নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিমল চাকমা

ওমা একি কান্ড! দেখ দেখি !

বিমল চাকমা › বিস্তারিত পোস্টঃ

রবি ঠাকুর আর আমার মোবাইল খোয়ানো

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩২

আজ থেকে পেছনের মাস ছ’য়ের মধ্যে আমার পাক্কা দুটো মোবাইল খোয়া গেছে। একই রাস্তায় একই ধরনের বাহনে চোর মহোদয়রা বড় নির্দয় চিত্তে অত্যন্ত দক্ষতার সহিত আমার অবচেতন মনকে কাজে লাগিয়ে এই মহৎ কর্মটি সম্পন করেছে। এই পাক্কা চোররা যে চৌর্যবৃত্তিতে অত্যন্ত দক্ষ ও যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত তাতে ন্যূনতম সন্দেহ নেই। একই সাথে এই প্রকারের চৌর্যবৃত্তিই যে তাদের পেশা ও নেশা তাতেও কারো ভ্রম হবার কথা না।

আমাদের উপমহাদেশে চৌর্যবৃত্তিকে শিল্পে রুপ দানের জন্য চোর ভাইয়েরা অনেক খাটা-খাটনি করে। নব নব কলা-কৌশল, পদ্ধতি উদ্ভাবন ও তার সুনিপূণ ব্যবহারের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত তার যথার্থ স্বাক্ষর রেখে যাচ্ছে তারা। দুই তিন জন বা তার অধিক সংঘ বদ্ধ হয়ে দেশীয় অনেক চক্র ঢাকা শহরের ব্যস্ততম বিভিন্ন এলাকায় নয়া নয়া কৌশল প্রয়োগ করে বিভিন্ন যান-বাহনে ছুটতে থাকা মানুষের মোবাইল, মানিব্যাগ ও অন্যান্য জিনিস হাতিয়ে নিয়ে অবৈধ মালিক বনে যায় ।

যাই হোক, আজকের মোবাইল চুরি যাওয়ার পেছনে বাংলা সাহিত্যের চূড়ার সবচেয়ে উপরের আসনটিতে ‍যিনি বসে আছেন, সেই মহাপুরুষের দায় আছে বটে। সেই মহাপুরুষটি আসলে কে? তিনি আর কেউ নন, রবি ঠাকুর। কেন রবি ঠাকুর আমার মোবাইল চুরি যাওয়ার পেছনে নেপথ্যের কারিগর তা ছোট্ট বর্ণনায় লিখছি। রবীন্দ্র নাথ সাহিত্যর প্রায় প্রতিটি শাখায় লিখে গেছেন। সে সমস্ত শাখার মধ্যে প্রবন্ধ একটি। তিনি অসংখ্য অতি সন্দুর সন্দুর প্রবন্ধ লিখেছেন। তন্মধ্যে “সফলতার সদুপায়” তার রচিত সুন্দর একটি প্রবন্ধ। তিনি এ প্রবন্ধের শুরুতেই লেখেন..
“ভারতবর্ষে একচ্ছত্র ইংরেজ-রাজত্বের প্রধান কল্যাণই এই যে, তাহা ভারতবর্ষের নানা জাতিকে এক করিয়া তুলিতেছে। ইংরেজ ইচ্ছা না করিলেও এই ঐক্যসাধন-প্রক্রিয়া আপনা-আপনি কাজ করিতে থাকিবে। নদী যদি মনেও করে যে, সে দেশকে বিভক্ত করিবে, তবু সে এক দেশের সহিত আর-এক দেশের যোগসাধন করিয়া দেয়, বাণিজ্য বহন করে, তীরে তীরে হাট-বাজারের সৃষ্টি করে, যাতায়াতের পথ উন্মুক্ত না করিয়া থাকিতে পারে না। ঐক্যহীন দেশে এক বিদেশী রাজার শাসনও সেইরূপ যোগের বন্ধন।”

রবি ঠাকুরের সমস্ত সৃষ্টির সিকি ভাগ যা পড়েছি তার অনেক কিছুই আমাকে ভাবাতে বাধ্য করে। যখনি তার কোন লেখা পড়ি, আমি ভাবতে থাকি, হারিয়ে যায় ভাবনার অতলে, চেতনাহীন মূর্তির রুপে নিজেকে আবিষ্কার করি ক্ষণে ক্ষণে। তদ্রুপ উপরের প্রদত্ত লাইনগুলোও আমাকে সেই ভাবনার আবহে রেখেছিল। প্রবন্ধটির উপরের কয়েক লাইন পড়া শেষে মোবাইলটি পকেটে রেখে চিন্তার সাগরে ডুব দিই, চেতনাহীন হয়ে ঘুরতে থাকি ভাবনার জগতে। আর সম্ভবত এই সুযোগেই চোর সাহেব আমার বৈধ শ্রমের অর্থে কেনা মোবাইটির অবৈধ মালিক হয়ে যায়।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:২৪

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: আহা !
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.