নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালো লেখাটা ইদানিং খুব কঠিন । কারণ ভালো পাঠকের খুব অভাব ।

সঠিক জবাব

আমি সরাসরি কথাটি বলতে পছন্দ করি । অনেক সময় ঠিক বলি, আবার অনেক সময় ভুল বলি । তবু বলি, চুপ থাকি না

সঠিক জবাব › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছেলেটির কথায় দাদার আক্কেলগুড়ুম - পর্ব ৩ - একটি রসীয় কড়চা

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:৩৯

ছেলেটির কথায় দাদার আক্কেলগুড়ুম - একটি মজার কড়চা এবং ছেলেটির কথায় দাদার আক্কেলগুড়ুম - পর্ব ২ - একটি রসীয় কড়চা অর্থাৎ লেখা দুইটি যারা পড়েছিলেন, তারা নিশ্চয়ই এলাকার দাদাবাবু ও এলাকার আড্ডাবাজ পোলাপাইনদের মধ্যে একজন অর্থাৎ সুনীলের মধ্যে কথোপকথন উপভোগ করেছিলেন । এবার আপনাদের জন্যই রয়েছে ৩য় পর্ব । এবারের বিষয় সুনীলের বই লেখা নিয়ে । সুনীলের মত আড্ডাবাজ ছেলেরাও পড়াশুনা শুরু করবে, আর কোন কাহিনী হবে না তা কি হয় ? তবে বরাবরের মত কথাবার্তার শেষ কিন্তু ঐ বৌদিকে নিয়েই । পড়ুন তাইলে.......

- দাদা, আজ দেখি জলদি চলে এসেছেন । একেবারে আমাদেরও আগে ।
- আর বলো না, আজ অফিসে যাইনি ।
- কেন দাদা ?
- শ্বশুর মশাইয়ের শরীর নাকি খুব খারাপ । তোমার বৌদি সে জন্য কেঁদে কেঁদে বাড়িটাকে মাথায় তুলে রেখেছে । অফিসের চাপে না পারছি তাকে শ্বশুর বাড়ি নিয়ে যেতে আর ওদিকে তোমার বৌদিকেও না পারছি একা ছাড়তে । আর শালা-সম্বন্ধীও নেই যে এসে ওকে নিয়ে যেতে বলবো । এই ভেবেই আজ সারাদিন মনটাই খারাপ । তাই আজ আর অফিসে যেতে পারিনি ।
- আরে দাদা, সব ঠিক হয়ে যাবে । মৌসুম চেঞ্জ হচ্ছে তো তাই রোগ-বালাই টুকটাক হচ্ছেই । দোয়া করে দিচ্ছি দাদা সব ঠিক হয়ে যাবে । অমন সুন্দর বৌদির চোখের পানির দাম কি সৃষ্টিকর্তা দেবেন না নাকি ?

(দাদাবাবু একটু অবাক হয়ে চাইলেন, পরক্ষনেই আবার দৃষ্টি নিচের দিকে নামিয়ে নিলেন । অবশ্য দৃষ্টি নামাতে নামাতে একটু জোরেই দীর্ঘশ্বাস ফেললেন)

- তা, সুনীল, তুমিও দেখছি আজ একা । বাকী পোলা-পাইনগুলো কোথায় ?
- আর বলবেন না দাদা । কি একটা হিন্দি ছবি নেমেছে না নতুন, ঐ যে "হেট স্টোরি ৩" নাকি ? ঐ ছবিটাই সবাই আশিসদের বাসায় মুভি থিয়েটার বানিয়ে দেখছে ।
- তা তুমি দেখলে না বাপু ?
- না, দাদা, কেন জানি ভালো লাগলো না । তাই এখানে চলে এলাম । অবশ্য ভাবিনি আপনি এখানে থাকবেন । আমি তো আসতে আসতে ভাবছিলাম, একা একা কিছুক্ষণ বসে চলে যাবো বাড়িতে । তবে দাদা, ইদানিং ভাবছি একটা বই লেখা শুরু করবো ।
- বই ? তাও তুমি ? কবে থেকে মাথাটা খারাপ হতে শুরু করলো তোমার ?
- ধুর, দাদা, কি যে বলেন না । আমি কি লিখতে পারি না ?
- না, তা পারো । তা কি নিয়ে লিখবে, ভেবেছো ?
- দাদা, মাথায় দারুণ একটা গল্প ঘুরপাক খাচ্ছে ।
- তাই নাকি ? তা গল্পের সারাংশটা কি একটু বলা যাবে বাপু ?
- হুম, যাবে না কেন । শোনেন তাইলে । একজন বেশ্যার সাথে রঙ নাম্বারে আলাপ শুরু হয় সুরেশ নামক একটি ছেলের । ছেলেটা আর ঐ বেশ্যাটার মধ্যে এরপর আলাপ চলতেই থাকে । ছেলেটা কথায় কথায় ঐ বেশ্যাটাকে নিজের সব খুলে বললেও বেশ্যাটা ঐ ছেলের কাছে নিজের আসল পরিচয় লুকিয়ে যায় । গল্পের শেষে দেখাবো, ছেলেটি যখন না জেনেই বেশ্যাটাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসে । তখন মেয়েটি সত্য বলার তাগিদে ছেলেটিকে নিজের আসল পরিচয় দেয় । এরপর তাদের মধ্যে ফোনালাপ বন্ধ হয়ে যায় । আসলে কি দাদা, জানেন, ঐসব প্রেম-ট্রেম বলে কিছু নেই । সবই হয় রূপ না হয় শরীর না হয় টাকার কারবার ।
- তোমার গল্পের ধারণাটা তো দারুণ কিন্তু তোমার শেষের কথাটার সাথে একেবারেই একমত হতে পারলাম না বাপু । প্রেম আসলেই স্বর্গীয় একটি ব্যাপার । এই দেখো না, আমার আর তোমার বৌদির মধ্যে কত প্রেম, দেখো না ?
- সেটা হয়, বৌদির মত সুন্দরী নারীর জন্য আমাদেরও আছে একটু-আকটু ।
- এই আবার শুরু করলে ইয়ার্কি ? না, তোমাদের সাথে আর পারি না ।
- দাদা, যাওয়ার আগে তাইলে একটা কথা শুনে যান ।
- কি কথা বাপু ?
- বৌদির সাথে কিন্তু কখনই ঝগড়া-বিবাদে জড়াইয়েন না । কারণ কি জানেন ? একটা জড়পদার্থ ভেঙ্গে গেলে আবার ঠিক তার খাঁজে খাঁজে মিলিয়ে দেওয়া যায়, কিন্তু দুটি মানুষকে যেখানে বিচ্ছিন্ন করা হয় দীর্ঘ বিচ্ছেদের পর আর ঠিক সেখানে রেখায় রেখায় মেলে না । কারণ, মন জিনিসটা সজীব পদার্থ, নিমেষে নিমেষে তাহার পরিণতি এবং পরিবর্তন ।
- বাহ, এত উঁচু লেভেলের কথাটা কি তোমার ?
- আরে না, আমার হতে যাবে কেন । এই কথাটা বলেছে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ।
- তুমি আবার পড়াশুনাও শুরু করলে নাকি ?
- এই তো টুকটাক । তবে দাদা, বৌদির ব্যাপারটা যা বলছিলাম......
- থাক, থাক, আমি আজ যাই বাপু, তোমার বৌদি হয়তো বাড়িতে বসে এখনও কান্নাকাটি করে যাচ্ছে । আমি না গেলে তাকে থামাবে কে ?

দাদাবাবু জোরেশোরেই বাড়ির দিকে পা বাড়ালেন । লোকটিকে বৌদির ব্যাপারে কিছু বললেই ভাবেন হয়তো কথাগুলো অন্য দিকেও মোড় নিতে পারে । দাদাবাবু আসলে পারেনও, সুনীল মিটিমিটি করে হাসছে আর মাথা চুলকাচ্ছে । বই লেখা নিয়ে তাকে সিরিয়াসলি ভাবনা শুরু করতে হবে এবার ।

বিঃদ্রঃ এই লেখাটিরও কিয়োদাংশ এক বন্ধুর ফেসবুক একাউন্ট থেকে নেওয়া ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৩২

প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৫

সঠিক জবাব বলেছেন: ধন্যবাদ, লেখাটি পড়ার জন্য ।

২| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১৫

মেহেদী হাসান শীষ বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন আপনার আগের দুই পর্বের লিংক দিয়েছেন আসা করি সেটাও পড়ব

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৬

সঠিক জবাব বলেছেন: ধন্যবাদ, কষ্ট করে লেখাগুলো পড়ার জন্য ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.