নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালো লেখাটা ইদানিং খুব কঠিন । কারণ ভালো পাঠকের খুব অভাব ।

সঠিক জবাব

আমি সরাসরি কথাটি বলতে পছন্দ করি । অনেক সময় ঠিক বলি, আবার অনেক সময় ভুল বলি । তবু বলি, চুপ থাকি না

সঠিক জবাব › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছেলেটির কথায় দাদার আক্কেলগুড়ুম - পর্ব ৪ - একটি রসীয় কড়চা

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৮

ছেলেটির কথায় দাদার আক্কেলগুড়ুম - একটি মজার কড়চা, ছেলেটির কথায় দাদার আক্কেলগুড়ুম - পর্ব ২ - একটি রসীয় কড়চা এবং ছেলেটির কথায় দাদার আক্কেলগুড়ুম - পর্ব ৩ - একটি রসীয় কড়চা অর্থাৎ লেখা তিনটি যারা পড়েছিলেন, তারা নিশ্চয়ই এলাকার দাদাবাবু ও এলাকার আড্ডাবাজ পোলাপাইনদের মধ্যে একজন অর্থাৎ সুনীলের মধ্যে কথোপকথন উপভোগ করেছিলেন । এবার আপনাদের জন্যই রয়েছে ৪র্থ পর্ব । এবারের বিষয় সুনীলের কবিতা লেখা নিয়ে । সুনীলের মত আড্ডাবাজ ছেলেরাও কবিতা লেখা শুরু করবে, আর কোন কাহিনী হবে না তা কি হয় ? তবে বরাবরের মত কথাবার্তার শেষ কিন্তু ঐ বৌদিকে নিয়েই । পড়ুন তাইলে.......

- আরে, দাদা যে, কখন এসেছেন ? আরে ধুর, যখনই এসে থাকেন আগে আসেন কোলাকুলিটা সেরে নিই ।
- কোলাকুলি !!! সে আবার কেন বাপু ?
- ধুর, দাদা, আপনিও না, কেমন জানি, বড্ড বেরসিক । নতুন আরেকটা বছর আসলো না, সেই খুশিতেই আপনার সাথে কোলাকুলি করতে চাচ্ছিলাম ।
- ওহ, আচ্ছা, ঠিক আছে, ঠিক আছে, আসো আসো ।
(দাদাবাবু আর সুনীল কোলাকুলি করে নিলো)
- তা দাদা, এই নতুন বছরটা কেমন আশা করছেন ?
- বেশি কিছু চাওয়ার নেই বাপু । খালি এই চাকরীটাতে একটি ছোটখাট প্রমোশন, ঘর আলো করে নতুন একজন অতিথি - এই দুইটি আশা আর তোমার বৌদির সাথে একবার কক্সবাজার যাওয়ার প্ল্যান আছে এই নতুন বছর ।
- বলেন কি দাদা !! আপনার এতকিছু চাওয়ার পরও আর চাওয়ার কিছু থাকতে পারে নাকি !! যাই হোক, কক্সবাজার যাওয়ার প্ল্যানটা কিন্তু জোশ । দেখি, ঐ সময়টা ফ্রি থাকতে পারি কিনা ।
- মানে ? তুমি ফ্রি থাকলে কি হবে ?
- না, মানে, আপনি বৌদিকে নিয়ে এতদূর যাবেন, এরপর হোটেল, বাস, বোট, জাহাজ কতকিছুর ম্যানেজমেন্ট করবেন, তখন তো বৌদি একা থাকবে, একটু না হয় বৌদিকে সঙ্গই দিলাম । আর তাছাড়া কক্সবাজার আমি নিজেও কখনই যাইনি ।
- ধুর, খালি মশকরা করো !! তোমাদের নিয়ে আর পারি না । তা, সুনীল তোমার ঐ বই লেখাটার কি হলো ?
- কোনটা যেন দাদা ?
- ঐ যে, কি যেন বেশ্যা আর মোবাইলের রং-নাম্বারের প্রেমের একটা কাহিনী বলেছিলে না, ঐটা ।
- ওহ, আচ্ছা, সেইটা । ছেড়ে দিয়েছি, বাদ দিয়ে দিয়েছি । গল্প-টল্প আমাকে দিয়ে হবে না । ভাবছি কবিতা লিখবো । একটা কবিতা এই মুহূর্তে মাথাতেও আছে । শোনাবো দাদা ?
- (দাদাবাবু হঠাৎ পুলকিত হয়ে গেলেন) শোনাও তো বাপু ।
- "বেলা শেষে কহিলেন হারু শেখ
রহিলো কি আমার গোয়াল ঘরে ?
নিয়ে গেলো যাহা কুড়াইয়া লহিবে তাহা
মোর তরে লুটাইবে তা নিশিথে" - এই তো দাদা এইটুকুই ।
- বাহ, আর আছে...... ? নাকি এই চার লাইনই লিখেছো?
- আপাতত এই চার লাইনই । আরেকটা কবিতা বেশ কয়েকটা লাইনও মাথায় খেলছে ।
- বাহ, আরও একটা !!! তুমি দেখছি মারাত্মক কবি হয়ে গেছো । কি কবিতা ?
- বৌদিকে নিয়ে একটা কবিতা ।
- থাক, থাক বাপু, এইটা শোনানোর দরকার নেই । অন্য আরেকদিন শুনবো, কবিতা লেখা শেষ হওয়ার পর । আজ তাহলে উঠি । সন্ধ্যার আগে বাড়ি না পৌঁছালে তোমার বৌদি বলেছে খবরই আছে ।
- মিথ্যা বলছেন কেন দাদা ? বৌদি তো এরকম বলতেই পারে না ।
- তোমরা এখনও তোমাদের বৌদিকে চিনতেই পারোনি । যাই হোক, ভালো থেকো, আজ তাহলে গেলাম ।

দাদাবাবু বৌদি প্রসঙ্গ আসতেই বরাবরের মত মজলিশ ছেড়ে ভাগলেন । সুনীলের সাথে সাথে অন্য ছেলেগুলোও হাসছে দাদাবাবুর যাওয়ার পানে তাকিয়ে । ওদিকে সুনীল ভাবছে, দাদাবাবুকে তো দিব্যি বলা হলো বৌদিকে নিয়ে কবিতার কথা, এখন তো সেটা নিয়ে ভাবতে হবে । পরে যদি সত্যি সত্যি কবিতাটা শুনতে চান......

বিঃদ্রঃ লেখাটির কিয়োদাংশ এক বন্ধুর ফেসবুক একাউন্ট থেকে নেওয়া ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.