নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার সম্পর্কে: https://t.ly/atJCp এছাড়া, বইটই-এ: https://boitoi.com.bd/author/2548/&

দারাশিকো

লেখালিখির প্রতি ভালোবাসা থেকে লিখি

দারাশিকো › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলা চলচ্চিত্রের সালতামামি ২০১২

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৭

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের আরও একটি বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেল। অন্যান্য বছরের মত এ বছরেও বানিজ্যিক সিনেমার পাশাপাশি আর্ট ফিল্ম হিসেবে পরিচিত অফ ট্র্যাকের সিনেমা মুক্তি পেয়েছেন, নতুন নতুন মুখ যুক্ত হয়েছে নায়ক-নায়িকা, প্রযোজক-পরিচালকের তালিকায়, কারিগরী দিক থেকে নানারকম অগ্রগতি নজর কেড়েছে। সব মিলিয়ে ২০১২ সালেবাংলা চলচ্চিত্রের সামগ্রিক অবস্থা কি তা জানার জন্য পেছনে ফিরে দেখা যেতে পারে।



২০০৮ সালের পর থেকে বাংলাদেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির গতি কিছুটা পড়তির দিকে। এর আগের বছরগুলোতে গড়ে ৯৫-১০০ টি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে, কিন্তু তারপরেই মুক্তিপ্রাপ্ত ছবির সংখ্যা কমতে থাকে। ২০১১ সালে মাত্র ৪৮টি ছবি মুক্তি পাওয়ার পর আশংকা করা হয়েছিল এবছরে ছবি মুক্তির পরিমান আরও কমবে। কিন্তু এ বছরের শেষ সপ্তাহে 'পিতা' ও 'নাইওরি' মুক্তি পাওয়ার মধ্য দিয়ে মোট মুক্তিপ্রাপ্ত ছবির সংখ্যঅ ৫১ তে দাড়িয়েছে। পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন দশ জন, ১৪ জন নতুন নায়ক নায়িকা ইন্ডাস্ট্রিতে যোগ দিয়েছেন। সর্বাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন খল অভিনেতা মিশা সওদাগর, সর্বাধিক সিনেমার নায়ক নায়িকা শাকিব খান ও সাহারা। ২০১২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমাগুলো একটা তালিকা তৈরী দেয়া যেতে পারে।



১. মারুফের চ্যালেঞ্জ - শাহাদৎ হোসেন লিটন - সাহারা, ইমন, নিপুণ

২. ফিরে এসো বেহুলা - তানিম নূর - জয়াআহসান, ইন্তেখাব দিনার, হুমায়ুন ফরীদি, মামুনুর রশীদ, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, রাইসুল ইসলাম আসাদ, শহীদুজ্জামান সেলিম, তৌকীর আহমেদ, শতাব্দী ওয়াদুদ

৩. রক্তে ভেজা বাংলাদেশ - নাদিম মাহমুদ - স্বাধীন, রত্না, প্রবীর মিত্র, নাসরিন ও মিশা সওদাগর

8. আই লাভ ইউ - মুশফিকুর রহমান গুলজার - শাকিব খান, পূর্ণিমা, রেসি, নিরব, ইলিয়াস কাঞ্চন, ওমরসানি, শাহনাজ, আফজাল শরীফ, শহীদু ইসলাম সাচ্চু

৫. জীবনে তুমি মরণে তুমি - অপূর্ব রানা - সোহেল রানা, জের্ফ, শ্রেয়া

৬. লালটিপ - স্বপন আহমেদ - ইমন, কুসুম শিকদার, এ টি এম শামসুজ্জামান, সোহেল খান,

৭. এক জনমের কষ্টের প্রেম - নাদিম মাহমুদ - সাইফ খান, নদী, স্বপ্না, শোয়েব, সিনথিয়া, গাঙ্গুয়া, ইয়াসিন হিরা

৮. আমার চ্যালেঞ্জ - বদিউল আলম খোকন - শাকিব খান, সাহারা, মিশা সওদাগর

৯. রাজা সূর্য খাঁ - গাজী মাহাবুব - সোহেল রানা, কবরী, ববিতা, উজ্জ্বল, পূর্ণিমা, নিরব, কাজী মারুফ, টেলিসামাদ, কাজী হায়াত, ইলিয়াস কোবরা

১০. পালাবার পথ নেই - অপূর্ব রানা - সাইফ খান, তমা মির্জ্জা, আমান খান, নবাগতা সাকি, মিজু আহমেদ ও কাজী হায়াৎ

১১. বাংলাদেশী - মনোয়ার খোকন - জাহাঙ্গীর ঝিনুক, এনামুল মোজাম্মেল, মিজু আহমেদ ও আহমেদ শরীফ

১২. এক টাকার দেনমোহর - এম বি মানিক - শাকিব খান, অপু বিশ্বাস, সোহেল রানা, উজ্জ্বল, সূচরিতা, নূতন

১৩. কারিগর - আনোয়ার শাহাদাত - জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, রোকেয়া প্রাচী, সুষমা সরকার, রাণী সরকার, হিমা মৃধা, গোলাম মোস্তফা, মাসুদ আলম বাবু, শামীম খান

১৪. মানিক রতন দুই ভাই - কাজী হায়াত - ডিপজল, মারুফ, রেসি, তমা, মিজু আহমেদ, ডি জে সোহেল

১৫. জ্বী হুজুর - জাকির হোসেন রাজু - সাইমন সাদিক, সারা জেরিন ও অনন

১৬. এক মন এক প্রাণ - সোহানুর রহমান সোহান - শাকিব খান, অপু বিশ্বাস, আলী রাজ, মিশা সওদাগর, তমা মির্জা

১৭. অন্তরে প্রেমের জ্বালা - কালাম কায়সার - সাজিদ খান, শেহনাই

১৮. বাজারের কুলি - মনতাজুর রহমান আকবর - রেসী, নিপুণ, আলেক, নিশু, আমান খান, আন্না, কাবিলা, ডিজে সোহেল, রেহানা জলি, লাবু আহমেদ, আদিল, মিশা সওদাগর ও মিজু আহমেদ

১৯. চারুলতা - সাইফুল ইসলাম মান্নু - ইলিয়াস কাঞ্চন, কুমকুম হাসান, সজল, মিতা নূর ও শহীদুল আলম সাচ্চু

২০. দ্যা স্পিড - সোহানুর রহমান সোহান - এম এ জলিল অনন্ত, পারভিন (মালয়েশিয়া), নানা (রাশিয়া ), আলমগীর, দিতি, নিনো (ইতালি), ডন, ইলিয়াস কোবরা, দীঘি

২১. উত্তরের সুর - শাহনেওয়াজ কাকলী - ফেরদৌস, নিপুণ, কথাসাহিত্যিক সৈয়দ শামসুল হক, ওয়াহিদা মল্লিক জলি, প্রাণ রায়

২২. বাংলা ভাই - মনোয়ার খোকন - জায়েদ খান, চাঁদনী

২৩. আত্নগোপন - এমএম সরকার - জায়েদ খান, শাবনূর

২৪. ভালবাসা সেন্টমার্টিনে - শহীদুল ইসলাম খোকন - রাশেদ মোর্শেদ, শাবনূর

২৫. ও আমার দেশের মাটি - অনন্ত হীরা - আমিন খান, নূনা আফরোজ, তমা মির্জা, শাকিল আহাম্মেদ, হাবীব আহসান

২৬. পাগলা হাওয়া - নজরুল ইসলাম খান - কাজী মারুফ, শ্রেয়া, হাবিব খান ও কাজী হায়াৎ

২৭. সন্তানের মতো সন্তান - শাহিন-সুমন - শাকিব খান, সাহারা, অমিত হাসান, রত্না, আলীরাজ, কাবিলা, নাসরীন ও ডলি জহুর

২৮. কমন জেন্ডার - নোমান রবিন - সোহেল খান, হাসান মাসুদ, রাশেদ মামুন অপু, রোজী সিদ্দিকী, চিত্রলেখা গুহ, ডলি জহুর, সাজু খাদেম, দিলীপ চক্রবর্তী, অয়ন চৌধুরী, মানস বন্দ্যোপাধ্যায়, শহীদুল আলম সাচ্চু, সিন্ডি রোলিং

২৯. মোষ্ট ওয়েলকাম - অনন্ত, বর্ষা, রাজ্জাক, সোহেলরানা, বাপ্পারাজ, আহমেদ শরীফ, কাবিলা, মিশা সওদাগর, স্নেহা উল্লাল ও রাধিকা

৩০. খোদার পরে মা - শাহীন সুমন - শাকিব খান ,সাহারা এবং ববিতা

৩১. মাই নেম ইজ সুলতান - এফআই মানিক - শাকিব খান, সাহারা, প্রবীর মিত্র, রীনা খান, রেহানা জলি, জ্যাকি, ববি, ইলিয়াস কোবরা, শিবা শানু, ডন সাঙ্কোপাঞ্জা, শামীম রতন, কমল, জেমি, মৌ এবং মিশা সওদাগর ও আহমেদ শরীফ

৩২. ঢাকার কিং - সাফিউদ্দিন সাফি - শাকিব খান। তার সঙ্গে রয়েছেন অপু বিশ্বাস, নিপুণ, আহমেদ শরীফ, গাঙ্গুয়া ও মিশা সওদাগর

৩৩. সে আমার মন কেড়েছে - সোহানুর রহমান সোহান - শাকিব খান, তিন্নী, আলমগীর, আহমেদ শরীফ, মিশা সওদাগর, ডন, শর্মিলা আহমেদ

৩৪. তুমি আসবে বলে - আশরাফুল রহমান - নিরব, নিপুণ

৩৫. হঠাত্‍ সেদিন - বাসু চ্যাটার্জী - ফেরদৌস , রিদিমা ঘোষ, নিপুণ, নবীন, প্রাণ রায়, সিমলা

৩৬. আত্নদান - শাহজাহান চৌধুরী - আলমগীর, চম্পা, সাবেরী আলম, হাফিজউদ্দিন, নিরব, নিপুণ

৩৭. ঘেঁটুপুত্র কমলা - হুমায়ূন আহমেদ - মামুন, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, প্রাণ রায়

৩৮. দুধর্ষ প্রেমিক - এবি মানিক - শাকিব খান, অপু বিশ্বাস, সুব্রত, শানু শিবা, ইলিয়াস কোবরা, মিশা সওদাগর ও উজ্জল

৩৯. ভালবাসার রঙ - শাহিন-সুমন - বাপ্পি, মাহি, কাবিলা, রাজ্জাক,

৪০. জিদ্দি মামা - শাহাদাৎ হোসেন লিটন - শাকিব খান, অপু বিশ্বাস, রোমানা ও মিশা সওদাগর

৪১. হান্ড্রেড পার্সেন্ট লাভ বুক ফাঁটে তো মুখ ফোটে না - বদিউল আলম খোকন - শাকিব খান, রুমানা, অপু, সোহেল রানা, উজ্জ্বল, সাদেক বাচ্চু, মিশা সওদাগর, আফজাল শরীফ

৪২. ডন নাম্বার ওয়ান - বদিউল আলম খোকন - শাকিব খান. সাহারা, মিশা সওদাগর, উজ্জল

৪৩. স্বামীভাগ্য - এফআই মানিক - ডিপজল, রেসি, আমিন খান, রুমানা, দীঘি, মিজু আহমেদ, শিবা শানু, আলীরাজ

৪৪. জিদ্দি বউ - আবুল কালাম আজাদ - শাবনূর, ফেরদৌস, এটিএম শামসুজ্জামান, তৌফিক, রিনা খান, প্রবীর মিত্র

৪৫. শিউলিমণি - সাদেক সিদ্দিকী - ইমন, নিপুণ, আন্না, সাগর, শাহনূর, মারুফ, আহম্মেদ শরীফ, মিজু আহমেদ, আফজাল শরীফ, সিরাজ হায়দার

8৬. অবুঝ প্রেম - আবুল খায়ের বুলবুল - আরজু, সিনথিয়া,

8৭. সন্ত্রাসী ধরো - স্বপন চৌধুরী -

৪৮. তোমার সুখই আমার সুখ - কালাম কায়সার - চাঁদনী, নবাগত শুভ, কাবিলা, খালেদা আক্তার কল্পনা, রাশেদা চৌধুরী, রাজু সরকার, নদী, জাকির, জয়, মাসুম, জাহিদ

৪৯. পিতা - মাসুদ আখন্দ - জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, মাসুদ আখন্দ, কল্যাণ কোরাইয়া, বন্যা মির্জা, শায়না আমিন

৫০. চোরাবালি - রেদওয়ান রনি - ইন্দ্রনীল সেন, জয়া আহসান, এটিএম শামসুজ্জামান, সোহেল রানা, শহীদুজ্জামান সেলিম, ইরেশ যাকের, সালেহীন স্বপন, পিয়া, হুমায়ুন সাধু, সেন্ডি রোলিং

৫১. নাইওরি - মোহাম্মদ আমিন – আমিন খান, ছোয়া, রাশেদ খান, অমল বোস, আলীরাজ

৫২. লাভ ইন জঙ্গল - ডি হোসেন – ড্যানি সিডাক, ইলিয়াস কোবরা, চাইনিজ, আলিশা ও পাপিয়া

* তালিকাটা প্রস্তুত করা হয়েছে তৌফিকুর রহমান তৌফিকের তথ্যের উপর ভিত্তি করে। যুগান্তর এবং আমার দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে যাচাই করে তালিকা প্রকাশ করা হল।



এ বছরের বেশ আলোচনা সৃষ্টি করে যে সিনেমাগুলো মুক্তি পেয়েছে তার মধ্যে লালটিপ, দ্য স্পিড, বাংলাভাই, ও আমার দেশের মাটি, মোস্ট ওয়েলকাম, মাই নেম ইজ সুলতান, ঢাকার কিং, সে আমার মন কেড়েছে, সে আমার মন কেড়েছে, ঘেটুপুত্র কমলা, ভালোবাসার রং, ডন নাম্বার ওয়ান ও চোরাবালি অন্যতম। মুক্তির পূর্বেই এ সকল ছবির প্রচারনা লক্ষ্যনীয়। মোস্ট ওয়েলকাম ও দ্য স্পিড সিনেমার পোস্টার সিনেমা মুক্তির প্রায় ছয় মাস আগে থেকেই ঢাকা শহরের দেয়ালে সাটানো হয়েছে। মুক্তির আগের এক মাস ভালোবাসার রং সিনেমার পোস্টারে ঢাকা সহ প্রায় সারা দেশ ছেয়ে ফেলা হয়েছিল। ব্যতিক্রমধর্মী প্রচারনা চালানো হয়েছে ও আমার দেশের মাটি ও চোরাবালি সিনেমার ক্ষেত্রে। চোরাবালি বহুদিন বাদে দেয়ালে চিকা মারার মাধ্যমে সিনেমা প্রচারণাকে ফিরিয়ে এনেছে।



বিপরীত দিকে প্রায় নিশ্চুপভাবে মুক্তি পেয়ে সপ্তাহখানেকের মধ্যেই মার্কেট থেকে বিদায় নিয়েছে এমন ছবির সংখ্যাও কম নয়। এই তালিকায় রক্তে ভেজা বাংলাদেশ, এক জনমের কষ্টের প্রেম, বাংলাদেশী, কারিগর, জ্বী হুজুর, চারুলতা, হঠাৎ সেদিন, তুমি আসবে বলে, আত্মদান, শিউলিমনি, লাভ ইন জঙ্গল, সন্ত্রাসী ধর অন্যতম। এ সকল সিনেমার নীরব আগমন ও প্রস্থানের পেছনে অন্যতম কারণ হল টেলিভিশন প্রিমিয়ার। এছাড়া, নতুন নায়ক নায়িকার কারনে প্রয়োজনীয় প্রচারণার আগ্রহ বিমুখ ছিল প্রযোজকরা। জ্বী হুজুরের মত অপেক্ষাকৃত ভালো সিনেমা ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে শুধুমাত্র প্রচারণা ও নতুন নায়ক নায়িকার কারনে।



নতুন পুরাতন কলাকুশলীদের সমন্বয়ে যে সকল সিনেমা মুক্তি পেয়েছে তার দিকে ফিরে তাকালে আশার দিক যেমন লক্ষ্য করা যায়, তেমনি কিছু হতাশার দিকও চোখে পড়ে। ভালো দিকগুলোর মধ্যে এম এ জলিল অনন্তর উদ্যোগ, জাজ মাল্টিমিডিয়ার সিনেমা হল ডিজিটালাইজেশন, ডিজিটাল সিনেমার মুক্তি, চলচ্চিত্রকে শিল্প হিসেবে স্বীকৃতিদান , দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশে দেশীয় চলচ্চিত্রের বানিজ্যিক প্রদর্শন, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মানের জন্য সরকারী অনুদান, ভিন্ন ধারার চলচ্চিত্র নির্মানে নবীন পরিচালকদের আগমন, শাকিব খানের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্তি ইত্যাদি অন্যতম। অন্যদিকে, মন্দ দিকগুলোর মধ্যে এম এ জলিল অনন্তকে ঘিরে নানা রকম বিতর্ক-ব্যঙ্গ-সমালোচনা , ডিজিটাল ছবির নামে মানহীন ছবি নির্মান ও মুক্তি, প্রচুর নকল ছবি তৈরী, অপেক্ষাকৃত ভালো ছবিগুলোর ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ারের মাধ্যমে দর্শকের চাহিদাকে উপেক্ষা করা, আইটেম সং এর নামে উৎকট গানের দৃশ্যায়ন ইত্যাদি অন্যতম। পাশাপাশি, সেন্সরবোর্ড তুলে দেয়া হবে বলে যে ঘোষনা প্রদান করা হয়েছে তার বিপরীতে কি কি নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন সংবাদ প্রকাশিত হয় নি।



এ বছরে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমাগুলোর যেগুলো দেখা সম্ভব হয়ছে তার মধ্যে ভালো ও ভিন্নধর্মী কনসেপ্টের জন্য 'জ্বী হুজুর', 'কমন জেন্ডার', 'ঘেটুপুত্র কমলা'র নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এদের মধ্যে একমাত্র 'জ্বী হুজুর' এফডিসি-কেন্দ্রিক বানিজ্যিক ছবি। ওয়েল-মেড ছবির তালিকায় 'চোরাবালি'র নাম উল্লেখ করা উচিত। ভিন্নরকমের পোস্টারের জন্য 'ভালোবাসার রঙ' এর কথা বলা গেলেও এই পোস্টারগুলো নকল এবং রুচিহীনতার দোষে দুষ্ট। সেই তুলনায় 'চোরাবালি' ছবির পোস্টার অপেক্ষাকৃত আধুনিক। রবানিজ্যিক ধারার সিনেমার পোস্টারে কোনই পরিবর্তন আসে নি বরং 'কমন জেন্ডার' এর মত ভিন্ন কনসেপ্টের সিনেমার পোস্টারও বানিজ্যিক ধারার পোস্টারর রূপ ধারণ করেছে। বলে রাখা দরকার, যে সকল সিনেমা সাধারণত টেলিভিশন সহ হাতে গোনা দুয়েকটি হলে মুক্তি দেয়া হয়েছে সেগুলোর পোস্টারকে বিবেচনা করা হয় নি। পোস্টারের বৈশিষ্ট্যই হল সেটা দর্শকের কাছে পৌছুবে, দর্শক সিনেমাহলসহ নির্দিষ্ট কোন স্থানে পোস্টারের নিকট পৌছাবে না।



বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের আরেকটি গুরুত্বপূর্ন বিষয় হল দর্শকের সিনেমাহলমুখীতা। বিগত কয়েকবছরের তুলনায় এ বছরে মধ্যবিত্ত শ্রেনীর দর্শক হলে গিয়ে বেশী ছবি দেখেছে এবং এদের মধ্যে হলে গিয়ে সিনেমা দেখার আগ্রহ বাড়ছে। কিন্তু তাদের চাহিদা পূরনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভালো সিনেমাহলের অভাব এখনো প্রকট।



পাশাপাশি অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে সিনেমাহলে প্রদর্শন সংক্রান্ত এফডিসি-কেন্দ্রিক সিন্ডিকেট এর কথা। গতানুগতিক ধারার চলচ্চিত্রগুলো সিন্ডিকেটকে অতিক্রম করে বেশী সিনেমাহলে মুক্তি দিতে পারছে না। সিনেমাহলের ডিজিটালাইজেশনের ফলে আশা করা হয়েছিল এর ফলে সিনেমা অনেক বেশী পরিমান দর্শকের কাছে পৌছাতে পারবে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমাগুলোর সিনেমাহল প্রাপ্তিতে ব্যর্থতা সেই একই সিন্ডিকেট সমস্যার দিকে আঙ্গুল তুলে ধরে। এই ধরনের সমস্যা বিরাজমান থাকলে একদিকে যেমন ভালো নির্মাতারা উঠে আসতে পারবে না, তেমনি দর্শকরাও ভালো সিনেমা দেখার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কাম্য।



সব মিলিয়ে ২০১২ সালের চলচ্চিত্র কেমন হল সে প্রশ্নের উত্তরে বলা যায় - বিগত কয়েক বছরের তুলনায় আশাব্যাঞ্জক। মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমার সংখ্যা যদিও খুব বেশী ছিল না, কিন্তু সিনেমার বিভিন্নতা এবং সিনেমা সংক্রান্ত বিভিন্ন খবর বেশ আশা জুগিয়েছে সিনেমা দর্শকদের মধ্যে। বাংলা চলচ্চিত্র রেখা আবার উর্দ্ধদিকে মুখ ফিরিয়েছে। এই মুখ যেন কখনো নিচের দিকে না নেমে ক্রমাগত ব্যবসাসফল ইন্ডাস্ট্রির দিকে, বৈশ্বিক সিনেমার দিকে এগিয়ে যেতে পারে সেই শুভকামনা থাকল। ২০১৩ সালে বাংলা সিনেমার সাথে থাকুন।





ফেসবুকে দারাশিকো'র ব্লগ

মন্তব্য ৫২ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৫২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৬

সন্দীপ হালদার বলেছেন: অসাধারণ সালতামি। বাংলা সিনেমা নিয়ে লেখা-লিখি করা লেখকদের মধ্যে আপনি অন্যতম।
ভাল লাগা ও শুভ কামনা রইল আপনার প্রতি।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪৮

দারাশিকো বলেছেন: ধন্যবাদ সন্দীপ হালদার। কৃতজ্ঞতা জানুন। এবং ভালো থাকুস সবসময় :)

২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৮

এস এম লুৎফুল্লাহ মাহমুদ বলেছেন: ভাললাগা রইল।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪৮

দারাশিকো বলেছেন: ধন্যবাদ এস এম লুৎফুল্লাহ মাহমুদ। ভালো থাকবেন। ২০১৩ তে বাংলা সিনেমার সাথে থাকবেন - অনেকগুলো ভালো ছবি আসছে সামনে :)

৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৯

রীতিমত লিয়া বলেছেন: ভাল লাগা

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০১

দারাশিকো বলেছেন: ধন্যবাদ রীতিমত লিয়া :)
আপনার নামটা মুভিলাভারসব্লগের মাধ্যমে পরিচিত। এখানে দেখে ভালো লাগল :)

৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫২

কাউসার রুশো বলেছেন:
এই পোস্টটা সামুতে একদিনের জন্য হলেও স্টিকি করা হলে খুব খুব খুশি হতাম।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩৬

দারাশিকো বলেছেন: জ্বি। ধন্যবাদ রুশো ভাই :)

৫| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৫০

ওবায়েদুল আকবর বলেছেন: অনেক পরিশ্রমের ফসল এই পোস্ট বোঝাই যায়। এক বছরের পুরো সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিকে তুলে আনা এক পোস্টে সত্যিই অবিশ্বাস্য। প্রিয়তে নিলাম বস যাতে পরবর্তিতে প্রয়োজন হলে চেক করে নেয়া যায়। ++++

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩৬

দারাশিকো বলেছেন: শুকরিয়া বস :) কৃতজ্ঞতা :)

৬| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৫৯

আদিম পুরুষ বলেছেন: অনেক বিষয় উঠে এসেছে। পোস্ট ভালো লাগল।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২০

দারাশিকো বলেছেন: ধন্যবাদ আদিম পুরুষ। ভালো থাকবেন :)

৭| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪৪

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: অনেক জানলাম

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২০

দারাশিকো বলেছেন: :)

৮| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪৬

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:

কিছু মুভির নাম ই শুনি নাই।
চলচ্চিত্রের প্রসারে মিডিয়ার ভুমিকা অনেকখানি।
যেহেতু পত্রিকায় নিয়মিত চোখ রাখি, বলতে পারি কিছু মুভির নাম পত্রিকাওয়ালারা আনেইনি।

যাই হোক, চলচ্চিত্রের সুদিন ফিরে আসুক।।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২৭

দারাশিকো বলেছেন: কিছু মুভির নাম শোনা কষ্টকর, যে ছবির প্রচার হয় না তারে ছবি বলাও ঠিক না।

৯| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫২

ইউনুস খান বলেছেন: জ্বী হুজুরের মত অপেক্ষাকৃত ভালো সিনেমা ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে শুধুমাত্র প্রচারণা ও নতুন নায়ক নায়িকার কারনে।

আমারও তাই মনে হয়েছে।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২৮

দারাশিকো বলেছেন: :) :)
আরেকজন পাওয়া গেল যে জ্বী হুজুর দেখেছে :)

১০| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪৯

ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: মুভি বিষয়ে কম জানি , মুভি দেখিও কম । তবে তালিকাটা কাজে লাগবে , দীর্ঘ বন্ধ পেলে দেখবো।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৯

দারাশিকো বলেছেন: সব ছবি দেখার নয়, তবে এই অবস্থাও পাল্টাচ্ছে :)

সাথেই থাকুন রাফাত নূর :)

১১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:২৭

নিষ্পাপ কয়েদি বলেছেন: ভালো লিখসেন, কিন্তু তালিকার কিছু ছবিকে সিনেমা না বলে লম্বা নাটক বলা যায়।
বাংলা সিনেমা থেকে ফেরদৌস, ইমন টাইপের লাল্টু গুলাকে বের করে দেওয়া উচিত।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৬

দারাশিকো বলেছেন: এই নামে একটা সিনেমা আছে জানেন?

লাল্টু টাইপের নায়কদের প্রয়োজন আছে, যেমন প্রয়োজন আছে সামাজিক অ্যাকশন সিনেমার পাশাপাশি আরও বিভিন্ন ধরনের সিনেমা :)

থাকুক না :)

১২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:২৬

সুখ নাইরে পাগল বলেছেন:

সালতামামি ভাল হইছে

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৪

দারাশিকো বলেছেন: থেঙকু পাগল :)

১৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৩০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: চমৎকার। ভালো লাগল। :)

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৭

দারাশিকো বলেছেন: ধন্যবাদ কাল্পনিক ভালোবাসা :)

১৪| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৩৯

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: সোজা প্রিয়তে দারাশিকো ভাই।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪১

দারাশিকো বলেছেন: ধন্যবাদ তন্ময় :)

১৫| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: বাংলা সিনেমার বর্ষযাপন নিয়ে এমন পোস্ট এই প্রথম পড়লাম। দারুণ!

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪২

দারাশিকো বলেছেন: এই শীতে মেরী পপিন্সের কি অবস্থা?

১৬| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০৭

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: অসাধারন সালতামামি বাংলা সিনেমার !!

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪২

দারাশিকো বলেছেন: ধন্যাদ মিলন :)

১৭| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:০৪

বিত্তবান ফকির বলেছেন: ভাই এত কষ্ট করে লেখেন...। ভাল হইছে।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪২

দারাশিকো বলেছেন: হ। এই পোস্টে একটু বেশীই কষ্ট হইছিল।

১৮| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৩৭

নস্টালজিক বলেছেন: দারুন পোস্ট, দারাশিকো!

পারফেক্ট সালতামামি!






অফটপিকঃ দারাশিকো বাংলা চলচ্চিত্রে একসময় ডাকসাইটে অভিনেতা ছিলেন! খুব আনকমন একটা নাম! আপনার নিক দেখে মনে পড়ে গেলো!

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১০

দারাশিকো বলেছেন: উত্তর দিতে দিরং হয়া গেল নস্টালজিক, ছরি :(

দারাশিকো শুধু অভিনেতাই ছিল না, তিনি একজন পরিচালকও বটে :)

১৯| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৫৮

লিন্‌কিন পার্ক বলেছেন:
দারুন পোস্ট !!

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৩

দারাশিকো বলেছেন: :)

২০| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:২৯

আহমেদ সাব্বির পল্লব বলেছেন: :-B

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:২১

দারাশিকো বলেছেন: :)

২১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৬

শিপু ভাই বলেছেন:
++++++++++প্রিয়তে!!!

এবছর হলে গিয়ে দেখেছি জিদ্দিমামা আর চোরাবালি!!!

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:২১

দারাশিকো বলেছেন: শুকরিয়া :)

২২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০০

মুনতা বলেছেন: দারুণ সালতামামি। শুভকামনা সবসময়।
+++

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৬

দারাশিকো বলেছেন: শুকরিয়া মুনতা :)
ভালো থাকবেন সবসময় ...

২৩| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৩৭

অনন্ত আরেফিন বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। জানলাম অনেক কিছু। প্রচারণায় মোটেই মনযোগ দেয়া হয়নি এমন আরেকটি সিনেমা পিতা। বলাকায় চলছিলো দেখলাম। ব্লগে বেশ কিছু পজিতিভ রিভিউ পড়ে দেখার জন্য আগ্রহী হয়েছিলাম এক সপ্তাহ পরে হলের সামনে গিয়ে দেখি শো শেষ হয়ে গেছে।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৭

দারাশিকো বলেছেন: হুম। পিতা সম্পর্কে এটা সত্যি বলেছেন। পিতার আরেকটি ভুল হয়েছে নির্দিষ্ট সময়ে মুক্তি না দেয়া। পরের সপ্তাহেই চোরাবালিতে পড়ে গেছে পিতা।

২৪| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০৫

হাবিবউল্যাহ বলেছেন: আপনের পোষ্টে আমার সমস্যা হয় কমেন্ট করতে।সামুতে কমেন্ট করা হয় ই না আপনের পোষ্টে।
কারন শেয়ারটা প্রথন দেন ব্লগস্পটের!!!


প্রচারেই প্রসার।
এইটা গত একদশকে আমাদের প্রযোজকেরা ভুইল্যা ই গেছে মনে হইছে।
গত ১দশকে খুব ভাল কৈরা প্রচার করছে এমন মুভি হাতে গুনে যে কোন বাংলা মুভি লাভার বলে দিতে পারবে।

আর ইদানিং আরেকটা জিনিষ শুরু হইছে।
ফেসবুকে ধুমাইয়া প্রচার করতেছে।অথচ মফস্বলে সেসব সিনেমাকে নিয়ে যাওয়ার খবর ই নাই।

খারাপ মুভির প্রযোজকেরা না হয় লজ্জা শরমের কারনে ভদ্র সমাজে সেসব মুভির প্রচারনা বন্ধ রাখছিল।
ভাল মুভির প্রযোজকেরা কেন সেসব পথ ধরেই এগোতে চাচ্ছে?

টিভি মিডিয়া থেকে কেউ সিনেমাতে আসলেই একটু আলোচনা হইতেছে তাদের নিয়ে....অথচ সুপার হিরো সুপার হিরোইনদের নিয়েও তেমন আলোচনা নাই।

এটা কি আমাদের মিডিয়ার কারসাজি?
ভাবটা এখন এমন মনে হচ্ছে,সিনে মিডিয়া থেকে টিভি মিডিয়ার লোকদের বেশী প্রচারনা করব।
এই ফাকে সিনেমিডিয়ার জৌলুস অনেকটাই সবার কাছ থেকে আড়ালে রাখা যাবে!

গতবছর শাকিব খানের যে কয়টা মুভি রিলিজ হইছে এরমধ্যে প্রচারনা কয়টার দেখছেন?

আশার কথা হইল শাহাদাত হোসেন লিটন,শাহিন সুমনের মত পরিচালকেরা আজকাল অনলাইনে প্রচারনা শুরু করেছে তাদের মুভির।
সেটাও খুব ভালোভাবে করতেছে তেমন কিন্তু না।
কিছু লোক নিয়োগ দিয়ে দিচ্ছে।তারা সিনেমা নিয়ে,রিলিজ ডেট নিয়ে,কিছু নতুন পিক আপলোডের মাধ্যমে সেই প্রচারনা করতেছে।

এইটা কোন ধরন হইল প্রচারনার?

সবকিছু তো সাউথ ইন্ডিয়া আর বলিউডের থিকা হাওলাত কৈরা নিয়া আসে.....

তো ভাল কিছু জিনিষ হাওলাত করলে সমস্যা কি?

যাক তারপরেও আশায় থাকি আমাদের চলচ্চিত্রে মানসমপন্ন মুভি তৈরি হবে।যেসব মুভি বানিজ্যের সাথে সাথে শিল্পমানেও উত্তীর্ন হবে সমালোচকদের কাছে।দর্শকদের কাছে।

গুডলাক বাংলাদেশ
গুডলাক বাংলাচলচ্চিত্র!

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৫

দারাশিকো বলেছেন: অনেক দেরী কৈরা রিপ্লাই দিচ্ছি। নানা কারণে রিপ্লাই দেয়া হয় নাই :(

প্রচারণার ব্যাপারে যা বলছেন কথা সত্য। ঘটনা হচ্ছে - এই দুনিয়ায় কোন কিছুই কখনো ফাকা থাকে না। ইত্তেফাকের পাতায় আগে বিশাল বিশাল বিজ্ঞাপন থাকতো, ওইটা বন্ধ হইছে, বিজ্ঞাপন বন্ধ হয় নাই, এখন মোবাইল কোম্পানী আর রিয়েল এস্টেটের বিজ্ঞাপন দেয়া হয়।

পত্রিকার পাতায় আগে নায়ক নায়িকাদের সাক্ষাতকার ছাপা হইছে - আপনার প্রিয় খাবার কি, প্রিয় ব্যক্তিত্ব কে, প্রিয় পোশাক কি - এখন সেই জায়গায় আসছে নাটক আর ভারতের লোকজন। এই কথা টিভির জন্যও প্রযোজ্য। সিনেমার বাজারের অবস্থা আমি খুব ভালো জানি না - প্রযোজক-প্রদর্শকরাও সঠিক তথ্য দেয় না - মুখে মুখে শুনি, বছরের বেশীরভাগ সিনেমাই নাকি বিনিয়োগ তুলতে পারে না । যদি এইটাই সত্যি হয়, তাহলে প্রচার যে কমবে সেইটাই স্বাভাবিক - প্রচারনা চালাইতে সাহস লাগে, সাহসের জন্য টাকাও লাগে।

অনলাইনে প্রচারণার কারণ হইলো বিনা খরচা অথবা কম খরচা। কিন্তু খুব কম সিনেমার ক্ষেত্রেই এই প্রচারণা হল ফালতু সময় পয়সা নষ্ট। সিনেমার টার্গেট মার্কেট তো অনলাইনে বৈসা নাই, অনলাইনে যারা বৈসা থাকে তারা বছরে মাত্র দশটা সিনেমার দর্শক। বাকী দর্শকের কাছে পৌছাইতে যেটা করা দরকার সেইটাই করতে হবে - ফেসবুকে ঘুরলে হবে না।

সিনেমার রূপ পাল্টাচ্ছে - আরও পাল্টাবে - দর্শকও আগ্রহী হবে - তাহলেই সিনেমা আবার আগের জায়গায় ফিরতে পারবে - ততদিন অপেক্ষা করা যাক।

গুডলাক বাংলা সিনেমা :)

২৫| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৮

ঘুমরাজ বলেছেন: darun boss :)

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৭

দারাশিকো বলেছেন: ধন্যবাদ ঘুমরাজ :)

২৬| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪১

আমি তুমি আমরা বলেছেন: সালতামামি ভাল হইছে

২৭| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৬

কালোপরী বলেছেন: অনেক তথ্য :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.