে আমি চেষ্টা করবো নে।
পরিশ্রম বলতে পরিশ্রম.......এমন পরিশ্রম আমি খুব কম পোষ্টেই করেছি। সেজন্যেই এখন ঢেকি গিলতে চাচ্ছি না।
জুন আপুকে বলে প্রায়ই আপনারে ঠেলার চেষ্টায় থাকবে ব্লগাররা এখন থেকে। সেই রকমের ষড়যন্ত্র তো হতেই পারে। তবে আমি আর কোন ফাদে পা দিচ্ছি না!!!
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমার অন্য পোষ্টে আপনার মন্তব্যের উত্তর দিয়েছি। দেখেছেন আশাকরি।
৩৪| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:২৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: ভুয়া মফিজ ,
প্রতিমন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
তবে আমার আগের মন্তব্যের প্রথম প্যারা কৌতুকের মতো হলেও পানি ও বরফের ব্যাপারে খটকার কথাটি কিন্তু কৌতুক নয় মোটেও।
আসলেই আমার খটকাটা জেনুইন। আপনিও কিন্তু সে খটকার সমাধান না দিয়ে কায়দা করে পাশ কাটিয়ে গেলেন। হয়তো "পানি বরফ আকারে আটকে থাকার কারনে তখন সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা আজকের চাইতে ১২০ মিটার নীচে ছিলো।" আপনার এই কথার পেছনে কোনও না কোনও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আছে যা আসলেই আমার জানা নেই। অথবা আপনার তথ্যে কোনও লিংক মিসিং আছে, তাও হতে পারে। দেখি সময় করে ঘেটে ঘেটে কথাটি কতোখানি সত্য জেনে নিতে পারি কিনা!
আর আপনার গত পোস্টটি আমা যথাসময়েই পড়েছি কিন্তু মন্তব্য করা হয়নি। ডর ঠিকই হয়তো ছিলো কারন ধর্মীয় বিষয় নিয়ে কোনও কথা বলতে আমি আসলেই ডরাই, কে কখনকিছু একটা আখ্যা দিয়ে ফেলে সেই ভয়ে।
জানিয়ে রাখি, আপনার সকল লেখাই কিন্তু আমার পড়া হয়।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার খটকাটা নিয়ে কায়দা করে পাশ কাটাই নাই, জী এস ভাই; মজা করে বলাই ধরে নিয়েছিলাম। তাহলে বিষয়টা ব্যাখ্যা করি। পানি বরফ হলে আয়তনে বাড়ে। এটা ঠিক বলেছেন। তবে অল্প জায়গায় বরফ পাইল আপ হয়, যেটা পানির ক্ষেত্রে সম্ভব না। পানি ছড়িয়ে যায় চারদিকে, পানির উপরে পানি পাইল আপ হয় না। একটা ছোট্ট পরীক্ষার কথা বলি। পরীক্ষা না করেও বিষয়টা বুঝতে পারবেন।
একটা গামলায় অল্প পানি নেন। তার মধ্যে একটা ছোট্ট বাটি উপুড় করে বসান। তারপরে বাটির উপরে পাচ-ছয়টা আইস কিউব একটার উপরে আরেকটা বসিয়ে দেন। রুম টেম্পারেচারে বরফ আস্তে আস্তে গলবে। আর গামলার পানির স্তর বাড়তে থাকবে। এখন আপনি যদি প্রথম অবস্থার পানির স্তর চিন্তা করেন, বরফ সব গলার পর দেখবেন, পানির স্তর আগের চেয়ে অনেক বেড়ে গিয়েছে। ব্যাপারটা বোঝাতে পেরেছি?
তখন ভূমিতে এভাবেই বরফ জমে ছিল। যেটা পোষ্টে বলেছি.......অনেক জায়গায় এমনকি দু'মাইলের মতো পুরু। এই বিপুল বরফ যখন গলতে শুরু করে, তখন ওই গামলার মতোই অবস্থা হয়। এখনও কিন্তু গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর কারনে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কথা বলা হয়। ঘটনা একই।
আয়া সোফিয়া নিয়ে আমার পোষ্ট ঠিক সে'অর্থে ধর্মীয় পোষ্ট ছিল না। নকীব ভাইয়ের আয়া সোফিয়া নিয়ে দেয়া পোষ্টেও আপনি কমেন্ট করেছেন। আমি খুব করে চাইছিলাম, আমার পোষ্টে আপনাদের মতো ব্লগারদের আলোচনায় অংশ গ্রহন। আমি ভুল কিছু বললে আমাকে সংশোধন করে দেয়া। নকীব ভাইতো মনে হয় রাগ করেই আমার পোষ্টে আসেন নাই। উনাকে আমি যতোটুকু চিনি, তাতে এই রাগ করাটা উনাকে একেবারেই মানায় না। ইসলাম ধর্মের প্রকৃত অনুসারীদের আরো সহনশীল হওয়া উচিত। উনিও যদি অন্যদের মতো আচরন করেন, তাহলে আর পার্থক্য থাকে কোথায়? যাকগে, আপনাকে পেয়ে একটু সুখ-দুঃখের কথা বলে ফেললাম, অনেকটা অপ্রাসঙ্গিক ভাবেই। আশাকরি কিছু মনে করেন নাই।
আপনার সকল লেখাই কিন্তু আমার পড়া হয়। অনেক ধন্যবাদ। আশ্বস্থ্য হলাম। তবে আপনাদের ফুটপ্রিন্ট দেখলে বুকে বল পাই আর কি!!!
৩৫| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ভালো পোস্ট।
গোল্ডেন এ +
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩৬| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫৫
নীল আকাশ বলেছেন: ভাই,
আমি না পড়ে আন্দাজে মন্তব্য করিনা সেটা আপনি জানেন। যথেষ্ঠ বড় পোস্ট। যেহেতু বৈজ্ঞানিক বিষয় নিয়ে লিখেছেন ধীরেসুস্থেই পড়লাম।
আমার কাছে এই পোস্ট আপনার আগের পোস্ট আমেরিকা থেকে রাশিয়া হেটে যাওয়া সম্ভব! আপনাদের কি মনে হয়!!! এর দ্বিতীয় পর্ব বলে মনে হলো। আগেরটাও দেখে আসলাম।
যতদূর আগে পড়েছিলাম তাতে আমি জানতাম, বর্তমানের সব মহাদেশগুলি আসলে একময় একটার সাথে একটা যুক্ত ছিল। সুতরাং মানুষের খাদ্য বাসস্থান কিংব অন্য প্রয়োজনে মাইগ্রেট করাটা অস্বাভাবিক নয়। গিট্টূ লাগাতে চাইছি না, তবে এই কনছেপ্টগুলি ধর্মীয় বিশ্বাসের সাথে অনেক জায়গায় কনফ্লীক্ট করে। এই দুইটা জিনিস কে আলাদা আলাদা করে পড়াই ভালো।
মানুষের জ্ঞান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন অফুরন্ত দিয়েছেন। বিজ্ঞান তাই দিন দিন তথ্য আবিষ্কার করছে।
উলা'কে নিয়ে একটা সাস্পেন্স গল্প কিন্তু আপনি লিখতেই পারেন? ট্রাই করে দেখুন না? জোর করছি না।
আপনাকে ফেবুতে রিকু দেয়ার জন্য খুজেছিলাম। সামুর ফেবু গ্রুপে কি আছেন আপনি?
জুন আপুকে ধন্যবাদ এই লেখা বের করে আনার জন্য।
শুভ কামনা রইলো।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: হ্যা.......এটাকে আমেরিকা থেকে রাশিয়া হাটা পোষ্টের দ্বিতীয় পর্ব বলতেই পারেন। সেখান থেকেই এটার উৎপত্তি।
টেকটোনিক প্লেটগুলোর মাধ্যমে সমস্ত ভু-ভাগ একসময়ে একত্রে ছিল। এখান থেকেই প্যান্জিয়া সুপারকন্টিনেন্ট কনসেপ্টের উৎপত্তি হয়। সেটা কয়েক শত মিলিয়ন বছর আগের কথা। এটা বলতে পারেন, এখনও অনেকটাই অনুমান। তখন মানুষ তো দুরের কথা, ডায়নোসররাও পৃথিবীতে ছিল না। প্রানের উৎপত্তির একেবারেই প্রাথমিক স্তর ছিল সেটা।
সামুর ফেবু গ্রুপে আমি আছি, তবে পাসওয়ার্ড মনে নাই। তাছাড়া, ফেসবুক জিনিসটা আমার খুবই অপছন্দ। তাই যাই না। ব্লগ ব্লকের সময় ওপেন করেছিলাম। দু'টা পোষ্টও করেছিলাম। তবে, গ্রুপে পোষ্টের নোটিফিকেশান আমার মেইলে আসে। অনেক রিকুও আসে, এক্সেপ্ট করি কোন কোনটা। ব্যস......ওই পর্যন্তই। একেবারেই এক্টিভ না।
আপনার জন্যও শুভ কামনা।
৩৭| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৩২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার নিক থাইকা আমার সর্বশেষ পোষ্টে একটা লাইক পাইলুম। কিন্তু আপনাকে অষ্টক না পাইয়া ঢাকা সিটি পুলিশকে ইনফর্ম করাইলে ওনারা বোলোগেই আপনার লগে ধন্যবাদ জানানোর পরামর্শ দিছেন।তাই আপনাকে ধন্যবাদ জানাতে আইলুম।
ভালো থাকুন সবসময়।
০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: লাইকের জন্য ধন্যবাদ দিতে এতোদূরে আইছেন, আপনেরেও ধন্যবাদ। আপনেরে তো কইছিই, আপনের এই 'ফ্রম সাতক্ষীরা টু বেলগাছিয়া' শ্যাষ হইলে পড়ুম, তার আগে খালি লাইক দিমু। আপনের এই জিনিস কবে নাগাদ শ্যাষ হইবো আল্লাহ মালুম। একপর্ব পড়তে গিয়া ভুইল্যা যাই, আগের পর্বে কি পড়ছিলাম।
চাপা মারেন ক্যান! ঢাকার পুলিশ আমার খবর পাইবো কইত্থে? হ্যারা তো আমারে চিনেই না! লন্ডন পুলিশ হইলে না হয় কথা আছিলো!!
৩৮| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৪
সোহানী বলেছেন: কুন ব্যাচ? নামখান চেনা চেনা লাগে। আমার মামার সকল বান্ধবী থাকতো সামসুন্নাহারে, তাই আমার রুটিন ছিল তাহাদিগকে হল থেইকা বাহির কইরা আনা বা মামার নিউজ যথাস্থানে পৈাছায়ে দেয়া।
ফজিলতুন্নেসা বাপ্পি দি, যিনি এমপি ছিলেন ও প্রধানমন্ত্রীর আইনজীবি ছিলেন। গত বছর উনি মারা গেছেন, তাকে কি ভাবী বা আপনি চিনেন? আমার মামার সবচেয়ে ক্লোজ বান্ধবী ছিল।
আমি ছিলাম রোকেয়াতে।
০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ব্যাচ কি আর মনে আছে? ৯২/৯৩ এর দিকে পাশ দিয়া বাইর হইছিলো যদ্দুর মনে পড়ে (এরশাদের সুমায় সব ফ্যাকাল্টিতেই অনেক ইয়ার লস হইতো, হের লাইগা সঠিক ব্যাচ কওন মুশকিল)। ছাত্রলীগের নেত্রী আছিল, শামসুন্নাহার হলের জি এসও ছিল। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সুমায় পেপারে ফটুকও আইছিলো। আমার এক বড়ভাইয়ের জিএফ ছিল। আপনের মতোনই যহন-তহন চেইতা যাইতো (মানে আমি ছাত্রলীগ পছন্দ করতাম না, উল্টাপুল্টা কইতাম। তাই আমারে দেখলে কিছু কওনের আগেই ভুরু কুচকায়া থাকতো আরকি!!!)। আপনের চেতা দেইখা হ্যার কথা মনে পড়লো!!!!
বাপ্পিরে চিনতাম, আমাগো অল্প জুনিয়র আছিল। আমি ছিলাম রোকেয়াতে। হ…...এইডা তো জানিই।
৩৯| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৬
সোহানী বলেছেন: আমারে স্কিপ কইরা কমেন্ট এর উত্ত্র দিলে কুনু সমস্যা নাই। পেটের ধান্দায় দৈাড়ের উপ্রে আছি। তাই ব্লগে উকিঁঝুকিঁ কম দেই।
০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:২৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: বাচাইলেন……..পেটের ধান্ধায় আমিও ব্লগে কম আহি। ব্যস্ততা দিনে দিনে খালি বাড়তেইয়াছে, কমার কোন লক্ষণই দেহি না।
৪০| ০২ রা অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৫৫
ইসিয়াক বলেছেন: হায় হায় হায়.......আমার নামে তো রীতি মত সমন বাহির হয়ে গেছে। আমি পালাই নাই,পি সি নষ্ট হয়ে গিয়েছিলো। নতুন আরেকটা
পি সি কিনে তারপর আসলাম। পোস্টে ভালো লাগা। এ রকম পোস্ট আরো চাই্, জুন আপুকেও ধন্যবাদ। কি আর বলবো। পোস্টের বিষয়ে সবাই তো যা বলার বলেই দিয়েছে। আপনার পোস্ট আমার দৃষ্টিতে রেটিং এ দশের মধ্যে নয়। ছবিগুলো সুন্দর।
# আচ্ছা সেই সময় আপনার স্বজাতিরা কোথায় আছিলো একটু যদি তেনাদের খবরাখবর দিতেন ।
০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন:
সমন বাহির তো হবেই, অনেকেই ইট রাইখা হাওয়া হয়া যায়! ইট পাহারা দেওয়া ছাড়া আমার কি কোন কাম-কাজ নাই! সমনের কারনেই একে একে সবাই হাজিরা দিছে, আপনেই খালি বাকি ছিলেন! যাক, কোটা পূর্ণ হইলো।
আপনার পোস্ট আমার দৃষ্টিতে রেটিং এ দশের মধ্যে নয়। একের জন্য কোন জায়গাতে ঘাটতি হইলো কন তো! কিউরিয়িাস মাইন্ড জানতে চায়। ভবিষ্যতে কামে দিবো। সিরিয়াসলি জানায়েন কইলাম!!!
স্বজাতি কোনটা? বাঘ না কুমীর??
নতুন পিসিতে এখন ধচায়া ব্লগিং করেন!!!
৪১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৭
জুন বলেছেন: আমি আবার কি সিস্টেম করুম......তয় একটা কথা মনের ম্ইদ্দে উকিঝুকি মারতাছে, কিন্তু কইতে শরম লাগে, কমুনি......না, থাক, কমুনা।
শোনেন ভুয়া আমি একটা গল্প লিখছি, এইটা কখন পুস্টামু কন, শরম কি কোই বাত নেহি
নীচের পোস্ট দুটিতে মাহার মন্তব্য দেখার অনুরোধ রইলো । মন্তব্য নিস্প্র্যোজন
ওহে বাদুড়, তুমি কেন উল্টোবাগে ঝুলো ? ( লাওসের উপকথা)
এক যে ছিল ছেয়ে খরগোশ আর এক ছিল হোৎকা কুমীর (থাইল্যন্ডের উপকথা )
০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনের পোষ্ট দুইটা দেখতাছি খাড়ান। মন্তব্য নিস্প্র্যোজন কইলেন ক্যান? আচ্ছা দেখলে বুঝুম মনে কয়!
আমি তো আমাগো সময়ের সকাল ৭ - ৯ টার (দ্যাশের দুপুর ১২ - ২টা, আপাততঃ) মইদ্দে পুষ্টাই। আমার লেইগা ওইডাই সুবিদার সুমায়। এহন আপনের কুনসুম সুবিদা হইবো......কেমনে কমু!!
৪২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:০৯
মা.হাসান বলেছেন: দাওয়াত দিতে আসলাম
গ্লোব বায়োটেক
০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৫৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: হাজিরা দিয়া আইলাম। ধন্যবাদ।
তয় এমুন দুঃখ দুঃখ চেহারায় দাওয়াত দেওনের কারন কি?
৪৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:০৪
মা.হাসান বলেছেন: এমুন দুঃখ দুঃখ চেহারায় দাওয়াত দেওনের কারন কি?
আপনেরা দুই ভাই-বোন যেই ভাবে একজন আরেকজনরে খোঁচাইতেছেন তা দেইখা কিছুটা দুঃখ হইতেছে। আর হইতেছে এই কারনে যে সময়াভাবে এর আগের পো্স্টের দাওয়াত দিতে পারি নাই।
০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৪৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: সময়াভাবে আগের পোস্টের দাওয়াত দিতে পারেন নাই, সেইটা কন। আমাগো ভাই-বোনের খোচাখুচির কথা কন ক্যান। আমাগো মইদ্দে সেরাম কিছু নাই। অধিক হিংসা হার্টের জন্য ক্ষতিকারক!!!
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫৮
আমি সাজিদ বলেছেন: লাইক দিলাম। কয়েকদিন পর কমেন্ট করবো। জওহরলাল নেহেরুর বিশ্ব ইতিহাস প্রসঙ্গ পড়া ধরলাম এখন।