নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার মুক্তি আমার আলোয় এই আকাশে আমার মুক্তি ধুলোয় ধুলোয় ঘাসে ঘাসে

বন্ধু শুভ

আনকোরা যত নন্ভায়োলেন্ট নন্-কো’র দলও নন্ খুশী। ‘ভায়োরেন্সের ভায়োলিন্’ নাকি আমি, বিপ্লবী-মন তুষি! গোঁড়া-রাম ভাবে নাস্তিক আমি, পাতি-রাম ভাবে কন্ফুসি! স্বরাজীরা ভাবে নারাজী,নারাজীরা ভাবে তাহাদের আঙ্কুশি! © কাজী নজরুল ইসলাম

বন্ধু শুভ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিয়ত প্রতিনিয়ত সংঘাত : আমাদের মনোবৃত্তি

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৪৬



শিশুর জন্ম হওয়া থেকে এই সংঘাত শুুরু হয় কি-না তা হয়তো খালি চোখে বুঝা যায় না, তবে মায়ের পেটে আরামে থাকার পর হঠাৎ করে এই পৃথিবীর আলো তার চোখে বিজলী খেলে যায়, ফলতঃ দুনিয়ার তীব্র আলোর সাথে শুরু হয় সংঘাত ; সেই থেকে শুরু। শিশুর জন্মক্ষণে কান্নার আরো একটি কারণ থাকতে পারে। সে হলো— মায়ের পেটের আরামদায়ক অবস্থা থেকে বের হয়ে হঠাৎ ঠান্ডা অনুভব করা। কারণ যাই হোক পৃথিবীতে আসা মাত্রই একজন মানুষের যে সংঘাত শুরু হয় তা শেষ হবার নয়। বস্তুত মৃত্যুর মধ্য দিয়েই এর পরিসমাপ্তি। জন্ম থেকে শিশুকাল এই সময়েও সংঘাত চলে। খেতে না চাওয়া, খেলনা পছন্দ না হওয়া, নিদেনপক্ষে একজনের কোলে যাওয়ার সাথে অন্যজনের কোল পছন্দ না হওয়া এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে অপছন্দের মানুষের কোলে না যাওয়া অথবা জোর প্রয়োগে কোলে তুলে নিলে সজোরে চিৎকার করা ইত্যাদি তার বহিঃপ্রকাশ। বিষয়টি খুব হালকা মনে হতে পারে। কিন্তু গভীর মনসংযোগ করলে দেখা যাবে এগুলো আসলে হালকা বিষয় নয়, বরং মানুষের সমগ্র জীবনের একটি সূচিপত্র মাত্র। যে শিশুটা মেজাজী সে শিশুর বাচ্চা কালেই তা প্রকাশ পায়। মূলত বাল্যকালের, যৌবনকালের কিংবা যৌবন— পরবর্তী কালের তার মানবিক সামাজিক রাষ্ট্রীয় আচরণ শিশুকালের আচরণে প্রকাশ পায়।

শিশুকাল শেষ হলে মানুষ কিছুটা সচেতন ও আত্মমর্যাদা বোধসম্পন্ন হয়। তখন পরিবারের কেউ তাকে কিছু বললে তার রাগ হয়, অভিমান হয়, সে গাল ফুলিয়ে ফুঁপিয়ে উঠতে শিখে, রাগ করা কোন কিছু গ্রহণ বা বর্জন করার সিদ্ধান্ত নিতে পারে এবং নেয়। মূলত এই পর্যায়ে সংঘাতের প্রাতিষ্ঠানিক সূত্রপাত হয়। আগের মতো কারো কোল পছন্দ হওয়া বা না-হওয়ার পরিসর এটা না। বরং স্কুল পছন্দ না হওয়া, খেলার সাথী পছন্দ হওয়া বা না-হওয়া, পরিবার কর্তৃক তার জন্য গৃহীত কোন পদক্ষেপ তার পছন্দ না হওয়া ইত্যাদি বিষয়গুলো এক্ষেত্রেে হতে পারে। পদক্ষেপ নেয়া বলতে হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করার মতো পরিবার থেকে বিচ্যুত হওয়া কিংবা কোন আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া বা না-যাওয়া এরকম ছোট বিষয়ও হতে পারে। এই ধরনের বিষয়গুলোতে সংঘাতের ব্যাপারটা প্রথমদিকে অল্পস্বল্প ঘটে, বা ঘটেই না। কিন্তু তার বাল্যকালের সময়সীমা যতটা পূর্ণতা পাবে তথা বয়স যত বাড়বে ততই তার প্রতিক্রিয়া বা প্রতিবাদ বাড়বে। এই সংঘাতের মধ্য দিয়েই জীবন অতিবাহিত হতে থাকবে। বাল্যকালের যে সংঘাত তা শুধু পরিবারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না। বরং এই সংঘাতের বড় একটা অংশ সংঘটিত হয় তার খেলার সাথী বা স্কুলের বন্ধুদের সাথে। সেটা হতে পারে স্কুলের পরিবেশে কিংবা খেলার মাঠে। যেখানেই ঘটুক না কেন এই সংঘাত মোকাবেলা করে এবং তার মেজাজ-মর্জি মোতাবেক প্রতিক্রিয়া দেখিতে জীবনের আরেকটা পর্যায়ের ইতি ঘটে।

বাল্যকাল শেষ হতেই মানুষ যৌবনে পা দেয়। বাল্যকালের সাথে কৈশরের পার্থক্য অনেকে চিকন রেখায় টানেন বটে মানুষের সংঘাতময় মনোবৃত্তি কিংবা তার প্রতিক্রিয়ায় এই দুইয়ে কোনই বিভেদ নেই। বয়সের এই সীমারেখা পেরিয়ে যৌবনে পা দিলে জীবনের সংঘাত ও সংকট দুই-ই বৃদ্ধি পায়। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, "যৌবনে বাঙালি সন্তান হয় কবিতা লিখবে নাহয় রাজনীতি করবে"। কবিগুরু হয়তো কবিতা বলতে প্রেম ও কাব্যচর্চা এই দুই এবং রাজনীতি বলতে প্রচলিত রাজনীতি এবং সামাজিক অসাম্যের বিরুদ্ধে কথা বলাকে বুঝিয়েছেন। তিনি যাই বুঝিয়ে থাকেন না কেন যৌবনের প্রতিটি পদক্ষেপেই সংঘাত তৈরি হয়। প্রেমের সংকট প্রেমিকমাত্রই স্বীকার করেন। প্রেমিকারাও কম বিধ্বস্ত-বিপন্ন নয়। সময়-সংকট, অর্থ-সংকট, সত্য-সংকট, ধৈর্য-সংকট ইত্যাদি— নানাবিধ কারণে জীবন হয়ে পড়ে সংঘাতময়। আবার কাব্যচর্চায় সংঘাত কম নয়। তবে তাদের সংঘাত বিস্তর বিশ্লেষণ না করে একটা কথা বলা যায়, হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের শত্রু কিন্তু অ্যালোপ্যাথিক ডাক্তার। সুতরাং সংঘাত শেষ হবার নয়। রাজনীতিতে হোক আর সামাজিক ন্যায্যতা বা অ-ন্যায্যতার প্রশ্নে হোক— যে সংঘাত সৃষ্টি হয় তা দীর্ঘমেয়াদী এবং টেকসই। উন্নয়নের বেলায়-ই শুধু টেকসই ভাব দেখা যায় না, পৃথিবীর আছে শতবর্ষ ব্যাপিয়া যুদ্ধের ইতিহাস।

রাস্তায় বের হলে যাবতীয় অন্যায় দেখে অন্যের সাথে সংঘাত হয়। কলার খোসা রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে ভেতরে জিদ হয় ঠিক, তবে নিজে একই কাজ করে কি-না সেই প্রশ্ন ভিন্ন। রিক্সাচালক পাঁচ/দশ টাকা বেশি ভাড়া চাইলে শুরু হয় প্রাথমিক বাকবিতণ্ডা, শেষতক সংঘাত। পুলিশ রাস্তার মোড়ে ট্রাফিক সিগন্যাল নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি দু'হাতে উৎকোচ নেয়ার বিপরীতে কিছু চালককে বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে। এটা দেখে প্রতিবাদী যুবক বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছে, শেষে সংঘাতে পরিণত হচ্ছে। অফিসে গিয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তার গৃহীত নীতি, পদক্ষেপ, সিদ্ধান্ত কিংবা মতামতের বিরুদ্ধে কথা বলায় তৈরি হচ্ছে সংঘাত। বিপরীত ব্যাপারও আছে। নিজের কোন সিদ্ধান্ত, মতামত, নীতি বা পদক্ষেপের সাথে অধস্তন কর্মকর্তা একমত না হওয়ায় একই ঘটনা— সংঘাত। পারিবারিক জীবনে সংঘাত হয় বেশি। কৈশরে সংঘাত নামক বিষয়টা পারিবারিক গন্ডিতে ঘটতো বেশি-সময়। পরিণত বয়সে আরো 'বেশি রকম' সংঘাত ঘটে। এই বয়সে বেশি ঘটার কারণ হচ্ছে সম্পৃক্ততা। প্রাথমিক পর্যায়ে নিজ পরিবারের লোকদের সাথে নানা বিষয়ে সংঘাত ঘটে। কিছুকাল পর বিয়ে হলে পরে সংঘাতের কারণ বৃদ্ধি পায়। স্বামী-স্ত্রীতে কিছুমাত্র সংঘাত হবে না— তা হবে কেন? এসব যুদ্ধের মধ্যেই যখন বাবা-মা হয়ে যাওয়া হয় তখন ছেলেমেয়ের বড় হওয়ার সাথে সাথে বাড়ে সংঘাত। নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া সংঘাতগুলো ফিরে আসে নিচ থেকে। সেই স্কুল পছন্দ না হওয়া থেকে বিবাহ অবদি চলে সংঘাত। সেই সংঘাতে হাপিয়ে উঠতে উঠতেই চামড়ায় ভাঁজ পড়ে। চোখের আলো কমে আসে। হাতে লাঠি হয় সঙ্গী। আর যথারীতি চোখের বন্ধু হয় চশমা!

বৃদ্ধাবস্থায় সংঘাত কম হয়— এমনটা নয়। বিশ্লেষণ করলে হয়তো রকমফের হবে তথাপি সময়টা জঞ্জালমুক্ত নয়। এসময়ে পরিবারের নানা বিষয়ে তাদের মতপার্থক্য দেখা দেয়। যদি বার্ধক্যেও কেউ নিজেকে অপরিহার্য করে রাখতে পারে, সেক্ষেত্রে। যদি নিজের স্থান হারিয়ে কেউ কেবল অবস্থান করে সেক্ষেত্রে মনকষ্টকে পুঁজি করে বেঁচে থাকা ছাড়া গত্যন্তর নেই। একজন মানুষ তার বার্ধক্যে এসে সংঘাতে জড়ানোর কিছু যৌক্তিক কারণ আছে। প্রথম কারণ হচ্ছে তারা তাদের ফেলে আসা ছেলেবেলার কালচার এবং বার্ধক্যাবস্থায় তাদের নাতি-নাতনিদের কালচারের মধ্যে পার্থক্য। সময়ের সাথে সাথে হওয়া বিবর্তনটা হঠাৎ করে নিজের ঘরে দেখতে পেয়ে তিনি তিন প্রজন্ম ছোটদের সংস্কারবিহীন সংস্কৃতিবিহীন ইত্যাদি— মনে করেন। লাগাম ধরতে গেলেই সংঘাত। বার্ধক্যের হাতে নিজেকে সপে দেয়া ব্যক্তিটি তার পরের প্রজন্মগুলোর সাথে এই ধরণের সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। তার সাথে এদের সম্পর্ক ধরে বললে দ্বিতীয় তৃতীয় চতুর্থ কারণ বের হবে। এছাড়াও বার্ধক্যে এসে সমাজনীতি রাজনীতি রাষ্ট্রনীতি অর্থনীতি বৈদেশিক কূটনীতি ইত্যাদির বিশ্লেষণে তিনি দক্ষ হয়ে উঠেন। দেশ ও দশের কথা চিন্তা করে তিনি দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের সমালোচনা করেন দেদারসে। তিনি তখন একা না। মহলার যাবতীয় মুরুব্বিগণ করেন। সব বুড়ো গণতন্ত্রী হবেন কেন? কিছু তো নকশালপন্থীও থাকে। ফলে সংঘাত শুরু হয়। ভালোর কথা চিন্তা করে কেউ আবার কট্টর বামপন্থি রাজনীতি ছেড়ে কট্টর দক্ষিণপন্থা অবলম্বন করে। সুতরাং এতবড় ত্যাগ যারা করতে পারে তারা সমালোচনাও করতে পারে কড়া। এই সংঘাতের ঘাত প্রতিঘাতে জীবন একদিন উত্তীর্ণ হয়। সূর্য ডুবে যায়। রক্তপ্রবাহ থেমে যায়। আবার কোন এক শিশুর জন্ম হয়। জন্ম হয় কোন পৃথিবী-সন্তানের। জন্মক্ষণে শুর হয় চিৎকার, শুরু হয় সংঘাতের। সংঘাত ঠান্ডার বিরুদ্ধে, সংঘাত তীব্র আলোর বিরুদ্ধে। সংঘাত শুরু হয় পৃথিবীর বিরুদ্ধে..........



এখন হয়তো দুইটা প্রশ্ন সামনে আসবে।
এক. মানুষের জীবন কি শুধুই সংঘাতময়?
দুই. এসব সংঘাত আমাদের বিশেষ কোন ক্ষতি করছে কি?
প্রথম প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে— "না। মানুষের জীবন শুধুই সংঘাতময় নয়।" মানুষ তার জন্মলগ্ন থেকেই সুসভ্য সামাজিক পরিবেশে বসবাস করছে। মানুষের মায়াময় সাহচর্য পেয়ে বেড়ে ওঠে। যৌবনে ভালোবাসা প্রাপ্ত হয়। গড়ে ওঠে সুখের সংসার। নিকটাত্মীয়দের নিয়ে অনাবিল শান্তিতে বসবাস করে। বার্ধক্যে সারাজীবনের আয়রোজগার থেকে খেয়েপরে সন্তানসন্ততিদের সেবা-সাহচর্য-ভালোবাসায় বাকিটা জীবন কাটিয়ে দেয়। এই বক্তব্য থেকেও প্রশ্নটা পুনরুক্ত হতে পারে। একটি কথা মনে রাখা জরুরি যে মনোবিজ্ঞান যখন একটি সুনির্দিষ্ট সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে তখন তার স্বরূপ ব্যাখ্যা করার জন্যই শুধু একটি নির্দিষ্ট পরিসরের মধ্যে আলোচনা করে। তেঁতুলের টক নিয়ে আলোচনা করার সময় মনোবিজ্ঞান শুধু তেঁতুল নিয়ে কথা বলে কাঁঠালের স্বাদকে অস্বীকার করে না। মানব জীবনের যাবতীয় শান্তির মধ্যেও কিছু অশান্তি বা অপ্রত্যাশিত বিষয় আছে সেটাই হচ্ছে নিয়ত সংঘাত প্রতিনিয়ত সংঘাত। এই বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের মনোবৃত্তি বুঝা-ই এই বক্তব্যের লক্ষ্য।

দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে— "হ্যাঁ। আমাদের ক্ষতি করে।" ক্ষতি করে তার প্রমাণ হচ্ছে, আজকে যে অসঙ্গতি দেখে সে মেনে নিতে পারছে না এবং প্রতিবাদমুখর হয়ে সংঘাতে জড়াচ্ছে সরই অসঙ্গতিগুলো কিন্তু একসময়ের সংঘাত। স্বাভাবিকতা না থাকায় সবাই শেষ পর্যন্ত 'ভালো'টা ধরে পড়ে থাকতে পারে না। এক পর্যায়ে এসে অস্বাভাবিকতাকে স্বাভাবিক মনে করে সেও হয় বিপথগামী। এছাড়াও আমাদের সমাজে যাবতীয় অন্যায়গুলো কিন্তু নামকাওয়াস্তে ঘটছে না। একটা উদাহরণ দেয়া যাক। ধরুণ একজন ব্যক্তি ফেসবুকে পোস্ট বা শেয়ার করা হয়েছে এমন দশটি সংবাদের মধ্যে আটটি নেতিবাচক খবর দেখতে পেল। তখন তার মন খারাপ হবে, মেজাজ খিটখিটে হবে। এরকমভাবে যখন সে আরো কিছু সংঘাতযোগ্য পরিস্থিতির মুখোমুখি হবে তখন সে নিজেই বিরাট সংঘাতের জন্ম দিতে পারে। তখন এই পরিস্থিতিটা সমাজ তথা রাষ্ট্রের জন্য খুবই চিন্তার, উদ্বিগ্নের এবং ক্ষতির। মনে রাখা জরুরি সংঘাত বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক হয়। একপাক্ষিক সংঘাত খুব কম সংখ্যক হয়ে থাকে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: মানুষের জীবনটাই তো এরকম সংঘাতময়।
জন্মের পর থেকেই ৃত্যু পর্যন্ত।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:৪২

বন্ধু শুভ বলেছেন: ঠিক বলেছেন।

২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:২৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: এইতো জীবন, যেন এক প্রচণ্ড ঢেউয়ের ভিতর পাল তোলা নৌকা।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:৪৩

বন্ধু শুভ বলেছেন: এইতো জীবন। এইতো জীবন। দীর্ঘশ্বাস....

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.