নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। লেখকের অনুমতি ব্যতীত যে কোন কবিতা, গল্প, ছড়া, ছবি পোস্ট করা হতে বিরত থাকবেন।
©কাজী ফাতেমা ছবি
=ফ্রেমবন্দির গল্প=
তো বলছিলাম, সেই ইস্পাহানী ইসলামীয়া চক্ষু হাসপাতালের কথা। এই হাসপাতালে আমার আম্মার চোখের ছানি অপারেশন করিয়েছিলাম গত এপ্রিলে। সেই সুবাধে সেখানে দুই দিন দুই রাত থাকতে হয়েছে। সেখানকার পরিবেশ পরিস্থিতি নিয়েই আজকের গল্প বা আবোল তাবোল কথা।
সেই হাসপাতালে আমার ক্লাসমিটের ছোট ভাইও ডাক্তারি করেন। প্রথমে ভাবছিলাম আত্মীয় পরিচয়ে না দেখানোই ভালো। এমনিতেই দেখাই। এমন করেই কয়েকদিন দৌঁড়াদৌঁড়ির পর গিয়ে তার স্মরণাপন্ন হয়েছিলাম। প্রথম দিকে অপারেশনের ডেট কিংবা কাগজপত্রের দৌঁড়াদৌড়িতেঁ কষ্ট হচ্ছিলো খুব। এরা সহজেই রোগী বা রোগীর সাথে যারা তাদের তেমন পাত্তাই দেয় না বা বুঝিয়ে কিছুই বলে না। অপারেশন লাগবে সেটা আমরা আগে থেকেই জানি। এখন শুধু ডেট দিবে । কাগজপত্র দেখে বললো আপনারা অমুক তারিখ আসুন সব গুছিয়ে, এই রাতেই ভর্তি হবেন। এ অপারেশন করতে এমন খরচ লাগবে তারা বললো। কী হুকের কথা বললো তাতে আরও দুইহাজার বেশী লাগবে। আমরাও সেই মতে এসে হাজির সেই তারিখে, কিন্তু কাগজপত্র নিয়ে যে নার্স না এদের কে কী বলে কী জানি, এমন গোলাপী ড্রেস পরা মেয়েগুলো এখানে সেখানে চেম্বারে বসা। এক জায়গা থেকে অন্যজায়গায় যেতে আসতে তাদের সাথে দেখা এবং কথা। সেই নার্সের কাছে আসলাম সে বলেছিলো অমুক তারিখ আসুন, সে এখন বলে কই আমি বলেছি আপনারা এই তারিখে আসবেন, এই কয়েক তারিখে ডাক্তারের সিরিয়াল নাই অপারেশনের। সব গুছিয়ে আমরা গিয়েছিলাম। মেজাজটা গরম হয়ে গেলো। আবার তারাই বললো যে, যে হুকের দাম দুই হাজার টাকা সেই হুকের দাম নাকি এখন ৫ হাজার টাকা। দশ বারো দিনের মাঝেই তিন হাজার টাকা বেড়ে গেলো।
ঠিক তখনই সেই ছোট ভাইয়ের স্মরণাপন্ন হলাম। তিনি আগামীকালের ডেট দিলেন। গেলাম পরেরদিন। সব কাগজপত্র দেখে অপারেশনের ডেট দিয়ে সেই মেয়েটার কাছে পাঠালেন। সেই মেয়ের কাছে গেলেই আদর যত্ন সহকারে আমাদের কাগজপত্র দেখলো এবং অপারেশনের খরচও কমালো। সেই হুকের কথা সে বললোই না। সে সময় ক্যাবিন না থাকায় আমরা ওয়ার্ডের জন্য আবেদন করেছিলাম। তারিখ অনুযায়ী আম্মাকে নিয়ে গেলাম হাসপাতালে। আগের দিন রাত ভর্তি পরের দিন অপারেশন। বেডে ভর্তি হইলো আম্মা আর আমি সাথে থাকবো। কিন্তু ওয়ার্ডের ভিতর রোগী ছাড়া অন্য কাউকে থাকতেই দিচ্ছিলো না, আর ছোট ভাই তো ভিতরেই ঢুকতে পারছিলো না। ঘন্টার পর ঘন্টা আমরা বাইরে বসে থেকেছি। সে সময় প্রচুর গরমও ছিলো।
রাতে আমি ছাড়া কাউকে থাকতে দেবে না তাই ছোট ভাই চলে গেলো বাসায় । আমি আর আম্মা রয়ে গেলাম সেখানে। রাত যখন বারোটা তখন আমি ওয়ার্ড হতে বের হলাম। চারিদিকে কী সুনসান নিরবতা মাগো মা......... আর কী যে সুন্দর পরিবেশ।মুহুর্তেই মন ভালো হয়ে গিয়েছিলো আমার। অনেক লম্বা করিডোর ধরে হাঁটলাম আধাঘন্টা। রাতের হাঁটা আমার এখানেই হয়ে গেলো।
একসময় ঝড়ও আসছিলো, বৃষ্টিও হয়েছিলো প্রচুর। ঝড়ের পর গিয়ে দেখি নিচের ফুলবাগান তছনচ। টবগুলো উল্টে পড়ে আছে। তবে রঙিন আলোতে তখনো সব ঝকমক করতেছিলো। সবুজ ঘাস আরও সবুজ দেখা যাচ্ছিল। কতক্ষণ ছবি তুললাম, ভিডিও করলাম। একা একা নিচে গিয়ে হাঁটলাম। মাঝে মাঝে আম্মাকে দেখে গেলাম। পরের দিন অপারেশন হয়েছিলো। আলহামদুলিল্লাহ আমার সেই ছোট ভাইই যত্ন সহকারে আম্মার অপারেশন করেছেন। আরেকটা চোখ তিনিই অপারেশন করবেন তবে সেটা আমাদের হবিগঞ্জ শহরেই। আল্লাহ ভরসা। পরেরদিন রাত আবারও সেই দুর্দশা আমি আমার ছোট ভাই ওয়ার্ডের ভিতর প্রবেশ করতে না পারায়, গিয়ে নিচে বসে চা কফি খেলাম। ভাইবোন মিলে অনেকক্ষণ ছবি উঠালাম। মাছের একটা একোরিয়াম ছিলো তার কাছে দাঁড়িয়ে মাছ দেখেছিলাম অনেকক্ষণ। ছবি আর ভিডিও কিন্তু করেছিলাম। শুধু যে রাতের ছবি তুলেছি তা কিন্তু নয়। দিনে ফুলের ছবি উঠিয়েছি, তা না হয় আরেকদিন দেবো। খুবই মনোরম পরিবেশ সেখানে রাতের বেলা। অথচ দিনের বেলা এত মানুষ, গিজগিজ করে। এতটুকুন জায়গা থাকে না পা ফেলার।
একটা দু:খের কথা হলো, সেই হাসপাতালে মেয়েদের জন্য নামাজের কোনো জায়গা করেনি বা রাখেনি। এতমানুষের মাঝে কী যে ক্ষ্ট করে নামাজ পড়তে হয়েছিলো। এমন একটা জায়গা নেই যেখানে চেয়ারে বা টুলে বসে নামাজ পড়া যাবে। নার্সদের বলে কয়ে তাদের বসার চেয়ার নিয়ে চিপাচাপা খুঁজে সবাই নামাজ পড়েছিলো। অথচ সেই হাসপাতালের নাম ইসলামীয়া চক্ষু হাসপাতাল। এটা একটা অন্যায় কাজ আমার ভালো লাগেনি ব্যাপারটা। মেয়েদের জন্য সব জায়গাতেই নামাজের জায়গা করে রেখেছে। এই পর্যন্ত যতগুলো হাসপাতালে থাকা হয়েছে বা গিয়েছি তার মধ্যে এই হাসপাতাল আর শিশু হাসপাতাল এই দুইটাতে নামাজের জায়গা করে রাখেনি কর্তৃপক্ষ। সেইখানকার কিছু স্মৃতি নিয়ে দুইদিন পর ফিরে এসেছিলাম সহিসালামতে আম্মাকে নিয়ে বাসায়। ভালো থাকুন সবাই। ফি আমানিল্লাহ।
১। নিচে বসার জায়গায় ওখানে ব্যাঙের ছাতা গজিয়েছে, ঘাসের ফঁাকে ফাঁকে দেখতে ভালোই লেগেছিলো।
২। বসার জায়গায় লাইটিং সিস্টেম খুব সুন্দর রাত
৪।
৬। নিরিবিলি রাত
৭। একুরিয়াম
৮। মাশরুম
৯। রঙিন মাছ
১০। বাহিরের রাস্তা, রাত দশটার পরও ব্যস্ত
১১। একটু পরেই রাস্তা কিছুটা নিরব
১৩। হাসপাতালের ভিতর
১৪। একটু কাছ থেকে তোলা
১৫। লাইটিং রাস্তা
১৬। একেকসময় একের রঙের লাইট
১৭। ঝড়ের পর অবস্থা
১৮। দূর থেকে একটি মসজিদের মিনার
৫। রাতের বেলা
১৯। সুনসান করিডোর
২০।এই করিডোর দিয়ে হেঁটেছি
অট: নামাজের কথা বলেছি বলে মনে করবেন না এটা প্রচারের জন্য সরি, শুধু বলতে চেয়েছি নামাজের জন্য ব্যবস্থা রাখা উচিত ছিলো সেখানে। যদি কর্তৃপক্ষের নজরে পড়তো বিষয়টি ভালো হতো।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: দেখে আসলাম ধন্যবাদ ভাইয়া
২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: আমি ছবি ব্লগ পোষ্ট দিয়ে দিয়েছি।
আমন্ত্রন।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: খুব সুন্দর হয়েছে পোস্ট
৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩০
ইসিয়াক বলেছেন: আজ আমার মনটা ভীষন খারাপ ছিল।
আপনার আর রাজীব ভাই এর ছবি গুলো দেখে মন ভালো হয়ে গেল
আপনার তোলা এই ছবিটা খুব সুন্দর হয়েছে।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩১
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
৪| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু ছানি অপারেশনের জন্য দু'দিন!! আমিতো আশ্চর্য হয়ে গেলাম।
আমাদের এখানে ছানি অপারেশনের জন্য 6 ঘন্টা বসিয়ে রাখে তার পরে চোখে কালো চশমা পরিয়ে ছেড়ে দেয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য 2013 সালে আমি আমার মাকে ছানি অপারেশনের জন্য স্থানীয় একটি আই হাসপাতালে নিয়ে যায়। ওরা আমার পছন্দমত ডক্টরের ডেট দেখে আমাদের অ্যাপোয়েন্টমেন্ট লিখে দিয়েছিল। ঘটনার দিন খুব সকালে আমরা হসপিটালে পৌঁছায়।আগে থেকে আমাদেরকে 10 হাজার টাকার মতো আনুমানিক খরচ দেওয়াও হয়েছিল।
আমি সে সময় হসপিটালের এক্কেবারে পাশেই থাকতাম। যদিও মায়ের বয়স ও সুগারের আধিক্যের কারণে ডক্টর চেক করে আর ছানি অপারেশন করতে রাজি হননি। সেখানে সমস্ত পেশেন্টদের মত আমাদেরও আগে থেকে 6 ঘন্টা হসপিটালে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছিল। মায়ের অপারেশন না হওয়ায় তার আর প্রয়োজন হয়নি। পরের বছর সেপ্টেম্বরে মা আমাদের ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে যান।
০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১০:৪৭
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কিন্তু আমাদের এখানে দুইদিনই থাকতে হয়েছে। এটা আমার নতুন অভিজ্ঞতা। এসব বড় কাজে কখনো যাইনি, বা বাকবিতন্ডাও করিনি। আমাদের হাসপাতালগুলো যে কত ভাবে মানুষের নিকট হতে টাকা হাতিয়ে নেয় তার ইয়ত্তা নেই। এই দুইদিন ছাড়াও আমাদেরকে বেশ কয়েকদিন হাসপাতাল যেতে হয়েছে। যাই হোক আল্লাহর রহমতে আম্মা ভালো আছেন। আরেকটা চোখ অপারেশন বাকি ইনশাআল্লাহ সেটাও ঈদের পরে করিয়ে নেবো দোয়া করবেন।
আল্লাহ আপনার আম্মাকে বেহেশত নসীব করুন।
৫| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪০
মিথী_মারজান বলেছেন: রাতের শহর,রাস্তা-ঘাট,পরিবেশ সবকিছুই খুব রহস্যময়, মায়াবী আর পবিত্র মনেহয় আমার কাছে।
আর রঙ বেরঙের লাইটিং তো আমার অনেক প্রিয়!
ছবিগুলো খুব সুন্দর।
আপনার মায়ের সুস্হতা কামনা করছি।
হাসপাতালগুলোর অহেতুক ভোগান্তিগুলো কবে যে বন্ধ হবে!
০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১০:৫৮
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: জাজাকিল্লাহ খাইরান আপি। সুন্দর মন্তব্য অনেক ভালো লাগলো। আসলেই রাতের রঙ বেরঙের আলোকসজ্জ্বা আমারও খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে ১৬ ডিসেম্বর এই রাতে ঢাকা শহর স্বপ্ন শহর হয়ে উঠে যদিও অনেক বিদ্যুত অপচয় হয়।
আমিন
এই ভোগান্তি কমার নয় আপি। স্বার্থপর ডাক্তারগুলো কেবল টাকা চিনে আর কিছু না।
৬| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫০
জুন বলেছেন: আমার আব্বারও এই হসপিটালে চোখের অপারেশন হয়েছিল । তবে আব্বা আর নেই এখন ।
ছবিগুলো সুন্দর অনেক ।
+
০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১০:৫৯
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আল্লাহ আপনার আব্বাকে বেশেসত নসীব করুন-আমিন
জাজাকিল্লাহ খাইরান আপি
ভালো থাকুন অনেক অনেক
৭| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনি হাসপাতালের সেবার যে বর্ণনা দিলেন এটা তো দেশের সাধারন চিত্র। তারপরও ইস্পাহানী ইসলামীয়া চক্ষু হাসপাতালের সেবা মনে হয় তুলনামূলক ভালো। আর পরিচিত মানুষ থাকলে দেশের সবখানেই খাতির-যত্ন একটু বেশীই পাওয়া যায়।
আপনার আম্মার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।
আপনার ছবিগুলো একেবারে জীবন্ত। আমারগুলো ল্যাপটপে দেখতে তো ভালোই দেখা যায়; পোষ্ট করলে এমন মরা মরা লাগে কেন কে জানে!!
০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:০১
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: বেশ কয়েকটি হাসপাতাল ঘুরেছি এই পর্যন্ত তুলনামূলক ইসলামী ব্যাংক হাসপাতার একটু বেশী ভালো, সেবার মান ভালো, ব্যবহারও ভালো। হ্যাঁ পরিচিত মানুষ থাকলে খাতির যত্ন বেশী পাওয়া যায়। জাজাকাল্লাহ খাইরান ভাইয়া
একটু এডিট করলে আরও ভালো দেখা যেতো এই আর কী। তবে পোস্টে ছবিগুলো সুন্দরই তো লাগলো
৮| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৯
শায়মা বলেছেন: ব্যাঙের ছাতা আমার অনেক প্রিয়! ছোটবেলায় ভাবতাম এর নীচে ছোট্ট ব্যাঙ রাজকুমার বসে থাকে!
০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:০৫
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হাহাহাহাহা ... আর তুমি ব্যাঙ রাজকুমারী হয়ে যাও।
আসলেই ছোটবেলা ভাবতাম ছাতা নিচে ব্যাঙ এসে বসে না কেনো
ধন্যবাদ আপি
৯| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:৫১
ঢাবিয়ান বলেছেন: ওয়াও ছবিগুলো অসম্ভব ঝকঝকে তকতকে । ১৮ নম্বর ছবিটা দারুন লেগেছে।
০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:০০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খাইরান ভাইয়া
ভালো থাকুন অনেক অনেক
১০| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:১২
অন্তরা রহমান বলেছেন: তুখোড় সব ছবি। আর ইসলামিয়ার এহেন দশা শুনে খারাপ লাগলো। চক্ষু হাসপাতাল হিসেবে এটাই সবচেয়ে ভরসার বলে মনে করি।
০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:২৭
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: মন্দের ভালো আর কী আপি।
ভুক্তভোগী হলেই বুঝা যায়
অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকুন
১১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:১৮
মা.হাসান বলেছেন: ঐ হাসপাতালে চিকিৎসা খুব ভালো কিন্তু অন্য সেবার মান খুব খারাপ। ওখানকার অনেক চিকিৎসক আবার বাইরে প্রাকটিস করেন না, কাজেই দেখাতে চাইলে ওখানেই যেতে হবে।
ওখানে খাবার ব্যবস্থাও সন্তোষজনক না ক্যান্টিনে একদিন মেনু শুধু গরুর তেহারি বাকি ছিল, যারা গরু খায়না তাদের কি হবে! ক্যান্টিনের পরিবেেশও ভালো না। ওখানকার মহিলা ডাক্তার কর্মচারিদের মধ্যে যারা নামাজ আদায় করেন তারা নামাজের ব্যবস্থা কি ভাবে সারেন বুঝলাম না।
আমার মায়ের ছানির অপারেশন ওখানে করানোর কথা ভেবেছিলাম, কিন্তু এ পোস্ট পড়ার পর ও চিন্তা বাদ। আমার আরেক আত্মীয় বললেন খিলগায়ের ওখানে কোন এক হাসপাতালে (মনে হয় আদদ্বীন) ব্যবস্থা ভালো।
সন্ধ্যার কাছাকাছি সময় পর্যন্ত থেকেছি কিন্তু গভীর রাতে জায়গাটা এত সুন্দর হতে পারে ধারনাও করতে পারিনি।
ছবি গুলো খুব ভালো হয়েছে। এরকম ছবি দেয়ার পর কবিতা দিতে না পারার দুঃখে আপনার কলিজা ফেটে যাচ্ছে। জুন আপা, মফিজ ভাই আগেই ঘুরে গেলেন, আমিও পড়লাম। এখন কখানা কবিতা যোগ করে দেন।
আমাদের কথা মাথায় রাখায় অনেক ধন্যবাদ।
০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:৫৬
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সেবার মান আসলেই খারাপ। আর এদের ব্যবহার ভালো না
খাবার দাবারের ব্যবস্থা আসলেই ভালো না। তবে অল্প দূরে একটা ক্যান্টিন আছে সেখানের খাবার ভালোই মনে হয়েছে।
যারা নামাজ পড়েন তারা দেখলাম পোষাক বদলানো ঘরে গিয়ে টোলে বসে পড়েন। আমিও একদিন সেখানে পড়েছি।
আদদ্বীন হাসপাতালে যাবেন না। সেখানেও বোনকে নিয়ে থেকেছি। দেখেছি তাদের সেবার মান, পেট ব্যথায় কাতরাতে কাতরাতে সে মরে যাচ্ছে একটা নার্সও এসে দেখে নাই।
আর আদদ্বীন এর অভিজ্ঞতা এই হাসপাতালের চিকিৎসা করানো হয়েছে এমন কয়েকটা কেইস নিজ কানে শুনেছি। আমার কলিগ ভাইয়ার স্ত্রী সিজার শেষে এসে বলে আপনার স্ত্রীর জড়ায়ু কেটে ফেলে দিতে হবে রক্তক্ষরণ বন্ধ হচ্ছে না । অথচ কোনো কঠিন সমস্যাই ছিলো না। প্রথম সন্তান (কন্যা) ছিলো তার, অন্তিম মুহুর্তে রাজী হওয়া ছাড়া উপায় ছিলো না। ঠিক একই ধরণের তিনটা সিজারিয়ান রোগীর জড়ায়ু কেটে ফেলে দিছে, সেই অভিজ্ঞতা শুনেছি।
তাছাড়া কয়েকটা ভিডিও ভাইরাল হইছিলো আদদ্বীনের দেখেছেন কীনা জানি না। রাতে নার্সরা ঘুমাবে বলে এক রোগীর চার হাত পা বেডের সাথে বেঁধে রেখেছিলো, ভোরে রোগীর আত্মীয় স্বজন এসে সেই দৃশ্য দেখতে পেয়ে সাথে সাথে ভিডিও করেছে সে সময় দেখলাম নার্সরা শুধু পালাচ্ছে। এই হচ্ছে আমাদের দেশের হাসপাতালগুলো। করাতে চাইলে ইসলামীয়াতেই করাবেন, চিকিৎসা আল্লাহর রহমতে ভালোই মনে হলো।
এই ঘটনার সাথে কবিতা যায় না । তাই লেখাও হয়নি । সব সময় তো আর কবিতা মোডে থাকি না। যদিও কবিতা সারাদিনই লিখি (আমার ধারণা কবিতা) অন্যদের ধারনা বস্তাপঁচা মানহীন লেখা (হাহাহাহাহা) যাই হোক সুন্দর মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ভালো থাকুন অনেক অনেক । দেখা হবে হয়তো অন্য কোনো পোস্টে।
১২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:১৯
করুণাধারা বলেছেন: আপনার আম্মার অপারেশন সহিসালামতে হয়েছে জেনে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া।
ছবিগুলো খুবই ভাল হয়েছে, মন ভাল হয়ে গেল দেখে।
০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:১৫
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ আপি আম্মা ভালো আছেন তবে আরেকটা চোখেরও ছানি অপারেশন লাগবে । ঈদের পরে করিয়ে নেবো ইনশাআল্লাহ।
জাজাকিল্লাহ খাইরান ভালো থাকুন অনেক অনেক
১৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৩৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ছবি ব্লগ - চলুক।
০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:১৫
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মাহমুদ ভাইয়া
ভালো থাকুন
১৪| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৫৭
মুক্তা নীল বলেছেন:
ছবি আপা ,
এই সাধারন জায়গার ছবি গুলো সত্যিই অসাধারণ হয়েছে। মাথায় এতো সুন্দর বুদ্ধি আসলো কি করে ? আপনার আম্মার অপারেশন সাকসেসফুলি হয়েছে জেনে ভালো লাগলো।
শুভকামনা, ছবিরানী আপা।
০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:২৫
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: জাজাকিল্লাহ খাইরান আপি। সুন্দর জায়গা দেখলেই ছবি তুলতে মন চায়। যদিও অনেক সময় সুযোগ সুবিধা পাই না। অনেক মিস করে যাই । আল্লাহর রহমতে আম্মা ভালোই আছেন, আগে কোরআন পড়তে পারতেন না এখন পারেন আলহামদুলিল্লাহ। আরেকটা চোখ অপারেশন বাকী আছে
আগামী মাসে ইনশাআল্লাহ করিয়ে নেবো
ভালো থাকুন আপি
১৫| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:৪৯
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: ছবিগুলো খুব সুন্দর। ঘাসগুলো খুব সবুজ ও সতেজ। সবুজ ঘাস, গাছপালা চোখের জন্যও উপকারী।
আম্মার সুস্থতা কামনা করছি।
০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:৪৪
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জুনায়েদ ভাইয়া
ভালো থাকুন
আলহামদুলিল্লাহ
আল্লাহ সবাইকে ভালো রাখুন
১৬| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৩:৪৫
অনেক কথা বলতে চাই বলেছেন: আমার মাশরুম খেতে ইচ্ছে করছে!
০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:৫৩
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সেদিন রাতে সেখানে মাশরুম ভাজি খেয়েছিলাম। ভালোই লেগেছিল
ধন্যবাদ আপনাকে
১৭| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৯:২৮
রাজীব নুর বলেছেন: নাইট ফোটোগ্রাফী খুব কঠিন। সবাই পারে না। খুব দক্ষ হতে হয়।
০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:৫৬
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কথা সত্য । তবে এসনাইন প্লাস মোবাইল ক্যামেরাটা খুবই ভালো
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া
১৮| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১০:০১
নীল আকাশ বলেছেন: ছবিগুলি সুন্দর হয়েছে তবে নাম এনগ্রেভ করে ভাল করেছেন।
নামাযের জায়গা নেই দেখে অবাক হলাম। আমি বেশ অনেক দিন আগে গিয়েছিলাম। মনে নেই।
ছবি তোলা ছাড়া আপনি মনে হয় একদন্ডও কোথায়ও থাকতে পারেন না!
ভাল থাকুন আপু।
০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:৫৭
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: জাজাকিল্লাহ খাইরান ভাইয়া
হাহাহা কথা একদম সত্য। আম্মা কয় তোর নাম কেরে ছবি রাখলাম , খালি সারাদিন ছবি আর ছবি হাহাহা
ভালো থাকুন ভাইয়া
১৯| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১০:৪৬
তারেক ফাহিম বলেছেন: নামের সাথে মিল রেখে হলেও হসপিটালে মহিলাদের জন্য নামাযের ব্যবস্থা দরকার ছিল।
ছবিগুলো বরাবরের মতই সুন্দর হয়েছে।
অপরিচিত যায়গায় পরিচিত লোক থাকলে দিক নির্দেশনাসহ সহজেই কাজ হয়।
০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:৫৮
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: নামাজের ব্যবস্থা নাই দেখে আমিও অবাক হয়েছি।
জাজাকিল্লাহ খাইরান ভালো থাকুন ভাইয়া
হ্যা কথা ঠিক অপরিচিত জায়গায় পরিচিত মানুষ থাকলে সুবিধাও পাওয়া যায়
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার এই পোষ্ট দেখে এখন আমারই একটা ছবি ব্লগ পোষ্ট দিতে ইচ্ছা করছে।