নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। লেখকের অনুমতি ব্যতীত যে কোন কবিতা, গল্প, ছড়া, ছবি পোস্ট করা হতে বিরত থাকবেন।
ফাউন্টেন পেন আর দোয়াতের কালিতে আমরা কত সুখি ছিলাম। কত উচ্ছ্বল শিক্ষাজীবন,হই হুল্লোড় আর সুখ আনন্দে ভরা ছিল জীবন। নীল সাদা স্কুল ড্রেস,কালির ছিটার কালো নীল রঙ ছাপ,আহা আমাদের সেই স্কুল জীবন।
দোয়াত উল্টে কালি ধুলায় গড়ানো প্রহরগুলো সত্যিই বড় মধুময় ছিল। দিস্তা কাগজের সেলাই খাতা-তার উপর পলিথিনে মুড়িয়ে হতো আমাদের নিত্য লেখার খাতা। কত আল্পনায় সাজানো খাতার বুক, তাকালেই হেসে দিতো আলতো। বুকে জড়িয়ে বইখাতা স্কুল ব্যাগবিহীন আমরা ছুটে চলতাম ধানক্ষেতের আলের পথ মাড়িয়ে।
বর্ষা যখন ঝমঝম করে ঝরতো আমরা দল বেঁধে দৌঁড়াতাম। কার বাড়ির চালের নিচে মাথা গুঁজি, কার ঘরের কোণায় বুকে বই নিয়ে দাঁড়াই সে হিসেব কখনো করিনি। মানকচুর ছাতা মাথায় আহা আমাদের সেই স্কুল জীবন। কি শরত কি চৈত্র রোদ্দুর মাথায় নিয়ে আমরা আনন্দের ঢেউয়ে ভাসতে ভাসতে চলে যেতাম স্কুল প্রাঙ্গনে। হেমন্ত শীতের কুয়াশায় আচ্ছন্ন সকাল, ভেজা সালোয়ার, ধানক্ষেতের দোল দোলানো শীষে ভেজা ওড়নার প্রহরগুলো বড্ড মধুময় ছিলো। না তোমাদের মত এত সুযোগ সুবিধা আমদের ছিলো না।
তোমাদের মত এত অঢেল খাতা পেন্সিল বলপেন ছিল না। তোমাদের মত আমরা বেহিসেবীও ছিলাম না। আমরা নতুন বই হাতে খুব কমই পেয়েছি। পুরাতন বইয়ের ঘ্রাণেই পার করে দিতাম এক একটি ক্লাস। আর তোমরা কত রঙবেরঙের রঙধনু রঙ কলম হাতে। কত রঙবাহারী খাতা। কত মনোহারী পেন্সিল। শত রঙের রঙপেন্সিল হাতে নিয়ে সময় অবহেলায় থাকো মেতে। তোমাদের হাতে হাতে মোবাইল। তোমরা একমিনিট বইয়ে চোখ রাখো পাঁচ মিনিট চোখ রাখো মোবাইলে। তোমরা বড্ড ঔদ্ধত্যপূর্ণ ব্যবহারে বড় হচ্ছো।
তোমরা মানো না শাসন, মানো না বারণ। শাসনে বলো আমার চেয়ে কি বেশী বুঝো তুমি। আহা কত বেতের বাড়ি পিঠে কত বকুনির ফুলজুড়ি মনে নিয়ে আমরা পার করে দিয়েছি জীবন উচ্ছ্বাসে উল্লাসে। আমাদের কত গল্প আছে। কত গান গল্প কবিতা নাটক আছে। আর তোমাদের কোন গল্প নেই । তোমরা তোমাদের প্রজন্মের কাছে কি গল্প বলবে শুনি। তোমরা বড় হচ্ছো স্ব-অধিনতায়। নিজেদের খেয়াল খুশির জীবন সে আনন্দের হতে পারে তবে বড্ড বেপরোয়া । তোমরা ফেঁসে যাবে দেখে নিয়ো সময়ের হাতে ফেঁসে যাবে। তখন বুঝবে শাসন বারণের কি গুন। তোমরা চোখে বেঁধে রাখো মনোলোভা কলম রঙ। আর মনে এঁকে রাখো শত রঙ রঙপেন্সিল রঙ-তোমরা রঙ দেখো দুনিয়া দেখো না।
তোমরা প্রকৃতির কাছে যাও না। তোমরা মুঠোফোনে ঘুরে বেড়াও ভার্চূয়ালী পুরো দুনিয়া। তোমাদের সাথে আমাদের কোন মিল নেই। আমরা জীবন অনুধাবন করি, জীবন বুঝি আর তোমরা জীবনকে হেলাফেলা ভেবে নিজেকে ছুঁড়ে ফেলো বিষন্নতার ডাস্টবিনে। তোমরা হলে আবেগ হারা। আমরা ছিলায় মায়া মমতা একতায় অথৈ আবেগী। এক সমুদ্দুর আবেগ পুষে রাখতাম বুকে। তোমাদের আবেগ নেই। বন্ধুকে করতে পারো নিমেষেই রক্তাক্ত স্বার্থের আঘাতে।
২৩ শে জুন, ২০১৯ রাত ৯:০০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: জি ভাইয়া, এই কলম হারিয়ে যাবে জানলে, অনেক জমিয়ে রাখতাম। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া। ভালো থাকুন
২| ২৩ শে জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আহা! আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম। পোস্টটি পড়ে স্মৃতিময় হয়ে গেলাম।++
শুভকামনা প্রিয় আপুকে।
২৩ শে জুন, ২০১৯ রাত ৯:১৩
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অনেক আনন্দের দিন ছিলো আমাদের ছেলে বেলা, আগের মত ভাই বোনেদ্ব্র হই হুল্লোড়ও কমে গেছে। এখন কেবল পড়া,আর পড়া, বাচ্চারা রেস্টই পায় না।
জাজাকাল্লাহ খাইরান ভাইয়া
৩| ২৩ শে জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৫
পবিত্র হোসাইন বলেছেন: পবিত্র আবেগ
২৩ শে জুন, ২০১৯ রাত ৯:১৩
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আবেগ ভেসে গেছে অতীতের জলে।
ধন্যবাদ ভাইয়া ভালো থাকুন
৪| ২৩ শে জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৫
মা.হাসান বলেছেন: আহারে , আপনার ছেলেবেলা কত কষ্টেই না কেটেছে। আপনিও কি ৪০ কিলোমিটার হেঁটে স্কুলে যেতেন?
আপনার সময় স্কুল ফাইনাল কে কি বলা হত? এফ এ? এনট্রান্স?
ক্লাস সিক্স সেভেন পর্যন্ত নতুন পুরাতন বইয়ের মিশাল দিয়ে চালিয়ে দিয়েছি। বই হাত বদল হতে হতে প্রথম এবং শেষের পৃষ্ঠা গুলো ছিড়ে যেত বলে কিছু সমস্যা হতো। খাতা সেলাই করতে আমার খুব ভাল লাগত। সেলাই করার হুক আর লাল সাদা সুতা সবসময় কাছে থাকতো। স্কুল ফাইনালের আগে ফাউন্টেন পেন কে বাদ দিতে হয়েছে কেননা তাতে লেখার গতি বড্ড কম উঠতো।
আমি কবিতা পড়ি না, তবে আপনি কবিদের এক ডিগ্রী উপরে। আপনি গদ্যও লেখেন পদ্যর ছন্দে। ভেজাল গদ্য। গদ্য লেখার সময় সত্যিকারের গদ্য না লিখলে আপনার পাতায় আর কখনো আসবো না।
২৩ শে জুন, ২০১৯ রাত ৯:২৫
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: চল্লিশ না হলেও চার পাঁচ কিমি দূরে ছিলো হাই স্কুল, হেঁটেই যেতাম আসতাম। ছেলেবেলা কষ্টে কাটবে কেনো, আমি কইছি নি।
বেশ আনন্দে কেটেছে।
ষান্মাসিক আর বার্ষিক পরীক্ষা হত।
পুরাতন বই নাইন টেন পর্যন্ত পড়ছি।। সেলাই মেশিন কিনার পর খাতা সেলাই মেশিন দিয়াই করতাম শেষে। ও ভাই ডর দেহান ক্যারে।
আমি কবি না, আর লিখার সময় ছন্দ কইত্থন আসে জানি না এরপর ঘটনার বর্ণনা দিমু খালি। তাও ডর দেহাইয়েন না কইলাম।
শুভেচ্ছা রইল। ভালো থাকুন
৫| ২৩ শে জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৬
এমজেডএফ বলেছেন: আপনার লেখা 'জীবন গদ্য' পড়ে অতীতবিধুরতায় মনটা দোলে উঠলো। কালের আবর্তে সময়ের প্রয়োজনে মানুষের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আসবে। সেই পরিবর্তনকে গ্রহণ না করে বাঁচার উপায় নেই। তবে নতুন প্রজন্ম যখন আধুনিকতার নামে অড্ডালিকা প্রবাহে গা ভেসে দেয়, বিলাসিতাকে স্মার্টনেস মনে করে নিজেদের গৌরবোজ্জল সংস্কৃতিকে ভুলে যায় তখন দুঃখ হয়।
“আধুনিক বিজ্ঞান মানুষকে দিয়েছে বেগ, কিন্তু কেড়ে নিয়েছে আবেগ। তাতে আছে গতির আনন্দ, নেই যতির আয়েস।” –যাযাবর
২৪ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:৩২
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খাইরান এমজেডএফ। জি পরিবর্তন আসছে আসবে আরও কিন্তু আবেগ যে হারিয়ে যাচ্ছে তার সাথে সাথে। এখন রাস্তায় কেউ অসুস্থ পড়ে থাকলেও কেউ ফিরে দেখে না। কেউ কষ্ট করে ঘাড়ে বোঝা নিয়ে যাচ্ছে বয়স্ক কেউ বলছে না যে আমি হেল্প করি আপনাকে।
গৌরবজ্জ্বল ইতিহাস আমরা ভুলতে পারি না। গ্রামগুলোর উন্নয়ন হয়েছে কিন্তু সেই সব দিনগুলোও কম সুখের ছিলো না। গতির আনন্দ যেমন আছে তেমন এতে ক্ষতির পরিনামও বেশী মনে হচ্ছে আমার। মোবাইল স্ক্রীন কম্পিউটার এরা আমাদের চোখের জ্যেতি কেড়ে নিচ্ছে দিনকে দিন।
ভালো থাকুন ভাইয়া
৬| ২৩ শে জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: যে দিন যায়, তা আর ফিরে আসে না।
ফিরে না আসা দিন গুলো আমরা অবসর সময়ে মনে করি, পুলকিত হই।
২৪ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৮
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সুন্দর মন্তব্য । জি ভাইয়া মনে করে করে হাসি-হেসে উঠি
বড় ভালো লাগে
কত শত বোকামী মনে করে করে হাসি হাহাহা
ধন্যবাদ অনেক অনেক
৭| ২৩ শে জুন, ২০১৯ রাত ৮:৩৪
ল বলেছেন: নস্টালজিক ভাবনা।।।
অসাধারণ।।
২৪ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৮
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: জি ভাইয়া স্মৃতিগুলো উঠে আসে মাঝে মাঝে মনের খাতায়
ধন্যবাদ আপনাকে
ভালো থাকুন
৮| ২৩ শে জুন, ২০১৯ রাত ৯:২৭
মুক্তা নীল বলেছেন:
ছবি আপা ,
আফসোস করা লেখাগুলো ভীষণ আবেগময়, স্মৃতিবিজড়িত।
অনেক ভালোলাগা ও ভালোবাসা রইলো।
২৪ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৯
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সুন্দর মন্তব্য আপি। জি আপি আমাদের সময়ের স্মৃতিগুলো আমাকে অনেক আনন্দ দেয়। আবার ফিরে যেতে মন চায়
জাজাকিল্লাহ খাইরান আপি
অনেক ভালো থাকুন।
৯| ২৩ শে জুন, ২০১৯ রাত ৯:৩৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলা ছাড়া আর উপায় কি। যে যুগে প্রযুক্তি সেই প্রযুক্তি নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে। দোয়াত কালি কলম আমরা পেয়েছিলাম । নতুন প্রজন্ম তো পা পায়নি। তারা এটার মর্ম বুঝবে না।
২৪ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:৪০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: জি ভাইয়া যুগের সাথে তাল মিলিয়েইতো চলি তারপরও এসব দেখে আমাদের সময়ের কথা মনে পড়ে যায়। কষ্ট লাগে তফাত দেখে। আসলেই এরা এসবের মর্ম বুঝে না। কষ্ট করে পড়াশুনা বা বড় হওয়ারও ঝামেলা পোহাতে হয়নি ওদের। ওদের আবেগ খুব কম।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ভালো থাকুন
১০| ২৪ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: খুব সত্যি লিখেছেন আপু, দারুণ করে।
লেখায় ভালোলাগা।
২৪ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ২:১৯
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপি। ভালো থাকুন সুন্দর থাকুন অনেক অনেক
১১| ২৪ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:৫০
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর।
+
২৪ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ২:৩৮
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সেলিম ভাইয়া ভালো থাকুন
১২| ২৪ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১:১২
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: চতুর্থ ছবির কিলম ধরা হাতটি কার হাতের সকল রেখা দেখা যাচ্ছে যেই হাত জীবনে অনেক ঘাত প্রতিঘাতে অভিজ্ঞতায় চলবে। প্রিয়জনরা সহসা দুরে চলে যাবে স্বার্থের কারণে আবার পাশে আসবে স্বার্থের কারণে। জীবন তার কাছে ধরা দেবে কঠিন বাস্তবতা নিয়ে। হাতের রেখা সম্বলিত ছবিটি মুছে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। পোস্টে অভিনন্দন।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: - হাতের রেখা ভবিষ্যত বলেনা, তবে কাকতালিয় ভাবে সব মিলেও যায়।
২৪ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ২:৫২
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ভাইয়া ভয়ে মুছে দিছি হাহাহাহা..। যদিও রেখাটেকা বিশ্বাস করি না। কিন্তু আপনি যেভাবে বলছেন বাপরে ডরাইছি । আল্লাহ যেনো ভালো রাখেন সঠিক পথে রাখেন।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকুন অনেক অনেক
১৩| ২৪ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১:২০
আরোগ্য বলেছেন: ছোট বেলায় কোন ফ্রেন্ডের জন্মদিনেে উপহার হিসেবে কলমটাই দেয়াা হতো কিন্তু এখনত টাইপিঙের যুগ। আমার অবশ্য লেখালেখি করতেই অধিক ভালো লাগে।
আরেকটা কথা মনে পড়লো, স্কুলে থাকতে সেলো গ্রিপার ব্যবহার করতাম কিন্তু দশ টাকা দিয়ে সব সময় কেনা সহজ ছিলো না তাই শিষ কিনে নিতাম।
চাঁদগাজির মন্তব্যটা ভালো লেগেছে।
২৪ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ২:৫৪
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হ্যা একদম ঠিক বলেছেন। শিস কিনতাম আমরাও। তবে কামড়ানোর কারণে কলমের পাছা ঠিক থাকতো না হাহাহাহা। আর কলমের মাথাও হারিয়ে ফেলতাম। আমি তো লেখালিখি ভুইলাই যাইতাছি । কলমে আর লিখতেই পারি না। ছেলের লেখা মাঝে মাঝে লিখে দেই । এখন দেখি ফাইভে পড়া ছেলের আর আমার হাতের লেখা একরকম হয়া গেছে হাহাহা।
ধন্যবাদ ভাইয়া ভালো থাকুন অনেক অনেক
১৪| ২৪ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১:২৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ব্লগার মা.হাসানের মন্তব্য পড়ে খুব মজা পেলাম।
আমার গ্রামে থাকা হয়নি। আপনাদের স্মৃতি রোমন্থন পড়ে দুঃখ হয়। আহা...আমারও যদি গ্রামের এমন স্মৃতি থাকতো!!
তবে ফাউন্টেন পেনের স্মৃতি আছে। ক্লাশ ফাইভের বৃত্তি পরীক্ষার পর আব্বার কাছ থেকে উপহার পেয়েছিলাম একটা পাইলট কলম, আর ক্লাশ এইটের পর একটা পার্কার। পাইলট কলমটা এখনও আছে, কিন্তু পার্কার কলমটা হারিয়ে ফেলেছি।
জীবন গদ্য ভালো হয়েছে।
২৪ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ২:৫৭
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অই যে আন্নেও ডর দেহান হুহ....। খেলতাম না আর থুক্কু
গ্রাম যে কি জিনিস থাকলেই বুঝতেন। আল্লাহ আমাকে এই সুযোগ দিয়েছেন । ২৪ বছর গ্রামে থাকছি, চাকুরীর সুবাদে ঢাকা চলে এসেছি, মাস্টার্স করেছি ঢাকায় এসে। এতটা আনন্দের জীবন ছিলো আমাদের । লাখ লাখ শোকরিয়া আল্লাহ তাআলার দরবারে যে তিনি একটু সুন্দর জীবন উপহার দিয়েছেন আমাকে। সেই পেনগুলো একটাও আর নেই, জানলে জমিয়ে রাখতাম। কালির দোয়াত পরীক্ষার হলে গিয়ে ব্রেঞ্চে রেখে পরীক্ষা দিতাম আমরা।
আন্তরিক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য এবং পোস্ট ভালো লাগার জন্য ভালো থাকুন সবাইকে নিয়ে। শু কামনা
১৫| ২৪ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ২:৫১
মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: ফাউন্টেন পেন আর কালির দোয়াতে মাখা আপনার শৈশব পড়লাম। আর পুরনো বইয়ের কথা কি বলবো? আমি ক্লাস থ্রি পর্যন্ত পুরনো বই দিয়েই পড়েছি। তবে ৪র্থ শ্রেণী থেকে নতুন বই পেয়েছিলাম। এক জায়গায় অনেকগুলো থালা-বাটি রাখলে আওয়াজ হবেই,বন্ধুর সাথে রাগ-ঝগড়া কিলাকিলি হতেই পারে,তাই বলে আবেগ নেই এমনটা বলবেন না। আমি খুব আবেগী বালক। বন্ধুকে সমস্যা থেকে উদ্ধার করতে সব জায়গাতেই ফাইট করেছি আমি।
২৪ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:০০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া। আবেগ সবার মাঝে নাই তো বেশী....। তবে একেবারে শূন্যের কৌঠায় তা নয় কিন্তু।
সবাই সুখে থাকুক হেফাজতে থাকুক এ্ দোয়াই করি।
ভালো থাকুন ভাইয়া
১৬| ২৪ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৯
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: আমার ইউনিভার্সিটির পাশে একটা দোকানে ফাউন্টেন পেন দেখেছিলাম কিছুদিন আগে।
২৪ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:০৩
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কিনে রাখতেন।
ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টে আসার জন্য
১৭| ২৪ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:৫১
করুণাধারা বলেছেন: পোস্ট পড়ে অবধি নস্টালজিয়ায় ভুগছি, আহা কত কিছু ছিল আমাদের শৈশবে! অনেক কষ্ট করার পর কিছু পাবার আনন্দ কি বিশাল ছিল!
আমরা জীবন অনুধাবন করি, জীবন বুঝি আর তোমরা জীবনকে হেলাফেলা ভেবে নিজেকে ছুঁড়ে ফেলো বিষন্নতার ডাস্টবিনে। বড় সত্যি কথা। এরা যে বোঝেনা...
২৫ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:০০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: একদম ঠিক আপি, অনেক কষ্ট করে আমরা পড়াশুনা করেছি। এক টাকা নিয়ে যেতাম চার আনায় আইসক্রিম খেতাম। আগে আমাদের টিফিন দেয়া হতো না। সকাল থেকে বিকেল অবধি উপোষ। আর এখন না চাইতেই বাচ্চারা অনেক কিছু পেয়ে যায়। অল্প সময় স্কুল তারপরও ওরা টিফিন পেয়ে যায়। আমাদের জীবন আসলেই অনুভব করার মত জীবন ছিলো
জাজাকিল্লাহ খাইরান আপি। অনেক ভালো থাকুন
১৮| ২৫ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:৫১
নীল আকাশ বলেছেন: লেখাটা পড়েগিয়েছিলাম আগেই। তখন মন্তব্য করতে পারিনি। পড়ার পর পুরানো দিনের অনেক কথাই মনে পড়ে গেল। চমৎকার করে লিখেছেন। ছবিগুলি দেখে আমি মুগ্ধ। ইস ইকোনো রাইটার বলপেনের ছবিগুলি যদি দিতেন!
আপনাকে আমি একটা ভয়ংকর অনুরোধ করব। যেহেতু এত সুন্দর করে মেয়েবালার স্মৃতি লিখতে পারেন, তাহলে একটা সিরিজ লিখে ফেলুন না আপনার খুব প্রিয় মেয়েবেলা নিয়ে। দারুন হবে।
আপনার বদছেলের প্রতি পোস্ট লিখে রেখেছি। সেফ হলেই পোস্ট দিব।
ধন্যবাদ।
২৫ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ২:৫৯
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: খুব সুন্দর অনুরোধ ইতোমধ্যে অনেক লিখা হয়ে গেছে। সবই ফেবুর পাতায় জমা আছে কেবল এখানে পোস্ট করা হয়নি। ইনশাআল্লাহ পোস্ট দেবো একে একে।
আপনার পোস্টের অপেক্ষায় আছি।
জাজাকাল্লাহ খাইরান ভালো থাকুন ভাইয়া
১৯| ২৭ শে জুন, ২০১৯ সকাল ১১:০৮
মুক্তা নীল বলেছেন:
ছবি আপা,
"একদিন মরে যাব বহুদূর" এই কবিতায় মন্তব্য করে এসেছিলাম।
কিন্তু অনেক আগের তো তাই মনে হয় নোটিফিকেশন এ সমস্যা হয়েছে।আপনি একটু দেখে নিয়েন। অথবা আমার ব্লগ বাড়ি এসে দেখে যেয়েন ।কারণ আপনার এই কবিতাটা আমার এত ভালো লেগেছে আমি প্রিয়তে নিয়ে নিয়েছি।
ভালোবাসা ও ধন্যবাদ রইলো ।
০৫ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:৪২
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: প্রিয় আপি, ব্যস্ততার দরুণ অনেক কিছুই পারি না। সামু বন্ধ হওয়ার পির আপনাকে খুব মিস করেছিলাম। আল্লাহর রহমতে,সামু এসেছে আবার, ইনশা আল্লাহ দেখা হবে কথা হবে
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
বলপেনকে নিজের কোন কিছু বলে মনে হয় না, ফাউটেন-পেন ছিল নিজের মালিকাকানয় ভালোবাসার আর্টিকেল।