নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগার মুসাফির

ব্লগার মুসাফির › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবনের গল্প

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৮:৪২

সাদিক S.S.Cপরীক্ষায়
গোল্ডেন এ+
পেয়ে একটি কলেজে
ভর্তি হলো। সে
কলেজের
প্রথম দিনে ক্লাসের ফার্স্ট
বেঞ্চে বসলো।
তার
পাশেই বসে ছিলো
রাহাত।
সাদিক রাহাতের
পাশে বসায় রাহাত
বিরক্ত
প্রকাশ করলো।
এবং তার পাশ
থেকে উঠে যেতে বলল।
কারন, সাদিকের
পোশাক
নোংরা ছিলো। সাদিক
একই পোশাক চার বছর
যাবত পরিধান
করে আসছে। কারন,
সে দরিদ্র
পরিবারের সন্তান।
দিন আনে দিন খায়।
তারপর, সাদিক মনে
অনেক
কষ্ট- ব্যাথা নিয়ে সেই বেঞ্চ
থেকে উঠে পিছনের
বেঞ্চে গিয়ে বসলো।
চোখের কোনায় তার
পানি জমে আছে।
কষ্টে তার
বুকটা ফেটে যাচ্ছে।
এইভাবে অনেকবার সে
রাহাতের
কাছে অপমানিত
হয়েছে কিন্তু
কিছুই বলেনি।
শুধুমাত্র কষ্টকে
নিজের
হূদয়ে লুকিয়ে রেখেছে।এছাড়াও ক্লাসের
অন্যান্যরাও ওকে পাত্তা দিত না ,
টিচাররা অবহেলা করতো ।
প্রায় ১০ বছর
পর,
রাহাত আর সাদিকের
একটি অফিসে দেখা
হয়।
রাহাত সাদিককে দেখে
বললো,
দেখছিস
আমি আমার এক
মামার
সুপারিশে এখানে জব
পেয়েছি। এই অফিসের এমডির
এসিসট্যান্ট আমি।
রাহাতের
কথা শুনে সাদিক
মুসকি হাসি দিয়ে চলে
গেলো।
রাহাত এমডির কেবিনে
সালাম
দিয়ে ঢুকলো।
বসকে দেখে এক
মূহুর্তের জন্য
সে থমকে গেলো।
কারন বস ছিলো সেই
ছেড়া জামা পড়া
সাদিক।
রাহাত কিছুই
বলতে পারছে না।
হা করে তাকিয়ে
আছে।
তারপর সাদিক বললো,
"কিরে দোস্ত
আমারে চিনছোত..
আমি সেই
ছ্যাড়া জামা পড়া
সাদিক..
আজ আমি এই
অবস্থানে এসেছি
মামা-খালুর
সুপারিশ
ছাড়াই।
আজ তুই
আমার
চেয়ারে বসতে পারিস,
আমি কিছু মনে করবো
না।
কারন,
আমি বন্ধুত্বকে
পোশাক
দিয়ে বিচার করি না।
@FRIEND@
সুতরাং আসুন সাদিকের মতো হওয়ার
চেস্টা করি ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৮:৫১

অব্যক্ত স্লোগান বলেছেন: গল্পের প্লট টা বহুল পরিচিত।
ধন্যবাদ!

২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৮

ব্লগার মুসাফির বলেছেন: হুম ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.