![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার ব্লগের বয়স অনেকদিন তাই বলে কিন্তু ব্লগার হয়ে উঠতে পারিনি সুতরাং কোন অর্বাচীন এসে খামোখা জ্ঞান দান করবেন না। অনেক রাগ করি।
আমার আজকাল প্রচন্ড পরিমাণে ক্ষুধা পায়। ডাক্তার দেখানোর পর ডাক্তার আমাকে কি কি সব ওষুধ দিয়েছে সেইগুলো খেয়ে আজ আমার এই অবস্থা। আগে আমি না খেয়েও থাকতে পারতাম। কিন্তু এখন আমি এক বেলা না খেলে মনেহয় হাঙ্গার স্ট্রোক হয়ে যাবে। খুবই সমস্যার মধ্যে আছি। মাঝে এক ডাক্তার ফ্রেন্ডের কাছে জিজ্ঞেস করেছিলাম... ক্ষুধা মাড়ানির একটা ওষুধের নাম বল! সে আমাকে বললো... ক্ষুধা মারানির একটা ওষুধ আছে তবে ঐটা খেলে তোর অনেক সমস্যা হবে। আর তাছাড়া তোর ক্ষুধা লাগলে তুই খাবি! ফ্যাটযুক্ত খাবার কম খেলেই তো হয়!!
ওর কথা সবই ঠিক আছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আমি যা খাই তাই আমার অনেক মজা লাগে। খাওয়ার সময় আমার মনেহয় যেন আমি জান্নাতে আছি খেতে যে এখন আমার কি পরিমাণ ভালো লাগে তা কেউ আমার অবস্থায় না থাকলে বুঝবে না। মাঝেমাঝে ইচ্ছা করে ওষুধ খাওয়াই ছেড়ে দেই। তারপর আবার ভাবি থাক দুই মাসেরই তো কোর্স আর আছে কয়দিন। কিন্তু এখন যা বুঝলাম তা হলো আমাকে আরো কয়েকমাস কন্টিনিউ করতে হবে
আরেকজনের কাছে ক্ষুধা মারানির ওষুধের কথা বলতেই সে এমন একটা ভিটামিনের নাম বললো যেটায় ক্ষুধা আরো বেড়ে যায়!! মানুষ এতো খারাপ হয় কি করে বুঝি না।
হলে থাকলে ঘোরাঘুরির অনেক সুযোগ পাই। ইচ্ছা মতো যেখানে খুশি ঘুরতে পারি। হাঁটাহাঁটি/দৌড়াদৌড়ি যেকোনো বয়সের মানুষের জন্য একটা ভালো এক্সারসাইজ। বাসায় থাকলে এই সুযোগ নাই। সারাদিন চুপচাপ গালে হাত দিয়ে বসে থাকতে হবে নয়ত রান্না করতে হবে নয়ত বই খাতা নিয়ে বসে থাকতে হবে। আর ঘোরাঘুরি করতে হলে ছাদে যেতে হবে নাহলে রাস্তায় নেমে হাঁটতে হবে। কিন্তু ছাদে একগাদা বাচ্চা খেলাধুলা করে। এই বয়সে বাচ্চাদের সাথে ফ্রেন্ডশিপ করে খেলাধুলা করার মন হয় না। আর বাইরে গেলে তো নোংরা, ধুলাবালিতে বিচ্ছিরি অবস্থা
বাসায় বোনের একটা ট্রেডমিল আছে। মাঝে দুইদিন ওইটাতে দৌড়াদৌড়ি করেছিলাম। কিন্তু ওইটা আমার ভালো লাগে না। দৌড়াতে গেলে খালি মনেহয় যদি হাত ফসকিয়ে যায় তবে সোজা বারান্দায় ছিটকে পড়বো। এছাড়া আরো ঝামেলা আছে ঐটা নিয়ে। ওইটাতে দৌড়ানোর পর ওটা যদি জায়গা মতো সরিয়ে রাখা না হয় তবে আমার বোন ক্যাচক্যাচ করে। আর এক্সারসাইজ করার পর আমার এতোই টায়ার্ড লাগে যে ওটা সরাতে মন চায় না। এইজন্য ক্যাচক্যাচানি শোনাটা কনফার্ম হয়ে যায়।
আজকে অনেক চিন্তাভাবনা করে বের করলাম সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করলে বেশ ভালো একটা এক্সারসাইজ হবে। আমি থাকি চার তলায়। চারতলা থেকে সিঁড়ি দিয়ে চৌদ্দতলায় উঠলাম। তারপর সোজা এক তলায় নামলাম। প্রথমবার শুধু ঘামলাম। কিন্তু সেইরকম অর্থে কোনো কষ্টই হয়নি। কিন্তু দ্বিতীয়বার চৌদ্দতলায় ওঠার পর দেখি আর পারিনা! তারপরও অনেক কষ্টে পায়ে হেঁটে আট তলায় এসে লিফট দিয়ে চার তলায় নামলাম।
আমি বাসায় ঢোকার কিছুক্ষণ পর বোনও ঢুকলো। তাকে বলতেই বললো, বেকুব কোথাকার! সিঁড়ি এভাবে ওঠা নামা করেছিস কেন! এতে হার্টের সমস্যা হয় জানিস!
ভাবছি আমি এখন কী করবো!!!
আমার যোগ ব্যায়াম করার অনেক শখ। কিন্তু শুনেছি এটা করতে করতে ছেড়ে দিলে শরীরে বড় ধরনের সমস্যা হয়। খালাদের কাছ থেকে পাওয়া আমার কাছে খুব ভালো একটা বই ছিল। কিন্তু সেই বইটা যে আমার বোন কোথায় রেখেছে সেটা আর খুঁজে পাচ্ছি না।
আমার ইদানীং আরো একটা কাজ করতে খুব ইচ্ছা করে। সেটা হলো সাঁতার কাটতে। কিন্তু সুযোগের অভাবে এটাও করতে পারছি না। সাইকেল চালাতেও পারছি না সুযোগের অভাবে। চিন্তিত আছি আমি বোধহয় মোটাই হয়ে যাবো
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৩৭
চানাচুর বলেছেন: আমার এমনিতে মোটা হওয়ার ধাঁত নাই কিন্তু আজকাল প্রচন্ড ক্ষুধা পায় এবং ঘাস লতা পাতা যা-ই বলেন না কেন সবই অসম্ভব রকমের টেস্টি লাগে। আর কিছুক্ষণ পর পর শুধু এটা ওটা খেতে ইচ্ছা করে। ধরেন... হঠাত করে শুনলাম একটা জিনিস খাবো তখন যে কী খুশিটা লাগে!! অথচ আগে আমার খাওয়া নিয়ে বিশেষ আগ্রহই ছিল না। বেঁচে থাকার জন্য যতটুকু দরকার ছিল সেটুকু খেয়েই বেঁচে ছিলাম। আর শরীরটাও ঝরঝরে ছিল
২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৩৫
ইঞ্জিনিয়ার মশিউর রহমান বলেছেন: ভাই আমার ক্ষুধা লাগেনা। কিভাবে কি খেয়ে আপনি ক্ষুধা বাড়ালেন একটু জানাবেন।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৪১
চানাচুর বলেছেন: আমার অনেক ব্রন ছিল। আমি এটার জন্য ডাক্তার দেখিয়েছিলাম। আর ডাক্তার আমাকে কী সব ওষুধ দিয়েছে তা খেয়ে আজ আমার এই অবস্থা ভাই স্কিন ভালো হচ্ছে কিন্তু মোটা হওয়ার পসিবিলিটি দেখা দিচ্ছে
৩| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:২৩
বেলা শেষে বলেছেন: আপনার বল্গটা একটু পড়লাম- ভালো লেগেছে। আমি নিজে ভালো লিখতে না পারার কারনে "কপি-পেষ্ট" মন্তব্য করে যাচ্ছি।
ক্ষমা সুন্দর ভাবে দেখবেন। শুভ কামনা আপনার জন্য।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৫২
চানাচুর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো। শুভ ব্লগিং
৪| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৯
কস্কি বলেছেন:
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৫৩
চানাচুর বলেছেন: টেনশান কেন??
আমার পায়ের হাড্ডিগুড্ডিতে এতো ব্যাথা আর যতো দিন যাচ্ছে ব্যাথা মনেহয় আরো বাড়ছে। আমার কি হবে কাগু!!
৫| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:১৮
আমি তুমি আমরা বলেছেন: আরে খান আর আরাম করেন। ভুড়ি হইল সুখী মানুষের লক্ষন। সামান্য একটা ভুড়িকে আটকানোর জন্য এত কষ্ট করার কোন মানেই হয় না।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:৫২
চানাচুর বলেছেন: মনে এমনিতেই ব্যাপক সুখ আছে। আর সুখী হতে চাই না।
৬| ১৪ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২০
Ash৯৪ বলেছেন: Etar ki kono somadhan peyecho ki miss chanachuuurrrr. Pele amakeo janao amaro eki somossha hocche. Solve korte hobe.
১৫ ই জুন, ২০১৮ ভোর ৪:২১
চানাচুর বলেছেন: জনাব, তুমি তো ফ্রোজেন ফুড খেয়ে বেচে আছো সেদিন বললা। ইউটিউবে টিউটোরিয়াল দেখে রান্না করা আগে শেখো। হেলদি খাওয়া দাওয়া করো। নয়ত আমার মত অবস্থা হবে। আটা-ময়দা-সুজি-দুধ সব খাওয়া নিষেধ। একদিন রেস্টুরেন্টে খেলে চিন্তায় মরে যাই কি হবে ভেবে মানুষের বাড়িতে দাওয়াত খেতে যাই না ভয়ে
আর তুমি তো চিকন আছো। এত চিন্তা করো কেন
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:০৩
দি সুফি বলেছেন: ক্ষুধা লাগলে খাবেন। এখানে লজ্জার কিছু নাই
সপ্তাহে ২-৩ দিন ব্যায়াম করে, সাইকেল চালিয়ে ভুড়িটাকে দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করি। বাকি ৪-৫ দিন শুয়ে-বসে খেয়ে যেই লাউ, সেউ কদু হয়ে যায়