নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ- ই থাকতে চাই - বিদ্যুৎ; কবি, লেখক, কলামিস্ট আর ব্লগিং তো করিই সব সময়।

বিদ্যুৎ

আমি মানুষ-ই থাকতে চাই - বিদ্যুৎ

বিদ্যুৎ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাংবিধানিক সঙ্কট ও জনগণের জন্য রাজনীতি।

২৪ শে মে, ২০১৪ ভোর ৪:০৩

আমার এই লেখাটি গত ৫ই জানুয়ারী নির্বাচনের আগে ঘটে যাওয়া সহিংসতা ও সৃষ্ট সাংবিধানিক সংকটের উপর লিখেছিলাম যেটা আমার ফেসবুকে আমার বন্ধুদের মাঝে বেশ সাড়া ফেলেছিল। আজকে এখানে আমার নতুন দেশ প্রেমিক বন্ধুদের জন্য প্রকাশিত করলাম আশা করি লেখাটি আমাদের সবাইকে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য মঙ্গল হয় এমন কাজ করতে অনুপ্রানিত করবে। দেশের রাজনিতিক মূল্যবোধের চর্চা মারাত্মক খারাপ বলে আমাদেরকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখলে হবে না। আমাদের সবারই উচিৎ যে যার যার অবস্থান থেকে দেশের জন্য কাজ করা। কারণ বাংলাদেশ আমাদের মা তাই মায়ের প্রতি সকল সন্তানের সমান দায়িত্ব ও কর্তব্য হল মায়ের যথাযথ সেবা করা। আর প্রতি পাঁচ বছর পর পর বাংলা মায়ের ও তাঁর নিরীহ সন্তানদের যে করুন অবস্থা হয় তার-ই সামান্য প্রতিচ্ছবি।

বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে যে কোন সরকার বাংলাদেশের সংবিধানকে জনগণের কল্যাণের জন্য কোন কিছু সংশোধন, সংযোজন ও বিয়োজন করতে পারে। কিন্তু জনগণের অকল্যাণ হয় এমন কোন সংশোধন, সংযোজন ও বিয়োজন করতে পারবে না কোন সরকার। অথচ দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে যত সরকার এসেছে প্রতিটি সরকার-ই- আমাদের দু লক্ষ মা-বোনের ইজ্জত ও ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তিম কালি দিয়ে লেখা মহান সংবিধানকে অসংখ্যবার সংশোধন, সংযোজন ও বিয়োজন করেছে। হ্যাঁ এতাই তো হওয়া উচিৎ কারণ, সময়, যুগ, প্রযুক্তি ও জনগণের চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের নতুন প্রজন্মের সঠিক পথ নির্দেশের জন্য। কিন্তু এ জাতির দুর্ভাগ্য যে, কোন সরকারই সংবিধানকে গনতান্ত্রিক করেনি জনগণের মঙ্গলের জন্য শুধুই তাদের স্বার্থ রক্ষা ও ক্ষমতা স্থায়ী করার জন্য মহান সংবিধানকে যেমন ইচছা কাটা-ছেড়া করেছে আর জনগণকে ঠেলে দিয়েছে মহা সংকটে। আমি ত্বতাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে সরকার ও প্রধান বিরোধী দল কি বলছে বা রাজপথে কে কত সংঘাত করে তাদের শক্তির জানান দিচ্ছে তা নিয়ে লিখছি না। আমার মত যারা অতি সাধারণ জনগন নির্বাচনের দিনটিকে আমাদের ধর্মীয়,সামাজিক ও অনন্য গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানের মতো মনে করে সকাল বেলা ডুব- গোসলের পর বিশেষ পরিপাটি হয়ে ভবিষ্যৎ যোগ্য নেতা নির্বাচনের জন্য ভোট কেন্দ্রে যায় মহা মূল্যবান ভোট প্রদানের জন্য, বর্তমান সরকার সেই সমস্ত জনগণের ভোটারাধিকারকে ক্ষুণ্ণ করেছে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে। এই সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রথম জনগণের ভোট প্রদানের অধিকারকে হরণ করে ব্যালট পেপার থেকে “না” প্রতীক মুছেফেলার আইন করে। অবশ্য এতে প্রধান বিরোধী দল খুশিই হয়েছিল। কোন আসনে যদি এক পার্টি কোন দুর্নীতিবাজ ও কালোটাকার মালিককে নমিনেশন দেয় তবে অন্য পার্টি ঠিক একই রকম প্রার্থীকে নমিনেশন দেয় কারণ সেখানে সন্ত্রাস ও কালো টাকার খেলা হবে। তাই জনগণকে বাধ্য করা হয়েছে এই আইন দ্বারা অসৎ প্রার্থীকে ভোট দিতে। সেখানে “না” প্রতীকে ভোট দিয়ে দুর্নীতিবাজ বা অসৎ লোকের বিরুদ্ধে ভোটের মাধ্যমে প্রতিবাদ করতে পারছেনা সাধারণ জনগন। সংবিধানকে সরকার এখন জনগণের মুখোমুখি বা জনগণের বিরোধী সত্ত্বা হিসাবে পরিনত করেছে।

এই সংবিধানকে ধর্ম নিরপেক্ষ বলা হচ্ছে অথচ শুরুতে বিসমিল্লা রাখা হয়েছে। এতে পরিস্কার প্রমাণিত সংখ্যাগরিষ্ঠ ও সংখ্যালগিষ্ঠ জনগণের কাছে যে এটা সংবিধানকে ধর্ম নিরপেক্ষ না করে বিতর্কিত করা হয়েছে। বাংলাদেশের মহান সংবিধানে সুস্পষ্ট বলা আছে যে, “ জনগন –ই- সকল ক্ষমতার উৎস” কিন্তু জাতীয় ইস্যু বা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জনমত যাচায়ের জন্য গণ ভোট কে সাংবিধানিক ভাবে নিষিদ্ধ করে “ জনগন –ই- সকল ক্ষমতার উৎস” এই মূল মন্ত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে এবং সংবিধানকে জনগণের প্রতিপক্ষ করেছে এই শাসক গোষ্ঠী। সরকার ও বিরোধী সহ সকল রাজনীতি সংগঠন হরতাল এর বিরুদ্ধে কথা বলে। সরকার কত অসাংবিধানিক বা জনগণের অধিকার হরণ করে এমন আইন করতে পারে কিন্তু আইন করে হরতাল বন্ধ করছে না। যিনি এই হরতাল এর প্রবর্তন করেছেন এই উপমহাদেশে জনাব মহাত্মা গান্ধী , তিনি যখন দেখলেন অহিংস আন্দোলনের হাতিয়ার হরতাল রূপ নিয়েছিল সহিংস তখন তিনি এই হরতাল বন্ধ করেছিলেন। সরকার হরতাল বন্ধ করছে না কারণ ক্ষমতা হারানোর সময় খুবই সন্নিকটে , তাদেরও রাজপথে হরতালের নামে নাশকতা করতে হবে। সরকার ইচ্ছা করলে হরতাল ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুকে জনমত যাচাইয়ের জন্য গণভোট করতে পারত কিন্তু না মুখে বলবে জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস কিন্তু কালো আইন করে জনগনকে গণভোট এর মতো অধিকার হরণ করেছে এই সরকার।

আবার সংবিধানে ৫২টি অনুচ্ছেদ চিরস্থায়ী করেছে সরকার যে কোন অবস্থায় এই ৫২ টি অনুচ্ছেদ পরিবর্তন করা যাবে না। যে গুলোকে সরকার সংবিধানের মৌলিক কাঠামো বলেছে। যে সংবিধান জনগণের অধিকার ও ভোট প্রদানের ক্ষমতাকে বিনষ্ট ও খর্ব করে বা জনগণের অধিকার নিশ্চিত করতে পারে না সেই সংবিধানে কি-ই-বা এমন কাঠামোগত মৌলিক উপাদান আছে!

আবারও দেশ সাংবিধানিক সঙ্কটে অনির্দিষ্ট কালের জন্য। স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪২ বছরে দেশ অনেক এগিয়েছে তবে পিছিয়েছে তার চেয়ে বেশি। কারণ দীর্ঘ ৪২ বছরে একটা স্থায়ী নির্বাচন পদ্ধতি বের করতে পারেনি আমাদের রাজনীতিবিদরা। উল্টো তারা দেশে বারবার নির্বাচন কালীন সঙ্কট সৃষ্টি করে দেশকে এবং দেশের মানুষকে সঙ্কটাপন্ন করেছে। যেকোনো দেশে উন্নয়ন একটি গতিশীল প্রক্রিয়া কম বা বেশি হবেই। কিন্তু যত দিন না পর্যন্ত রাষ্ট্রের সঠিক পরিচালনা কাঠামো বা প্রক্রিয়া একটি স্থায়ী সাংবিধানিক ভিত্তি না তৈরি করা যায় তবে রাষ্ট্র যন্ত্র অচিরই বিকল হয়ে যাবে। আর এতে দেশের গৌরবময় স্বাধীনতা ও স্বাধীন ভূখণ্ডের অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন হতে পারে। তাই আসুন দেশ রক্ষাই আমরা তরুণেরা এক হয়ে দেশের রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন করে দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যায়। জয় হোক তরুণের - জয় হোক মেহানতি মানুষের।

ম শামীম

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মে, ২০১৪ ভোর ৪:৪২

পংবাড়ী বলেছেন: আপনি শুনে শুনে রাজনৈতিক কথা শিখেছেন ও তা লিখেছেন; আপনার ভেঁড়া বন্ধুরা আপনার সাথে ভ্যা ভ্যা করেছে হয়তো ফেসবুকে।

সংসদ নির্বাচন কেন হয়, তাদের কি দায়িত্ব আপনি কোনদিন ভাবতে পারেননি, হয়তো শোনেনওনি; তাই যা ইচ্ছে তাই লিখেছেন।

৪৪ বছরে বাংলাদেশের পার্লামেন্টে কে একজন জনগণের হয়ে কি করেছে আমাকে জানান প্লিজ।


প্রত্যেকে নিজের অবস্হান থেকে যদি দেশের ভালো করতে পারতো পারলামেন্টের দরকার হতো না। বেকারেরা কি করবে তাদের অবস্হান থেকে? গার্মেন্টস এর মেয়েরা আর কত ঘন্টা বেশী করে কম বেতনে কাপড় সেলাই করবে? আপনার মত বেকুবে দেশ ভরে গেছে।

২| ২৪ শে মে, ২০১৪ ভোর ৫:১৩

বিদ্যুৎ বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য। সেই জন্যেই তো বলছি আপনাদের মত মেধাবী ও দেশ প্রেমিকদের রাজনীতিতে আসতে হবে। কেউ জনগণের জন্য কিছু করেনি বলেই তো আপনার আমার বেশ সুযোগ আছে দেশের মানুষের জন্য কিছু করার। আর আপনি যে একজন প্রকৃত দেশ প্রেমিক মানুষ তাতে কোন সন্দেহ নেই আর তাইত আপনি লেখাটা পড়ে মন্তব্য করেছেন। আবার আপনাকে ধন্যবাদ।

৩| ২৪ শে মে, ২০১৪ ভোর ৬:১১

পংবাড়ী বলেছেন: "কেউ জনগণের জন্য কিছু করেনি বলেই তো আপনার আমার বেশ সুযোগ আছে দেশের মানুষের জন্য কিছু করার। "

আপনার থেকে সুন্দর কথা বলতো মতিয়া বেগম, মেনন , রব, নুরে আলম সিদ্দিকী, তোফায়েল আহমদ; উনারা মানুষের জন্য কইছুই করতে পারেনি; কারণ উনারা জানে না কিভাবে কি করতে হবে।

২৪ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:২৬

বিদ্যুৎ বলেছেন: শুভ সকাল। আপনাকে ধন্যবাদ । আমি আসলে সুন্দর করে কথা বলতে বা লিখতে পারি না বিশেষ করে আপনি যাদের নাম গুলো বলেছেন তাদের মত তো অবশ্যই না। তাঁরা যে একেবারে কিছুই করতে পারেনি আমি সেটা বলব না। তবে তাদের অনেক কথায় যে অসত্য ও মানুষকে ধোঁকা দেওয়ার জন্য বলেছে আজব্দি অনেক ক্ষেত্রে পরিস্কার। তাঁরা অনেক স্ববিরোধী কথা বলেছেন যখন তাঁরা নিজের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যাপার ছিল বা স্বার্থে আঘাত লেগেছিল। এখন মানুষ কথায় না কাজে বিশ্বাসী তাই কথাবাজ বা চাপাবাজদের অনুসরণ না করে দুনিয়াতে যারা কাজ করে মানুষের মন জয় করেছে তাদের অনুসরণ করে চলতে হবে। তবে এটা আমি শত ভাগ নিশ্চিত যে আপনি দেশের জন্য অনেক কিছু করতে পারবেন কারণ আপনি দেশ নিয়ে ভাবেন। আর এই ভাবনাটা যদি সঠিক ভাবে আপনাকে আমাকে আমাদের সবাইকে অনুপ্রানিত করে তবেই মানবের কল্যাণ হবে। এখন আমাদের দেশের মানুষের ভাবনার দরজাটিও বন্ধ হয়ে গেছে অনুভুতি ভোঁতা হয়ে গেছে তাই তো এত হত্যা , খুন ও রক্তপাতের পরেও আমাদের প্রতিবাদের ঝড় প্রকম্পিত করে না হীন মানব ও অপশক্তিকে। শুভ কামনা, সুদিন আসন্ন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.