![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। লেখকের অনুমতি ব্যতীত যে কোন কবিতা, গল্প, ছড়া, ছবি পোস্ট করা হতে বিরত থাকবেন।
সুখ কী কেউ বুঝে নিতে পারে? কেউ পারে না,
অথৈ সুখে থেকেও কেউ করে যায় সুখের হাপিত্যেশ;
অথচ দু'দন্ড শান্তি পেলে মনের কিনার
মনে হয় আহা আছি কী যে সুখে - আলহামদুলিল্লাহ।
কেউ তুষ্ট নয় অল্প প্রাপ্তিতে, সুখ তাকে ছেড়ে পালায়,
রবের কাছে চেয়ে চেয়ে কেউ হতাশা ছুঁড়ে দেয়, তাঁর প্রতি,
আমি বলি, এভাবে অধৈর্য্য হলে কী আর পাওয়া যায় রবের করুণা!
ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙ্গে গেলেই নৈরাশ্যের সমুদ্দুর।
সেই সমুদ্দুরে ডুবে যেতে যেতে, কেউ বলে যায় অপ্রাপ্তির কথা,
ঠিক তখনো ধৈর্য্যের বুকে রাখতে পারেনি মাথা,
মানুষ হতাশায় নিমজ্জিত হয়- চাহিদা অনুযায়ী না পেলে কিছু,
অথচ থাকা, খাওয়া, পরার চিন্তে ছিলো না আদৌ।
কেবল ভবিষ্যতের আরামের পানে তাকিয়ে মানুষ গড়ে বিত্ত বৈভব অথৈ,
একদিন বৃদ্ধ হওয়ার আগেই কেউ পাড়ি দেয় পরকাল,
কষ্টের গড়া সম্পদ পারেনি ভোগ করতে কী আর পারলো!
মানুষ দেখেও শিক্ষা নেয়নি জীবন চলার পথে।
নেই নেই, কিছু নেই, হতাশার বাগানে ফুটায় বিষণ্ণতার ফুল,
যে ফুলে বিতৃষ্ণারা মৌমাছি হয়ে মধু চুষে;
বিষ তিতে সময়গুলো, আগলে ধরে মানুষ খুঁজে মুক্তির পথ
অথচ মুক্তির পথ তার তো জানাই ছিলো।
এক সেকেন্ডের সুখে যে হতে পারে না সুখী, সুখ কী সে বুঝে?
জোরে নিশ্বাস টেনেও কেউ কেউ সুখ নেয় শূন্য হাওয়া হতে,
আর কেউ দীর্ঘশ্বাস ফেলে অথৈ বিত্তের পানে তাকিয়ে নির্নিমিখ;
সুখ অনুভবের ক্ষমতা পায়নি কেউ কেউ,
যারা অল্পতে সুখী, তারা নিরোগ, সুস্থ, হাসি খুশি
চোখে উপছে পড়ে মুগ্ধতার রেশ।
©কাজী ফাতেমা ছবি
১৩/০৭/২০২১
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৯
আহমেদ রুহুল আমিন বলেছেন: ‘আলহামদুলিল্লাহ্’...এই একটি শব্দের মধ্যেই মহান আল্লাহ্ তাবারকতায়ালা সুখের ব্যাপকতা ছড়িয়ে দিয়েছেন । যেখানে যেমন অনেক পাওয়ার মাঝেও সুখ খুঁজে পাওয়া যায় তেমনি অনেক না পাওয়ার মাঝেও সুখ খুঁজে পাওয়া যায় । মহান সৃষ্টিকর্তার প্রতি যারা নিঃস্বার্থভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে জানে তাদের থেকে সুখি পৃথিবীতে কেউ হতে পারেনা ।সুখ নিয়ে কবিতা অনেক ভালো লেগেছে ,লেখিকা মেডামকে জানাই অনেক ধন্যবাদ ।