নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যের সন্ধানে অবিচল .।.।।।

নিউটন তালুকদার

একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে চাই

নিউটন তালুকদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাতি ধ্বংসের অপকৌশল শৈল সমতল অনুষ্ঠানটি কেন বর্জন করব ?

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:২৩

আতিয়ার রহমানের রচনা, গ্রন্থনা ও পরিচালনায় অনুষ্ঠান শৈল সমতলে যারা তথাপি দায়িত্বরত আছেন তাদের সবাইকে এই অনুষ্ঠান বর্জন করার জন্য আহ্বান করা হয়েছে।


পিসিজেএসএস ও আদিবাসী কল্যাণ সমিতির দ্বৈত পার্টি থেকে এক সৌজন্য পরামর্শে তারা বলেন এটিএন বাংলায় প্রচারিত নিয়মিত শৈল সমতল অনুষ্ঠানটি দীর্ঘদিন ধরে প্রচারিত হয়ে আসছে। আমাদের পার্বত্য চট্টগ্রামের অনেক আদিবাসী ছেলেমেয়ে এই অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছে । এই অনুষ্ঠানের প্রধান খেতাব হচ্ছে ক্ষুদ্র নৃ জনগোষ্টী বা উপজাতি সংস্কৃতি সবার উদ্দেশ্যে উন্মোচন করা।

ক্ষুদ্র নৃ জনগোষ্টী বা উপজাতি শব্দটি উচ্চারণের সাথে সাথে আমাদের আদিবাসী সমাজে বহুলাংশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে তথা আমাদের আদিবাসী প্রজন্মের বিরূপ প্রতিক্রিয়া ধারণ করে। সংবিধানে লেখা আছে বাংলাদেশের উপজাতীয় ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীগুলো এদেশের আদিবাসী বা ভূমিপুত্র নয় ;তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, ভাষা নেই তারা অনেকাংশে বাঙ্গালির উপর নির্ভরশীল।

তাহলে সংসদে মহান নেতা মানবেন্দ্র নারায়ন লারমা কেন প্রতিবাদ করেছিলেন যে,“আমি বাঙালি নই” “আমি যে অঞ্চল থেকে এসেছি , সেই পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীরা যুগ যুগ ধরে বাংলাদেশে বাস করে আসছে ; এই অনুষ্ঠানটি শুধু পার্বত্য চট্টগ্রামে অভ্যন্তরীণ সীমাবদ্ধ নয়। কারণ এটি একটি বেসরকারী স্বতন্ত্র মিডিয়া। পার্বত্য চট্টগ্রামের বাইরেও বাংলাদেশে আনাচে-কানাচে এটি অহরহ প্রচারিত হচ্ছে। এমনকি বিদেশে ও বানিজ্যিক উদ্দেশ্যে এটি সম্প্রচার করা হচ্ছে। এই অনুষ্ঠানটি দেখে অনেক দর্শনকারী নিঃসন্দেহে উপজাতি বা ক্ষুদ্র নৃ জনগোষ্টী শব্দটি গোচর করবে, যা তাদের অন্তরালে পাহাড়ীদের উপজাতি নামক শব্দটি রটিয়ে থাকবে। :||

এতে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আরো দুর্ভোগে পড়বে। এতে আদিবাসীরা ক্ষুদ্র থেকে আরো ক্ষুদ্রকায় রূপে রূপান্তরিত হবে।

এছাড়া স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বরাত দিয়ে বলেন যেখানে তারা আদিবাসীদের সংস্কৃতি চেতনায় উজ্জীবিত ও জাতির স্বকীয়তা রক্ষায় এগিয়ে আসার কথা সেখানে তারা বিপরীত পন্থা অনুসরণে ধাবিত। তারা বলেন সামান্য অর্থের বিনিময়ে পুরো জাতির স্বকীয়তা হানি করা এটা কখনো আদিবাসী সমাজ মানবে না। জাতি ধ্বংসের এটা একধরনের কলাকৌশল। জাতিকে এভাবে বিপদে ফেলে দিয়ে সামান্য অর্থ উপার্জন না করলে কি হয়না ?

তারা বারবার আদিবাসীদের ক্ষুদ্র নৃ জনগোষ্টী বা উপজাতি বলে আখ্যায়িত করে আসছেন। যার কারণে পাহাড়ে নতুন প্রজন্মের আদিবাসী সমাজে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া উত্থিত হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এছাড়া অনেকে অভিব্যক্ত করেন পাহাড়ী আদিবাসী সমাজ যুগ যুগ ধরে নির্যাতিত, নিপীড়িত, শোষণ ও বঞ্চনার শিকার হয়ে আসছে। সময় এসেছে আমাদের সচেতন হওয়ার। জাতি ধ্বংসের প্রলোভনে উৎসাহী হয়ে বিপথগামীতে ঝুঁকি নেওয়া তাদের বোকামি ও মূর্খতা । বিশ্বে কোন ব্যক্তি জাতির সংস্কৃতি ও ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য উপেক্ষা করে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে না, পারে না নিজের পরিচয়কে পৃথিবীতে উজ্জ্বল করে প্রকাশ করতে।

নিপীড়িত জাতি ও মেহনতি মানুষের একনিষ্ঠ বন্ধু মহান নেতা মানবেন্দ্র নারায়ন লারমা বলে গেছেন,
“আজকে যারা কলকারখানায় চাকা ঘুরাচ্ছেন, যাঁদের রক্ত ছুঁইয়ে আমাদের কাপড়, কাগজ তৈরী হচ্ছে সেই লক্ষ লক্ষ মানুষের কথা সংবিধানে নেই”
কাজেই আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ হয় পৃথিবীতে আমাদের আটকানোর কোন পরাশক্তি নেই।

পরিশেষে বলতে চাই, সময় ও স্রোত কারোর জন্য অপেক্ষা করেনা, সময় এসেছে আমাদের সচেতন হওয়া। আমরা সবাই মহান নেতা মানবেন্দ্র নারায়ন লারমার আদর্শ নীতি ও আবশ্যকতা অনুসরণ করে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সামনে এগিয়ে যেতে চাই।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.