![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নানা উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে শেষ হলো বাংলাদেশের প্রধান বৌদ্ধধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রাঙ্গামাটি রাজবন বিহারে ২ দিনব্যাপী ৪৩ তম শুভ দানোত্তম কঠিন চীবর দান ।
রাজবন বিহার বাংলাদেশে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বৃহত্তম বিহার রাঙামাটি শহরের অদূরেই অবস্থিত। ১৯৭৭ সালে বনভান্তে রাঙ্গামাটি সদর উপজেলাধীন ২ নং মগবান ইউনিয়নের তৎকালীন মোরঘোনা নামক এলাকা থেকে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য রাঙামাটি আসেন।
বনভান্তে এবং তাঁর শিষ্যদের বসবাসের জন্য ভক্তকূল এই বিহারটি নির্মান করে দেন। চাকমা রাজা দেবাশিষ রায়ের তত্ত্বাবধানে রাজবন বিহার রক্ষণাবেক্ষনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হয় ।
প্রতিবছর পূর্ণিমা তিথিতে রাজবন বিহারে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় এই অনুষ্ঠান ঘিরে উৎসবমুখর হয়ে উঠেছিল রাজবন বিহার এলাকাসহ গোটা রাঙ্গামাটি শহর।
উৎসবে যোগ দিতে রাজবন বিহারে বুধবার থেকে অগণিত সদ্ধর্মপ্রাণ পুণ্যার্থীর ঢল নেমে এসেছিল।
এই সময় উপস্থিত ছিলেন বন ভান্তের প্রথম শিষ্য প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির আর সুযোগ্য দ্বিতীয় শিষ্য ভৃগু মহাস্থবির সহ পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন মন্দিরের প্রধান এবং শিষ্যমন্ডলী।
উপস্থিত ছিলেন চাকমা চীফ সার্কেল ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় সহ রাঙ্গামাটির বিভিন্ন গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। এছাড়া দেশ-বিদেশ থেকে অসংখ্য পুণ্যার্থী ও দর্শনার্থীর আগমন ঘটে।
উৎসবে বর্ণাঢ্য আয়োজনসহ বসে মেলা। ধর্মীয় কীর্তন, নাটক, চরকায় সুতা কাটা, বেইন বুনন, হাজার প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, ফানুস উত্তোলন, কল্পতরু শোভাযাত্রাসহ বর্ণাঢ্য কর্মসূচি ইত্যাদি গৃহীত হয়।
আগামী ৪৪ তম দানোত্তম কঠিন চীবর দান আশা ব্যক্ত করে এইসব কর্মসূচির মধ্যদিয়ে রাজবন বিহারে শেষ হল দুদিনব্যাপী কঠিন চীবর দানোৎসব।
ছবি (রাজবন বিহার রাঙ্গামাটি)
বিস্তারিত জানতে (Daily CHT)
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৫৩
মুক্তমনা ওগা বলেছেন: খুব ভালো লাগল