নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ- ই থাকতে চাই - বিদ্যুৎ; কবি, লেখক, কলামিস্ট আর ব্লগিং তো করিই সব সময়।

বিদ্যুৎ

আমি মানুষ-ই থাকতে চাই - বিদ্যুৎ

বিদ্যুৎ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ওরা অশিক্ষিত তাই ওরা চাই না জাতি শিক্ষিত হউক।

০১ লা জুন, ২০১৪ ভোর ৪:২০

ওরা অশিক্ষিত তাই ওরা চাই না জাতি শিক্ষিত হউক।

গাছের গোঁড়া কেটে উপরে যতই জল ঢালা হোক না কেন সেই গাছ কোনদিন বাঁচবে না। এই কথাটা জানার জন্য কোন পণ্ডিত বা খুব বেশি শিক্ষিত হওয়ার দরকার নাই। খুব অতি সাধারণ মানুষও বুঝে কিন্তু দুর্ভাগ্যে আমাদের নেতানেত্রি বা নীতি নির্ধারণকারী ব্যাক্তি বা কর্তৃপক্ষ গুলো শুধু বুঝতে পারে না। আর যদি তাঁরা বলেন যে তাঁরা বেশি বুঝেন বলেই তো নেতা বা দেশের দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানের পদ আঁকড়ে আছেন। তাহলে এটা পরিস্কার যে তাঁরা আসলে দেশের তথা দেশের মানুষের ভাল চাইনা। আর তাঁরা যে ভাল চাইনা তার প্রমাণ আমরা তাদের নানা রকম কাজকর্মের মাধ্যমে পরিস্কার দেখতে পারছি। আর এরকম হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ দৃষ্টান্ত পাওয়া যাবে। এখানে তেমনি একটি বিষয় জানার এবং সবাইকে জানানোর চেষ্টা করছি। আর সেটি হল আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা। একজন মানুষকে যদি ক্ষমতার দিক থেকে দুর্বল করতে চান তবে প্রথমে ঐ ব্যাক্তির আর্থিক সক্ষমতার উৎস গুলি ধবংস করতে হবে তেমনি যদি কোন জাতিকে ধবংস করতে চাই কেহ তাহলে প্রথমে ঐ জাতির শিক্ষা ব্যবস্থাকে নষ্ট করতে হবে অর্থাৎ জাতির মেধা ধ্বংস করতে হবে।আর আমরা জানি যে, ১৯৭১ সালে ডিসেম্বরে যখন বাঙ্গালী জাতি পাক বাহিনীকে পরাস্ত করে বিজয়ের রক্তিম সূর্য উদয় আলিঙ্গন করার জন্যে ১৬ই ডিসেম্বরের সেই বিজয় ক্ষণের অপেক্ষায় ,যখন পাকবাহিনী হাঁটু গেড়ে অবনত মস্তকে বীর বাঙালীর পায়ে পড়েছিল ঠিক তার দুই দিন আগে ১৪ই ডিসেম্বরে এদেশীয় জানোয়ারদের সহায়তায় বাঙ্গালীর সেই মেধাবী সূর্য সন্তানদের নির্মম ভাবে হত্যা করেছিল। তাঁরা চেয়েছিল যে বাঙ্গালী জাতি স্বাধীন হলেও তাঁরা যেন কোন ভাবেই মেধাবী ও মর্যাদা পূর্ণ জাতি হিসেবে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে। পাকিরা যুদ্ধে পরাজিত হলেও সেই ১৪ই ডিসেম্বরে যে তারা সফল আমরা আজ স্বাধীনতার প্রায় অর্ধ শতাব্দী পরে এসেও তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। আজ আমাদের মাঝে সেই শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী, মেধাবী নেতাদের অভাব বলেই তো দেশে বিশেষ করে শিক্ষা ও রাজনীতির ক্ষেত্রে কোন স্থিতিশীল পদ্ধতি বা ব্যবস্থা তৈরি করতে পারিনি। সবাই আমার সাথে একমত নাও হতে পারেন তবে খুব বেশি দ্বিমত হয়ত করবেন না যে, ১৯৭১ সালে দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধে যে ক্ষতি হয়েছিল আমার মনে হয় শুধু ১৪ই ডিসেম্বর তার চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জাতি তাঁর সূর্য সন্তানদের হারিয়ে । দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শ্রীলংকাতেই শিক্ষার হার বেশি অথচ সেখানে ছিল দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধ, তারা যুদ্ধকালীন সকল সীমাবদ্ধতার মধ্যেও শিক্ষার ব্যাপারে কোন আপোষ করেনি। অথচ আমাদের শিক্ষা ব্যাবস্থার কিনা লেজে গোবরে অবস্থা। আজকে ক্লাস ছেড়ে ছাত্র শিক্ষকগণ প্রশ্নপত্রের ফাঁসের বিরুদ্ধে শহীদ মিনারের সামনে অবস্থান ধর্মঘট করছেন। কিন্তু সরকার ও কর্তৃপক্ষ নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছে আর মাঝে মধ্যে ঘুম ভাঙলে কয়েকজন সাংবাদিকে চা পানের আমন্ত্রন অতঃপর একই কথা আমারা উচ্চ পর্যায়ের তিনটি বা পাঁচটি কমিটি গঠন করেছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তারপর আবার ঘুম। অনেকে বলেন যে, প্রশ্নপত্র ফাঁস, নকল, মুখস্থ বিদ্যার প্রবনতা ও শিক্ষা প্রশাসনের সকল স্থানে পচন ধরেছে। হতে পারে বিষয়টি সঠিক তাই আমি এর একমত না হলেও দ্বিমত প্রসন করছি না। তবে একটি গল্পের কথা মনে পরে এই বিষয়ে যেমন, এক লোক এক ডাক্তারের কাছে এসে বললেন ডাক্তার আমার সর্বাঙ্গে প্রচণ্ড ব্যথা এই বলে সে তার আঙ্গুল দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে স্পর্শ করে বলছে এই যে কপালে ব্যথা, নাকে ব্যথা, ঘাড়ে ব্যাথা, পায়ে ব্যথা ইত্যাদি। ডাক্তার ভাল করে দেখে বললেন আপনার সর্বাঙ্গে না আসলে আপনার ঐ আঙ্গুলটাতে ব্যথা ,যেটার মাথায় পচন ধরেছে। আর তাই আপনি এই আঙ্গুল দিয়ে যেখানে স্পর্শ করেন সেখানেই আপনার মনে হয় ব্যথা, আসলে তা নয়। ঠিক তেমনই আমাদের শিক্ষা পদ্ধতি হল ঐ আঙ্গুল সদৃশ যেখানে মূল সমস্যা। আসলে প্রশ্নপত্র ফাঁস, নকল করা বা মুখস্থ করা এসব কোন সমস্যাই না। আমাদের শিক্ষা পদ্ধতি যদি এসাইনমেনট বেইসড বা খোলা বই পদ্ধতি এবং অবশ্যই একমুখী শিক্ষা পদ্ধতি হয় তাহলে প্রশ্ন পত্র ফাঁস, নকল বা প্রশাসন নিয়োগ করে পরীক্ষা গ্রহণ, প্রশ্ন পাহারা বা উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন নিস্ফল কমিটি গঠন আর করতে হবে না। এমন কি আমার ধারণা এই পদ্ধতি প্রচলিত শিক্ষা ব্যয় কমানোর পাশাপাশি শিক্ষা বৈষম্য কমাবে। আমার মনে হয় বাংলাদেশের মত এমন লেজে গোবরে শিক্ষা ব্যবস্থা পৃথিবীতে আর কোথাও নেই। এদেশেই একমাত্র দেশ যেখানে বহুমাত্রিক ভুল শিক্ষা পদ্ধতি চালু আছে। এখানে আছে কওমি শিক্ষা ব্যবস্থা যেখানে জ্ঞানবিজ্ঞান, ইতিহাস, সংস্কৃতি চর্চার ও গবেষণার পথ বন্ধ, মাদ্রাসা শিক্ষা জ্ঞানবিজ্ঞান, ইতিহাস, সংস্কৃতি চর্চা থেকে একেবারে পিছিয়ে। মধ্য যুগ ছিল ইসলামী স্বর্ণ যুগ, আজকে বিজ্ঞানের অনেক মূল ভিত্তিই হল সেই মধ্য যুগের মুসলিম মনীষীদের গবেষণার ফল। বাংলাদেশের অনেক মানুষ হয়ত অনেক বিখ্যাত মুসলিম মনীষীর নাম না জানলেও আধুনিক বিজ্ঞানের কলকাঠি যারা এখন নাড়ছেন তারা মুলত মুসলিম মতবাদের বিশ্বাসী না হলেও ইসলাম ও মুসলিম মনিষীরা বিজ্ঞান সম্বন্ধে যে নির্দেশনা দিয়েছে তা তারা অনেকেই পদ প্রদর্শন হিসেবে অনুসরণ করেন। এমন কাউকে কি খুঁজে পাওয়া যাবে যারা ইবনে সিনা, ইবনে আল হাতাম, আব্বাস ইবনে ফারনাস, ওমর খৈয়াম, আবুল কাসেম আল জাহরাবি এবং মহিলা মনীষী মারিয়ম আল আস্ট্রলবি ইত্যাদি গুণী মানুষদের নাম শোনেনি । আসলে এরকম অনেক মনীষী আছেন যাদের নাম আমরা জানি না আর এই না জানাটাই হল আমাদের জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চার অভাব। ইবনে সিনার কথা আমরা মনে করতে পারি, মধ্যযুগীয় জ্ঞান-বিজ্ঞানের ভিত রচনায় তার অবদান অনস্বীকার্য। চিকিৎসা, গনিত, দর্শন, জ্যোতির শাস্ত্র সহ বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর ছিল বিশেষ অবদান তার মূল অবদান ছিল চিকিৎসা শাস্ত্রে। তিনি চিকিৎসা শাস্ত্রের বিশ্বকোষ ‘আল-কানুন ফিত-তীব’ রচনা করেন যা ঊনবিংশ শতাব্দী পর্যন্তও প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল প্রতিষ্ঠানসমূহে পাঠ্য ছিল। আবার এই চিকিৎসা শাস্ত্রে বিশেষ শাখায় একজনের অনস্বীকার্য অবদান রয়েছে যাকে বলা হয় ফাদার অফ সার্জারি। তিনি হলেন আবুল কাসেম আল জাহরাহি। মানব দেহে অস্ত্রোপচারের জন্য যে যন্ত্রপাতি ব্যবহৃত হয় তা এই মহামানবের আবিষ্কার বিশেষ করে মানব দেহের ক্ষতস্থান জোড়া লাগানোর জন্য ব্যবহৃত সুতা বা যেটাকে ক্যাটগাট বলে সেটা কিন্তু তিনিই আবিষ্কার করেছেন। যেটা আজ পর্যন্ত ব্যবহৃত হচ্ছে। এরকম ক্যামেরা আবিস্কারের ক্ষেত্রে ইবনে আল হাতাম, গনিত শাস্ত্রের জন্য ওমর খৈয়াম, সময় গননা বা স্যাটেলাইট এর মত বিষয়ে মুসলিম মহিলা মনিষী মারিয়ম আল আস্ট্রলবির অবদান ভুলবার নয়। সবচেয়ে রহস্যময় বিষয় হল কি জানেন! আমরা উড়োজাহাজ আবিষ্কারের কথা উইলবার রাইট এবং অরভিল রাইট এই দুই ভাইয়ের কথা জানি অথচ মানুষ যে আকাশে উড়তে পারে এই ধারণা বা পর্যাপ্ত নির্দেশনা বিখ্যাত মুসলিম মনীষী আব্বাস ইবনে ফারনাস ই প্রথম জানিয়েছিলেন যা আমরা অনেকেই জানি না । কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশে যে কওমি এবং মাদ্রাসা শিক্ষার প্রচলন আছে তা রীতিমত বিজ্ঞান চর্চার প্রতি নিরুৎসাহিত করে। শুধু তাই নয় অনেকেই তো বিজ্ঞান চর্চাকে ইসলাম পরিপন্থী কাজ মনে করে। এটা কি না শুধু নাস্তিক ও অমুসলিমদের কাজ।অথচ এই মাদ্রাসা গুলি কিনা ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতিনিধিত্ব করে। তাই আমার মনে হয় যারা শিক্ষা নিয়ে গবেষণা করেন বা শিক্ষা নিয়ে কাজ করে এমন প্রতিষ্ঠান ও কর্তৃপক্ষকে আরও বেশি করে গবেষণা করে এমন একটি একমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা উচিৎ যাতে করে সকলে প্রকৃত শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে যেটা আত্মিক উন্নয়ন ও ইহজাগতিক-পরজাগতিক জীবনে সফল হওয়া যায় । তবে মনে রাখা ভাল যে, এই ব্যবস্থায় যাওয়ার পূর্বে অবশ্যই অবকাঠামোগত উন্নয়ন জরুরী। তা না হলে অতিসম্প্রতি চালু হওয়া সৃজনশীল পদ্ধতির মত অনেকটা নিস্ফল হতে পারে। বলেতে পারেন আমি নিস্ফল বলছি কিসের ভিত্তিতে, এমন অনেক কারণই আছে যে এই সৃজনশীল শিক্ষা ব্যবস্থা পরিপূর্ণ নয়। যেমনঃ এই সৃজনশীল শিক্ষা ব্যবস্থায় যাওয়ার পূর্বে অবশ্যই অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও শিক্ষক এবং অনন্য সংশ্লিষ্টদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি যা হয়েছে তা ছিল সীমিত । যেটা শ্রেণীকক্ষে পাঠ দানে অনেক শিক্ষকদের সমস্যায় পড়তে হয়েছে। আবার নোট বই এবং কোচিং সেন্টার বন্ধের জন্য আইন ও নীতিমালা তৈরি ও যথাযথ প্রয়োগ এর কথা সংশ্লিষ্ট অনেক ব্যক্তির মুখে শুনেছি। এর মানে এই পদ্ধতির মধ্যে গলদ আছে কারণ এটা যদি সত্যিই সৃজনশীল হয় তবে নোট বই বা কোচিং কোন ভাবেই শিক্ষার্থীদের ক্ষতি করতে পারবে না বরং এটা উপকারই হবে। যারা নোট বই লিখেন তারা নিঃসন্দেহে জ্ঞানী ও মেধাবী আর যারা কোচিং করান তারাও এর খুব ব্যতিক্রম নয়। তবে হ্যাঁ নীতিমালা করে এগুলোর তদারকি করা যেতে পারে কিন্তু আইন করে বন্ধ কারা উচিৎ নয়। ব্যক্তিগত ভাবে আমি বিশ্বাস করি জ্ঞানার্জনের জন্য বই পড়ার কোন বিকল্প নেই। আমি মনে করি বই পড়ার সংস্কৃতি আরও সমৃদ্ধ করা উচিৎ। একদিকে অভিভাবকদের মধ্যও একধরনের নীতি নৈতিকতা বিবর্জিত কাজ প্রায়শই লক্ষ্য করা যাই যেমন গত কয়েক দিন আগে একটি খবরের কাগজে পড়লাম একজন ছাত্রীর উপর তাঁর বাবা মা ও তাঁর বড় ভাই ভীষণ অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন এই কারণে যে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের পর এক কপি ঐ ছাত্রীকে তাঁর বাবা মা সংগ্রহ করে দেন আর ঐ বোনটি বিনয়ের সাথে গ্রহনে অস্বীকৃতি জানাই আর এতেই সবাই নারাজ তাঁর উপর। অন্যদিকে অধিকাংশ অভিভাবক তাঁরা ছেলেমেয়েদের মানুষিক ভাবে চাপ দিতে থাকে যে তাকে ডাক্তার, ব্যারিস্টার, পাইলট অথবা ইঞ্জিনিয়ার হতে হবে কিন্তু হয়ত সে অনেক বড় মাপের বিজ্ঞানী হতে পারত বা একজন সফল শিল্প উদ্যোক্তা বা কোন লেখক ও দার্শনিক হতে পারত। তাই হয়ত স্যার আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেছেন, ‘যার হওয়ার কথা আইনস্টাইন, অভিভাবকদের চাপে সে হয় সিভিল ইঞ্জিনিয়ার, যার হওয়ার কথা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সে হয় ব্যাংক ম্যানেজার, যার হওয়ার কথা পাবলো পিকাসো, সে হয় সিভিল সার্জন’। তাই আসুন আর নয় হতাশা প্রকাশ আমরা যে যেভাবে পারি দেশের মঙ্গল হয় এমন কাজে যুক্ত হয় এবং অন্তত পক্ষে অন্যায় বা অসৎ কাজের বা অসৎ লোকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলি আর প্রকৃত শিক্ষায় নিজেদের গড়ি ও অন্যকে উৎসাহিত করি। রাত্রি ও ইহার অন্ধকার যত গভীর হয় আগামী দিনের নতুন সূর্য উদয় ততই ঘনীভূত হয়। আর এখন দেশ ও জাতি গভীর অন্ধকারে ডুবে ক্লান্তিকাল অতিক্রম করছে তাই জাতির আলোর দিশা এলো বলে।

ম শামীম

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.