![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাজবন বিহার বাংলাদেশে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বৃহত্তম বিহার রাঙামাটি শহরের অদূরেই অবস্থিত। ১৯৭৭ সালে বনভান্তে রাঙ্গামাটি সদর উপজেলাধীন ২ নং মগবান ইউনিয়নের তৎকালীন মোরঘোনা নামক এলাকা থেকে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য রাঙামাটি আসেন।
বনভান্তে এবং তাঁর শিষ্যদের বসবাসের জন্য ভক্তকূল এই বিহারটি নির্মান করে দেন। চাকমা রাজা দেবাশিষ রায়ের তত্ত্বাবধানে রাজবন বিহার রক্ষণাবেক্ষনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হয় ।
প্রতিবছর পূর্ণিমা তিথিতে রাজবন বিহারে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের প্রধান বৌদ্ধধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রাঙ্গামাটি রাজবন বিহারে ২ দিনব্যাপী কঠিন চীবর দান উৎসব আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় এই অনুষ্ঠান ঘিরে উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে রাজবন বিহার এলাকাসহ গোটা রাঙ্গামাটি শহর। উৎসবে যোগ দিতে রাজবন বিহারে বুধবার থেকে অগণিত পুণ্যার্থীর ঢল নেমেছে।
অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সড়ক ও নৌপথে তিন পার্বত্য জেলার বিভিন্ন পাহাড়ী গ্রাম ও জনপদ থেকে হাজার হাজার সদ্ধর্মপ্রাণ নারী-পুরুষ সমবেত হয়। এছাড়া দেশ-বিদেশ থেকে অসংখ্য পুণ্যার্থী ও দর্শনার্থীর আগমন ঘটে।
উৎসবে বর্ণাঢ্য আয়োজনসহ বসে মেলা। ধর্মীয় কীর্তন, নাটক, চরকায় সুতা কাটা, বেইন বুনন, হাজার প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, ফানুস উত্তোলন, কল্পতরু শোভাযাত্রাসহ বর্ণাঢ্য কর্মসূচি গৃহীত হয়।
আজ বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হবে বৌদ্ধপূজা, সংঘদান, অষ্টপরিষ্কার দান, পঞ্চশীল গ্রহণ, কঠিন চীবর শোভাযাত্রা ও উৎসর্গ, ধর্মীয় দেশনা, প্রদীপ পূজাসহ ইত্যাদি কর্মসূচি। এসব কর্মসূচির মধ্যদিয়ে রাজবন বিহারে শেষ হবে দুদিনব্যাপী কঠিন চীবর দানোৎসব।
বি দ্র - ছবিগুলি বিগত সালের কঠিন চীবর দানে
ফটো কার্টেশীঃ রাজবন বিহার , রাঙ্গামাটি
বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন