নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। লেখকের অনুমতি ব্যতীত যে কোন কবিতা, গল্প, ছড়া, ছবি পোস্ট করা হতে বিরত থাকবেন।
=ফ্রেমবন্দির গল্প=
১।
কয়েকদিন যাবত ঝাঁঝাল রোদ, শুকনো মরুভূমি প্রান্তর, শহরের পথঘাট রোদে ডুবে আছে যেনো। সেই রোদ সমুদ্দুরে ডুব দিতে দিতে হাঁপিয়ে উঠে যখন রাতের বেলা বৃষ্টির দেখা পাই, ঠিক তখনি আল্লাহর শোকরিয়া আদায় করি। আর বলি হে আল্লাহ তুমি রহিমু রহমান। আমাদেরকে শান্তির বৃষ্টি দিয়েছো এজন্য তোমার কাছে চির কৃতজ্ঞ।
আচ্ছা রোদের রঙ কী হলুদ? নাকী সোনালী, অথবা বাসন্তি? রোদ চশমা ছাড়া বাইরে তাকানো কষ্টকর। কপাল কুঁচকে রোদ দেখলে শেষে কপালে বলিরেখা পড়ে যাবে। সেই ভয়ে রোদ চশমা পড়ে দুপুর বেলা হাঁটি আর ভাবি রোদের রঙ হলুদ অথবা বাসন্তি। এই শ্রাবণের কোলে বসে আপনাদেরকে আজ দেবো হলুদ অথবা বাসন্তি রোদ উপহার।
এই বাসন্তি হলুদ ফুলগুলো বিভিন্ন সময়ে তোলা, আমার মোবাইল ক্যামেরায় ঠাসাঠাসি করে ওরা বেঁচে আছে মুগ্ধতা নিয়ে। পোস্ট করার সময় নিতান্তই কম, তাই ফ্রেমবন্দির গল্প আমাকে সুযোগ করে দিয়েছে, ছবির সাথে গল্প বলার। গল্প লিখতে বা বলতে আম খুব কমই পারি। আমাকে যদি বলা হতো এই বাসন্তি হলুদ নিয়ে ছন্দ লিখেন তাহলে কথাই ছিলো না। লিখে ফেলতাম একশত দুইখানা পদ্য। মোবাইল ক্যামেরা আমাদেরকে ছবি তোলার দারুন সুযোগ এনে দিয়েছে। যখন যেভাবেই যেখানে সেখানে থাকি না কেনো, চোখে সুন্দর ধরা পড়লেই হলো, ব্যস ক্লিক আর ক্লিক। আমি বা আমরা অনেকেই প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার না। তাই ফটো ভালো মন্দের চিন্তা ভাবনা ছাড়াই যা-ই ছাঁইফাঁস তুলি সবার সম্মুখে তুলে ধরি, হোক তা যাচ্ছে তাই।
যারা ফুল ভালোবাসে তাদের জন্য ফুলের পোস্ট আত্মার জন্য শান্তিদায়ক। আমারও তাই। এসব ছবিতে আমার কখনো একঘেঁয়েমী আসে না। একই ফুল প্রতিবছর ফুটে অথচ প্রতিবছরই আমি ছবি তুলে ক্যামেরার মেমরী বোঝাই করি। অনেকের কাছেই এসব বিরক্তের কারণ। কিন্তু তাদের মধ্যে দশ পাঁচজন তো অবশ্যই আছেন যাদের এসব ফুলের ছবি দেখলে একঘেঁয়েমী আসে না। তাদের জন্যই আমার ছবিগুলো, করলাম তাদেরকে উৎসর্গ।
ছবি তোলার সময় মাঝে মাঝে লজ্জা অনুভূতি হয় আমার। চারিদিকের মানুষ কেমন করে যেনো তাকিয়ে থাকে। ক্লিক করতে গিয়ে নাড়াচাড়া লেগে ছবি বেশীর ভাগই নষ্ট হয়ে যায়। আর যদি ফাঁকা থাকে ছবি তোলা লোকেশন টা, তাহলে ধীরে সুস্থে ছবি তোলা যায় এবং ছবিগুলোও ভালো হয়। পাঁচটি ছবির মধ্যে আছে অলকানন্দা, হলুদ অথবা বাসন্তি গাঁদা আর মিনি সূর্যমূখী। তিনটা ফুলই চোখের আয়নায় সুন্দরের প্রতিচ্ছবি। ভালোবাসি ফুল, ভালোবাসি প্রকৃতি, ভালোবাসি দেশ এবং দেশের মানুষকে। সবাই ফুলের মতন সুন্দর থাকুন সারাবেলা। আল্লাহ তাআলা সবাইকে নিরাপদে এবং সুস্থ রাখুন।
২।
৩।
৪।
৫।
৬।
৭।
৮।
৯।
১। হলুদ রঙের প্রেমের ছন্দ
হলুদ শাড়ি পড়ে আছি,আসবে তুমি বন্ধু
মনে জমা তোমার জন্য,প্রেম বন্ধু এক সিন্ধু!
দেবে তুমি চুপ পরিয়ে?গাঁদা ফুলের মালা
দাও সাজিয়ে হলুদ ফুলে,আমার মনের ডালা।
হলুদ গাঁদা বালা হাতে,দাও পরিয়ে আমার
মন জমিনে গড়ো বন্ধু,তোমার প্রেমের খামার।
চুলের খোঁপায় অলকানন্দা,কানে ফুলের দুলও
দাও পরিয়ে বুনোফুলের,আমার এলো চুলও।
গলায় পরাও ফুলের মালা,হলুদ রঙের সাজে
তোমায় নিয়ে আজ হারাবো,গোধূলিয়ার সাঁঝে।
সন্ধ্যার প্রহর তোমার আমার,হলুদ আলোর প্রহর
নদীর ধারে বসবো দুজন,মনে সুখের লহর।
ডুববে সূর্য নদীর জলে,হলুদ আলোর ধারা
হলুদ প্রহর তোমার আমার সুখে পাগল পাড়া।
১০।
১১।
১২।
১৩।
১৪।
১৫।
১৬।
১৭।
১৮।
২। =তুই বলেছিলিস...... কোন এক দুপুরে.....
তুই বলেছিলিস, এই তুই কী বাসন্তি সাজবি?
আমি তোকে এনে দেবো গাঁদা ফুলের পাপড়ি
সূতোয় গেঁথে গলায় পরে নিস;
তুই বলেছিলিস, এই তুই কী আমার ফাগুন হবি?
অলকানন্দা রঙের শাড়ী পরবি?
হাতে পড়বি গাঁদা রঙ চুড়ি,
চুরে পড়বি সূর্যমূখী রঙ চুলের কাঁটা।
তুই বলেছিলিস, এই তুই কী আমার বসন্ত হবি?
চোখের কাজল কালো না দিয়ে বাসন্তি রঙ কাজ পরবি
হাতের বালা দুটো যেনো হয়, সোনালো ফুলের পাপড়ি রঙ,
কপালে এঁকে দিস কৃষ্ণচূড়া রঙ টিপ,
ঠোঁট রাঙাস কিন্তু শিমুল রঙে।
তুই বলেছিলিস, এই তুই কী আমার বসন্ত ফাগুন হবি?
আমার মন না কেমন পাগল পাগল,
বুকের ভিতর তোর জন্য ঢেউ উঠে প্রেমের নিরবধি,
বুকের পাড় ভেঙ্গেচুড়ে তুই ভেসে যাস অন্য কোথাও!
কেনো রে, তুই কী আমার হতে পারিস না?
তোর প্রশ্নের উত্তর আজও দিতে পারিনি,
বেলা বয়ে যায়, ব্যস্ততার গায়ে বসে আজও তোকে ভাবিরে,
সময়গুলো কেমন করে উড়ে গেলো বৈরী হাওয়ায়,
বুকের বাড়িতে আর বসন্ত হাওয়া এসে করে না ধাওয়া,
ফাগুন এসে লাগায় না তোর জন্য আর বিরহের আগুন।
তোকে ভালোবাসি, বলা হয়নি তখন,
অথচ ভালোবেসেছি তোকে অযস্র প্রহর।
তোর জন্য এখনো বসন্ত রঙ শাড়ীতে সাজি,
ফাগুন রঙ ঠোঁটে মেখে হাসির ফুলঝুরি উড়াই হাওয়ার তোড়ে,
তুই সুযোগ পেলে হাতের মুঠোয় পুড়িস আমার প্রেমগুলো
রেখে দিস বুকের বামে, না হয় থেকেই গেলাম
অদৃশ্য অস্পৃশ্য ভালোবাসার বেড়াজা আটকে দুজন।
(মোবাইল-স্যামসাং এস নাইন প্লাস+মতিঝিল)
(বলেছিলিস, খেয়েছিলিস এসব কথা আসলে ব্যাকরণে নাই। কিন্তু লেখার সময় এগুলো কেনো জানি আমাকে ভালো লাগা জানিয়ে যায়। আবেগ ভরা ভরা লাগে। আসল কথা এগুলো ব্যাকরণগত ভুল, আর অকবিতায় ঠিক
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:২৩
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ইচ্ছে করেই তো দেইনি। দিনগুলো হলুদ ফুলের মতন তাই। কেবল হলুদ ফুলই দিলাম। অন্যদিন না হয় অন্য রঙের ফুল দিবো।
ধন্যবাদ আপনাকে
২| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:১০
রাজীব নুর বলেছেন: আমার তোলা দু'টা ফুলের ছবি দিলাম।
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:২৪
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: খুব সুন্দর হয়েছে ছবিগুলো
৩| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:১৯
জাহিদ অনিক বলেছেন:
বাহ ! মনে হলো যেন হলদে বাগানে ঢুকে গেছি
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:২৫
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: বলো রোদের বাগানে। বাহির থেকে আসলাম মনে হয় শরীরে মরিচের গুড়া কেউ ছাইড়া দিছে
উফ
কী ভীষণ গরম
থ্যাংকস এ লট
৪| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৫
ইসিয়াক বলেছেন: অতি মনোমুগ্ধকর। ১৮ নং টা কি ফুল? কবিতা পরে পড়ে মন্তব্য করছি। আদনানের ডায়েরিটা লিখে নেই আগে।
ধন্যবাদ
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৪০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: এটাকে আমি মিনি সূর্যমূখী বলি। ধন্যবাদ ভাইয়া
লেখা শেষ হয়েছে কী।
সময়ের অভাবে আপনার অনেক পোস্ট মিস হয়ে যায়
৫| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৫
ইসিয়াক বলেছেন: লেখক বলেছেন: এটাকে আমি মিনি সূর্যমূখী বলি। ধন্যবাদ ভাইয়া
লেখা শেষ হয়েছে কী।
সময়ের অভাবে আপনার অনেক পোস্ট মিস হয়ে যায়
আমি কিন্তু সবার পোষ্ট খুজে খুজে পড়ি ।হা হা ........
লেখা শেষ হয়ে গেছে পোষ্ট ও করেছি । পড়বেন আশা করি ।
ধন্যবাদ
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:১২
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আদনানের ডায়রী পড়ে এলাম ভাইয়া । ভালো লেগেছে
ধন্যবাদ আপনাকে
৬| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৬
আরোগ্য বলেছেন: আরবি নববর্ষ উপলক্ষে ফুলেল শুভেচছা গ্রহণ করুন আপু। আরবি নববর্ষ উপলক্ষে ফুলেল শুভেচছা গ্রহণ করুন আপু।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:১৩
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: েআপনাকেও মহররম মাসের শুভেচ্ছা
জাজাকাল্লাহ খাইরান অনেক অনেক ভালো থাকুন
সুস্থ এবং নিরাপদে থাকুন
৭| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৭
নীল আকাশ বলেছেন: শুভ মহরমের নববর্ষের শুভেচ্ছা রইল প্রিয় আপু।
৯ কিংবা ১৫ নাম্বার ফুলের নাম কি?
শেষ কবিতাটা দারুন লেগেছে। সোনালুর ছবি ছিল না আপনার কাছে?
দিয়ে দিতে পারতেন!
ধন্যবাদ।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:১৪
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আপনাকেও শুভেচ্ছা ভাইয়া। ৯ গাঁদা ফুল আর ১৫ নম্বর অলকানন্দা ফুল
সোনালুর ছবি এবার তুলি নাই
জাজাকাল্লাহ খাইরান ভালো থাকুন অনেক অনেক
৮| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:৪৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমি মুগ্ধতা নিয়ে ফুলগুলোকে দেখেছি। আজ কোন কারনে মনটা ভালো নেই। কিছু পড়ার মতো অবস্থায় নেই।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:১৫
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: মন কী ভালো হয়েছে ভাইয়া। মাঝে মাঝে আামারও এমন হয়। আবার অটো ভালো হয়ে যায়। আল্লাহ আপনার মন ভালো করে দিন।
জাজাকাল্লাহ খাইরান
৯| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৫৮
অর্ফিয়াসের বাঁশি বলেছেন: বাগানটা কি আপনার?
এটা আমাদের ছাদ-বাগান। এখন স্থানান্তর করা হয়েছে। দু'বছর আগের ছবি।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৪
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আমার বাগান না ভাইয়া
এগুলো অফিসের বাগান আর বাচ্চাদের স্কুল থেকে তোলা ছবি
আপনার বাগান তো অনেক বড়। আমার ছাদ নাই । যেদিন ছাদ হবে সেদিন অনেক গাছ লাগাবো ইনশাআল্লাহ
১০| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৩১
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর ছবিতা ।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৫৫
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া
১১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৫৯
মুক্তা নীল বলেছেন:
ছবি আপা ,
খুব সুন্দর হয়েছে আপনার বাসন্তী ফুল গুলোর ছবি।
অনেক ভালো লাগলো ।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:২৬
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আপি অনেকদিন পর আপনাকে পেলাম। কেমন আছেন
আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি
সুন্দর থাকুন
জাজাকিল্লাহ খাইরান
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: প্রায় সব গুলো একই রকমের ফুল।
একটু ভিন্নতা থাকা দরকার ছিল।