নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালো লেখাটা ইদানিং খুব কঠিন । কারণ ভালো পাঠকের খুব অভাব ।

সঠিক জবাব

আমি সরাসরি কথাটি বলতে পছন্দ করি । অনেক সময় ঠিক বলি, আবার অনেক সময় ভুল বলি । তবু বলি, চুপ থাকি না

সঠিক জবাব › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিজয় দিবস ২০১৫ নিয়ে টুকিটাকি

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৫

আজকে ২০১৫ সালের ১৬ই ডিসেম্বর । ১৯৭১ সালের এই দিনে আমাদের বাংলাদেশের বিজয় হয়েছিল । অর্থাৎ আজকে বাংলাদেশের ৪৪ তম জন্মদিন । শুভ জন্মদিন, বাংলাদেশ । আজকের দিনেই আমরা পেয়েছিলাম আমাদের স্বাধীনতা, লাল-সবুজের অহংকার, দেশমাতৃকার স্বপ্ন লালনের পরিপূর্ণ স্বাধীনতা, কলংকমুক্ত একটি পরিপূর্ণ দেশ গড়ার পূর্ণাঙ্গ ইখতিয়ার, লক্ষ লক্ষ প্রাণের বিসর্জনে স্বাধীনভাবে স্বাধীন দেশে শ্বাস নেওয়ার স্বাধীনতা, লক্ষ প্রতিকূলতার সামুদ্রিক ঢেউয়ের বিপরীতে ভালো কিছু করার মনোবাসনা । আজকের দিনটি বা এই মাসটিতে শুধু নয়, বিজয়ের, স্বাধীনতার মনন ধারণ করতে হবে একজন বাঙালী হিসেবে, সারা বছরজুড়ে । পরদেশ নিয়ে ভাবনা ভাবতে হবে নিজের দেশকে আগে রেখে । কি পেয়েছি, কি হারিয়েছি ইত্যাদি মায়াকান্না বাদ দিয়ে ভবিষ্যতের সোপান পানে এগুতে হবে ।

তবে মাঝে মাঝে মনে হয়, যারা দেশ নিয়ে, দেশের স্বাধীনতা নিয়ে, দেশমাতৃকা নিয়ে বেশি কপচায় তারাই চায় না দেশ স্বাধীন থাকুক । কয়েকটি উদাহারন দেই তাইলে -

- আমরা প্রায় সকলেই জানি, জামায়াতে ইসলামীর কথা । ১৯৭১ সালে রাজনৈতিক এই দলটি বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল । তারা চেয়েছিল পাকিস্তান ও বাংলাদেশ এক হয়েই থাক । কিন্তু তাদের সেই ষড়যন্ত্র সার্থক হয়নি, আমরা ঠিকই পেয়েছি আমাদের স্বাধীনতা । এর জন্য অবশ্য আমাদের মূল্যও দিতে হয়েছে । সেই একই বছরের ১৪ই ডিসেম্বর আমরা হারিয়েছি আমাদের হাজার হাজার সূর্যসন্তানদের । তাহলে এই স্বাধীন দেশে তারা কি করে টিকে থাকে ? কেন তাদেরকে টিকে থাকতে দেওয়া হলো ? কেন তারা এখনও দেশের উপরের লেভেলে যেতে পারে ? কি করে জামায়াতে ইসলামী থেকে কেউ কেউ মন্ত্রী হয় ? কেন, রাজনৈতিক দুইটি বড় দলই তাদের রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করার জন্য জামায়াতে ইসলামীর সাথে জোট বাধে ?

বর্তমানে তো আওয়ামী লীগের নিরুংকুশ আধিপত্য । তারা তো দেশের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী । তারা তো সম্পূর্ণ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় প্রাণবন্ত একটি রাজনৈতিক দল । তবু তারা মুক্তিযুদ্ধ চেতনার বিরোধী জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করছে না কেন, জানেন ? কারণ বর্তমান আওয়ামী লীগের প্রতি দেশের মানুষ ধীরে ধীরে বিতস্রিদ্ধ হয়ে যাচ্ছে । মানুষ (বাঙালিরা) শুধু একটি ক্ষেত্রেই আওয়ামী লীগের প্রতি দুর্বল হয়ে রয়েছে, সেটি হচ্ছে তাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আসীন থাকা ও যুদ্ধাপরাধীদের ঠিকঠাক বিচার করা । কিন্তু তারা তা করছে না । আওয়ামী লীগ ইচ্ছা করলে এক ঘণ্টার মধ্যেই জামায়াতে ইসলামীকে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করতে পারে । কিন্তু তারা তা এত সহজে কখনই করবে না । কারণ কি জানেন ? কারণ জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধ হলেই তো আওয়ামী লীগের রাজনীতির কোন ইস্যু থাকবে না । তখন তারা আর বাঙালিদের নিজের দলকে ভোট দিতে কেন ডাকবে ? বাঙালীই বা কেন আওয়ামী লীগকে আর ভোট দেবে বা ক্ষমতায় দেখতে চাইবে ?

- আমরা প্রায় সকলেই জানি, এই তো মাত্র কয়েকদিন আগেই বাংলাদেশের একটি বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি, যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক একটি আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছে । বিএনপির এই অধঃপতনের কারণ কি হতে পারে ? আপনারা কি মনে করেন ? তাদের এই মূল অধঃপতনের কারণ হচ্ছে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির । তাদের সাথে অন্তর্ভুক্তিই আজ বিএনপির অস্তিত্ব হারিয়ে যাবার অন্যতম কারণ হতে পারে । বিএনপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের এই বিষয়টি সিরিয়াসলি ভেবে দেখার অনুরোধ জানাচ্ছি । ইত্যাদি ।

তবে এবার একটু সুখবর দেই সবাইকে । অনেকেই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানেন না । এর কারণ অনেকেই জানার সুযোগ পায়নি, অনেকেরই আগ্রহ নেই আবার অনেকেই সময় করে উঠতে পারেনি, শুধুমাত্র তাদের জন্য বুয়েটের এক ঝাঁক শিক্ষার্থীদের দ্বারা একটি কম্পিউটার ও মোবাইল গেমস রিলিজ করা হয়েছে । গেমসটির নাম Heroes of 71 ।

গেমসটি সম্পর্কে বিস্তারিত বললে বলতে হয় যে এটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট নিয়ে তৈরী একটি গেমস । এই গেমসটি তৈরী করেছে বুয়েটের স্টুডেন্টরা । ১৬ই ডিসেম্বর উপলক্ষে প্লে-স্টোরে (মোবাইলে খেলার জন্য) রিলিজ দেওয়া হয়েছে। ২৬শে মার্চ ২০১৬ তে এর ফুল ভার্সন রিলিজ দেওয়া হবে । অর্থাৎ তখন কম্পিউটারে বসেও এই গেমসটি খেলা যাবে ।

গেমসটির গ্রাফিক্স অসাধারণ । মিশনের কথা আর কি নাইবা বললাম, সবাই খেললেই বুঝবেন । এখানে বাংলাদেশের বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থান নিয়ে করা গেমসটি । খেলা শুরুর আগে একটা ভিডিও দেখানো হবে, যেখানে যুদ্ধের ইতিহাস বর্ণনা করা হয়েছে, প্রতিটি মিশন শুরু করার আগে কুইজ আছে, যার থেকে আপনি উত্তর দিলে আপনাকে গুলি, নতুন যুদ্ধের সরঞ্জাম দেওয়া হবে। ইতিহাস না জেনে আপনি যাবেন কোথায় ?? তাই আজই প্লে-ষ্টোর থেকে নামিয়ে গেমসটি খেলা শুরু করুন । আর আপনার আশেপাশের কিশোর-কিশোরীদের বিশেষ করে গেমসটি সম্পর্কে উতসাহ প্রদান করুন ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.