নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানব মঙ্গল আমার একান্ত কাম্য

মহাজাগতিক চিন্তা

একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।

মহাজাগতিক চিন্তা › বিস্তারিত পোস্টঃ

মতভেদ সাহাবার (রা.) কাজ হলেও উম্মতের সর্ববৃহৎ দলের সাথে মতভেদ কিছুতেই ইসলাম নয়

২০ শে জুলাই, ২০২৫ ভোর ৬:০৩



সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৩। ঐসব রাসূলদের আমরা তাদের কোন জনের উপর কোন জনকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি। তাদের মধ্যে কোন জনের সঙ্গে আল্লাহ কথা বলেছেন।আর কোন জনকে উচ্চ মর্যাদায় উন্নীত করেছেন। আর আমরা মরিয়ম পুত্র ঈসাকে প্রকাশ্য মুজেযা দান করেছি। আর তাকে পবিত্র আত্মা দ্বারা সাহায্য করেছি।আর আল্লাহ ইচ্ছা করলে নবিগণের পরবর্তী লোকেরা পরস্পরের সঙ্গে যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হতো না। কিন্তু তারা পরস্পর ইখতিলাফ (মতভেদ) করেছিল।তাতে তাদের কিছু লোক মুমিন এবং কিছু লোক কাফের হয়ে গেল। আল্লাহ ইচ্ছা করলে তারা পরস্পর যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হতো না। কিন্তু আল্লাহ যা ইচ্ছা তাই করে থাকেন।

সূরাঃ ৪৮ ফাতহ, ২৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৯। মোহাম্মাদ আল্লাহর রাসুল; তাঁর সহচরগণ কাফিরদের প্রতি কঠোর এবং নিজেদের মধ্যে পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল; আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনায় তুমি তাদেরকে রুকু ও সিজদায় অবনত দেখবে।তাদের লক্ষণ তাদের মুখমন্ডলে সিজদার প্রভাব পরিস্ফুট থাকবে: তওরাতে তাদের বর্ণনা এরূপ এবং ইঞ্জিলেও তাদের বর্ণনা এরূপই। তাদের দৃষ্টান্ত একটি চারা গাছ, যা থেকে নির্গত হয় নতুন পাতা, অতঃপর ইহা শক্ত ও পুষ্ট হয় এবং পরে কান্ডের উপর দাঁড়ায় দৃঢ়ভাবে যা চাষীদের জন্য আনন্দ দায়ক। এভাবে মুমিনদের সমৃদ্ধি দ্বারা আল্লাহ কাফিরদের অন্তর্জালা সৃষ্টি করেন। যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে আল্লাহ তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ক্ষমা ও মহাপুরস্কারের।

সূরাঃ ৪৯ হুজরাত, ১০ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০। মু’মিনগণ পরস্পর ভাই ভাই; সুতরাং তোমরা ভাইদের মাঝে ইসলাহ (শান্তি স্থাপন) কর, আর আল্লাহকে ভয় কর যাতে তোমরা অনুগ্রহ প্রাপ্ত হও।

সূরাঃ ২ বাকারা, ১২৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২৪। আর যখন তোমার প্রতিপালক ইব্রাহীমকে কয়েকটি বাক্য (কালিমাত) দ্বারা পরীক্ষা করেছিলেন, পরে সে তা পূর্ণ করেছিল; তিনি বললেন নিশ্চয়ই আমি তোমাকে মানব জাতির ইমাম বানাব; সে বলেছিল আমার বংশধরগণ হতেও; তিনি বলেছিলেন, আমার প্রতিশ্রুতি জালেমদের প্রতি প্রযোজ্য হবে না।

সহিহ বোখারী ২৯ নং হাদিসের (কিতাবুল ঈমান) অনুবাদ-
২৯। হযরত আহনাফ ইবনে কায়েস (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বললেন, আমি হযরত আলী (রা.) অথবা হযরত ওসমান (রা.) কে সাহায্য করতে চললাম, (পথে) আবু বাকরাহ (রা.) এর সাথে দেখা হলো। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, কোথায় যাচ্ছ? আমি বললাম, এ ব্যক্তিকে সাহায্য করতে চলছি। তিনি বললেন ফিরে যাও। কেননা আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) কে কলতে শুনেছি, যখন দু’জন মুসলমান তরবারী নিয়ে পরস্পর মুখোমুখী হয়, তখন হত্যাকারী ও নিহত ব্যক্তি উভয় জাহান্নামী হয়। আমি বললাম হে আল্লাহর রাসূল (সা.) এতো হত্যাকারী বলে, কিন্তু নিহত ব্যক্তির ব্যাপারটি কি? তিনি বললেন, সে তার সঙ্গীকে হত্যা করার আকাঙ্খী ছিল।

* সাহাবায়ে কেরামের (রা.)পরস্পরের সঙ্গে যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হওয়া আল্লাহ থামাতে পারতেন। নিজেদের মধ্যে পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল থাকার নীতি লংঘন করায় তাঁদের পরস্পরের সঙ্গে যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হওয়া আল্লাহ থামাননি।ভাইদের মাঝে ইসলাহ (শান্তি স্থাপন) না করলে তিনি তাঁদের ঈমান কেড়ে নিতেন। তবে ইসলাহ না করে হত্যাকান্ডে লিপ্ত হওয়ায় ইবাদী (খারেজী) ও শিয়াদের ঈমান আল্লাহ কেড়ে নিয়েছেন।ফলে তারা কাফের হয়ে গেছে।হযরত মুয়াবিয়া (রা,) ও হযরত আলী (রা.) পরস্পর লানত করায় ইব্রাহীম (আ.) বংশীয় হওয়ার পরেও আল্লাহ তাঁদের বংশে মুসলিম বিশ্বনেতা হওয়া বন্ধ করেছেন। ইমাম মাহদী (আ.) হযরত ফাতেমার বংশীয় হিসাবে মুসলিম বিশ্ব নেতা হবেন। সাহাবায়ে কেরামের (রা.) মতভেদের শাস্তি হলো জান্নাতে তাঁদের মর্যাদা কম থাকা। যারা সাহাবা নন এমন অনেকে মতভেদকারী সাহাবা থেকে বেশী মর্যাদা লাভের কারণে মতভেদকারী সাহাবা অন্তর্জালায় ভূগবেন। হযরত আয়েশা (রা.) উম্মুল মুমিনিনগণের মর্যাদার সর্বশেষ স্থানে এবং হযরত মুয়াবিয়া (রা.) সাহাবায়ে কেরামের (রা.)মর্যাদার সর্বশেষ স্থানে থাকতে পারেন। এটাই হতে পারে তাঁদের জন্য বিরাট শাস্তি। আর সাহাবা বিদ্বেষের শাস্তি হলো ঈমানহারা হওয়া।সাহাবার সাহাবা বিদ্বেষ ক্ষমার আওতায় থাকায় তাঁরা ঈমান হারা হওয়া থেকে বেঁচে গেছেন। অপর কারো সাহাবা বিদ্বেষ ক্ষমার আওতায় না থাকায় তাদের ঈমান হারা হওয়া থেকে রক্ষার কোন ব্যবস্থা নাই।সুতরাং যারা ঈমান নিয়ে মরতে চায় তারা সাহাবা বিদ্বেষ ও সাহাবা বিদ্বেষী থেকে দূরে থাকবে।

সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে। তাদের জন্য মহাশাস্তি রয়েছে।

সূরাঃ ৪ নিসা, আয়াত নং ১১৫ এর অনুবাদ-
১১৫। কারো নিকট সৎপথ প্রকাশ হওয়ার পর সে যদি রাসুলের বিরুদ্ধাচরণ করে এবং মু’মিনদের পথ ব্যতিত অন্যপথ অনুসরন করে, তবে সে যে দিকে ফিরে যায় সে দিকেই তাকে ফিরিয়ে দেব এবং জাহান্নামে তাকে দগ্ধ করব, আর উহা কত মন্দ আবাস।

সূরাঃ ৬ আনআম, ১৫৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৫৩। আর এপথই আমার সিরাতাম মুসতাকিম (সরল পথ)। সুতরাং তোমরা এর অনুসরন করবে, এবং বিভিন্ন পথ অনুসরন করবে না, করলে তা’ তোমাদেরকে তাঁর পথ হতে বিচ্ছিন্ন করবে। এভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিলেন যেন তোমরা সাবধান হও।

সূরাঃ ৬ আনআম, ১১৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
১১৬। আপনি যদি পৃথিবীর অধিকাংশ লোকের কথামত চলেন, তাহলে তারা আপনাকে আল্লাহর রাস্তা থেকে পথভ্রষ্ট করবে। তারা নিচক ধারণা ও অনুমানের ভিত্তিতেই চলে, তারা মিথ্যা ছাড়া কিছুই বলছে না।

সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।

* জান্নাতে যেতে চাইলে মুসলিমকে উম্মতের সর্ববৃহৎ দলের সাথে মতভেদ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।কারণ এটাই তাদের বিভিন্ন দলে বিভক্ত হওয়া থেকে আত্মরক্ষার নিয়ম। জাহান্নামীরা অধিকাংশ লোকের সাথে উম্মতের সর্ববৃহৎ দলকে গুলিয়ে ফেলে জাহান্নামের পথে চলে যায়। কারণ সর্ববৃহৎ দল ২০% হওয়া সম্ভব যা অধিকাংশ নয়। কারণ অধিকাংশ ৫০% এর বেশী হতে হয়।

সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৩। তোমরা একত্রে আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে ধর! আর বিচ্ছিন্ন হবে না। তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর।যখন তোমরা শত্রু ছিলে তখন তিনি তোমাদের অন্তরে প্রীতি সঞ্চার করেছেন, ফলে তাঁর দয়ায় তোমরা পরস্পর ভাই হয়ে গেলে।তোমরাতো অগ্নি কুন্ডের প্রান্তে ছিলে, আল্লাহ উহা হতে তোমাদেরকে রক্ষা করেছেন। এভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য তাঁর নিদর্শনসমূহ স্পষ্টভাবে বিবৃতকরেন যাতে তোমরা সৎপথ পেতে পার।

# সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৩ নং আয়াতের তাফসির - তাফসিরে ইবনে কাছির
বেশ কয়েকটি হাদিসে এমন বর্ণিত রয়েছে- একতার সময় মানুষ ভুল ও অন্যায় থেকে রক্ষা পায়। আবার অনেক হাদিসে মতানৈক্য থেকে ভয় প্রদর্শন করা হয়েছে, কিন্তু এতদ সত্ত্বেও উম্মতের মধ্যে মতপার্থক্য ও অনৈক্যের সৃষ্টি হয়ে গেছে এবং তাদের মধ্যে তেয়াত্তরটি দল হয়েগেছে, যাদের মধ্যে একটি দল মাত্র জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং জাহান্নামের আগুনের শাস্তি থেকে মুক্তি পেয়ে যাবে। এরা ঐসব লোক যারা এমন বস্তুর উপর প্রতিষ্ঠিত রয়েছে যার উপর স্বয়ং রাসূল (সা.) ও তাঁর সাহাবীগণ (রা.) প্রতিষ্ঠিত ছিলেন।

* যেখানে ৭২ দল পথভ্রষ্ট সেখানে ২% সর্ববৃহৎ দল হওয়া সম্ভব। বেকুব লোকেরা অধিকাংশের কথা বলে উম্মতের সর্ববৃহৎ দলে ঐক্যবদ্ধ হওয়া থেকে বিরত থাকে। যদিও রাসূল (সা.) উম্মতের সর্ববৃহৎ দলের সঠিকতার সত্যায়ন করেছেন।

সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং থেকে ৪ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।
৩। আর তাদের অন্যান্যের জন্যও যারা এখনো তাদের সহিত মিলিত হয়নি। আল্লাহ পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়।
৪। ওটা আল্লাহরই অনুগ্রহ, যাকে ইচ্ছা তিনি ওটা দান করেন। আর আল্লাহ তো মহা অনুগ্রহশীল।

# সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ৩ নং আয়াতের তাফসির- তাফসিরে ইবনে কাছির
৩। এ আয়াতের তাফসিরে আবু হুরায়রা হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহর পার্শ্বে বসে ছিলাম, এমন সময় তাঁর উপর সূরা জুমুয়া অবতীর্ণ হয়। জনগণ জিজ্ঞাস করেন হে আল্লাহর রাসূল (সা.)! ‘ওয়া আখারিনা মিনহুম লাম্মা ইয়ালহাকু বিহিম’ দ্বারা কাদেরকে বুঝানো হয়েছে? কিন্তু তিনি কোন উত্তর দিলেন না। তিন বার এ প্রশ্ন করা হয়। আমাদের মধ্যে সালমান ফারসীও (রা.) ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁর হাতখানা সালমান ফারসীর (রা.) উপর রেখে বললেন, ঈমান যদি সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট থাকত তাহলেও এই লোকগুলোর মধ্যে এক কিংবা একাধিক ব্যক্তি এটা পেয়ে যেত।(ফাতহুলবারী ৮/৫১০, মুসলিম ৪/১৯৭২, তিরমিযী ৯/২০৯, ১০/৪৩৩, নাসাঈ ৫/৭৫, ৬/৪৯০, তাবারী ২৩/৩৭৫)।
সহিহ মুসলিম, ৪৫৭৬ নং হাদিসের (কিতাবুল ইমারাহ) অনুবাদ-
৪৫৭৬। হযরত জাবির ইবনে সামুরা (রা.)কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.) বলতে শুনেছি, বারজন খলিফা অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত ইসলাম পরাক্রান্ত অবস্থায় চলতে থাকবে। তারপর তিনি যে কি বললেন, তা’ আমি বুঝতে পারিনি। তখন আমি আমার পিতার নিকট জিজ্ঞাস করলাম তিনি কি বলেছেন? তিনি বললেন নবি করিম (সা.) বলেছেন, তাঁদের সকলেই হবে কোরাইশ বংশোদ্ভুত।

সহিহ বোখারী ৪৯৯ নং হাদিসের (সালাতের ওয়াক্ত সমূহ অধ্যায়) অনুবাদ-
৪৯৯। হযরত যুহুরী (র.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি দামেশকে আনাস ইবনে মালেকের (রা.) নিকট গিয়ে দেখতে পেলাম, তিনি কাঁদছেন। আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কাঁদছেন কেন? তিনি বললেন, আমি যা যা দেখেছি তার মধ্যে এ নামাযই আজ পর্যন্ত অবশিষ্ট ছিল। কিন্তু এখন নামাজও নষ্ট হতে চলেছে।

* হানাফী উম্মতের সর্ববৃহৎ দল। এর পারসিক ইমাম আবু হানিফা (র.) একশতবার আল্লাহর দিদার প্রাপ্ত। এর পরিশোধক হারুনুর রশিদ সবচেয়ে পরাক্রান্ত কুরাইশ খলিফা। সুতরাং যারা হানাফী নয় তারা বিনষ্ট ইসলামের অনুসারী ও জাহান্নামী। আল্লাহ এদেরকে জাহান্নামে দগ্ধ করবেন। কালেমার কারণে এদের জাহান্নাম মুক্তি ঘটলেও এদের প্রকাশ্য অঙ্গে জাহান্নামের দাগ চিরকাল থাকবে। কারণ এরা মুসলিমদের মধ্যে বিভেদের জন্য দায়ী।

সূরাঃ ৬ আনআম, আয়াত নং ১৫৯ এর অনুবাদ-
১৫৯। যারা দ্বীন সম্বন্ধে নানা মতের সৃষ্টি করেছে এবং বিভিন্ন শিয়ায় (দল) বিভক্ত হয়েছে তাদের কোন দায়িত্ব তোমার নয়। তাদের ব্যবস্থ্যা করার দায়িত্ব আল্লাহর।আল্লাহ তাদেরকে তাদের কাজ সম্পর্কে জানিয়ে দিবেন।

সূরাঃ ১০ ইউনুস, ১৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৯। মানুষ ছিল একই উম্মত। পরে উহারা মতভেদ সৃষ্টি করে।তোমার প্রতিপালকের পূর্ব-ঘোষণা না থাকলে তারা যে বিষয়ে মতভেদ ঘটায় তার মিমাংসাতো হয়েই যেত।

সূরাঃ ২৩ মুমিনূন, ৫৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৩। কিন্তু তারা নিজেদের মধ্যে তাদের দীনকে বহুভাগে বিভক্ত করেছে। প্রত্যেক দলই তাদের নিকট যা আছে তা নিয়ে আনন্দিত।

সূরাঃ ৩০ রূম, ৩২ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩২। যারা নিজেদের দীনে মতভেদ সৃষ্টি করেছে এবং বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়েছে। প্রত্যেক দল নিজ নিজ মতবাদ নিয়ে উৎফুল্ল।

সূরাঃ ৪৩ যুখরুফ, ৬৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬৫। অতঃপর তাদের বিভিন্ন দল মতানৈক্য সৃষ্টি করলো, সুতরাং যালিমদের জন্য দূর্ভোগ ভয়ংকর শাস্তির দিনে।

* জাহান্নামে না গেলেও মতভেদের কারণে মর্যাদায় খাট হয়ে সাহাবা মতভেদের শাস্তি পাবেন। সুতরাং সুতরাং মতভেদ সাহাবার কাজ হলেও উম্মতের সর্ববৃহৎ দলের সাথে মতভেদ কিছুতেই ইসলাম নয়।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুলাই, ২০২৫ ভোর ৬:১৫

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সাহাবীদের মতভেদ ছিল জ্ঞান ও ইজতিহাদের ভিত্তিতে, আর উম্মতের জামাআত থেকে বিচ্ছিন্নতা হলো বিভ্রান্তি।

২০ শে জুলাই, ২০২৫ ভোর ৬:২৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সাহাবীদের মতভেদ ইজতিহাদ হলেও এর জন্য তাঁদেরকে মূল্য চুকাতে হবে। হযরত ওসমান (রা) কোরআন সংকলন করলে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) বলে বসলেন সুলা ফাতেহা, ফালাক ও নাস কোরআনের সূরা নয়। তারপর খলিফার লোকেরা মেরে তাঁর পাঁজরের হাড় ভেঙ্গে দিলেন। অবশেষে মাসহাফে ওসমান (রা) কোরআন সংকলন হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এভাবে মতভেদ চালিয়ে গেলে কোরআন নিয়েও মুসলিম বিব্রত থাকতো। কোরআন বিষয়ে যারা উম্মতের সর্ববৃহৎ দলের সাথে মতভেদে লিপ্ত তাদের যারা সাহাবা নয় তাদেরকে মুমিন ভাবার দরকার নাই।

২| ২০ শে জুলাই, ২০২৫ সকাল ৭:০২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


আপনি কেন জান্নাতে যেতে চান?
৭২টি হুরের লোভে?
নাকি অন্য কোন কারণ আছে এর পিছনে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.