নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ঝঞ্ঝা ,আমি ঘূর্ণি , আমি পথ সম্মুখে যাহা পাই যাই চূর্ণি ,আমি নৃত্য পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই,আমি মুক্ত জীবনানন্দ

দ্যা প্রোক্রাস্টিনেটর

ভালবাসি ঘুরে বেড়াতে, আর প্রকৃতির মাঝে হারাতে..

দ্যা প্রোক্রাস্টিনেটর › বিস্তারিত পোস্টঃ

তেলে জল মেশানো : জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদ প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ

১৬ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:১৯



বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্ব আজ জঙ্গিতংকে আতংকিত , সম্প্রতি গুলশান ট্র্যাজেডি আর
শোলাকিয়ায় হামলার পর সবার মুখেই এখন প্রশ্ন তবে কি পাকিস্থান বা মধ্য প্রাচ্যের দেশ
গুলোর মত বাংলাদেশ ও জঙ্গিবাদের আঁতুড় ঘরে পরিনত হয়েছে ?
জলন্ত কড়াইয়ে ফুটন্ত তেলের মত টগবগে পরিবেশ কিছুটা থিতাতে শুরু করলেও
জঙ্গিবাদের প্রেতাত্মা এখন ও তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে সাধারন মানুষ কে ।
যা হোক সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনা গুলোর পর চেষ্টা করেছিলাম এ বিষয়ে কিছু জানবার আজকে তারই
কিয়দংশ তুলে ধরবার চেষ্টা করব ,
আজকাল জঙ্গিবাদ আর মৌলবাদ শব্দ দুটি প্রায় একই অর্থেই শোনা যায় , আসলেই কি দুটি বিষয় এক ?



মৌলবাদ সম্পর্কে উইকিপিডিয়া বলছে ,

মৌলবাদ (ইংরেজি: Fundamentalism) হচ্ছে গোঁড়া ধর্মীয় মতবাদসমূহের কঠোর অনুগমনের চাহিদা যা সাধারণত বোঝায় উদার ধর্মতত্ত্বের বিরুদ্ধে একটি প্রতিক্রিয়া। এই শব্দটি ইংরেজি ফান্ডামেন্টালিজম শব্দের অনুবাদ। মৌলবাদ শব্দটির সাধারণ অন্য অর্থ হল মূলজাত। এখানে মূল শব্দটি দ্বারা ধর্ম বোঝানো হচ্ছে। অর্থাৎ আদি কাল থেকেই ধারনাটি ধর্মের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আছে। আর সে ধর্ম হল খ্রিস্টধর্ম।
https://bn.wikipedia.org/s/tl7


বাংলাপিডিয়া বলছে -
মৌলবাদ উৎপত্তিগত দিক থেকে মৌলবাদ (Fundamentalism) একটি খ্রিস্টীয় শব্দ এবং বর্তমানে শব্দটি ইসলাম ধর্মসহ অন্যান্য ধর্মীয় চরমপন্থী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
‘মৌলবাদ’ শব্দটির উৎপত্তি খ্রিস্টীয় ‘মৌলবাদী’ (Fundamentalists) শব্দ থেকে হয়েছে। মোরমন্স (Mormons), পেন্টিকোস্টালস (Pentecostals), ইভনজেলিক্যাল্স (Evangelicals) ইত্যাদি খ্রিস্টীয় নাম বা অভিধাগুলো এই অর্থে মৌলবাদী যে, তাঁরা বাইবেলের প্রতিটি শব্দকে সত্য ও পবিত্র মনে করে এবং এগুলো কঠোরভাবে অনুসরণ করার নির্দেশ দেয়। সকল পুরাতন ধর্মে সহজাতভাবেই মৌলবাদী ধারণা বিদ্যমান আছে।
মৌলবাদী ধ্যান-ধারণা অনুশীলনের ক্ষেত্রে ইহুদিদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি এবং তারা সবচেয়ে জঙ্গি মনোভাবাসম্পন্ন। ধর্মীয় ও রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে ইহুদিবাদকে সবচেয়ে জঙ্গি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ইহুদিবাদীরা তাদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ তোরা এবং তালমুদ-এ উল্লিখিত ধর্মীয় আইন ও নৈতিক নির্দেশনাকে কঠোরভাবে মেনে চলার প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্ব দেয়। এই নির্দেশ অমান্যকারীকে সমাজচ্যুত করা হয়।
তথ্যসুত্র ; বাংলাপিডিয়া

অক্সফোর্ড ডিকশনারিতে –
A form of a religion, especially Islam or Protestant Christianity, that upholds belief in the strict, literal interpretation of scripture
fundamentalism - definition of fundamentalism in English from the Oxford dictionary:

কাজী মাহমুদ রুম্মান ভাই এর সামু ব্লগ থেকে-
প্রকৃতপক্ষে ১৮৯৫ সালে খৃস্টান সংস্কারপন্থীরা অ্যাংলো-স্যাক্সন প্রোটাস্ট্যান্টদের অগ্রাহ্যকরে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের গুরুত্ব ও স্বীকৃতি দেয়ার কথা যখন ঘোষনা করে তখন -(১)খৃস্টান ধর্ম পুস্তকগুলির অপরিবর্তনীয় ও আক্ষরিক ব্যাখ্যাকে এবং সেগুলির চরম অবস্থাকে খৃস্টানধর্মের মূলভিত্তি হিসাবে গ্রহন করা।(২)জেসাস/যিশু/ইসা(আ) শিগগিরই সশরীরে দ্বিতীয়বার আবির্ভূত হতে যাচ্ছেন- এ সম্পর্কিত বিশ্বাস।(৩)কুমারী মায়ের গর্ভে(ভার্জিন মেরী)তাঁর জন্ম সম্পর্কিত বিশ্বাস।(৪)পূনরভ্যুত্থান/রিজারেকশন সম্পর্কিত বিশ্বাস এবং(৫)প্রায়শ্চিত্ত - এই পাঁচটি মূল সূত্রকে চিরন্তন সত্য বলে ব্যাখ্যা করে প্রোটাস্ট্যান্ট গ্রুপগুলি “The Fundamentals : A testimony to the truth” নামক বার খন্ডের বিখ্যাত পুস্তকমালা প্রকাশ করে এবং সেই থেকেই ওরা ‘দি ফান্ডামেন্টালিস্ট’ বা ‘মৌলবাদী’ বলে পরিচিত হয়।দেখা যাচ্ছে আমেরিকাতেই সর্বপ্রথম ‘আমেরিকান প্রোটেস্টানিজম’ থেকে রক্ষণশীল ধর্মীয় আন্দোলনের ভিতর দিয়ে “ফান্ডামেন্টালিজম” এর ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত হয়।
তথ্যসুত্র ; মৌলবাদ- উৎপত্তি



আচ্ছা বুঝলাম মৌলবাদ কি, কিন্ত এর উৎপত্তি কিভাবে ?
বাংলাপিডিয়া বলছে –
উনিশ শতকের শেষের দিকে ও বিশ শতকের শুরুতে আমরা যুক্তরাষ্ট্রে খ্রিস্টীয় মৌলবাদ লক্ষ্য করি। খ্রিস্ট মৌলবাদীরা প্রচন্ডভাবে আধুনিক নব্য প্রবর্তিত রীতি-নীতির বিরোধিতা করে, কারণ তারা মনে করে আধুনিকপন্থীরা তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসে বাইবেলের বিশ্বস্ততা ও সঠিকতার ভিত্তি দুর্বল করেছে।
ইরানে ব্যাপক ইসলামি বিপ্লবের (১৯৭৮-৭৯) পর পশ্চিমা দেশসমূহ ইসলামি মৌলবাদী ধারণা আবিষ্কার করে। ইরানের এই ইসলামি বিপ্লব যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত রেজা শাহ পহলবিকে (১৯১৯-৮০) ক্ষমতাচ্যুত করে এবং তাঁর সকল আধুনিক সংস্কারের বিলোপসাধন করে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হচ্ছে, ইসলামের মূলনীতি ও বিদেশি প্রভাবমুক্ত ইসলামিক প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে ইরানের বিপ্লব ছিলো ইরান থেকে আমেরিকার আধিপত্য উচ্ছেদ করা। আরো অবিশ্বাস্য বিষয় হচ্ছে, বলা হয় টুইন টাওয়ার ঘটনা (১১ সেপ্টেম্বর ২০০১) আল-কায়দা দ্বারা পরিচালিত হয়েছে। এ দুটি অজুহাতসন্ধানী ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইসলামি পুনরুজ্জীবন সম্পর্কে বিস্তর লেখা-লেখি শুরু হয়, এবং এর ফলে পাশ্চাত্যে তথাকথিত ইসলামি মৌলবাদী ধারণা জন্মলাভ করে।

বাংলাদেশে এর শুরুটা কেমন হতে পারে –
আঠারো শতকের শেষের দিকে আরবে সংঘটিত ওহাবী আন্দোলন থেকে প্রত্যক্ষভাবে বাংলায় ইসলামি পুনরুজ্জীবন আন্দোলনের ধারণা গ্রহণ করা হয়। এই আন্দোলনের দুই বিখ্যাত বাঙালি অনুসারী হলেন তিতুমীর (১৭৮২-১৮৩১) ও হাজী শরীয়তউল্লাহ (১৭৮১-১৮৪০)। বাংলার সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানরা ছিল কৃষক ও কারিগর এবং তারা অপেক্ষাকৃত ইসলাম ধর্মে নবদীক্ষিত। ফলে তারা একটি বিরুদ্ধ-সমন্বয়ধর্মী ইসলামের প্রতি আগ্রহী ছিল। সুলতানি ও মুগল আমলের রাজনৈতিক অবস্থায় এ ধরনের বিরুদ্ধ-সমন্বয়ের প্রতি কোনো হুমকি দেখা দেয়নি। কিন্তু ব্রিটিশদের অধীনে বাংলায় বিরুদ্ধ-সমন্বয়ধর্মীতা ইসলামের অস্তিত্বের প্রতি সুপ্ত আশংকা হয়ে দেখা দেয়। ব্রিটিশ শাসনের অধীনে মুসলিম সমাজকে ব্রিটিশ উপনিবেশিক শাসন ও ধর্মীয়ভাবে গতিশীল উঠতি হিন্দু মধ্যবর্তী শ্রেণির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য সনাতনী ধর্মীয় ব্যবস্থাকে সংশোধন করা প্রয়োজন হয়ে পরে বলে মনে করা হয়। তিতুমীরই প্রথম ব্যক্তি যিনি ইসলামি বা মৌলবাদী ধারায় মুসলিম সমাজের আধ্যাত্মিক সংস্কারসাধনের বিষয়টি উপলব্ধি করেন। তিনি হজব্রত পালন করেন এবং মক্কার ওহাবি মতবাদ দ্বারা প্রভাবিত হন। তিনি বাংলার কৃষক সম্প্রদায়ের মধ্যে ইসলামের মূলনীতিসমূহ প্রচলনের জন্য আন্দোলন শুরু করেন। ইসলামি মতবাদ প্রচারের সময় তিতুমীর স্থানীয় জমিদারদের বাধার সম্মুখীন হন, কারণ তারা মনে করেন তিতুমীরের আন্দোলন তাদের সামাজিক নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির প্রতি হুমকি স্বরূপ। তিতুমীর জমিদার ও ইসলামের মৌলনীতি অনুসরণে অনিচ্ছুক মুসলমানদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ বাহিনী গড়ে তোলেন। তিনি জমিদার ও ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেন।
তথ্যসুত্র ; বাংলাপিডিয়া



তবে হ্যা –
মৌলবাদী ধ্যান-ধারণা অনুশীলনের ক্ষেত্রে ইহুদিদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি এবং তারা সবচেয়ে জঙ্গি মনোভাবাসম্পন্ন। ধর্মীয় ও রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে ইহুদিবাদকে সবচেয়ে জঙ্গি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ইহুদিবাদীরা তাদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ তোরা এবং তালমুদ-এ উল্লিখিত ধর্মীয় আইন ও নৈতিক নির্দেশনাকে কঠোরভাবে মেনে চলার প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্ব দেয়। এই নির্দেশ অমান্যকারীকে সমাজচ্যুত করা হয়।
তথ্যসুত্র ; বাংলাপিডিয়া


যা হোক একটি বিষয় বোধহয় এভাবে বলা যায় মৌলবাদের যৌবনকালই জঙ্গিবাদের কৈশোর রুপ
অবশ্য এই উপমহাদেশের প্রেক্ষিতে মানুষের ধর্মভীরুতা কে কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণির ধর্ম ব্যাবসায়ীরা
সবসময়ই সাধারন মানুষকে জিম্মি করেছে সেটিও আমার মতে জঙ্গিবাদেরই একটি অংশ , পূর্বের সমাজ ব্যবস্থায়
ভন্ড পীর , সাধু , সন্ন্যাসিরাও সাধারন মানুষকে আতংকগ্রস্থ করত ধর্মের নানা রকম ভুল ব্যাখ্যা , বিশ্লেষন, ফতোয়া দিয়ে ; তা ছিল সেকালের জঙ্গিবাদ । আর একালে এসে প্রযুক্তির সিড়ি বেয়ে সেই জঙ্গিবাদ রুপ নিয়েছে বিভিন্ন রকম সন্ত্রাসী হামলায় । যার স্বীকার যথারীতি আগের মতই সাধারন মানুষ । তাই সময়ের ব্যবধানে জঙ্গিবাদ তার রুপ বদলেছে মাত্র।

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের জঙ্গি হামলায় বিশ্বব্যাপী আতংক সৃষ্টি কারী জঙ্গি সংগঠন ISIS ( ব্যাঙ্গার্থক ; আমি শ্যানা , আমি শ্যানা ) দায় স্বীকার করেছে । আই এস এর উৎপত্তি কিভাবে হল সেই তর্কে আমি যাচ্ছি নাহ , তবে এধরণের খবরে কিছুটা মাথা ব্যাথার উদ্রেক হতেই পারে যে , আই এস মোসাদের সৃষ্টি –
তথ্যসুত্র ; Click This Link

মোসাদ সম্পর্কে যাদের ধারনা আছে বা নেই তারা নিচের লিংকটি কষ্ট করে পড়ে আসবেন ,
মোসাদ ও মধ্যপ্রাচ্য: জানুন কিছু অবিশ্বাস্য কাহিনী

আশা করি ধারণা পাবেন।

হলি আর্টিজান ক্যাফেতে সেদিন জাপানি নাগরিকদের হত্যা করা হয়েছিল যারা জাইকার হয়ে এসেছিলেন মেট্রোরেলের কাজের জন্য । তর্কের খাতিরে আমি ধরেই নিলাম তাদের হত্যার বিশেষ কোন উদ্যেশ্য ছিল নাহ
কিন্তু এত টুকুই কি শেষ ?



তবে কথা হল হামলা পরবর্তী দেশের অভ্যন্তরীন রাজনৈতিক সংস্কৃতি যথারীতি আগের মতই আছে । যেকোন ঘটনায় বিরোধী মত কে আক্রমন করে রুলিং পার্টি একদিকে আত্মতৃপ্তির ঢেকুড় তুলছে আর অন্য দিকে জঙ্গিবাদের জন্য ভূমি উর্বর হচ্ছে । তেলে জল মেশানোর মতই জঙ্গিবাদের মত অগ্রহনযোগ্য, মানবতা বিরোধী বিষয় কে রাজনীতির মত প্রগতিশীল , জনকল্যাণমূলক বিষয়ের সাথে মিশিয়ে করা হচ্ছে একাকার ।জঙ্গিবাদ কে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে সবাই নিজের আখের গোছানোর কাজে ব্যস্ত কিন্ত ফ্রাংকেন্সটাইনের দৈত্যের কথা আমাদের ভুলে গেলে চলবে নাহ । তবে এ বিষয়ে যে লেখালিখি হচ্ছে নাহ তা কিন্তু নয় –

Click This Link

এ পাপ আমার-আপনার, সবার:


সবশেষে , অতি সম্প্রতি ফ্রান্সের নিসে জরুরী অবস্থার মধ্যেই সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে , এবার হামলার কৌশল ও ছিল ভিন্ন । যা হোক বিশ্বজুড়ে এসব হামলা আর এর প্রেক্ষিতে ইসলাম কে সন্ত্রাসবাদের সংবিধান আখ্যা দেওয়া ,লাঠি না ভেঙ্গে সাপ কে মারার ই নামান্তর ।তাই জঙ্গিবাদ কে রুখতে কেবল দেশে নয় বরং বিশ্বব্যাপী ঔক্য গড়ে তোলা একান্ত প্রয়োজন কারণ জঙ্গিবাদের কোন দেশ নেই , কোন ধর্ম নেই ।



ছবি কৃতজ্ঞতা : ইন্টারনেট
#ZNH

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.