নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। লেখকের অনুমতি ব্যতীত যে কোন কবিতা, গল্প, ছড়া, ছবি পোস্ট করা হতে বিরত থাকবেন।
মেহের নাম তার । গ্রামে বড় হওয়া আট দশটা মেয়ের মতই । দুধে আলতা গায়ের রঙ । আশে পাশের গ্রামেও এমন সুন্দরী পাওয়া যাবে না । যেমন সুন্দরী তেমন পড়ালেখায়ও অসম্ভব ভাল। পড়াশুনার পাশাপাশি গান, কবিতা আবৃত্তিতেও ছিল তার অসামান্য মেধা । স্কুল কলেজে বা গ্রামে কোন অনুষ্ঠান হলে তাকে নেয়া হতো উপস্থাপনার জন্য । একবার প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান গিয়েছিলেন তাদের স্কুলে । তখন তাকেই উপস্থাপনার কাজটা সাড়তে হয়েছিল । সুন্দর নীল শাড়ী পড়া মেয়েটিকে দেখে অনেকেই ভেবে নিয়েছিলেন এই নীল পরীটাই জিয়াউর রহমানের সহধর্মিনী বুঝি ।
মেহের ছিলেন জমিদার পরিবারের মেয়ে । তখনকার দিনে এতটা স্বাধীনতা পাওয়া সবার ভাগ্যে হয়তো ছিল না । কিন্তু মেহেরের আত্মিক বাহ্যিক সৌন্দর্য্য আর মেধা দিয়ে তিনি অতি সহজেই পরিবার হতে স্বাধীন ভাবে চলাফেরায় উৎসাহ পেয়েছিলেন । মেধার জন্য অনেক সম্মানও কুঁড়িয়েছেন অনেক । তিনি কখনো অশালীনভাবে চলাফেরা করেননি । ধার্মিক মনোভাব নিয়ে তিনি বড় হয়েছিলেন ।
পড়াশুনার মাঝেই হঠাৎ একদিন বিয়ে হয়ে গিয়েছিল । ছেলেও বড় পরিবারের । সহায় সম্পদও কম ছিল না । শ্বশুড় বাড়িতেও তার রূপ আর মেধার আদরের কমতি ছিল না । সুন্দর সংসার পেয়েছিলেন । সবার সাথে আত্মিক সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছেন । বলতে গেলে অনেক সুখি পরিবার ছিল তাদের ।
সময় আর বয়স তো আর থেমে থাকে না । ঘর আলো করে এলো তাদের মেয়ে জারীন । এবার তো আরো হাসিখুশি পরিবার । জারীনকে নিয়ে সবাই আনন্দে মেতে থাকে । খুনসুঁটি দুষ্টামি দিয়ে ভরে রাখে ঘর জারীন সোনায় । জারীনের বয়স তিন বছর পার হলে মেহের আবারো মা হয় । তবে এবার জারীনের খেলার সাথি তার একটা নাদুস নুদুস ভাই আসে পৃথিবীতে । জিসান নাম রাখা হয় ছেলেটির । মেহেরের ছোট সংসারে সুখের নেই তুলনা । স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ভালবাসা আকাশছোঁয়া । একদিনের জন্যও কেউ কাউকে ছাড়া থাকেনি ।
তাদের সন্তান দুইজনেরই জানের টুকরা । ছোট থেকেই কোন কষ্ট দিতে দেননি মা বাবা দুজনেই । যা চেয়েছে তাই তাদের সাধ্যমত দেওয়ার চেষ্টা করেছেন । মোটকথা কষ্টের অথবা না পাওয়ার বেদনা তাদেরকে কখনো ছোঁয়নি ।
মেহেরের দুই সন্তানই পড়াশুনায় তার মতই মেধাবী । ভাইবোন সব ক্লাসেই এক হয়ে উত্তীর্ন হতো । দেখতে দেখতে কেটে গেল অনেকটি বছর । জারীন স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে উচ্চ শিক্ষার আশায় চলে গেল আমেরিকা । তারপর মাত্র কয়েকবছর জিসানকে নিয়ে তারা মোটামুটি ভালই ছিল ।
আমেরিকা থেকে জারীন তার ভাইকেও নিয়ে গেল এক সময় । জিসান সেখানে থেকেই পড়াশুনা চালাবে এই আশায় । আর এদিকে মেহের আর তার বর দুজনেই একা হয়ে গেল ছেলে মেয়ে হারিয়ে । এটাকে তো হারানোই বলা যায় । একা একা তাদের সময় কাটছিল না । সম্পদের তো কমতি নেই । নেই কোন কিছুর অভাব । আসল অভাবটা তারা তখনই বুঝতে পারল যখন তাদের জারীন জিসান তাদের ছেড়ে পাড়ি জমাল বৈদেশে । এভাবেই মনের কষ্টে তাদের সংসার চলছিল । সন্তানরা মাঝে মাঝে ভিডিও কল করে অথবা ফোনে , নেটে তাদের সাথে যোগাযোগ চালিয়ে নেয় ।
এক সময় জারীন আমেরিকাতেই বাংলাদেশী এক ছেলেকে বিয়ে করে সেখানে সংসার পাতে । তারপর থেকেই মা বাবার খবর নেয়া একটু কমিয়ে দেয় । জিসান নতুন চাকুরী পেয়েছে । সেও নতুন বাসা ভাড়া করে চলে গেছে বোনের কাছ থেকে । জারীনের নতুন সংসার তার স্বামীকে নিয়ে খুব আনন্দেই কাটাচ্ছিল ।
কিছুদিন এভাবে কাটার পর মেহের তার মেয়েকে ফোন করে বলে আমরা তোদের ছাড়া থাকতে পারছি না রে । এখানে খুব একা একা লাগে । আমি আর তোর বাবা ঠিক করেছি আমরাও আমেরিকা চলে আসবো তোদের কাছে । আর আমাদের সহায় সম্পত্তি তোদের চাচারা দেখাশুনা করবে । তৎক্ষণাত জারীন কিছু বুঝে উঠতে পারেনি । সহসাই রাজী হয়ে যায় । ফোন রেখে সে জিসান কে ফোন করে বলে মা বাবা আমেরিকা আমাদের কাছে থাকতে চায় কি করা যায় বলতো?
জিসান তো রেগে আগুন । আমাকে না জিগ্যেস করে তুই রাজী হলি কিভাবে । তারা বৃদ্ধ মানুষ এখানে এসে কোথায় থাকবে বল? তোর বাসায় রাখবি?
-না । তা কিভাবে সম্ভব!!
-তাহলে? কি করবি বল এখন
-কেন! তুই তো একাই থাকিস । তোর কাছে মা বাবাকে রাখবি । এখানে তো কোন অসুবিধা দেখছি না।
-তুই বুঝবি না আমার অসুবিধা আছে। আমি আগামী মাসে বিয়ে করবো আমার অফিসের কলিগ জুয়ানাকে ।
-কি বলিস!!!! আমাকে তো জানালি না আগে?
-জানাব জানাব ভাবছিলাম কিন্তু সময় করে উঠতে পারিনি কথাটা বলার
-আসল কথায় আয়, মা বাবা কোথায় থাকবে বল?
-তাহলে বিরাট সমস্যা দেখা দিল । এক কাজ করি চল । মা বাবাকে আলাদা বাসা ভাড়া করে দেই । সেখানেই না হয় ওরা থাকবেন । তুই আর আমি মিলে খরচ বহন করবো ।
-কিরে! রাজি তো?
-কি আর করা যাবে । ওকে ডান.......
আগে থেকেই ভাই বোন মিলে তাদের আদরের মা বাবা যারা তাদেরকে কষ্টের ছোঁয়া পেতে দেননি তাদের থাকার জন্য বাসা ভাড়া করল অগ্রিম টাকা দিয়ে । হায়রে নিয়তি!! যারা একা থাকা থেকে বাঁচার জন্য তাদের অতি আদরের সোনার টুকরা সন্তানদের কাছে আসতে চাচ্ছেন সেই তারা আবারো একা থাকার আরেকটি স্কোপ পেয়ে যাচ্ছেন অনায়াসেই । অথচ মা বাবা জানতেই পারেননি যে, জারীন জিসান তাদেরকে কাছে না রেখে আলাদা বাসা ভাড়া করেছে ।
অবশেষে মেহের তার স্বামীকে নিয়ে আমেরিকা এলেন । জারীন জিসান তাদেরকে এয়ারপোর্টে রিসিভ করলেন । ভাই বোন কানাঘুষা করতে লাগলেন কিভাবে কথাটা মা বাবাকে জানাবে । তখন মেহের বললেন-কিরে কি কথা হচ্ছে তোদের মধ্যে
-ইয়ে না মানে
-আরে বল না । কেমন আছিস তোরা? রান্না করতে পারিস তো জারীন ? কাপড় ধুতে পারিস? জিসানকে কি এখনো খাইয়ে দিস? কোন কষ্ট হয়নি তো এতদিন তোদের?
-আরেরর মা, এত্তগুলা প্রশ্ন একসাথে করলে কোনটার উত্তর দিব বল?
-আচ্ছা উত্তর দিতে হবে না । আমি গিয়েই তো দেখব কেমন আছিস, কেমন থাকিস তোরা আমেরিকায় । আচ্ছা কি জানি বলছিলি দুইজন মিলে । বলনা এবার!!
-আমতা আমতা করে জারীন বলল মা, আমার নতুন সংসার । ছোট দুইটা রুম । একটা ড্রয়িং আর একটা বেডরুম । সেখানে আলাদা করে কারো থাকার জায়গা হয় না মানে থাকাটা খুব কষ্টকর ।
-ও। তোর ভাই তোর সাথে থাকে না?
-না মা ও আলাদা বাসা ভাড়া নিছে ।
-ও তাই বল! কিন্তু তোরা তো এ খবরটা জানাস নি আমাদের । ঠিকাছে তবে কি আমরা জিসানের কাছেই আপাতত উঠছি কি বলিস!
-তখন জিসান বলতে লাগল মা আমারও ছোট একটা সমস্যা হয়ে গেছে মা,
- কি বলিস খোকা, কি সমস্যা হয়েছেরে তোর! কখনো জানাস নি তো! বল না বাপ কি সমস্যা তোর
- না মা তেমন সমস্যা না, মানে মানে আমতা আমতা ভাব
-আরে বলনা , এত ভনিতা করিস না বাপ, আমার খুব ভয় লাগছে,
(জারীনের বাবা কিছুটা আঁচ করতে পেরেছিলেন বোধয়, তিনি থ হয়ে দাঁড়িয়ে মা সন্তানদের কথা শুনছিলেন)
- আমি যে বাসা ভাড়া নিয়েছি সেখানেও দুইটাই রুম, আর মা, আর একটা কথাও তোমাদের জানানো হয়নি সেজন্য আমি খুবই দু:খিত ও লজ্জিত
- হ্যা বল, কি জানাস নি?
-মা আমি আগামী মাসে আমার অফিস কলিগ নাম জোয়ানা দেশ কানাডায় তাকে আমি বিয়ে করতে যাচ্ছি। এক নি:শ্বাসে কথাগুলো বলে ফেললো জিসান।
মা, বাবা দুজনেই স্তব্ধ হয়ে গেলো মুহুর্তেই। যেনো তাদের সাজানো পুরু পৃথিবীটাই নড়ে চড়ে উঠলো। একি শুনছে তারা, নাকি ভুল কিছু শুনছে। জারীনের বিয়ের আগে মা বাবাকে তার বিয়ে আর থাকার অসুবিধার কথা জানিয়েছিল। তখন মেয়ের সুখ শান্তির কথা ভেবে রাজী হওয়া ছাড়া উপায় ছিল না। ভেবেছিল ছেলের বিয়ে ধুমধাম করে দিবে । দেশের মেয়ে তারা নিজেরা পছন্দ করে টুকটুকে একটা বউ ঘরে আনবে। সব আশা আকাঙ্খাই বুঝি মুহুর্তেই ধুলায় মিশে গেল।
জিসান আবার বলতে শুরু করল, এজন্য মা বাবা তোমাদের জন্য আমরা ভাই বোন মিলে আলাদা সুন্দর প্লেসে বাসা ভাড়া করেছি। আশা করছি তোমাদের কোন সমস্যাই হবে না। আর আমরা তো আছিই তোমাদের পাশে।
ছেলের কথা শুনে মেহের কি বলবেন বুঝতে পারছিলেন না। তাদের বাবা তখন মুখ খুললেন। তোমরা যখন আমাদের থাকার ব্যবস্থা করেই ফেলেছ তখন কি আর করার আছে এই বিদেশ বিভূঁইয়ে এসে। নিয়ে চল সেখানে আপাতত।
মেহের আর কিছু বললেন না। চুপচাপ তাদের অনুসরণ করে চললেন।
বাসায় পৌঁছতে একটু রাত হয়ে গেল। জিসান বাহির থেকে রেডি খাবার মা বাবাকে খাওয়ালো, তারপর জারীন জিসান কিছুক্ষন থেকে গল্প সল্প করে কাল আবার আসবে বলে যে যার বাসায় চলে গেল।
সেই একাকিত্বের জীবনে ফিরে গেলেন আবার মেহের আর মাহতাব হোসেন। দুজনেই চুপ। কেউ কিছু না বলে শুধু তাকিয়ে আছেন একজন আরেকজনের দিকে।
রাত বাড়ছে চোখে ঘুম নেই বৃদ্ধ বৃদ্ধার। দুজনেই আড়ালে মুখ লুকিয়ে চোখের পানি ফেলছেন । কেউ কাউকে বুঝতে দেননি তখন । নিস্তব্ধতায় মিশে গেছিল তাদের সেদিনের কান্না ।
মেহের মুখ খুললেন এবার, শুনছ,
-হ্যা বল
এসেই যখন পড়েছি তখন তো আর কালই চলে যেতে পারব না। দিন পনের থেকে চল দেশে চলে যাই। আমাদের তো থাকা খাওয়ার অভাব নেই দেশে, বরং এখানের চেয়ে ভালই থাকব। দেশের মানুষ সবাই আপন। এখানে বাংলায় কথা বলা যাবে না প্রাণ খুলে। আর ছেলেমেয়েই কাছে থাকল না। আর এখানে থেকে কি লাভ, কি বল তুমি!
-হ্যাগো তোমার কথাই ঠিক। আমরা বরং দেশেই ফিরে যাব।
শেষ পর্যন্ত মেহের আর মাহতাব দেশে ফিরে এসেছিলেন। তাদের একাকিত্বের ভুবনে....... সাজানো ছোট নীড়ে ।
(December 30, 2013 at 11:18 PM )
(২০১৩ এর লেখাটি আসলে কারো কাছে সত্য ঘটনা শুনে লিখেছিলাম। আমি গল্প লিখতে পারি না। ধারাবাহিক বর্ণনা জীবনের । জীবন এমনই আমাদের। এটি আমাদের জীবনেরই একটি অংশ)
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:০০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: মেহের নামটা খুব সুন্দর। ধন্যবাদ আপনাকে পড়ার জন্য
২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:০১
সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: গল্প না হলেও ঘটনাটি বেদনাদায়ক।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:০৩
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: গল্প না সত্য ঘটনা শুনেছিলাম । শুনে লিখেছিলাম। এমন অহরহ ঘটনা ঘটছে আমাদের দেশে। সেদিন দেখলাম একজন মায়ের কান্না বৃদ্ধাশ্রমে তিনি সারাজীবন লন্ডনেই কাটিয়েছে। জন্ম পড়াশুনা সব লন্ডনে অথচ তাকে এখন থাকতে হয় বৃদ্ধাশ্রমে
৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:২১
ইসিয়াক বলেছেন: পোষ্টটি মন ছুঁয়ে গেছে ।
অনেক ভালো লাগা রেখে গেলাম । শুভকামনা জানবেন আপু ।
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:১৬
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ধন্যবাদ ইসিয়াক ভাইয়া
ভালো থাকুন
৪| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
কিছু পরিবার অকারণে ছেলেমেয়েকে কম বয়সে বিদেশে পড়াতে পাঠাচ্ছে
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:২৭
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: জি ভাইয়া । অনেকেই পাঠিয়ে দেয় । আমার বাচ্চাদের কপালে কী আছে আল্লাহ জানেন
না পাঠানোর ইচ্ছে। ধন্যবাদ আপনাকে
৫| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:০৮
ইফতি সৌরভ বলেছেন: নিস্তব্ধতায় মিশে গেছিল তাদের সেদিনের কান্না ।
০১ লা জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:১০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যভাদ ইফতি ভাইয়া
ভালো থাকুন
৬| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:২৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এজন্যেই এখন ভালো থাকার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো, সন্তানদের কাছ থেকে কোনকিছু আশা না করা। পেলে ভালো, না পেলে আরো ভালো.......কারন, এটার প্রস্তুতি তো আগেই ছিল, তাই না!!
শুনতে খারাপ লাগলেও, বর্তমানের মা-বাবাদের অনেকের কপালেই একাকী জীবন কিংবা বৃদ্ধাশ্রম অপেক্ষা করছে ভবিষ্যতে। এটাই বাস্তবতা। যে যতো দ্রুত এটা মেনে নেবে, সে ততোটাই সুখে থাকবে।
০১ লা জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:২৫
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কথা সত্য । আমরাও আশা করি না। ওরা মানুষের মত মানুষ হোক সেটাই চাই। আল্লাহ ভরসা
আল্লাহ সব মা বাবাকে সুস্থ ও নিরাপদ রাখুন
৭| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৩৫
জুন বলেছেন: হিন্দী সিনেমা আমি খুব কমই দেখি কিন্ত অমিতাভ আর হেমা অভিনীত বাগবান আমাকে ভীষনভাবে আলোড়িত করেছিল কাজী ফাতেমা ছবি । আমার জানা এক দম্পতি ঢাকার অভিজাত এলাকার বাড়ী ঘর বিক্রি করে তাদের মেয়েদের সান্নিধ্যের আশায় স্বপ্নের আমেরিকা গিয়েছিল । কিন্ত তার দুই মেয়ে দুজনকে একসাথে রাখবে না । মায়ের তবু কিছুটা আদর ছিল বাচ্চা রাখা আর রান্নাবান্না করার জন্য , হাতের টাকা ফুরিয়ে যাওয়ার পর থেকে ( মেয়েদের বাড়ী কেনায় সাহায্য করা) বাবার অবস্থা একেবারেই শোচনীয় । ফিরে এসে ভাস্তের বাসায় উঠেছিল কিন্ত এক মাসেই ভাস্তে বিরক্ত । হাতের টাকাও শেষের দিকে ।। মনে হয় তাদের বৃদ্ধাশ্রমেই উঠতে হবে।
আমাদের পরিনতির কথা মনে হলে খুব ভয় হয় কাজী ফাতেমা ছবি । বাস্তব বড় কঠিন ।
০১ লা জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৩৯
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আপি ছেলেমেয়েরা এমন হয় কেনো । মা বাবার জন্য এতটুকু মায়া হয় না। কেমন অদ্ভুত মানুষের মন
কী করে যেনো পাষাণ হয়ে উঠে নিজ স্বার্থের টানে।
জাজাকিল্লাহ খাইরান আপি
ভালো থাকুন
৮| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০২
সোহানী বলেছেন: ভুয়া মফিজ ভাই যা বলেছেন এটাই চরম বাস্তবতা আপু।
আমরা যারা বাইরে থাকি তারা কিন্তু জারিন জিসানের বাস্তবতাটুকু ও বুঝি সাথে বৃদ্ধা বাবা-মায়ের কষ্ট। সন্তানদের থেকে এ্যাক্সেপটেশান যত কম থাকবে তত তারা সুখী হবে। তবে আমাদের দেশে বৃদ্ধাশ্রাম নিয়ে মারাত্বক নেগেটিভ ধারনা আছে। কিন্তু একটু ভেবে দেখুন এরকম বাবা-মা যাদের একাই জীবন তাদের জন্য বৃদ্ধাশ্রাম একটা বড় আশ্রয়।
০১ লা জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৫৫
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপি।
হ্যা কথা সত্য । যদি ছেলে মেয়ে না দেখে তবে বৃদ্ধাশ্রমই শেষ আশ্রয়
ভালৈা থাকুন
ভালো থাকুক সব মা বাবা
৯| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৪৮
রূপম রিজওয়ান বলেছেন: মর্মান্তিক...কিন্তু এটাই বাস্তবতা। এমনটা অহরহই ঘটছে। আমারও খুব কাছ থেকে দেখা প্রায় এরকমই একটা ঘটনা আছে। খুব কাছ থেকে দেখা।
যাহোক,সাবলীল লেখনীতে মুগ্ধতা....
০১ লা জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:০০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: জি আমাদের আশেপাশে এমন অহরহ ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে। আল্লাহ এমন সন্তানদের হেদায়েত দান করুন
জাজাকাল্লাহ খাইরান ভাইয়া
ভালো থাকুন
১০| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:১৬
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: "সেই সন্তানদের জন্য অভিশাপ। যারা ভুলে যায় তাদের শিশুকাল।" গল্পতো নয় সে বাস্তবই। এমন যেনো না হয় সচেতন ছেলে মেয়েদের বেলায়।
০১ লা জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:০৩
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আল্লাহ তাআলা এমন সন্তানদের হেদায়েত দিন
১১| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:২৯
ভ্রমরের ডানা বলেছেন: বাস্তবতা!
০১ লা জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:০৪
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ডানা
ভালো থাকুন
১২| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:১৬
জগতারন বলেছেন:
এটা কোন গল্প হয়নাই।
ইহাকে বলে কোন একটি সংসার অথবা শেষ বয়সের কোন বুড়া-বুড়ীর জীবন কাহিনী যাহা কোন সাংবাদিক লিখিয়া থাকে। কিন্তু পোষ্ট লেখিকা কাজী ফাতিমা ছবি কোন সাংবাদিক নন। তাহাকে আমি ও আমরা কবি ও সাহিত্যিক হিসাবেই জানি। এই রকম ধারা বর্ননার জীবন কাহিনী লিখা কোন সাহিত্যিকের কাছ থেকে আশা করা যায় না। লেখক বা লেখিকা যে গল্প লিখিয়া থাকেন তাহাও মানুষের যাবিত জীবন থেকেই উঠিয়া আসে। জিনি সাহিত্যিক সেই লিখার মাঝে সাহিত্যের রস মিসাইয়া লিখিয়া থাকেন। তখনই সেই লিখা হইয়া উঠে সাহিত্য।
আচ্ছা সাহিত্য কি ? এই সংগা ব্যাপক। আমি অত বিস্তারিত বর্নায় যাবো না। সং্খ্যেপে; মানুষের যাপিত জীবনে যাহা সুন্দর, যাহা ভালো, যাহা কল্যানকর এমন চিন্তা করিয়া লেখক বা লিখিকা যাহা সৃষ্টি করিয়া লিখিয়া থাকেন তাহাই সাহিত্য।
কাজী ফাতিমা ছবি'কে ইহার পরে আবার কন গল্প লিখিবার আগে কবি গুরু'র "গল্পগুচ্ছ""-এর সকল পড়া এবং অনুধাবন করিবেন; গল্প কি এবং কিভাবে লিখিতে হয়।
০১ লা জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:০৫
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আসলে গল্প লিখতে গেলে মনে হয় একটু ভাবনা চিন্তা করতেও গুছিয়ে লিখতে সময় লাগে । কিন্তু সে তো আমার নেই। তাই গল্পের প্রতি মনোযোগ দেই না কখনো। জীবনের এই সময়গুলো কেমন করে যেনো কেটে যাচ্ছে ব্যস্ততায়ৱ
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
ভালো থাকুন
১৩| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:২১
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন: শুধু ঘটনাই বাস্তব নয় নাম গুলোও মনে হচ্ছে বাস্তব, রাইট?
০১ লা জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:০৫
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ২০১৩ সালে লিখেছিলাম তো। নামগুলো সত্য কিনা মনে নাই তবে ঘটনা সত্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া
১৪| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:২৪
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সমাজ আমাদের এমনই মর্মান্তিকতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৬
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কথা সত্য। আল্লাহ আমাদের সবার মা বাবাকে ভালো রাখুন সুস্থ রাখুন
১৫| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: মেহের নামটা খুব সুন্দর। ধন্যবাদ আপনাকে পড়ার জন্য
আব্বার ডাকনামটা সুন্দর। উদয়।
০১ লা জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:০৬
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: বাহ্ খুব সুন্দর
ভালো থাকুন
১৬| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
পিতা-মাতার কারণেই সন্তান পৃথিবীর রূপ, রস, গন্ধ, সৌন্দর্য ও আরাম-আয়েশ উপভোগ করার সুযোগ পায়। তাই পিতা-মাতার সমতুল্য এই পৃথিবীতে আর কেউ নেই। একজন মা সন্তানকে গর্ভে ধারণ করে আর পিতা সন্তানকে লালন করে অন্তরে। সন্তানের সুখের আশায় পিতা-মাতা নিজেদের অক্লান্ত পরিশ্রম, ত্যাগ ও কষ্টের মধ্যে নিয়োজিত রাখেন। পিতা-মাতার একমাত্র চাওয়া সন্তান যেন ভাল থাকে। ক্রমে হারিয়ে আমরা ফেলছি আমাদের এই সামাজিক মূল্যবোধ। আর এর ফলে সবচেয়ে বেশি নিঃস্ব-অসহায় হয়ে পড়ছে পিতা-মাতা। কিন্তু সন্তান জন্মের পর সব পিতা-মাতারই একটা আকাক্সক্ষা থাকে, এই সন্তান বড় হয়ে তাদের ভরণপোষণ ও দেখাশুনা করবে। কিন্তু এমন চিত্রও আজকাল লক্ষণীয় যে, ভরণপোষণ তো দূরের কথা বৃদ্ধ পিতা-মাতার খোঁজখবর পর্যন্ত নেয় না অনেক সন্তান। আবার অনেকে চাকরির কারণ ও বিদেশ বিভুঁইয়ের আশায় বৃদ্ধ পিতা-মাতার দায়িত্ব নিতে অপারগতা প্রকাশ করে। ফলে পরিবারের বৃদ্ধ পিতা-মাতা সন্তানের কাছে হয়ে যায় যেন অপাঙক্তেয়। পিতা-মাতার ভরণপোষণ দেখভাল করবে কে তা নিয়ে সন্তানদের মধ্যে সমস্যার সৃষ্টি হয়। বৃদ্ধ পিতা-মাতার প্রতি দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে চায়। বৃদ্ধ বয়সে সন্তানের ভরণপোষণের অভাবে ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া ও চিকিৎসাও হয় না অনেক পিতা-মাতার। আমাদের সমাজেও ইদানীং ইউরোপ-আমেরিকার মতো বৃদ্ধাশ্রম প্রসঙ্গটি শোনা যাচ্ছে। বৃদ্ধ পিতা-মাতাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে নিশ্চিন্ত জীবন কামনা অনেক সন্তানের মধ্যেই জেগে উঠছে।
০১ লা জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:১৩
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অনেক সুন্দর কথা বলেছেন নূর ভাইয়া আসলেই যারা এমন করে তারা খুবই অভাগা/অভাগি
আল্লাহ এদের হেদায়েত দিন
জাজাকাল্লাহ খাইরান ভালো থাকুন
১৭| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:১৫
করুণাধারা বলেছেন: খুব করুণ কাহিনী, কিন্তু এমন ঘটনা আজকাল প্রায়ই ঘটতে দেখা যায়। একান্নবর্তী পরিবার প্রথা ভেঙে যাবার পর থেকেই তো সকলে নিজের মতো করে থাকতে শুরু করেছে, অন্যের কথা ভাবার সময় কোথায়, হোক না সে নিজের মা-বাবা! এখন সন্তানদের কাছে কিছু আশা না করাই ভালো, তাতে আশাহত হবার সম্ভাবনা অনেক কমে। আমি ভুয়া মফিজের সাথে একমত। আপনার এই পোস্ট পড়ার পর আমার মনে হচ্ছে, আমিও এই বিষয়ে একটা পোস্ট দেই।
খুবই দরকারি বিষয় চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন। ++++
০১ লা জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:১৯
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: জি আপি। খবরের পাতা খুললেই দেখতে পাই এমন সংবাদ। আগের মত মানুষের মন থেকে দয়া মায়া মহব্বত নেই আর। এখন নিজ স্বার্থে মানুষ বাঁচে। আমরাতো এখন প্রতিবেশীদের খোজই রাখি না। আল্লাহ আমাদের হেদায়েত দান করুন।
আপি পোস্ট দিবেন আশা করি । ইনশাআল্লাহ পড়বো
ভালৈা থাকুন আপি
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট পড়েই আমি বুঝতে পেরেছি ঘটনা বানানো নয়।
আমার বাবার নাম মেহের।