নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যে কোন মূর্খের পক্ষেই সমালোচনা, নিন্দা বা অভিযোগ জানানো সহজ কাজ- বেশিরভাগ মূর্খই তাই করে। কিন্তু অপরকে বুঝতে পারা আর ক্ষমাশীলতা পেতে গেলে দরকার চারিত্রিক দৃঢ়তা আর আত্ম-সংযম।কোন মহান মানুষের মহত্বের প্রকাশ ঘটে তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করেন ত

নীলা(Nila)

নিজের মনে যা ঠিক বলে মনে হয় তাই করি-কারণ আমার সমালোচনা করা হবেই।কাজ করলেও লোকে আমার সমালোচনা করবে-আবার না করলেও তাই।

নীলা(Nila) › বিস্তারিত পোস্টঃ

সৌভাগ্যবান ব্যক্তি সে যে অহংকার করে না

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:০৪

অহংকার এমন একটি কবিরা গুনাহ, যা মানুষকে ধ্বংস করে দেয় এবং একজন মানুষের দুনিয়ায় জীবন নষ্টের পাশাপাশি পারলৌকিক জীবনে কঠিন ও ভয়ানক শাস্তির মুখোমুখি করে তোলে।অহংকার অভিশপ্ত শয়তানের চরিত্রের প্রতিবিম্ব মাত্র। আর শয়তান মহান আল্লাহর অভিশম্পাতের তালিকায় সর্বাগ্রে। যারা অহংকারী চরিত্র তথা শয়তানের স্বভাব ধারণ করেছে পরকালীন জীবনে মহান আল্লাহর শাস্তি থেকে পরিত্রাণ লাভের কোনো সুযোগ নেই। তাছাড়া ব্যক্তি যেন জেনে নেয় যে,সে শয়তানের চরিত্র গ্রহণ করেছে। সে সম্মানিত ফেরেশতার চরিত্র গ্রহণ করেনি।সর্বপ্রথম আল্লাহ ও তাঁর সৃষ্টির উপর যে অহংকার করেছিল সে হচ্ছে লানতপ্রাপ্ত ইবলিশ।

প্রতিটি মুমিন বান্দাই ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের প্রত্যাশী।কিন্তু অহংকার মানুষের সকল আলম ও ইবাদতকে মূল্যহীন করে তোলে।অহংকারীর সকল আমল ও ইবাদত মূলত লৌকিকতাপূর্ণ।নিজেকে বড় দানবির,সমাজপতি, দয়ার্দ্র এবং গভীর ধর্মানুরাগী হিসেবে আত্মপ্রকাশের জন্যই মূলত অহংকারীর যাবতীয় কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়।আর লৌকিকতাপূর্ণ ইবাদত কখনোই মহান আল্লাহর দরবারে গ্রহনীয় নয়।আর এ মানসিকতা পোষণ করতে হবে, আমি যে ইবাদত -বন্দেগি করছি তা আল্লাহ প্রদত্ত নিয়ামতের তুলনায় অতি নগণ্য। কাজেই আমার তৃপ্ত হওয়ার কিছু নেই। আল্লাহ প্রদত্ত এ নিয়ামত যেকোনো মুহূর্তে ছিনিয়ে নিতে পারেন,তিনি একজন বাদশাহকে স্বল্প সময়ের ব্যবধানে ফকিরে পরিণত করতে পারেন।আমাদের সব নিয়ামত আল্লাহর দান। এ নিয়ে গর্ভ- অহংকার করা মানে দানকারী তথা আল্লাহর প্রতি অবজ্ঞার নামান্তর। ফলে এত ইবাদত বন্দেগি করার পর ও অহংকারীর পরকালীন জীবনের আমলনামা হবে অন্তসারশূন্য।

যারা অহংকার করে তাদের প্রতি মহান আল্লাহ তায়ালা রাগান্বিত হন।তাদের প্রতি মহান রবের অভিসম্পাত বারিধারার ন্যায় বর্ষিত হতে থাকে। অহংকারের কারণে আল্লাহ তায়ালার সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়।আল্লাহ তায়ালা অহকারের শাস্তি শুধুমাত্র পার্থিব জগতে প্রদান করে ক্ষান্ত হন না,বরং পরকালীন জীবনেও প্রদান করেন ভীষণ যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। মনে রাখতে হবে যে,অহংকার ও বড়াই মানবাত্মার জন্য খুবই ক্ষতিকর ও মারাত্মক ব্যাধি, যা একজন মানুষের নৈতিক চরিত্রকে শুধু কলুষিতই করে না বরং তা একজন মানুষকে হেদায়াত ও সত্যের পথ থেকে দূরে সরিয়ে ভ্রষ্টতা ও গোমরাহির পথে দিকে নিয়ে যায়।

ইসলামের আদর্শ হলো,বংশমর্যাদা না থাকার কারণে কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করা যাবে না। একজন লোক সে যে বংশেরই হোক না কেন,তার পরিচয় ইমান ও আমলের মাধ্যমে। তাই অহংকার ইসলামের সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ও হারাম।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার মধ্যে ধর্মীয় গোঁড়ামি অনেক বেশি।

২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:২৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: খুব ভালো লাগলো আপনার পোস্ট।

সহি হাদিসে এসেছে যে তিল পরিমান অহংকার কারও মনে থাকলে সে বেহেশতে যাবে না।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:১১

নীলা(Nila) বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.