নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যে কোন মূর্খের পক্ষেই সমালোচনা, নিন্দা বা অভিযোগ জানানো সহজ কাজ- বেশিরভাগ মূর্খই তাই করে। কিন্তু অপরকে বুঝতে পারা আর ক্ষমাশীলতা পেতে গেলে দরকার চারিত্রিক দৃঢ়তা আর আত্ম-সংযম।কোন মহান মানুষের মহত্বের প্রকাশ ঘটে তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করেন ত

নীলা(Nila)

নিজের মনে যা ঠিক বলে মনে হয় তাই করি-কারণ আমার সমালোচনা করা হবেই।কাজ করলেও লোকে আমার সমালোচনা করবে-আবার না করলেও তাই।

নীলা(Nila) › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রধান মাযহাবসমূহ এবং মাযহাব এর উৎপত্তি ও বিকাশ

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৩


১. হানাফি মাযহাব : হানাফি মাযহাবের প্রতিষ্ঠাতা হলেন ইমাম আবু হানিফা নুমান ইবনে সাবিত (রহ.)। তিনি কুফা নগরীতে
৮০ হিজরিতে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৫০ হিজরিতে বাগদাদের কারাগারে ইন্তিকাল করেন। ইমাম আবু হানিফাই সর্বপ্রথম
নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ফিকহশাস্ত্রের গোড়াপত্তন করেন এবং স্বীয় জীবদ্দশায় এর পূর্ণতা দান করেন। তারপর অন্যান্য ফকিহগণ স্ব স্ব ফিকহ সম্পাদন করেন। ইমাম আবু হানিফা (রহ.) কোনো মাসআলার ব্যাপারে কুরআনের আয়াত বা হাদিস না পেলে আহকাম প্রণয়নে কিয়াস প্রয়োগ করতেন। কেননা কুরআন ও হাদিসের দলিল হলো সীমিত সংখ্যক। পক্ষান্তরে, মানবজীবনের দৈনন্দিন ঘটনাবলি ও সমস্যা অনেক। অতএব সকল মাসআলার সমাধান সরাসরি দলিল দ্বারা দেয়া অসম্ভব। কিন্তু এর মানে এই নয় যে,তিনি অন্যান্য প্রসিদ্ধ মাযহাবের ইমামগণের মতো ছিলেন না। তিনি সহিহ হাদিস পেলে তাতে আমল করতেন এবং তার উপর ভিত্তি করে আহকাম বা বিধান প্রণয়নে ইজতিহাদ করতেন। ইমাম আবু হানিফা (রহ.) ক্ষেত্র বিশেষে খবরে ওয়াহিদ বাদ দিয়ে কিয়াস অবলম্বন করেছেন। কেনান তাঁর যুগে মিথ্যা হাদিস রটনা শুরু হয়ে গিয়েছিল।


২. শাফেঈ মাযহাব : ইমাম মুহাম্মদ ইবনে ইদ্রিস আশ-শাফেঈ (রহ.) এ মাযহাবের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ১৫০ হিজরিতে ফিলিস্তীনের গাজায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ২০৪ হিজরিতে মিসরে ইন্তিকাল্ব করেন। ইমাম শাফেঈর দুইটি মাযহাব রয়েছে। কাদীম তথা পুরাতন মাযহাব ও জাদীদ তথা নতুন মাযহাব। ইরাকে যেসব বিধানাবলি গবেষণা করেন তা হলো পুরাতন মাযহাব। আর মিসরে যেসব বিধানাবলি গবেষণার মাধ্যমে প্রণয়ন করেন তা নতুন মাযহাব নামে খ্যাত। মিসরে ফিকহের উপর তাঁর পূর্ণাঙ্গতা আসে। তিনি মাসআলা গবেষণার ব্যাপারে মধ্যমপন্থী ছিলেন। কট্টর আহলুল হাদিসের মতো কিয়াসকে একেবারে ছুঁড়েও ফেলতেন না। আবার কুরআন-হাদিসের দলিল বাদ দিয়ে শুধু কিয়াসের উপরও নির্ভর করতেন না।


৩. মালিকি মাযহাব : মালিকি মাযহাবের প্রতিষ্ঠাতা হলেন ইমাম মালিক ইবনে আনাস ইবনে আবু আমের (রহ.)। তিনি ৯৩ হিজরিতে মদিনায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৭৯ হিজরিতে মদিনাতেই ইন্তিকাল করেন। ইমাম মালিক (রহ.) মদিনায় জন্মগ্রহণের ফলে হাদিস শাস্ত্রে অগাধ পাণ্ডিত্য লাভ করেন। কেননা মদিনাই ছিল হাদিসের কেন্দ্রস্থল। তিনি ইমাম নাফে যায়েদ ইবনে আসলাম, ইবনে শেহাব আযযুহরী,ড্রায়িক ইবনে আবদুল্লাহ ও আবদুল্লাহ ইবনে যাকওয়ান প্রমুখ ইমামগণের নিকট ইলমুল হাদিস শিক্ষা করেন। অবশ্য তাঁর প্রথম শ্রেণীর উস্তাদগণের মধ্যে রয়েছেন রবীয়াহ ইবনে আবদুর রহমান, যিনি ছিলেন আহলুর রায় এর অন্তর্ভুক্ত। ইমাম মালিকের মধ্যে হাদিস ও কিয়াস উভয়ের সমন্বয় ছিল। তাঁর প্রণীত মাসায়েলের মধ্যে যেমনভাবে কুরআন ও সুন্নাহর দলিল ছিল, তদ্রূপ তিনি প্রয়োজন বোধে কিয়াস, ইসতিহসান (উত্তম চিন্তা বা মতামত), ইসতিসহাব (প্রত্যেক বিষয়ের মূল অবস্থা) ও উরফ (প্রচলিত প্রথা) প্রয়োগ করেছেন।


৪. হাম্বলী মাযহাব : হাম্বলী মাযহাবের প্রতিষ্ঠাতা হলেন ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ.)। তিনি ১৬৪ হিজরিতে জন্মগ্রহণ
করেন এবং ২৪১ হিজরিতে ইন্তিকাল করেন। ইমাম আহমদ প্রকৃতপক্ষে একজন মুহাদ্দিস ছিলেন। ফিকহের চেয়ে হাদিসেই তাঁর
প্রগাঢ় জ্ঞান ছিল। যেসব বিষয়ে তিনি হাদিস পেতেন না সে বিষয়ে ফাতওয়া দেয়া অপছন্দ মনে করতেন। এমনকি তিনি তাঁর
প্রণয়ন করেননি। বরং সনদ ভিত্তিক অধ্যায়ে প্রণয়ন করেছেন। ইমাম আহমদের ইজতিহাদ ইমাম শাফেঈর সমপর্যায়ের ছিলো।কেননা তিনি ইমাম শাফেঈর নিকট ফিকহশাস্ত্র শিক্ষা করেন।

এই চার মাযহাব ছাড়া ঐ যুগে তাদের সমপর্যায়ের যোগ্যতাসম্পন্ন আরো কিছু মুজতাহিদ ছিলেন যাদের পৃথক মাযহাব ছিলো
এবং তাদের বিপুল সংখ্যক অনুসারীও ছিল। কিন্তু রাষ্ট্রের কর্ণধার কর্তৃক প্রচারিত না হওয়ায় এবং তাদের পর্যাপ্ত সংখ্যক ছাত্র না
থাকায় তাদের মৃত্যুর কিছুদিন পর ঐসব মাযহাব বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এগুলোর মধ্যে সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য যারা তারা হলেন:
১. সিরিয়ার আবু আব্দুর রহমান ইবনে মুহাম্মদ আল আওযাঈ ও তাঁর মাযহাব।
২. ইমাম সুফিয়ান ছাওরী ও তাঁর মাযহাব।
৩. আবু জাফর মুহাম্মদ ইবনে জারীর তাবারী ও তাঁর মাযহাব।
৪. ইমাম আবু সুলাইমান দাউদ যাহেরী ও তাঁর মাযহাব। এর মধ্যে প্রথম তিনটি হিজরি প্রায় তৃতীয় শতাব্দী পর্যন্ত প্রচলিত ছিল,
অতঃপর বিলুপ্ত হয়ে যায়। আর চতুর্থটি অর্থাৎ ইমাম দাউদ যাহেরী (রহ.) এর মাযহাব ইবনে খালদুনের মতে অষ্টম শতাব্দী পর্যন্ত বিদ্যমান ছিলো। এসব ছাড়াও আরো কিছু মাযহাব যেমন- ইমাম হাসান বসরী (রহ.), ইমাম ইসহাক ইবনে রাওয়াহ (রহ.), সুফিয়ান ইরনে উয়াইনা (রহ.) ও নায়স ইবনে সাদ (রহ.) এদের মাযহাবও কিছুকাল পর্যন্ত চালু ছিল। পরবর্তীতে এগুলোর চর্চা ও অনুসরন বন্ধ হয়ে যায় এবং হানাফি, শাফেঈ, মালিকি ও হাম্বলী এই চারটি ফিকহি মাযহাব অবশিষ্ট থেকে যায়।


→ মাযহাব এর উৎপত্তি ও বিকাশ :

১. হানাফি মাযহাবের উৎপত্তি ও বিকাশ : ইমাম আবু হানিফা (রহ.) এর তত্ত্বাবধানে ও পরিচালনায় ইরাক অঞ্চলে হানাফি মাযহাবের ফিকহ চর্চা শুরু হয় এবং প্রথমে কুফা ও বাগদাদসহ সমগ্র ইরাকে প্রসার লাভ করে। তারপর দূরদূরান্তে যেমন- বোখারা, পারস্যের দেশসমূহ, হিন্দুস্থান, সিন্ধু প্রদেশ ও ইয়ামান প্রভৃতি দেশে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর আফ্রিকান দেশসমূহ যেমন-ত্রিপোলী, তিউনিসীয়া ও আলজিয়ার্সে এ মাযহাব বিস্তার লাভ করে। বিখ্যাত মনীষী ইবনে খালদুন হানাফি মাযহাবের বিস্তৃতি সম্পর্কে বলেন- বর্তমানে হানাফি মাযহাবের অনুসারী হলো ইরাক, হিন্দুস্থানের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা, চীন ও সমগ্র অনারব দেশ। আবু হানিফার ছাত্রগণ আব্বাসীয় খলিফাগণের সাথী ছিলেন। ফলে একের পর এক তাঁদের ফিকহশাস্ত্রের কিতাব প্রকাশিত হয়েছিল। তারপর উসমানীয়রা যখন মসনদে আরোহণ করেন তখন সারাদেশের বিচারকার্য হানাফি মাযহাব অনুসারেই চলতে থাকে। কারণ উসমানীয়রা হানাফি মাযহাবের অনুসারী ছিলেন। একারণে মুসলিম বিশ্বের বেশিরভাগ জায়গায় হানাফি মাযহাব ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে হানাফি মাযহাব মুসলিম মিল্লাতের নিকট সর্বশ্রেষ্ঠ মাযহাব। পৃথিবীর মুসলমানের শতকরা ৭৫ জন এই হানাফি মাযহারের অনুসারী।

২. শাফেঈ মাযহাবের উৎপত্তি ও বিকাশ : ইমাম মুহাম্মদ ইবনে ইদ্রিস আশ-শাফেঈ (রহ.) হলেন এ মাযহাবের প্রবর্তক। ইরাকে এ মাযহাবের উৎপত্তি হয় । ১৯৫ হিজরিতে ইমাম শাফেঈ ইরাক গমন করে হানাফি ও মালিকি মুজতাহিদগণের মাযহাবের সমন্বয়ে এ মাযহাব প্রবর্তন করেন। ইরাকে প্রবর্তিত তাঁর এই মতকে ‘মাযহাবে কাদীম’ বা পুরাতন মাযহাব বলা হয়।হিজরি তৃতীয় শতাব্দীতে হিজায,বাগদাদ, খুরাসান, সিরিয়া ও ইয়েমেনে এ মাযহাবের বিস্তৃতি ঘটে। মিশরে তখন হানাফি ও মালিকি মাযহাব প্রচলিত ছিল। ইমাম শাফেঈ ১৯৮ হিজরিতে মিশর গমন করেন। তখন থেকে সেখানে শাফেঈ মাযহাবের বিস্তৃতি ঘটে। মিশরে প্রবর্তিত তাঁর এই মতকে ‘মাযহাবে জাদীদ' বা নতুন মাযহাব বলা হয়। সিরিয়ায় প্রথমে ইমাম আওযায়ীর মাযহাব চালু ছিল। কিন্তু আবু যুরআহ মুহাম্মদ ইবনে উসমান সেখানকার কাযী নিযুক্ত হয়ে সেখানে তিনি শাফেঈ মাযহাব চালু করেন। হিজরি চতুর্থ শতাব্দীতে সিরিয়ায় শাফেঈ মাযহাব ব্যতীত অন্য কোনো মাযহাব প্রচলিত ছিল না। নিশাপুর ও সারাখাস এলাকায়ও শাফেঈ মাযহাবের প্রচলন ছিল।

৩. মালিকি মাযহাবের উৎপত্তি ও বিকাশ : ইমাম মালিকের নামে এ মাযহাবটি পরিচিত। ইমাম মালিকের জন্ম এবং মৃত্যু
দুটিই মদিনাতে। এখানে থেকেই তিনি কুরআন-সুন্নাহর ইলমে বিশেষ দক্ষতা ও পারদর্শীতা লাভ করেন। তিনি একবার মাত্র হজ করার উদ্দেশ্যে মদিনার বাইরে মক্কা শরিফে যান। এছাড়া তিনি আর কখনো মদিনা ছেড়ে বাইরে কোথাও যাননি। মিশর,আফ্রিকাসহ বিভিন্ন দেশ থেকে বহু জ্ঞানপিপাসু তার নিকট এসে ইলমুল ফিকহ শিক্ষা গ্রহণ করতেন। আর এভাবেবিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলে তার প্রতিষ্ঠিত মাযহাব ছড়িয়ে পড়ে।

মদিনা মুনাওয়ারা থেকে এ মাযহাবের উৎপত্তি হয়। তারপর তা হিযাজের বিভিন্ন এলাকায় প্রসার লাভ করে। এরপর বসরা,
মিশর, আফ্রিকা, স্পেন, খুরাসান, সিসিলী, সুদান, আযহার, ইয়ামান, নিশাপুর, পারস্য, রোম ও সিরিয়ার শহরসমূহে ব্যাপক বিস্তৃত হয়। ইমাম মালিকের বহু ছাত্র মিশরে বিদ্যমান থাকায় সেখানে মালিকি মাযহাব যথেষ্ট প্রসিদ্ধি লাভ করে। ইমাম মালিকের ইন্তে কালের পর তাঁর শিষ্যদের মধ্যে যাঁরা তাঁর মাযহাব সম্প্রসারণে অবদান রাখেন তারা হলেন-
(ক) আবদুল্লাহ ইবনে ওহাব
(খ) আবদুর রহীম ইবনুল কাসেম
(গ) আশছর ইবনুল আবদুল আজিজ আল কাইসী
(ঘ) আবদুল্লাহ ইবনুল হিকাম
(ঙ) আসাদ ইবনুল ফুরাত


৪. হাম্বলী মাযহাবের উৎপত্তি ও বিকাশ : হাম্বলী মাযহাবের প্রতিষ্ঠাতা হলেন ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ.)। তিনি ১৬৪
হিজরিতে জন্মগ্রহণ করেন এবং ২৪১ হিজরিতে ইন্তিকাল করেন। ইমাম আহমদ প্রকৃতপক্ষে একজন মুহাদ্দিস ছিলেন। ফিকহর চেয়ে হাদিসেই তাঁর প্রগাঢ় জ্ঞান ছিল। ইমাম আহমদের ইজতিহাদ ইমাম শাফেঈর সমপর্যায়ের ছিল। কেননা তিনি ইমাম শাফেঈর নিকট ফিকহশাস্ত্র শিক্ষা করেন। তাঁর সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ হচ্ছে হাদিস সংকলন, যা মুসনাদে ইমাম আহমদ নামে খ্যাত। এছাড়াও তাঁর নিম্নোক্ত তিনটি গ্রন্থ বিশেষ খ্যাতি লাভ করেছে-
(ক) কিতাবু তা'আতির রাসূল
(খ) কিতাবুন নাসিখ ওয়াল মানসুখ
(গ) কিতাবুল ইলাল

ইমাম আহমদের ইন্তেকালের পর তাঁর দুই পুত্র সালেহ এবং আবদুল্লাহ তার ফিকহের প্রচারে অবদান রাখেন। তাঁর বড় ছেলে
সালেহ পিতার ফিকহের ব্যাপক প্রচার করেন, আর ছোট ছেলে আবদুল্লাহ প্রচার করেন তার হাদিসের মুসনাদ গ্রন্থ। এছাড়াও যারা এ কাজে অগ্রসর ছিলেন তাঁরা হলেন-
(ক) ফকিহ আহমদ হানী
(খ) আবু বকর আল-আসরাম
(গ) আবদুল মালিক ইবনে মাহবান আল মাইমুনী
(ঘ) আবু বকর আল-মারওয়াজী
(ঙ) ইমাম ইবনে তাইমিয়া এবং
(চ) ইমাম ইবনে কাইয়্যিম। শেষোক্ত দুজন হাম্বলী মাযহাবকে পুনর্গঠিত করেন। ফিকহশাস্ত্রে তাঁরা হাম্মলী মাযহাবের মুজাদ্দিদ।
বাগদাদ ছিল এ মাযহাবের কেন্দ্র। প্রাথমিক পর্যায়ে এ মাযহাবের প্রচার ও প্রসার অন্য তিনটি মাযহাবের তুলনায় কম ছিল এবং
বৃহত্তর মানবতার তুলনায় খুব কম সংখ্যক লোকই তা গ্রহণ করেছে। কেননা এ মাযহাবের পূর্ববর্তী মাযহাবগুলো এর পূর্বেই দেশে-দেশে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছিল। তা সত্ত্বেও এ মাযহাবের অনুসারী কয়েকজন আলেম মাযহাবটির প্রচারকার্য চালিয়ে যান। বর্তমান সৌদি আরবে হাম্বলী মাযহাবের অনুসারীদের সংখ্যা বেশি। গোটা সৌদি আরবে ফাতওয়া ও বিচারকার্যে হাম্বলী মাযহাব অনুসৃত হয়। সেখানকার নাজদবাসীদের সকলেই হাম্বলী মাযহাবের অনুসারী।


মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৪৭

শার্দূল ২২ বলেছেন: আমি যতটুকু জানি সর্বপ্রথম ইমাম মুয়াত্তা মালিক হাদিস সংগ্রহ করেন। যিনি ৭১১ খ্রীষ্টাব্দে জন্ম গ্রহণ করেন। উনি একজন তাবেই বা তাবে তাবেইন ছিলেন, উনি আনুমানিক ১১৯০০০ হাদিস সংগ্রহ করে সেখান থেকে ১৮০০ হাদিস কে সহি বলে গ্রহণ করেন। প্রসঙ্গত বলতে হয় সালফে সালেহিনদের সময়ে খোদ মদিনাতে ষদি নবীজির নামে এক লক্ষের উপরে মিথ্যা কথা ছড়ানো হয় তাহলে ৩/৪ শত বছর পর ইমাম বোখারী সাহেবের সময়ের অবস্থা কেমন হতে পারে? আবার ১৪০০ বছর পর আমাদের বাংলাদেশের অবস্থা কি হচ্ছে?
মাযাহাব নিয়ে আপনার এত কর্মযজ্ঞের উদ্দেশ্যেই বা কি আমি জানিনা। তবে আমি এটা জানি এবং বিশ্বাস করি যে মুসলিম জীবনের হাদিসের প্রয়োজনীয়তা নেই , থাকলে সাহাবারাই এটা সংরক্ষণ করতেন নবীজির আদেশে। বরং নবীজি নিষেধ করে গেছেন এবং যা ছিলো তা পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিলো। নবীজির চলে যাওয়ার মুহুরতে চার সাহাবার কাছে কোরাণ ব্যতিত আর কিছু আছে কিনা তা নিশিচত করে গেছেন যার জবাবে সবাই বলেছে হে আল্লাহর নবি আমাদের কাছে আল্লাহর কোরাণ আর বিবেক ছাড়া কিছুই নেই।
আর আমি এটাও বিশ্বাস করিনা হাশরের ময়দানে আল্লাহ এসব ইমামদের কথার উপর আমাদের বিচার করবেন। এমন কোন ইন্ঙিত আলাহর কোরান এবং নবীজির কোথায় কোনদিন প্রকাশ পায়নি। আমি আমার জীবনের একজন মুসলিম হয়ে বেচে থাকতে কোরানের বাইরে আর কোন কিছুর অভাব বোধ করিনি। আমার জিজ্ঞাসার সকল জবাব আমি কোরাণেই পেয়ে যাচ্ছি। যা নেই তা আমার জন্য বাধ্য বাধকতা নয়।

আর যারা হাদিস ছাড়া চলতে পারেনা তাদের অবস্থা কেমন হবে তা কোরাণেই স্পষ্ট। হাদিস আমাদের কাছে থাক ইসলামের ইতিহাস হিসবেই। এবাদতের অংশ হিসেবে নয়।

আমার মনে হয় এই মন্তব্য আপনার পোষ্টের সাথে কিছুটা সম্পর্ক রাখবে।

ভালো থাকবেন

২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:১৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: খুব ভালো লাগলো পোস্টটা।

যাদের নামে বিভিন্ন মাজহাব চালু হয়েছে তারা কেউই বলেননি যে আমার মাজহাবই শ্রেষ্ঠ। শুধু মুসলমানদের সুবিধার জন্য তারা বিভিন্ন বিষয়ে মাসালা দিতেন। যুগে যুগে অনেক নতুন বিষয় মানুষের জীবনে আসবে তাই ইজতেহাদি সিদ্ধান্তের প্রয়োজন আছে বা থাকবে সব যুগেই। ওনাদের প্রত্যেকেই অত্যন্ত পরহেজগার এবং বুজুর্গ ছিলেন।

অনেক ক্ষেত্রে ইজতিহাদি ভুল হতে পারে। কিন্তু ইসলামে ইজতিহাদি ভুল দোষনীয় কিছু না। মাজহাবের প্রবর্তক দুই একজন বলেছেন যে আমার দেয়া মাসালার চেয়ে উত্তম কিছু কোরআন বা হাদিসে পেলে সেটা অনুসরণ করতে।

মাজহাবগুলির মধ্যে মৌলিক আকিদাগত কোন পার্থক্য নাই। দৈনন্দিন জীবনের কিছু বিষয়ের জন্য মাজহাব উপকারী মুসলমানদের জন্য। তবে মাজহাব নিয়ে বেশী বাড়াবাড়ি করে দলাদলি করা যাবে না। ইসলামে মাজহাব কোন দলাদলির বিষয় না।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:১৯

নীলা(Nila) বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া। আমরা সবাই সঠিক পথে চলতে পারলেই দুনিয়র জীবনটাও সুন্দর হইতো

৩| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৯

মুহিব্বুল্লাহ বলেছেন: অনেক সুন্দর লিখেছেন

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১০

নীলা(Nila) বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া

৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:১১

শার্দূল ২২ বলেছেন: অনলাইন এ আপনার নাম দেখে হুট করে মনে হয়েছিলো আমি আপনার কোন এক পোষ্টে একটা স্পর্শকাতর মন্তব্যে করেছি, যা আপনি কোনদিন নিতে পারেবননা, এটা আপনার ধর্ম নিয়ে অতি আবেগী পোষ্ট গুলো দেখে মনে হয়েছে, এরপরও আপনার পোষ্টে আমার এই অযাচিৎ মন্তব্যে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.