নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সততাই সুন্দর এবং সত্য

বিজন রয়

সততাই সুন্দর এবং সত্য

বিজন রয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

কবির হাজারতম জন্মদিনে অনামিকার সূর্যযাত্রা

২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:০৬


তার অন্তঃসত্বার কোনো দাবীদার নেই
অবাধ্য পৃথিবীর মুখোশ উন্মোচনে
তার কোনো তাড়া নেই,
উলঙ্গ সভ্যতার সত্য প্রকাশে তার পিছুটান নেই কোনো,
সৃষ্টি ও ধ্বংসের জন্য
জবাবদীহির তার কোনো প্রয়োজন নেই,
মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত সুন্দরসম্ভবা হতে চাওয়া
তার কোনো অপরাধ ছিল না।

কবির হাজারতম জন্মদিনে তোমাদের কাছে
বিশদ সংজ্ঞায়িত হবে বলে
নিজের ভিতর প্রবল প্রেমকাল ধারন করে বলেছিল
”ভালবাসি”,
যে নিয়মে ফুল ফোটে অবিরত
অমৃত ও জলের অন্তর্গত নিঃশ্বাসে।

সেদিনই কবিতার বেশ্যালয়ে সুন্দর লুট হয়েছিল
দস্যু হয়ে যাওয়া কবির সবকটা পুরুষ আঙুল
একটি পুরুষরাতের তারা হয়ে ইতিহাস লিখেছিল--
নাম তার ” অনামিকার সূর্যযাত্রা”।





মন্তব্য ৭৮ টি রেটিং +১৯/-০

মন্তব্য (৭৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:১৩

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: সেদিন কবিতার বেশ্যালয়ে সুন্দর লুট হয়েছিল। উফফফ -- কি অসাধারণ কবিতা ❤️

২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:২৯

বিজন রয় বলেছেন: হ্যাঁ, যেদিন কবিতার বেশ্যালয়ে সুন্দর লুট হয়েছিল সেদিনই শুরু হয়েছিল নিষ্পাপ অনামিকার সূর্যযাত্রা। কাল প্রবাহে আমাদের অনামিকাদের এই কষ্টের নিয়তি চলছেই চলছেই। মুক্তি কোথায়? সমাপ্তি কিসে? কবি নিজেই যখন ভালবাসার হত্যাকারী!!

ব্যথার নীল কষ্টে জর্জরিত কে শোনে হায় অনামিকাদের আর্তনাদ, হাহাকার, ....... আজ মনে হয় বিদগ্ধ বীক্ষনে ছায়াছন্ন সান্ধ্যমুখোশে মুখ লুকাবো আমি, সুদুর বিস্মৃত হয়ে এক অপার্থিব ঘোরমগ্নতায় বেদনার নীল জলে নিজেকে নিঃশেষ করে দিব, শুনে যাও আমার অরো কিছু দিব্যদারুন কাব্য, দেখে নাও আমাকে আরো এক রূপ!!

অনামিকাদের পাশে দাঁড়ান প্রিয় গোফরান!

২| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৩০

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: সুন্দরসম্ভবা

কী দারুণ ও শক্তিশালী শব্দ । তাই তো ? ঔরসপরিচয় না জানা থাকলেই কী বলা যাবে না জন্মিত সকল শিশু অসুন্দর ?

আপনি তো সত্যিই দারুণ লেখেন !!

যাক ব্লগে সব রকমের কবিতার স্বাদ পাওয়া যাচ্ছে আজকাল । আপনার এই কবিতা ইচ্ছে করছে বজ্র নির্ঘোষে আবৃত্তি করতে । কিন্তু বিধি বাম !!

ভালো থাকবেন বিজন'দা !!

২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৪২

বিজন রয় বলেছেন: আমি আসলে লেখক, কবি বা সাহিত্যিক নই। তবে যখন কিছু লেখার চেষ্টা করি মনের ভিতর এটা কাজ করে তা যেন শুধুমাত্র অবসর বিনোদনের জন্য না হয়, শুধু শব্দের খেলা না হয়, যেন দেশ - কাল - জীবন এসবরে কথা বলে। কতটুক হয় তা পাঠকেরা অনুভব করতে পারেন। তবে আমি লিখে কখনো সুখি হতে পারি না।

মানুষের মননচিন্ত একক হতে পারে কিন্তু সম্ভবত কোন চিন্তাই একক উৎস হতে প্রসারিত বা প্রকাশিত হয় না।

আপনিও নিশ্চয়ই সৃজনশীল ও প্রাজ্ঞজন কেউ হবেন, না হলে এমন সুন্দর একটি মন্তব্য পেলাম কি করে!!

অনেক ধন্যবাদ।
শুভকামনা।

৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ২:২২

কাছের-মানুষ বলেছেন: সুন্দর কবিতা লিখেছেন। শব্দও চয়ন যথার্থ হয়েছে।

২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৪৭

বিজন রয় বলেছেন: আমাদের সৃষ্টির পিছনে রয়েছে ব্যাপক উত্তরাধিকার। এজন্য আমরা নতুন নই, তবে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারি, তখনই সৃষ্টি হয় নত কিছু। কবিত্বের বিকাশ কবিতায়, আর কবিতার স্বার্থকতা পাঠকে।

কবিতা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ কাছের-মানুষ, এভাবে কাছে থাকুন।

৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৩:০৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



কবির হাজারতম জন্মদিনে অনামিকার সূর্যযাত্রা
দারুন লিখেছেন একখান কবিতা । এটি পাঠে চিন্তাকে নিয়ে গেল অনেক গভীরে ও পিছনে ।
প্রথমে অনামিকার সুর্য যাত্রা নিয়েই কিছু কথা বলে নেই , তার পরে না হয় আসব ফিরে কবির হাজারতম
জন্ম দিনের কথায় ।

জানামতে অনামিকাকে সূর্য আঙুলও বলা হয়। জ্যোতিষ শাস্র অনুযায়ী সূর্য পর্বত ও আঙুল বিচার করে ব্যক্তি
সম্পর্কে অনেক কিছু জানা যায়।
১. যে জাতকের সূর্যের আঙুল ছোট তাঁরা কম মান-সম্মান লাভ করেন। এঁদের জীবনে সদা সমস্যা লেগেই থাকে।
২. সূর্য আঙুল সোজা হলে, জাতক যে ক্ষেত্রেই কাজ করেন, সেখানে দীর্ঘদিন পর্যন্ত টিকে থাকেন।
একাগ্রতাক সঙ্গে কাজ করেন এঁরা।
৩.সূর্যের আঙুল লম্বা হলে সেই জাতক কাজের প্রতি উৎসাহিত থাকেন। আর্থিক পরিস্থিতি মজবুত থাকে।
জীবনে অত্যধিক মান-সম্মান অর্জন করেন এঁরা।
৪. শনি অর্থাৎ মধ্যমা ও সূর্য অর্থাৎ অনামিকা আঙুল সমান হলে, সেই জাতক অত্যন্ত ন্যায়প্রিয় হন।
এঁরা ভালো ব্যবসায়ী হন।
আবার চাকরি করে থাকলে খুব শীঘ্র সাফল্য অর্জন করেন। সাফল্য লাভের জন্য যে কোনও পরিস্থিতির
মুখোমুখি হতে প্রস্তুত এই জাতকরা।
৫. হস্তরেখা শাস্ত্রে সূর্যের আঙুল যদি শনি আঙুলের দিকে মুড়ে থাকে, তা হলে একে শুভ মনে করা হয় না।
এমন জাতক জীবনে বারংবার অপমানিত হন।
৬. সূর্যের আঙুলের নীচের অংশে তিনটি সোজা রেখা থাকাকে শুভ মনে করা হয়। অর্থ ও সম্মান দুইই লাভ
করেন এঁরা। তবে এই রেখা তিনটির বেশি থাকলে ব্যক্তি প্রচুর মান-সম্মান ও অর্থ লাভ করে। তবে স্ত্রীর কাছ
থেকে অপমানিত হন এঁরা।


এবা আসা যাক হাজার বছরের কবির জন্মদিনের কথায় । একবি আপনি স্বয়ং নীজেই কিনা বুঝতে পারছিনা ।
যদি তাই হয় তবে বিজনদার প্রতি রইল শুভেচ্ছা ।
তবে কবিতায় থাকা কিছু কথামালা যথা
উলংগ সভ্যতার সত্য প্রকাশে তার পিছু টান নেই , ..।
নীজের ভিতরে প্রবল প্রেম টান ধারণ করে বলেছিল ভালবাস..
কবিতার বেশ্যালয়ে সুন্দর লুট হয়েছিল কবির সবকটি পুরুষ আঙ্গুল ..।।


বেশ এতটুকু পাঠেই মনে পড়ে যায় হাজার বছরের চর্যাপদের এক কবির কথা ।
তিনি চর্যাপদের অনেক কবিদের মধ্যে ছিলেন এক জন, নাম তাঁর কুক্করীপা

চর্যাপদের কবি কুক্করীপা শুধু কবিই ছিলেন না তিনি ছিলেন একজন মহাসিদ্ধ ।তিনি তান্ত্রিক বৌদ্ধ চর্চায় আগ্রহী
হয়ে ওঠেছিলেন এবং ত্যাগের পথ বেছে নিয়েছিলেন। তার ভ্রমণের সময়, তিনি একটি ঝোপের মধ্যে একটি
ক্ষুধার্ত কুকুরকে দেখতে পান। করুণার দ্বারা সরে গিয়ে তিনি কুকুরটিকে খাওয়ালেন এবং তার যত্ন নিলেন।
দুজনে একসাথে থাকল এবং অবশেষে একটি গুহা খুঁজে পেল যেখানে কুক্কুরিপা শান্তিতে ধ্যান করতে পারে।
তিনি যখন খাবারের জন্য বাইরে যেতেন, তখন কুকুরটি থাকত এবং গুহা পাহারা দিত।

এমনি করে এক দুই করে ১২ বছর অতিবাহিত হয়ে যায় ।সুর্য দেবতা সহ স্বর্গের দেবতারা কুক্করীপার সকল
কৃতিত্বপুর্ণ কাজই লক্ষ করছিলেন । দেবতারা সন্তুষ্ট হয়ে তাকে তাদের স্বর্গে উঠিয়ে নিয়েছিলেন। কিন্তু স্বর্গালয়ে
বসে তার কবিতা লেখা ছিল বন্ধ , যেন তার কবিতা লেখার আঙ্গুলগুলিই হয়েছিল কর্তিত ।অবশ্য সেখানে থাকা
কালীন তাকে অনেক আনন্দদায়ক জিনিস দেওয়া হয়েছিল, যেমন মহান ভোজ। যতবার সেসব খাবার সামগ্রি
তার সামনে তিনি দেখতেন ততবারই গুহায় রেখে আসা তার অনুগত কুকুরের কথা ভাবতেন। ভাবতেন
কুকুরটি নিকট তার ফিরে আসা উচিত, কিন্তু প্রতিবারই দেবতাগন তাকে স্বর্গে থাকতে রাজি করাত।
অবশেষে, তিনি স্বর্গ থেকে নিচের দিকে তাকালেন এবং দেখলেন যে তার কুকুরটি রোগা, দু: খিত এবং
ক্ষুধার্ত হয়ে গেছে এবং ঠিক সেখানেই তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন যে করেই হোক তিনি গুহায় ফিরে যাবেন।
ফিরে আসার পর,প্রভু( কুক্করীপা) এবং কুকুর উভয়ই খুশি ও অনন্দিত হয়েছিলেন ।
কুকুর প্রিয়তার জন্যই নাকি তার নাম কুক্করীপা হিসাবে পরিচিতি পায় ।

হাজার বছরের চর্যাপদের এক কবি কুক্করীপাকে নিয়ে অঙ্কিত একটি বিখ্যাত ছবি ।

উল্লেখ্য হাজার বছর আগে শুধু চর্যাপদের কবিরাই নন সেসময়কার নারীগনও ছিলেন স্বাধীনচেতা ।
তারা স্বেচ্ছায় সঙ্গী ও পেশা নির্বাচনের অধিকার রাখতেন।অনেকের মতে কবি কুক্কুরীপাও নারী ছিলেন।
কুক্কুরীপা রচিত অতিপরিচিত দুটি পংক্তি (যাতে গৃহবধূর ছল করা নিয়ে কবি কুক্করীপা বলেছেন;

ভইলে ভাই । রাতি ডর হিকাউ বহূড়ী
দিবসহি – কামরু জাই ।

অর্থাৎ
কাকের ভয়ে বউটি দিনে ভীত
রাতি হলে কামরূপে হয় নীত ।
"সে দিনের বেলায় কাকের ডাকে ভয় পায়,
কিন্তু রাতে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে যায়।
চর্যাপদের অনেক পদে নারীদের নৌকা চালনা, লোক পারাপার,
নৌকার জলসিঞ্চন ইত্যাদি কর্মে অংশগ্রহণের উল্লেখ পাওয়া যায়।
এছাড়া সেসময় নারীরা গুরুর স্থানও অধিকার করেছিল।
যাহোক আপনার এই সুন্দর কবিতাটির কল্যানে হাজার বছর
আগের কথায় ফিরে যাওয়ার কিছুটা সুযোগ হল ।
হাজার বছরের প্রথিতযশা কবিদের প্রতিও রইল শ্রদ্ধাঞ্জলী ।

এ জন্য আপনার প্রতি রইল ধন্যবাদ সাথে শুভেচ্ছা ।

২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:০৮

বিজন রয় বলেছেন: এমন কোনও সৃষ্টিশীল ব্যক্তি নেই যিনি নিজের সৃষ্টির সার্থকতা সন্ধান করেন না, এমন কোনও শিল্পী নেই যিনি শিল্প অনুসন্ধানীর সমর্থন প্রত্যাশা করে না। আপনার মতো বিদগ্ধ পন্ডিতের হয়তো জানা থাকবে মহাকবি গ্যেটের চরম বিদ্রূপ "Kill the dog, he is a reviewer", তলস্তয়ের বিশ্বাস ছিল "Critics are the stupid who discuss the wise", তাই বলতে হয় সহৃদয় সমালোচনা ছাড়া কোন কবিরই তুষ্টি হয় না।

এতগুলো কথা বললাম এই জন্য যে, আপনি আমার প্রত্যেকটি কবিতার অনেক গভীরে প্রবেশ করে সেখান থেকে মনি-মুক্ত খুঁজে নিয়ে আসেন, যা আমার কবিতাকে অনেক অর্থবহ আর তাৎপর্যপূর্ণ করে তোলে। আপনি এমন কিছু উৎস, ত্ত্ত্ব, তথ্য আপনার সুগভীর ও দূরদৃষ্টির মাধ্যমে সমালোচনা ও আলোচনা করেন যে, আমি বরাবরই ভেঙে পড়ি, আর তারপরেই আবার উঠে দাঁড়াই। সত্যি বলতে একজন যখন কবিতা লেখে তখন পাঠক যা অনুভব করছে বা পাঠকের চিন্তায় যে সব ভানার উদয় হচ্ছে কবি নিজেই নিশ্চয়ই অতকিছু ভেবে কবিতা লেখে নাই। এখানেই কবি ও পাঠকের দ্ন্ধ ও সমাধান কিংবা চলমান।

এই কবিতায়....
কবি
কবির হাজারতম জন্মদিন
অনামিকা
সূর্যযাত্রা


এই শব্দগুলোর মধ্যই পুরো কবিতার ভাবনুবাদ আমরা পেতে পারি।

অনামিকাকে সূর্য আঙুল বিবেচনা করে আপনি যা কিছু বলেছেন সেটার ব্যাখ্যা শুধু আমি কেন এখানে অনেকেই আমরা তা জানিনা। আপনার জ্ঞান ও প্রজ্ঞা সম্পর্কে আমরা কমবেশি জানি, কিন্তু আজ এখানে আরো অনেক বেশি জানলাম।

অনামিকা আর্থাৎ সূর্য আঙুল, ধরে নিলাম কোনো পুরুষের আঙুল যেগুলো অনামিকা নামের কোন নিষ্পাপ প্রেমিকা স্পর্শ করে চায় কোনো নিবিড় মহেন্দ্রক্ষণে হতে পারে কোনো জন্মদিনে। কিন্ত অনামিকাদের সবসময় দূর্ভাগ্য। সবকটা পুরুষ আঙুল পরিশেষে দস্যু হয়ে ওঠে আর লুট করে নেয় অনামিকাদের সুন্দর, কিংবা সুন্দরসম্ভবা হয়ে ওঠার সব স্বপ্ন ও আশাকেযেমন করে দ্রোপদীর বস্ত্রহরণ হয়েছিল, যেমন করে সীতার বনবাস হয়েছিল, যেমন করে জগতের সব সতীদের অগ্নিপরীক্ষা হয়।

এগুলো কি অবাধ্য পৃথিবীর উলঙ্গ সভ্যতা নয়? যেখানে সৃষ্টি আর সুন্দরের অপমৃত্যু হয় সেই প্রাচীন থেকে আধুনিকে, আদি থেকে বর্তমানে? এখানেই সব পুরুষ, সব কবি মিলে তৈরি করে কবিতা বা কাব্যের বেশ্যালয়। কিন্তু এই বেশ্যালয়ে কোনো অনামিকা বেশ্যা হতে চায় না, হতে চায় পরম আরাধ্যা দেবী!

কোনো অনামিকাই দস্যু আঙুলের ভোগ্যা হতে চায় না। কোনো অনামিকাই সূর্যযাত্রায় অংশ নিতে চায় না।

না, এই কবিতায় আমার নিজের কোনো জন্মদিনের কথা বলিনি, বলতে চেয়েছি পৃথিবীর সব কবির জন্মদিনের কথা যেদিন পৃথিবীর সব প্রেমিকারা ( অনামিকা) প্রেমফুলের মালা দিতে চায়।

আপনার মহামূল্যবান কথায় আমার এই কবিতাটি সাহিত্য হয়ে উঠল কে না জানিনা, তবে বঙ্কিমচন্দ্রের কয়েকটি কথা খুঁজে পেলাম.............
ক. সকলই নিয়মের ফল। সাহিত্যও নিয়মের ফল। (আর্যজাতির সূক্ষশিল্প)।
খ. এ স্থান ভালো রচনা, এই স্থান মন্দ রচনা, এইরূপ তাহার সর্বাংশের পর্যালোচনা করিলে প্রকৃত গুণাগুণ বুঝিকে পারা যায় না। যেমন অট্টালিকার সৌন্দর্য বুঝিতে গেলে সমুদয় অট্টালিকাটি এককালে দেখিতে হইবে, সাগর-গৌরক অনুভূত করিতে হইলে তাহার অনন্তবিস্তার এককালে চক্ষে গ্রহণ করিতে হইবে, কাব্য-নাটক সমালোচনাও সেইরূপ, (উত্তরচরিত)।
গ. যদি মনে করা হয় লিখিয়া দেশের ও মনুষ্যজাতির মঙ্গল সাধন হয়, সৌন্দর্য সাধন হয়, তবে অবশ্য লিখিবেন, (বাঙালার নব্য লেখক দিগের প্রতি নিবেদন)।
ঘ. সকল অলংকারের শ্রেষ্ট অলংকার সরলতা, (বাঙালার নব্য লেখক দিগের প্রতি নিবেদন)।
ঙ. ইহাই সিদ্ধান্ত করিতে হইতেছে যে, বিষয় অনুসারেই রচনার ভাষার উচ্চতা ও সামান্যতা নির্ধারিত হওয়া উচিৎ, ( বাঙ্গালা ভাষা)।
চ. কাব্যের মূখ্য উদ্দেশ্য সৌন্দর্য সৃষ্টি, ( দীনবন্ধু মিত্রের জীবনী সমালোচনা)।
ছ. কবির কবিত্ব বুঝিয়া লাভ আছে, সন্দেহ নাই, কিন্তু কবিত্ব অপেক্ষা কবিকে বুঝিতে পারিলে আরও গুরুতর লাভ। কবিতা দর্পণ মাত্র, তাহার ভিতর কবির অবিকল ছায়া আছে, ( ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের কবিতা সংগ্রহ-ভূমিকা)।

অবাক ব্যাপার,চর্যাপদ নিয়ে কথা বলেছেন, একটি গল্পও বলেছেন। আমি অভিভূত! এই কবিতার কি এত এত সন্মান প্রাপ্য ছিল!!!!! কিভাকে কবিতার বিষয়ের সাথে মিলিয়ে দিলেন!!!!

চর্যাপদ নিয়ে না হয় পরে কোনো দিন কথা বলবো।

আপনার মন্তব্যগুলো আমার ব্লগের পাতায় পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকুক। আলোচনা-সমালোচনা চলতে থাকুক অবিরাম।

ব্লগে অনেকেই অনেক ভাল লেখেন, সেখানে আপনি অনেক মূলবান মন্তব্য করেন থাকেন, সেটা তাদের প্রাপ্য। কিন্তু আমার খুব সামান্য কবিতাগুলোতে যে সময় আর পরিশ্রম নিয়ে এক একটি মন্তব্য করেন তার জন্য আপনাকে অজস্র প্রণাম।

ভাল থাকুন সবসময় এই শুভকামনা।


৫| ২২ শে নভেম্বর, ২০২৩ ভোর ৪:০৮

জনারণ্যে একজন বলেছেন: বিজন, আপনার লেখা কবিতা আলোচনা কিংবা সমালোচনা করার জন্য যে মেধা দরকার, তা আমার নেই। তাই ওই পথে হেঁটে যাওয়ার মতো ধৃষ্টতা দেখাবো না।

শুধু এটুকু বলি, কবিতাটি পড়তে বড়ো বেশি ভালো লেগেছে। হয়তো আরো বেশি ভালো লাগতো সশব্দে উচ্চারিত হলে।

এত অদ্ভুত সুন্দর শব্দচয়ন, এত গভীর অর্থবহ বার্তা এই কবিতাতে, মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুধু পড়েই গেলাম।

ভালো থাকবেন অনেক।

২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:২৫

বিজন রয় বলেছেন: কি যে বলেন! আমি মনে করছি এই কবিতাটি আপনি অনেকখানি বুঝতে পেরেছেন। অন্তত আপনার মন্তব্য পড়ে সেটা বলতে পারি।

উপরে ৪ নম্বরে শ্রদ্ধেয় ডঃ এম এ আলী'র মন্তব্যের উত্তরে কিছুটা বলার চেষ্টা করেছি।

এত অদ্ভুত সুন্দর শব্দচয়ন, এত গভীর অর্থবহ বার্তা এই কবিতাতে, মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুধু পড়েই গেলাম।

আপনার এই আন্তরিক কথায় আমি কৃতজ্ঞ।

অনেক অনেক ভাল থাকেন।

৬| ২২ শে নভেম্বর, ২০২৩ ভোর ৪:৩৩

কামাল১৮ বলেছেন: সভ্যতা দিন দিন সুন্দরের দিকে অগ্রসরমান।অন্ধকার থেকে আলোর দিকে যাত্রাতার।

২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:২৯

বিজন রয় বলেছেন: সময় তাই বলে।
আদি থেকে অন্তে যদি বিবেচনা করি অনেক উন্নত হয়েছে।
তবে এখনো রয়ে গিয়েছে অনেক অনেক বিয়োগান্ত নাটকের দৃশ্যলিপি।

অনেক ধন্যবাদ প্রিয় কামাল১৮।
আপনার সাথে আমার অনেক কথা আছে।
আমি ব্লগে অনিয়মিত ছিলাম বলা হয়নি।
আশাকরি এখন থেকে ব্লগে একসাথে পথ চলতে চলতে সেসব কথা হতে থাকবে।

শুভকামনা।

৭| ২২ শে নভেম্বর, ২০২৩ ভোর ৪:৪২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর।

২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩১

বিজন রয় বলেছেন: যেহেতু আপনাকে অনেক দিন থেকে ব্লগে চিনি জানি, তার আপনার সুন্দর বলার অর্থ আমি জানি।

তবু আপনার নিকট থেকে আরো একটু বেশি শুনতে চাই।

ধন্যবাদ প্রিয় কবি।

৮| ২২ শে নভেম্বর, ২০২৩ ভোর ৫:৪৯

মিরোরডডল বলেছেন:




সৃষ্টি ও ধ্বংসের জন্য
জবাবদীহির তার কোনো প্রয়োজন নেই,
মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত সুন্দরসম্ভবা হতে চাওয়া
তার কোনো অপরাধ ছিল না।


কঠিন কিন্তু ভালো লেগেছে।

সততাই সুন্দর এবং সত্য

ধ্রুব সত্যি!!

২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩৬

বিজন রয় বলেছেন: ইতিহাস এ পর্যন্ত কি প্রমাণ করেছে?
ইতিহাস নিজেই বোধহয় সুন্দরসম্ভবা হতে পারেনি।
ইতিহাস সৃষ্টিকারীরা তো অমৃত ও জলের অন্তর্গত নিঃশ্বস হতে পারেনি।

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মিরোরডল।

৯| ২২ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:৪২

আহমেদ জী এস বলেছেন: বিজন রয়,




অনবদ্য একটি কবিতা, কী শব্দে , কী অনুভবে আর বক্তব্যে!

অনামিকাদের সূর্যযাত্রা এমনটাই হয়। অভব্য পৃথিবীর মুখোশ উন্মোচনে তাদের কোন্ তাড়া থাকেনা।
শ্রদ্ধেয় ব্লগার ডঃ এম এ আলীর বলিষ্ঠ মন্তব্য থেকে নিয়ে বলতেই হয় - অনামিকারা দিনের বেলায় কাকের ডাকে ভয় পায়,
কিন্তু রাতে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে যায়।
এছাড়া তাদের জীবনে দস্যু হয়ে ওঠা কবিদের কাছে সুন্দরসম্ভবা হবার আর কোন পথ নেই।

কবিতায় শুধু +++++++++ ও লাইক দেয়া ছাড়া প্রশংসা করার মতো ভাষা আমার তল্লাটে নেই। ডঃ এম এ আলীর মন্তব্যখানাও এই পোস্টে চমৎকার একটি সংযোজন।

২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৪২

বিজন রয় বলেছেন: আরো একটি মনকাড়া, হৃদয়গ্রাহী ও অন্তরঙ্গ প্রাপ্তি! আপনিও এভাবে সুন্দর অনুভবে আপনার বক্তব্য প্রকাশ করে থাকেন আমরা সবাই জানি। শ্রদ্ধেয় ব্লগার ডঃ এম এ আলী'র মন্তব্য মন দিয়ে পড়েছেন সেটাও আমার ভাল লাগল।

ভালবাসায় নিবেদিত, প্রেমে জর্জরিত, সমর্পনের মূহুর্তে কেনো অনামিকার কি পৃথিবীর কোনো কিছুকে উন্মোচন করার দরকার পড়ে! অগ্নিপরীক্ষার পূর্বে কোনো অনামিকা কি ভয় পায়? কোনো অনামিকা কি চায় তার কবি দস্যু হয়ে উঠুক? কবিরা যদি দস্যু কাক হয়ে ওঠে তবে ভয় পেতে পারে।

আবার যখন কোনো অনামিকা সূর্যযাত্রার অগ্নিরথে চড়ে বসে, সে প্রেক্ষাপটে কি তার কোনে কিছুর ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন পড়ে, ভালবাসতে চাওয়া ছাড়া যে কোন অপরাধ করেনি তার এত কিসের দায় পড়েছে! জবাবদীহি তো তারই যে তার সরলতার সুযোগ নিয়ে তার অন্তঃসত্বায় দাগ লেপন করেছে।

সাহিত্যে ব্যক্তিজীবন ও মনোজগৎ কখনো উপেক্ষা করা যায় না। একজন কবির ইচ্ছাপূরণের বাসনা কীভাবে পুরাঘটিত ও দিবাস্বপ্নের মতো অলীকের সঙ্গে মিশে কবিতার জন্ম হয় সেটা আমাদের বিবেচ্যবিষয় হতে পারে। আপনাদের সুন্দর ও বিচক্ষণসব কথাবার্তায় আমার কবিতাগুলো সাহিত্য হয়ে ওঠে বোধহয়!

শৈল্পিকমাত্রা ও সৌন্দর্য এখানে কতখানি বিরাচমান তা আপনারাই জানেন।
যদিও এটি একটি ব্লগপৃষ্ঠা মাত্র।

অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা আর শুভকামনা।

১০| ২২ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:৪৪

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: অসাধারণ একটি কবিতা উপহার দিয়েছেন। সত্যিই সুুন্দর হয়েছে।

২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:০৫

বিজন রয় বলেছেন: আমরা জানি কবিতা শুধু পড়ার নয়, জানার, জানাবার, বোধের, বিস্তৃতির। পাঠকের অন্তরে সর্বশেষ যে ধ্বনি স্তিমিত হয় সেটা হলো কবিতার ধ্বনি। আপনার হৃদয়ে এই কবিতাটি এভাবেই স্পর্শ করেছে আশা রাখি। না হলে এভাবে অনুভব জানাতে পারতেন না।

আমি মনে করি যারা কবিতা ভালবাসেন তারা ভাগ্যবান।

অটঃ আপনার প্রপিক কি পরিবর্তন করেছেন মশিউর ভাই?

১১| ২২ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৩৭

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: বেশ অনুপ্রেরণা পেলাম কবি দা
ভাল থাকবেন-------------

২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:০৯

বিজন রয় বলেছেন: আমি কৃত্জ্ঞ যদি আমার এই কবিতাটি আপনাকে অনুপ্রেরণা দিয়ে থাকে।

এই কৃতিত্ব আমি নিতে চাই না। সেটা উৎসর্গ করে দিলাম সেইসব অনামিকাকে যারা সুন্দরসম্ভবা হতে চেয়ে নীল হয়েছিল ব্যথায় আর কষ্টে।

অনেক শুভকামনা।

১২| ২২ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:০৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: সুন্দর শব্দ চয়ন আর বিষয় বস্তুতে কবিতাটি হয়ে উঠেছে অনন্য। অনেক দিন পর আপনার কবিতা পাঠ করলাম। +++

২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:১৩

বিজন রয় বলেছেন: আমি তো নিয়মিত না। তাই কালে ভদ্রে আমার কবিতা ব্লগে আসে।

আপনি যে আমাকে ভুলে যান নি সেটাই অনেক বড় পাওয়া।

আমার নিকট থেকে কবিতার প্রশংসা পেয়েছি সেটাও সুন্দর।

ভাল থাকেন প্রিয় মাইদুল।

১৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:২১

ফেনা বলেছেন: বাহ বাহ সেই ভাল হয়েছে। ভাল লাগা ছেড়ে গেলাম।

কেমন আছেন?

২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:১৫

বিজন রয় বলেছেন: আপনাকে নিয়মিত পেলে ভাল লাগবে।
অতীতে আপনি আমার কবিতার নয়মিত পাঠক ছিলেন।
সেটা আবার চলবে আশারাখি।

ধন্যবাদ ফেনা।

১৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:২১

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অসম্ভব সুন্দর কবিতা

২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:২৫

বিজন রয় বলেছেন: আপা কবিতা ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগল।
আপনিও কবিতার মানুষ। অজস্র কবিতা লিখে চলেছেন প্রতিনিয়ত। তাই এই কবিতা আপনার কাছে ভাল লাগবে এটাই আমার প্রত্যাশা। তার উপর কবিতাটির বিষয়বস্ত কোনো নারীকে নিয়ে লেখা।

কবিতা মানব মনের অসীম ও শাশ্বত আর্তি স্থায়ীভাবে জাগয়ে তোলে।
আপনিও সেই পথের কান্ডারী।

ভাল থাকেন, সুস্থ থাকেন।

১৫| ২২ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:০৭

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: কবিতাটি সুন্দর বললে ভুল হবে। অতি অসম্ভব সুন্দর লিখেছেন। শব্দ চয়ন এবং বাক্য বিন্যাস অতি চমৎকার। আমি মুগ্ধ হয়ে ভাবছি ইস আমিও যদি এধরনের কবিতা লিখতে পারতাম ! অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ সৃজনশীল একটি কবিতা উপহার দেয়ার জন্য ।

২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৩২

বিজন রয় বলেছেন: কারো কোনো কথা শুনে কখনো কখনো বাকরুদ্ধ হতে হয়। এই কবিতায় আপনাদের অনেকেরই মন্তব্যে আমার এই দশা হয়েছে।
সত্যি বলতে এই কবিতাটি যখন লিখেছি তখন এতটা আপনার বা আপনাদের নিকট থেকে পাবো বলে এতটুকু আশা করিনি।

এখন আমার নিজের কাছেই এই কবিতাটি নতুনরূপে ধরা দিচ্ছে।

এভাবে সত্য, সুন্দরে ও সৌন্দর্যে আমার সাথে থাকুন।

জন কীটস'এর একটি বাক্য বলে শেষ করি.... Beauty is truth, truth is beauty-that is all.

১৬| ২২ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর কবিতা লিখেছেন।

২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৩

বিজন রয় বলেছেন: কেন, সুন্দর কেন?

১৭| ২২ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:০২

ঢাবিয়ান বলেছেন: কঠিন, কিছুটা দুর্বোধ্য আবার একই সাথে ভাষার দারুন মাধুর্য্য । ++

২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৪

বিজন রয় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ঢাবিয়ান।
কবিতাটি মন দিয়ে পড়েছেন সেজন্য কৃতজ্ঞ।

তবে আর একবার পড়ে দেখেন সহজ লাগবে।

পাশে থাকুন........

১৮| ২২ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:০৯

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: এই কবিতাটির ব্যাখ্যা বা মূল্যায়ন করার মতো যোগ্যতা আমার নেই। তবে ভীষণ ভাল লেগেছে।

শুভকামনা।

২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৮

বিজন রয় বলেছেন: এই কবিতাটির ব্যাখ্যা বা মূল্যায়ন করার মতো যোগ্যতা আমার নেই। তবে ভীষণ ভাল লেগেছে।............ তবে যেহেতু আপনার ভাল লেগেছে তাই মনে করি কবিতাটি বোঝার মতো যোগ্যতা অবশ্যই আপনার আছে।

বুঝতে পেরেছেন বলেই ভাল লেগেছে। কোনো কারণ ছাড়া তো সৌন্দর্য প্রকাশিত হয় না।

বোঝাতে পেরেছি।

১৯| ২২ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:২৫

স্প্যানকড বলেছেন: একদম চাবুক ! ভালো থাকবেন, আনন্দে থাকবেন :)

২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৪০

বিজন রয় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আমার ব্লগে আসার জন্য।

আপনি অজস্র কবিতা পোস্ট করেন, সেখানে কথা বলার চেষ্টা করি।
চলুন এভাবেই সাথে-পাশে পথ চলি।

শুভকামনা।

২০| ২২ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৫১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


সাধু, সাধু, সাধু.....

২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৪২

বিজন রয় বলেছেন: ধন্যবাদ, ধন্যবাদ, ধন্যবাদ।

আপনাকে তাহলে কবিতা পড়িয়েই ছাড়লুম!!

হা হা হা ......

২১| ২২ শে নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৭

প্রথম সারির নিরাপদ ব্লগার বলেছেন: গেঁয়ো ভূত বলেছেন: এই কবিতাটির ব্যাখ্যা বা মূল্যায়ন করার মতো যোগ্যতা আমার নেই। তবে ভীষণ ভাল লেগেছে।

শুভকামনা।

২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৪

বিজন রয় বলেছেন: হা হা হা ..............
তাহলে উত্তরটি ওখানেই দিয়েছি।

তা আপনি এত নিরাপদ ব্লগার কেন? তাও আবার প্রথম সারির!!

২২| ২২ শে নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: কোথায় আপনি?

২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৫৪

বিজন রয় বলেছেন: খুব ব্যস্ত ছিলাম, ব্লগে বসতে পারিনি। আস্তে আস্তে উত্তর করবো।

২৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৩

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



একেই বলে শব্দের শক্তি!!!

অসাধারণ!!!

২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৮

বিজন রয় বলেছেন: একেই বলে শব্দের শক্তি!!! এই শক্তির উৎস কোথায়?

কবি আর কবিতায়। এটাই হলো কবিতার উজ্জ্বলতা, সুষমা আার অথন্ডতা।

অনেক ধন্যবাদ প্রিয় সাত্যপথিক।

২৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৩৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বাহা! দারুণ একটা কবিতা পড়লাম++

২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৫০

বিজন রয় বলেছেন: ওহ! আপনাকে অনেক দিন পর পাওয়া গেল!

আপনার পদচারনা, আন্তরিক আলাপ ভাললাগে।
কবিতা পড়ার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞা।

শুভকামনা রইল।

২৫| ২২ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৪৮

শেরজা তপন বলেছেন: এ কবিতা নিয়ে আলোচনা করার মত কোন যোগ্যতা আমার নেই - মাফ করবেন বিজন দা

২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৩

বিজন রয় বলেছেন: এখানে অনেকের মন্তব্যে এবং তাদের প্রতিউত্তরে অনেক উত্তর পেয়ে যাবেন। যদি আবার এই কবিতায় আসেন তাহলে একটু কষ্ট করে সেগুলো পড়ে নিয়েন।

যদিও আপনার আলোচনা করার মত কোন যোগ্যতা আমার নেই............ একথা আমি বিশ্বাস করিনি!!

হা হা হা হা ..................

২৬| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩৭

শায়মা বলেছেন: বাপরে!

কবি আর কবিতা কাকে বলে বুঝিয়ে দিয়েছো দেখছি।

সবাই তো টাসকি তোমার কবিতা পড়ে বুঝার টেরাইং ই করছে না।

দাঁড়াও আমি একটু চেষ্টা করে দেখি। :)

২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০২

বিজন রয় বলেছেন: মন্তব্যের উত্তর করতে আমি উপভোগ করছি।

আমি অনেক দিন পরে এসে একটা পোস্ট করে চলে যাই, ভাবি কেউ হয়তো আমার কবিতা পড়বে না, বা হয়তো আমাকে ভুলে গিয়েছেন, তারপরও আপনারা সবাই এত আন্তরিকতা ও সুন্দর করে কবিতা নিয়ে কথা বলেন, যেটা ভাল না লেগে পারে না।

অনেকেই হয়তো খুব ব্যস্ত তাই অনুভূতি জানিয়ে চলে যায়। আবার খুব ভাল লাগলে তাৎক্ষণিক মোহগ্রস্থ অবস্থায় অনেকেই ভাষা হারিয়ে ফেলেন, তাই হয়তো কথা বলা থেকে এড়িয়ে যাচ্ছেন।

হয়তো....... নয়তো......... তাইতো............!!

দেখবো আপনি কি বলেন বা কি চেষ্টা করছেন।

২৭| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৩২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:


এত সুন্দর আর সাহিত্যিক তথ্য ও নিগুর অর্থবহ কথামালায়
রচিত আমার মন্তব্যের প্রতি উত্তরে আমি বিমোহিত ।
কবির পাশে আছি থাকব অবিরত ।
শুভেচ্ছা রইল

২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১২

বিজন রয় বলেছেন: আরো অনেক কথা বলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সবার মন্তব্যের উত্তর তো করতে হবে, তাই সময়ে পেরে উঠিনি।
আজ প্রায় সারাদিন চলে গেল এখানে কথা বলতে বলতে!! অন্যদের পোস্টে আজ খুব মন্তব্য করতে পারিনি।

পোস্ট করার এই আর এক জ্বালা!
মন্তব্যের উত্তর করতে দেরি হলে অন্যদের খারাপ লাগতে পারে।
কিন্তু আমি সময়ে পেরে উঠি না। এজন্য অনেক কম পোস্ট করি।
আপনার পোস্টে যেতে চেয়েছিলাম তাও হলো না। যাবো সময় করে।

চর্যাপদের ওই কাহিনী পড়ে কিছু বলতে চেয়েছিলাম।
সময় পেলে কখনো কথা হবে।

আবারো এসে হৃদ্যতা ও সৌহার্দ্য জানানোর জন্য ধন্যবাদ।
অনেক অনেক শুভকামনা।

২৮| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:০৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



কবিতা / কথামালায় ১০০ মার্কে ১৭ পেয়েছেন। তেমন ভালো লাগেনি। আপনার লেখা ভালো, আপনার কাছে শৈলী লেখা আশা করি। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।


২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৫০

বিজন রয় বলেছেন: অপনার মন্তব্য পাওয়া অনেক ভাগ্যের ব্যাপার!!

কবিতা / কথামালায় ১০০ মার্কে ১৭ পেয়েছেন............ হা হা হা ..... যাক, ০১ বা ০২ তো আর পাইনি!! এতটুকুতেই আমি খুশি!!

তেমন ভালো লাগেনি .......... এটা খুবই স্বাভাবিক। ভাল নাও লাগতে পারে, সব রঙ কি সবার পছন্দ হয়? একজনের একটি লেখা যে সবারই ভাল লাগবে এমনটি হতে পারে না। এজন্য যিনি কোন কিছুর নতুন সৃষ্টি করেন তার ভাল বা মন্দ পাওনা সম্পর্কে অবশ্যই তৈরী থাকতে হবে। এখানে মন্তব্যগুলো খেয়াল করলে দেখবেন আপনি বাদে আর সবার ভাল লেগেছে।

আপনার কাছে শৈলী লেখা আশা করি........ শৈলী সম্পর্কে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি আমার জানা নেই, জানালে বিষয়টি ভেবে দেখতে পারি। আর এই কবিতায় কোথায় অশৈলী মনে হয়েছে সেটাও যদি একটু ব্যাখ্যা করতেন তো আমার খুব কাজে লাগবে পরবর্তীতে কবিতা লিখতে।

আশা করি বুঝতে পেরেছেন............. না বুঝতে পারিনি, যদি একটু বুঝিয়ে বলতেন, আমার উপকার হবে।

অনেক অনেক শুভকামনা।

২৯| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:০০

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: কি সুন্দর করে লিখেন আপনি।আগেও হিংসে করতাম এখনও করছি :D
অনেক দিন পরে আপনার কবিতা পড়ে ভাল লাগল।অনেকে বলেন ব্লগে নাকি কবিতা তেমন কেউ পড়ে না।দেখেন আপনার কবিতা কত্ত লোক পড়ছে।আমি নিজে আপনার কবিতার ভক্ত।
আবার আগের মত সময় করে নিয়মিত লিখতে থাকুন।
আশা করি আপনি ভাল আছেন?

২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৫৭

বিজন রয় বলেছেন: আপনাকে আমার খুব ভাল লাগে। সেজন্য খুঁজে বের করেছি।

এই যে আপনার আন্তরিক কথাবার্তা আর সন্মান এটার জন্য আপনাকে ভুলতে পারি না। আরো অনেকেই আছে। আপনার মতো, তাদের অনেককেই ভুলতে পারি না।

যেমন বললেন............ অনেকে বলেন ব্লগে নাকি কবিতা তেমন কেউ পড়ে না।দেখেন আপনার কবিতা কত্ত লোক পড়ছে।.......... আমিও ব্যাপারটি ভেবেছি এবং অবাক হয়েছি। এত দিন পর একটা পোস্ট দিলাম, দেখলাম অনেকেই এসেছেন, কথা বলেছেন। আমি তো ভেবেছিলাম এখানে সবাই আমাকে ভুলে গিয়েছেন।

ব্লগে আগের মতো অত সময় না হলেও কিছু সময় দেওয়ার চেষ্টা করবো।

এভাবেই পাশে থাকেন।
শুভকামনা রইল।

৩০| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৯

প্রথম সারির নিরাপদ ব্লগার বলেছেন: তা আপনি এত নিরাপদ ব্লগার কেন? তাও আবার প্রথম সারির!!

বিজন দা!! দেখেও না দেখার ভান করছেন। (প্রচন্ড প্রচন্ড প্রচন্ড পরিমাণ রাগের ইমোজি)

আসলে আমি এত পরিমাণ রাগ করেছি যে সামুর কোন ইমোজি তা প্রকাশ করতে অক্ষম। B-) B-) B-)

২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৫৯

বিজন রয় বলেছেন: বিজন দা!! দেখেও না দেখার ভান করছেন। (প্রচন্ড প্রচন্ড প্রচন্ড পরিমাণ রাগের ইমোজি)

........... আপনার এক পরিমান রাগ করার কারণ বুঝতে পারিনি। যদি একটু বলতেন! রাগের মতো তো আমি আপনাকে কিছু বলিনি।

একটু বলবেন?

৩১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৩৭

ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: মন্তব্য করা হয় না। কিন্তু আপনার কবিতা পড়লে মনে হয় আরেহ! এটাতো আমার লেখা হতো যদি পরিপক্ক শব্দভাণ্ডার আমার থাকতো। আপনার কবিতা পড়লে কবিতা লেখার চেস্টার কস্ট থেকে বেচে যাই। বিজন রয় পড়ে নিলেই হলো। মার্ভেলের পর আপনার কবিতা, আমার কাছে। আর তো রইলো জীবনানন্দ।

৩০ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৫৮

বিজন রয় বলেছেন: আহা! কি দারুন উৎসাহব্যঞ্জক মন্তব্য!!

আপনাদের এমন প্রেরণার জন্য খাতা কলম নিয়ে বসতে ইচ্ছে করে খুব, কিন্ত জীবনের ঘানি টানতে টানতে সেটা হয়ে ওঠে না। অবশ্য এটাকে অজুহাত দেওয়া ঠিক না। কারণ অনেকেই যারা অমর কিছু সৃষ্টি করেছেন, তারা সৃষ্টির ক্ষেত্রে কোন বিপদ বা ঝমেলাকে পাত্তাই দেননি।

আমার ব্যাপার হলো আমি সাহিত্য ভালবাসি কিন্ত আমার পেশা সাহিত্য বা শিক্ষকতা নয়। এই জন্য অন্য কাজে আমার সময়টা ব্যয় হয়ে যায়। তারপরে আঝে হঠাৎ হঠাৎ জীবনের উপর দিয়ে ঝড়! মাঝে মাঝে মনে হয় সবসময় যদি সাহিত্য নিয়ে ডুবে থাকতে পারতাম! আফসোস!!

আপনার এই মন্তব্য আর আন্তরিকতা মনে থাকবে।
আসলে আপনাকে আমি ভুলিনি, সেজন্য আপনার নিক নিয়ে জানতে চেয়েছিলাম।

অনেক অনেক ভাল থাকুন. এই শুভকামনা।

৩২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৩৭

নীলসাধু বলেছেন: বাহ। চমৎকার।
বেশ কিছু শব্দ চয়ন অসাধারণ লাগল।

ভালো লাগা রইল।
ভালো থাকুন।

৩০ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:০২

বিজন রয় বলেছেন: নীলদা!
অনেক দিন পর ব্লগে এলেন, এবং এসে আমার কবিতাটি পড়ে প্রশাংসা করলেন। আমার অনেক বড় পাওনা।
বই, সাহিত্য, শিক্ষা, স্কুল ইত্যাদি নিয়ে আপনার কর্মকান্ড চোখ পড়ার মতো। আমার অনেক ভাল লাগে। নতুন বই প্রকাশের জন্য আপনার চেষ্টা অসাধারণ!

অনেক ভাল লাগল আপনার উপস্থিতি।
শুভকামনা।

৩৩| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ ভোর ৫:১৯

হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: আশির দশকে যখন কবিতার ভক্ত ছিলাম তখনকার মত একটি কবিতা পড়লাম।

৩০ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:০৫

বিজন রয় বলেছেন: আশির দশকে কবিতার ভক্ত ছিলেন, আজও নিশ্চয়ই আছেন। তা না হলে আমার এই কবিতা পড়তে আসতেন না। এমনিতেই কবিতা পড়ার মানুষ বিলুপ্তির পথে।

তবে এই কবিতাটি আসলেই কি আশির দশকের কবিতার মতো?

আমার এই কবিতা পড়ার জন্য এবং মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ভাল থাকুন সবসময়।

৩৪| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:০৯

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
কবিতা লেখার শক্তি নেই,
কাব্যের ভাষা আমি জানি না
তবুও ভাবি কবিতা একদিন লিখব

দুঃখের নয়, সুখের
আপনার জন্য, মানুষের জন্য।

ভাল থাকবেন সব সময়।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:২৫

বিজন রয় বলেছেন: আপনি আমাকে মনে রেখেছেন এটাই অনেক বড় ব্যাপার।
কবিতা না হয় পরেই লিখবেন।

তারপর বলুন কেমন ছিলেন, আছেন?


আমি অবশ্য ব্লগি অনিয়মিত।
আশাকরছি নিয়মিত হবো।

দুঃখের নয়, সুখের
আপনার জন্য, মানুষের জন্য।


এমন কবিতার আশায় রইলাম।
শুভকামনা।

৩৫| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৪৯

বাকপ্রবাস বলেছেন: সভ্যতা সভ্য হয়ে না উঠার ব্যাঞ্জনার প্রতি কবির তীব্র আক্ষেপে আমার হাত দেয়ার সাধ্য নেই, মন্তব্য প্রতিমন্তব্যে যে আবহ সৃষ্টি হল সেই সভ্য ব্লগটা নিশ্চয় কবির জন্য অভিপ্রেত আরামদায়ক হয়ে উঠবে। সামু ব্লগে এমন কবিতার ফুল ফুটোক অবিরত।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৩৩

বিজন রয় বলেছেন: মাঝে মাঝে আপনাদের মন্তব্যে আমি হতবাক, হতবিহ্বল, হতমুক হয়ে যাই।
আন্তরিকতা, হৃদ্যতা, অকৃত্রিম ভ্রাতৃবোধ এগুলো এমন সুন্দরভাবে প্রকাশ পায় যে সত্যি মনটা ভরে ওঠে।

কবিতাটি গভীরভাবে পড়েছেন এবং সাথে সাথে অন্য মন্তব্য ও প্রতিমন্তব্যগুলোও পড়েছেন।
আমি খুব করে কৃতজ্ঞ।

সভ্যতার সংকট এখন আরো বহমুখীরূপে প্রকট।
রবীন্দ্রনাথ ৮০ বৎসর বয়সে সভ্যতার সংকট লিখেছিলেন। তখন্র সভ্যতার সংকট ছিল, এখনো আছে, নতুন রূপে, নতুন অবয়বে।

সময়ের অভাবে আর কথ বলতে পারলাম না।
অনেক অনেক ভাল লাগল। আপনি আমার অন্যতম প্রিয় ব্লগার।
শুভকামনা।

৩৬| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৪৫

প্রামানিক বলেছেন: অসাধা্রন কবিতা। বেশ কিছু শব্দ চয়ন এবং শব্দের গাঁথুনির কারণে কবিতাটি অনেক ভাল হয়েছে।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৪০

বিজন রয় বলেছেন: ওহ! প্রামানিকভাই ডিসেম্বরের ৯ তারিখ এখানে মন্তব্য করেছেন আর আমি আজকে দেখলাম। কিভাবে এড়িয়ে গেল বুঝতে পারছি না। কিছু মনে করবেন না এই অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য।

আপনি পড়েছেন এটা অনেক বড় ব্যাপার।
আরো বড় ব্যাপার হলো আপনি ব্লগে নিয়মিত সময় দিতে পারছেন।

অনেক ভাল থাকুন।

৩৭| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:১৫

চন্দ্ররথা রাজশ্রী বলেছেন: একটা শূন্যস্থান ছিল, পূরণ হয়ে গেল।
অনন্য! আর কিছু বলার নেই।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৫০

বিজন রয় বলেছেন: আপনাকে ব্লগে পেয়ে ভাল লাগছে। এটার কৃতিত্ব আপনার।

আপনি হয়তো কবিতা অনেক ভালবাসেন, এজন্য কবিতার ভিতরে প্রবেশ করতে পারেন।
কোনো কবির জন্মদিনে হৃদয়ের অভিলাষ সুন্দরে নিপতিত হোক এটাই তো সবসময় চাওয়া,
কিন্তু দস্যুরা ওত পেতে থাকে।

একজন প্রেমিকা নিজেকে কবির কাব্যালয়ে কিভাবে, কোন রূপে সংজ্ঞায়িত করতে চায় বলুন তো!
যে সংজ্ঞার প্রাপ্তিতে প্রেমিকার শূন্যস্থান প্যরণ হতে পারে?

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভকামনা রইল।

৩৮| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:১৫

চন্দ্ররথা রাজশ্রী বলেছেন: এই যে এতদিন পর আবার আগের মত ব্লগকে প্রাণবন্ত করে তুলছেন, অণুপ্রেরণা যুগিয়ে যাচ্ছেন, এটাই আমার পরম প্রাপ্তি।

কবিতা বুঝি কিনা তা ঠিক বুঝি না, কেবল বোঝার চেষ্টা করি নিজের মত করে। যে অর্থ দাঁড় করালে কবিতা সুন্দর হিসেবে ধরা দেয়, তাকেই অর্থ হিসেবে ধরে নেই।

এবার আসি মূল প্রশ্নে।
আমার মনে হয়, একজন প্রেমিকা খুব সাধারণ। সে সবার আগে নিজেকে প্রেমিকা হিসেবেই দেখতে চায়, সে কবির হোক বা অন্য কারো। তাই স্বভাবতই সে চায় ফুল-পাতায়, প্রজাপতির ডানায় প্রেমিকার কথা স্পষ্ট করে লিখুক কবি, বিদ্রোহেও প্রেমিকার হাতে মশাল দেখার ইচ্ছা প্রকাশ পাক, সে কবিতায়ও চায় "অনামিকার সূর্যযাত্রা"র প্রতিফলন দেখতে। কিন্তু এটা তার সর্বোচ্চ চাওয়া।
প্রেমিকা আসলে কবির কাব্যালয়ে যেকোন রূপে নিজের অস্তিস্ত খুঁজে বেরোয়, সেটা প্রেমভাবে হোক, বিরহভাবে হোক বা বিচ্ছেদভাবে। প্রেমিকা কবির কটাক্ষেও থাকতে রাজি, এমনকি শূন্যস্থান হিসেবেও সংজ্ঞায়িত হতে আপত্তি নেই, শুধু থাকাটা চাই।

শ্রদ্ধা এবং কৃতজ্ঞতা জানবেন।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৩২

বিজন রয় বলেছেন: আপনার এই মন্তব্যটি সেদিন প্রথম দেখে অনেক সময় নিয়ে পড়লাম। তারপর ভাবলাম তাড়াহুড়া না করে সময় নিয়ে উত্তর করবো। সে কথা আপনার ওখানে যেয়ে বলেও এসেছি। কিন্তু আসলেই অনেক দেরি হয়ে গেল। কিছুতেই সময় মিলছিল না। এর ভিতর দিয়ে আবার কবিতা সংকল পোস্ট দিলাম, আরো কত কি!

আশা করি কছু মনে করেননি।

আপনার মন্তব্যটি একদম টিক মতো হয়েছে। আমি নিজে এটার উত্তর খুঁজছিলাম আপনার মতো একুরেট করে ভাবতে পারিনি। আসলে একজন নিজে যা, সে সেটা ততটাই উপযুক্তভাবে উপলব্ধি করতে পারে। কবিতাটি আমি লিখেছি ঠিক কিন্তু আমি ঠিক জায়গা মতো পৌঁছাতে পারছিলাম না। আপনার মন্তব্য পড়ে আমি সেটা খুঁজে পেয়েছি। আমি এখন তৃপ্ত ও স্থির।

একজন প্রেমিকা নিজে কি উপলব্ধি করে, কি আকাঙ্ক্ষা করে, নিজেকে কিভাবে, কোথায় দেখতে চায় আপনার মন্তব্যের মাধ্যমে খুব সুন্দরভাবে বোঝাতে পেরেছেন। একজন প্রেমিকা কবির বা তার প্রেমিকের কাছে সব কিছু চায়, সবভাবে তার কাছে নিজেকে সমর্পণ করতে চায় গ্রহণে কিংবা প্রত্যাঘাতে। কিন্তু আসলেই যখন প্রত্যাঘাতটি আসে তখনই অনামিকাদের সূর্যযাত্রা শুরু হয়ে যায়। তারা আগুনে পুড়তে থাকে। কিন্তু কবি বা প্রেমিকা কেন ভোগ বিলাসী হয়ে ওঠে? আমি কবিতায় এটাও দেখাতে চেয়েছি, আশাকরি সেটা কবিতা পড়েই বুঝতে পেরেছেন।

আমার অনেক আগেই মনে হয়েছিল আপনি কবিতার একজন একনিষ্ঠ ভক্ত। আপনি সেদিন আমার একটি প্রশ্নের উত্তরে সেরকমই জবাব দিয়েছেন। আগে আমার কবিতা নিয়ে অনেকে অনেক আলোচনাই করেতেন, এখন তারা আর ব্লগে আসেন না। তাই কবিতা নিয়ে আলোচনা করার মানুষ ব্লগে আজকাল হাতে গোনা কয়েকজন আছেন। আপনি আবার ব্লগে সময় দিচ্ছেন সেটা আমার ভাল লাগছে। আশা করি এটা যতটুকু সম্ভব অব্যাহত রাখবেন।

আশাকরি কবিতা নিয়ে আপনার সাথে আরো কথা হবে।
অনেক সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

শুভকামনা রইল।

৩৯| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:১৩

সোনালি কাবিন বলেছেন: কী গতিময় কবিতা ! ভারি সুন্দর।

অঃ টঃ আমার পোস্টে আপনার একটা মন্তব্যের উত্তর স্কিপ করে গেলাম।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৩৩

বিজন রয় বলেছেন: কবিতা পড়ার জন্য ধন্যবাদ সোনালি কাবিন।

কেন স্কিপ করলেন কেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.