নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যের সন্ধানে অবিচল .।.।।।

নিউটন তালুকদার

একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে চাই

নিউটন তালুকদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

আদিবাসীদের পোশাকে বাঙালি রমনীদের প্রবল ঝোঁক রয়েছে

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৯

দিন বদলের ধারায় প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে ফ্যাশনের হালচাল। নানা ধরনের আর্ট ফর্ম নিয়ে পোশাক ও গয়নায় চলছে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা। ফ্যাশনে বৈচিত্র্যতা আনতে ডিজাইনাররা প্রতিনিয়ত নতুনত্ব খুঁজে ফেরেন। এ ক্ষেত্রে আদিবাসী স্টাইলের প্রতি ডিজাইনারদের রয়েছে বিশেষ ঝোঁক। এরই ধারাবাহিকতায় আদিবাসী গয়না ও পোশাক পরিচ্ছদ মূলধারার স্টাইলে প্রবেশ করেছে।




আদিবাসীদের তৈরি পোশাক এখন বাঙ্গালিদের ও বেশ পছন্দের তালিকায় সন্নিবেশ হয়েছে । এসব তৈরি পোশাক বাঙালি নারীর পাশাপাশি ছেলেরাও পরিধান করে থাকে । সাধারণত রাংগামাটি , খাগড়াছড়ি , ও বান্দরবানে সহজলভ্য রেডিমেট পোশাক পাওয়া যায় । সমতল থেকে অনেক বাঙালি বেড়াতে এসে পর্যটনের স্পট বা বিভিন্ন আদিবাসী অধ্যুষিত মার্কেট থেকে শখের জিনিস হিসেবে বেছে নেয় তাদের এই ঐতিহ্যবাহী পোশাক । এছাড়া ফ্যাশন জগতে বাঙ্গালির সংস্কৃতির সাথে মিশে যাচ্ছে আদিবাসীদের প্রাচীন ঐতিহ্যগত এই সকল পোশাক । বর্তমানে দেশ বিদেশে ও আদিবাসীদের পোশাক ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে ।



আদিবাসীদের জীবনযাপন সম্পর্কে সমতলবাসীদের কৌতূহলের অন্ত নেই! তাদের সংস্কৃতি, কৃষ্টি, পোশাক - সব কিছু ঘিরেই জানার আগ্রহ তৈরি হয়। বিশেষ করে পোশাক। আদিবাসীদের বৈচিত্র্যময় পোশাক মন কাড়ে সহজেই। আর এসব পোশাকের রয়েছে চমত্‍কার চমত্‍কার সব নাম। প্রায় সব আদিবাসী জনগোষ্ঠীই নিজেদের বোনা কাপড়ে দিয়ে তৈরি করেন নিজেদের পোশাক। জুম চাষের তুলার সুতা আর কোমর-তাঁত ব্যবহার করে তারা তৈরি করেন রংবেরঙের কাপড়। প্রত্যেক আদিবাসী জনগোষ্ঠী আপন আপন সংস্কৃতি অনুযায়ী কাপড়ে আলাদা ডিজাইন বা নকশা ব্যবহার করে থাকেন।



বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের নকশা ব্যবহার করার ফলে সহজেই বোঝা যায় পোশাকটি কোন জনগোষ্ঠীর। আসুন জানি আদিবাসীদের কিছু পোশাক সম্পকে - পিনন মেয়েদের পরনের কাপড়। এতে কোনো সেলাই থাকে না। দৈর্ঘ্য সাড়ে চার হাত ও প্রস্থ আড়াই হাত হয়ে থাকে। একদিকে নকশা করা চাবুকি বা আঁচল থাকে। পরার সময় চাবুকিটি বাম দিকে থাকে। খাদি আদিবাসী মেয়েদের বক্ষবন্ধনী। সাধারণত দৈর্ঘ্যে সাড়ে তিন হাত এবং প্রস্থে দেড় হাত হয়। খাদিতে নানা রঙের নকশা বা ফুল তোলা হয়। রঙিন খাদি সাধারণত যুবতীরাই পরে। নকশা ছাড়া সাদামাটা খাদিকে বলা হয় চিবিকটানা খাদি বা জাংগলীপাজন। খবং এটা তাঁতে বোনা বিশেষ ধরনের কাপড় যা পাগড়ি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। জুম্মাছিলুম ফুলহাতা জামা। মেয়েদের জুম্মাছিলুমের কাঁধে ও কোণায় সুন্দর কারুকাজ করা থাকে


এবং ছেলেদেরগুলো হয় সাদামাটা। থামি এটি মেয়েদের পরিধানের কাপড়। তাঁতে বোনা এবং অনেকটা লুঙ্গির মতো। থামিতে বিভিন্ন নকশা করে আকর্ষণীয় করে তোলা হয়। আঙ্গি ফুলহাতা পোশাকবিশেষ। অনেকটা জুম্মাছিলুমের মতো এই পোশাক। রিনাই পিননের মতো রিনাইও কোমরতাঁতে বোনা। এটি ত্রিপুরা ও উঁসুই মেয়েদের বক্ষবন্ধনী। রিনাইয়ের জমিন সাধারণত লাল রঙের হয়। তবে পিননের মতো আঁচল বা চাবুকি থাকে না।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.