নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালো লেখাটা ইদানিং খুব কঠিন । কারণ ভালো পাঠকের খুব অভাব ।

সঠিক জবাব

আমি সরাসরি কথাটি বলতে পছন্দ করি । অনেক সময় ঠিক বলি, আবার অনেক সময় ভুল বলি । তবু বলি, চুপ থাকি না

সঠিক জবাব › বিস্তারিত পোস্টঃ

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় - যেখানে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের কাছে সম্পূর্ণ জিম্মি - পর্ব ০৩

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৬

গত দুইটি পোস্টে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় - যেখানে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের কাছে সম্পূর্ণ জিম্মি - পর্ব ০১ এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় - যেখানে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের কাছে সম্পূর্ণ জিম্মি - পর্ব ০২ বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে যেরকম ফিডব্যাক পেলাম, তাতে আমি একটু আশাহত । প্রথমে বেশ কয়েকটি কথা পরিস্কার করে দিই ।

১. এই লেখাটিই আমার এই সম্বন্ধে শেষ পোস্ট বা শেষ লেখা ।
২. আমি এখানে কোন প্রতিকার বা কিছু চাইতে আসিনি । শুধু কিছু কথা জানাতে এসেছি ।
৩. যাদের কাছে স্যারদের এমন ব্যবহার কিংবা ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো স্বাভাবিক মনে হচ্ছে, তারা কেউই খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে নি । কারণ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীরাই একমাত্র বুঝতে পারবে রাজনীতি না থাকা সত্ত্বেও রাজনৈতিক কারণে হেনস্থা হওয়াটা কতটা কঠিন ।
৪. লেখাগুলো সম্পূর্ণই ও সকল পর্বই আমার এক বন্ধুর নিজের হাতে লেখা । আমি তার কথাগুলোর সাথে সহমত তাই তার লেখাগুলো নিজ উদ্যোগে পোস্ট করছি ।
৫. কেউ যদি ব্যাপারগুলোর গুরুত্ব উপলব্ধি করতে না পারেন, তবে দয়া করে উল্টাপাল্টা কথা বলে ব্যাপারটি আরও তিক্ত করবেন না ।

এবার আসি মূল লেখায়ঃ

ছোটবেলায় স্কুলে কিংবা কলেজে বিশেষ করে পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন করা হতো ন্যায্য ভাবেই । খাতায় নাম ও রোলটি আলাদা করে রেখেই কোড সিস্টেমেই স্যাররা খাতা দেখতো । পরবর্তীতে কোড সিস্টেমে রেজাল্ট দেওয়ার সময় কোড মিলিয়ে পরীক্ষার রেজাল্ট দেওয়া হতো । কিন্তু খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এখন মান্দাতার আমলেই পরে আছে । এখানে এখনও পরীক্ষা হওয়ার পর পরীক্ষার খাতাই নাম ও রোল দেওয়া থাকে । তাই সহজে কোনটা কার খাতা, এটা বোঝা যায় । তাই শিক্ষকরা নিজের পছন্দের ছাত্র-ছাত্রীদের বেশি নাম্বার দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন কিংবা কাউকে ইচ্ছা করে কম নাম্বার দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন । এই কারণেই যেকন ছাত্র কিংবা ছাত্রীই শিক্ষকদের কাছে সম্পূর্ণ জিম্মি । আরেকটা ব্যাপার ঘটে, সেটি হলো শিক্ষকদের তেলানো । যদিও এটি অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও ঘটে কিন্তু যেহেতু এখানে শিক্ষকরা মুখ চেনে পরিক্ষায় বেশি নাম্বার দেওয়ার সুযোগ রাখেন, তাই এখানে এই ব্যাপারটি অনেকটাই ফলপ্রসূ ।

অনেকেই জানেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে মোটেও সেশন জট নেই যেহেতু এখানে কোন রাজনীতি নেই । এটাও অনেকটা ভুল ধারণা । গত পাঁচ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক পড়াশুনা হয়েছে মাত্র চার ব্যাচের । মানে যেখানে চার বছরের অনার্স কোর্স শেষ করে চার বছরেই বেরিয়ে যাওয়ার কথা, সেখানে এখন পাঁচ বছরও অনেক কম মনে হচ্ছে শিক্ষকদের কাছে । তাই তো তারা ছাত্রদের এত সহজে বিদায় করছেন না । একেবারে এক বছর বেশি রেখেই বিদায় করছেন । আবার অনেক সময় বছরের মাঝামাঝি সময়ে বের করছেন । ফলে বিদায়ী শিক্ষার্থীরা পাশ করার পর বিসিএস কিংবা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা যেমনঃ বুয়েট কিংবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স কোর্সে ভর্তি হওয়ার সুযোগ মিস করছেন ।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বার (৩৪তম বিসিএসে) চান্সপ্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা মাত্র হাতে গুনা কয়েকজন (১৫-২০ জন) । যেখানে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সংখ্যা অগনিত । এর কারণ ছাত্রছাত্রীদের পড়াশুনায় অহেতুক প্রেশারাইজ করা । মুখে পড়াশুনা বাদেও অন্যান্য কর্মকাণ্ড করতে বললেও, কাজে এর কোন প্রমাণ তারা (শিক্ষকরা) দেন না । ছাত্রছাত্রীরা যে একটা কিছু নিজে থেকে চিন্তা করে বের করবে, এই সুযোগটাও তাদেরকে দেওয়া হয়না । অনেকটাই যেন চাপিয়ে রাখা হয় । এতে করে, অনেক প্রতিভা বিশিষ্ট ছাত্রছাত্রীদের প্রতিভাও ঠিকমত বিকশিত হওয়ার সুযোগ মেলে না ।

আরেকটা ব্যাপার এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ইদানিং (২-৩ বছর ধরে) শুরু হয়েছে । সেটি হলো, র‍্যাগ বাতিল সিস্টেম । হ্যাঁ, এটা সকলেই সমর্থন করবে । কিন্তু এখানে ঘটনা ঠিক উল্টো । র‍্যাগ বলতে হয়তো আমরা বুঝি শারীরিক বা মানসিক হেনস্থা করা । কিন্তু শারীরিক র‍্যাগ এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উঠে গেছে আরও ৭-৮ বছর আগেই । যা একটু মানসিক র‍্যাগ ছিল, সেটাও গত ৩-৪ বছর ধরে তেমন নেই । এর ফলস্বরূপ জুনিয়ররা এখন সিনিয়রদের উপর যে কোন সময় চেপে ধরার ক্ষমতা রাখে । আর এই সুযোগ করে দিয়েছে শিক্ষকরাই । দেখা গেলো, কোন সিনিয়র তার কয়েকটি জুনিয়রের সাথে বসে আছে, সেখানেই শিক্ষকরা ঐ সিনিয়রকে ডেকে বা তার অজ্ঞাতেই তার বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিবেন । অনেকসময়ই এমনটা হয়েছে । এর ফলে ক্যাম্পাসে চিরাচরিত সিনিয়র-জুনিয়র সম্পর্ক এখন নেই বললেই চলে । সকল সিনিয়ররাই যেন জুনিয়রদের কাছে এই কারণে জিম্মি । কোন কারণ ছাড়াও যদি কোন জুনিয়র কোন সিনিয়রের বিরুদ্ধে ছাত্র বিষয়ক পরিচালক কিংবা যে কোন শিক্ষকের কাছে কমপ্লেন করে, তাহলে সেই সিনিয়রের অবশ্যই খবর হয়ে যাবে । এখানেও শিক্ষকদের স্বেচ্ছাচারিতার প্রমাণ পাওয়া যায় ।

তবে এতগুলো নেগেটিভ কথা বলার পর কয়েকটি পজেটিভ কথা না বললেই নয় । শিক্ষকরা (অল্প কয়েকজন ছাড়া) ক্লাসের ব্যাপারে বেশ আন্তরিক । শিক্ষকরা এখানে বেশ কোয়ালিফাইড । অনেকেই নিজের যোগ্যতাসমমান সম্মান এখানে পান না । তবে শিক্ষকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোন কার্যক্রম যেমন সাংস্কৃতিক কিংবা ধর্মীয় কিংবা অন্যান্য গঠনমূলক আয়োজনে বেশ আন্তরিক ।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:

বাংগালী ছাত্দের শয়তানও ভয় পায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.