| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
MD Habibur Rahman
হাই, আমি হাবিব। আমি একজন ইঞ্জিনিয়ারিং এর ছাত্র। আপনাকে আমার ব্লগ এ স্বাগতম।
আজ থেকে শুরু বন্ধুরা।
ধারাবাহিক উপন্যাস- "ভালবাসার জন্য অপেক্ষা" (পর্ব ১)
ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে ছেড়ে অাসা আল আরাফাহ বাসটি কুমিল্লা বিশ্ব রোড পার হয়ে এসেছে। বাসটির গন্তব্য স্থল লক্ষীপুর জেলার রামগঞ্জ থানা। বাসটির B1 সিটে বসে আছে শামীম। B2 সিটটিতে বসে আছেন এক বৃদ্ধ মহিলা। শামীম তার হাত ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে রাত বাঁজে ৩টা। এই বাসটি রাত সাড়ে ৮টা নাগাত রামগঞ্জে চলে যাওয়ার কথা। কিন্তু কুমিল্লার চাঁন্দিনাতে অনেক জ্যামে পড়তে হয়েছে। বাসের সমস্ত লাইটস গুলো অফ করা। সবাই গভীর নিদ্রায় আচ্ছন্ন। শামীম ভাবছে সে হয়তো একাই জাগ্রত। সে ঘুমাতে পারছে না। সে আজ প্রায় ৬ বছর পর বাড়ি ফিরছে। ৬ বছর আগে সে গ্রাম ছেড়ে ঢাকা এসেছে। তার বাবা মার সাথে তার নিয়মিত বিরতিতে যোগাযোগ হত।তার বাবা মা তাকে গ্রামে যাওয়ার জন্য অনেক বার বলেছে কিন্তু সে যায়নি। এর অবশ্য যুক্তি সংগত কারণ ও রয়েছে। যেই শামীম কখনো নিজের বাড়ি ছেড়ে কারও বাড়িতে গিয়ে এক রাতও থাকতে পারেনি, সেই শামীম আজ ৬ বছর পর বাড়ি ফিরছে। সে তখন এস এস সি পরীক্ষার্থী। তার এস এস সি পরীক্ষা চলছে। সেদিন বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষা ছিল। ১০ মিনিট আগে পরীক্ষা শেষ করে সে পরীক্ষার হল থেকে বের হয়ে কেন্দ্রের সামনে তার বন্ধুদের জন্য অপেক্ষা করছে। হঠাৎ তার সামনে দিয়ে একটি মেয়ে তাকে অতিক্রম করল।অসম্ভব সুন্দরী মেয়েটিকে দেখে তার তখনই ভালো লেগে যায়। মেয়েটি তার চোখের আড়াল হওয়ার আগ পর্যন্ত সে মেয়েটির দিকে তাকিয়েই ছিল। রিক্সার হর্ণে সে সম্মতি ফিরে পেল। বাড়ি ফিরে সে সারাদিন সেই মেয়েটির কথাই চিন্তা করছে। শত চেষ্টা করে ও সে মাথা থেকে মেয়েটির চিন্তা ঝেঁড়ে ফেলতে পারছে না। পরবর্তী পরীক্ষায় ও সে মেয়েটিকে দেখার লোভে ২০ মিনিট আগে পরীক্ষা শেষ করে বাহিরে এসে দাঁড়িয়ে থাকলো। এভাবে বেশ কয়েকটি পরীক্ষা শেষ হয়ে গেল কিন্তু সে মেয়েটির দেখা আর পেল না। শেষ পরীক্ষার দিন, পরীক্ষার আগ মুহূর্তে সে মেয়েটিকে একটি দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখল। আজ সে মনস্থির করেছে যে কোন উপায়ে কথা বলতেই হবে। সে দোকানটির দিকে এগিয়ে গেল, হঠাৎ মেয়েটি তার পাশে থাকা ছেলেটিকে ভাইয়া বলে ডাক দিল। শামীম আর সামনে যাওয়ার সাহস পেল না। পরীক্ষা শেষে সে আর মেয়েটিকে দেখতে পেল না কিন্তু মেয়েটির ইউনিফর্ম এর সাথে মিলিয়ে অন্য একটি মেয়ের কাছ থেকে তাদের স্কুলের নামটি জেনে নিল।বাসায় ফিরল সে, কিন্তু মেয়েটিকে কিছুতেই ভুলতে পারছে না।
বার বার সে চিন্তা করছে, কিভাবে মেয়েটির সাথে যোগাযোগ করা যায়। কিন্তু সে তো মেয়েটির নাম ও জানে না খুঁজে বের করবে কিভাবে ? পরীক্ষার শেষের অবসর সময়গুলো তার তিক্ততায় কাটতে লাগল। মেয়েটিকে খুঁজে দেয়ার ব্যাপারে সে তার বন্ধুদের কাছে সাহায্য চাইল। বন্ধুরা অনেক খোঁজ খরব নিয়ে স্কুলটা খুঁজে বের করল এবং তারিখ নির্ধারণ করল ওরা শামীম সহ চার পাঁচ জন মিলে মেয়েটির খোঁজে মেয়েটির স্কুলে যাবে।
চলবে........
©somewhere in net ltd.