নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিছু কিছু জিনিস জানি। সেগুলা মানুষের সাথে share করার জন্য ব্লগে প্রবেশ। তাতে দুটো সুবিধে। প্রথমত, আমার জানার ভুলভ্রান্তিগুলো দূর হবে। দ্বিতীয়ত, নতুন কিছু জানার সুযোগ সৃষ্টি হবে। দুনিয়াতে জানার কোন শেষ নেই। এবং আমার আগ্রহের ও কমতি নেই। ইনশাল্লাহ কোনদিন হবে ও না।
রোহিঙ্গাদের উপর গণহত্যায় যদিও বিশ্ব চুপ,
কিন্তু মার খেতে খেতে রোহিঙ্গারা যদি কখনো প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করে তাহলে সাথে সাথেই তাদেরকে সন্ত্রাসী, টেরোরিস্ট ট্যাগ দেওয়া হবে।
বলা হবে জঙ্গী।
কারণ তারা মুসলমান।
মুসলানদের আর যাই থাকুক, মানবাধিকার থাকতে নেই।
মার খাওয়া যাবে, প্রতিবাদ করতে নেই।
যখন মার খাবে, তখন সবাই চুপ থাকবে।
যখন প্রতিরোধ করার চেষ্টা করবে, তখনই তারা হয়ে যাবে সন্ত্রাসী।
সেটা ফিলিস্তিনে হামাস বলেন, রাশিয়ায় চেচেনরা বলেন, চীনে উইঘুর বলেন, আর বার্মায় রোহিংগা বলেন।
ওরা এতদিন মার খেয়েছে, শতশত খুন হয়েছে, কেউ সেভাবে কিচ্ছু বলেনি।
এবার যখন তারা সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করছে, এবার সবাই কথা বলবে।
তাদের সশস্ত্র ইসলামী জঙ্গী ট্যাগ দিতে টাইম লাগবেনা।
রোহিঙ্গাদের নির্বিচারে গণহত্যার শিকার হতে দেখে যারা চুপ ছিল, তারা হঠাৎ করে সরব হয়ে উঠবে।
হত্যাকারী বার্মিজ সেনা মারা গেলে তার প্রতিবাদ জানাবে।
ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করা রোহিঙ্গাদের টেরোরিস্ট বলবে।
এমনকি আমরাও হয়তো সুশীল হয়ে উঠতে পারি।
অতি সুশীলতা দেখাতে গিয়ে বলতে পারি, 'এইসব জঙ্গীদের জন্যই সাধারণ রোহিঙ্গারা মার খায়।'
হত্যাকারী বার্মিজ সরকারের হত্যাকান্ডকে হালাল করতে দোষ চাপিয়ে দিতে পারি সেইসব যুবকদের উপর, যারা শুধু বেঁচে থাকার চেষ্টায় অস্ত্র তুলে নিয়েছে।
গণহত্যা থেকে বাঁচতে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে না পারা আমরা মায়ানমারের সাথে আরাকানে যৌথ অভিযানের প্রস্তাব দিতে পারি।
কত সহজেই না আমরা তাদের সন্ত্রাসী ট্যাগ দিয়ে দিই।
অথচ এদেরই বাবা, মা, ভাই, বোন, সন্তানকে হত্যা করার সময় এক পৃথিবী আমরা লজ্জাহীনের মত চুপ ছিলাম, একেবারে নিশ্চুপ।