নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার সম্পর্কে: https://t.ly/atJCp এছাড়া, বইটই-এ: https://boitoi.com.bd/author/2548/&

দারাশিকো

লেখালিখির প্রতি ভালোবাসা থেকে লিখি

দারাশিকো › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশে কোলকাতার চলচ্চিত্র: চলচ্চিত্র শিল্প-বিধ্বংসী পদক্ষেপ

১২ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:২১



বাংলাদেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি গত এক দশকেরও বেশী সময়ে বেশ দূর্যোগপূর্ণ সময়ের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। গতানুগতিক গল্প, মানহীন অভিনয়, দুর্বল পরিচালনা, দুর্বল কারিগরী মান, দর্শক চাহিদাকে উপেক্ষা করে এক শ্রেনীর দর্শকের জন্য সিনেমা বানানো ইত্যাদি সহ আরও নানা কারনে সিনেমাহলে দর্শক কমতে শুরু করে। একই সময়ে, অশ্লীল ছবির জোয়ার শুরু হয় যা সাধারণ দর্শককে আরও হলবিমুখ করে। প্রকৃতপক্ষে, কারণগুলো একে অপরকে প্রভাবিত করে পতনকে তরান্বিত করেছিল, ফলাফল, বাংলা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি শুধু দর্শকই হারায় নি, সারা দেশে ভালো ব্যবসার অভাবে প্রচুর সিনেমাহল বন্ধ হয়ে গিয়েছে, যেগুলো টিকে রয়েছে সেগুলোও যত্ন পরিচর্যার অভাবে দর্শকের আগ্রহ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বলাবাহুল্য, তৎকালীন সরকারসমূহ এই পতনকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করেছিলেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আবরণে সেনা শাসনে এই পতন ঠেকানো সম্ভব হয়, অশ্লীল ছবির নির্মান বন্ধ হয়ে আবারও ভালো সিনেমা তৈরী শুরু হয়। ২০১১ সাল পর্যন্ত সিনেমা নির্মান সংখ্যা নিম্নমুখী হলেও ২০১২ সালে আবার উর্দ্ধমুখী হয় । বর্তমান সরকারের শাসনামালে সিনেমার উন্নয়নে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহন করা হয় যা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির প্রতি সরকারের সুদৃষ্টির ইঙ্গিতবাহী, কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনাপ্রবাহ সেই সকল পদক্ষেপকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। গৃহীত পদক্ষেপসমূহ বাংলাদেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়নের স্বার্থে গৃহীত নাকি পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়ন- সেটাই প্রশ্ন হয়ে দাড়িয়েছে।



সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহের সূত্র পাওয়া যায় গত বছরের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহের পত্রিকায় । কোলকাতার জনপ্রিয় অভিনেতা প্রসেনজিত তার নিজের প্রতিষ্ঠান ‘ফিকি ফ্রেম’ এর মুনাফা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু-কে কোলকাতায় আমন্ত্রন জানান। সদ্য দায়িত্ব গ্রহণ করা তথ্যমন্ত্রী সে আহবানে সাড়া দিয়ে কোলকাতায় গিয়েছিলেন কিনা জানি না, তবে জানুয়ারীর দ্বিতীয় সপ্তাহে তথ্যমন্ত্রীর আহবানে কোলকাতা থেকে একটি দল বাংলাদেশ ভ্রমণ করে তথ্যমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত করেন। এই দলে ছিলেন পরিচালক গৌতম ঘোষ, চিত্রনায়ক প্রসেনজিত, জিৎ, নামী প্রযোজক মহেন্দ্র সোনি, শ্রীকান্ত মেহতা প্রমুখ।



বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের নেতৃস্থানীয় শিল্পী, কলাকুশলী, প্রযোজক পরিচালকসহ তথ্যমন্ত্রীর সাথে প্রতিনিধিদলের সভায় ‘দুই বাংলাকে এক করার’ প্রস্তাবের সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় আওয়ামী লীগের সাংসদ অভিনেত্রী কবরী এ উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও প্রতিবাদ করেন পরিচালক-প্রযোজকরা। কিন্তু ১০ জানুয়ারী ২০১৩ তারিখে কোলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকায় আনন্দের সাথে আগামী পহেলা বৈশাখেই ছবি মুক্তির ঘোষনা জানিয়ে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। রিপোর্টই প্রকাশ করে, দেশীয় প্রযোজক-পরিচালকদের প্রতিবাদ এবং দাবীকে উপেক্ষা করা হয়েছে।



৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৩ তারিখে আনন্দবাজার পত্রিকায় আবারও “বদল আইনে, টলিউড এ বার বাংলাদেশেও” শিরোনামে বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী ইনু-কে বামপন্হী নেতা হিসেবে পরিচিতি দিয়ে তার একটি সাক্ষাতকার ছাপানো হয়। ইনুর সেই সাক্ষাতকার পড়লে লজ্জিত হতে হবে। রিপোর্টের কিছু চুম্বক অংশ তুলে দিচ্ছি।



“কয়েক মাস আগে তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েই আমি বিষয়টিতে অগ্রাধিকার দিই। কারণ, ইন্টারনেট-ওয়েবসাইটের যুগে আইন করে কোনও দেশের সিনেমার প্রদর্শন বন্ধ করে রাখা হাস্যকর।”



বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী জানান, সে দেশের চলচ্চিত্র শিল্পের সঙ্কট কাটাতেই তিনি হাত মেলানোর প্রস্তাব নিয়ে হাজির হয়েছিলেন কলকাতার চলচ্চিত্র মহলের কাছে।





ইনু বলেন, “ভারতের সিনেমার অবাধ প্রদর্শনের জন্য আমরা যেমন উদ্যোগী হয়েছি, এ দেশেরও উচিত বাংলাদেশের সিনেমা প্রদর্শনে বাধানিষেধ তুলে নেওয়া। তবে দু’দেশের চলচ্চিত্র শিল্পই লাভবান হতে পারে।”





ইনু বলেন, “ভারতে বড় বড় মাল্টিপ্লেক্স তৈরির পরে হলে দিয়ে সিনেমা দেখার চলটা বেড়েছে। আমরা চাই ভারতের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশেও এ ধরনের বড় সিনেমা হল তৈরি করুক। যৌথ উদ্যোগে সিনেমার আধুনিক ল্যাবরেটরি তৈরি হোক, তৈরি হোক স্টুডিও। হলিউড থেকে আধুনিক প্রযুক্তি আনা হোক বাংলা সিনেমায়। দু’দেশের কলাকুশলীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও হোক।”



একদমই নীরবে ঘটে যাচ্ছে না এসকল ঘটনা। দেশীয় সিনেমার প্রযোজক-পরিচালকরা এর প্রতিবাদ করেছেন। এই উদ্যোগকে সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি ধ্বংস করার পায়তারা আখ্যা দিয়ে চলতি মাস থেকে আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষনা দিয়েছেন তারা। এই উদ্যোগ কেন ইন্ডাস্ট্রিকে ধ্বংস করবে সেই যুক্তি তারা দিয়েছেন, উল্লেখযোগ্য কিছু পয়েন্ট তুলে দিচ্ছি।



“সরকারের এ উদ্যোগ আত্মঘাতী। কারণ এটি অসম উদ্যোগ। কলকাতার এক থেকে দেড়শ কোটি টাকার চলচ্চিত্রের সঙ্গে ঢাকার এক বা দেড় কোটির টাকার চলচ্চিত্রের আদান-প্রদান কীভাবে সম্ভব।



“বাংলাদেশ ভারতের অঙ্গরাজ্য নয় যে তথ্যমন্ত্রী চাইলেই এখানে ভারতের ছবি অবাধে প্রদর্শন করা যাবে।” চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি শহীদুল ইসলাম খোকন



“ওইদিন বুঝতে পারেনি যে এটি একটি ষড়যন্ত্র ছিল। তাই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলাম। যখন জানতে পারলাম কলকাতার ভেঙ্কেচেশ ফিল্মের সঙ্গে এদেশের একটি বড়মাপের ব্যবসায়ী সংগঠন চলচ্চিত্র আমদানির চুক্তি গোপনে স্বাক্ষর করে ফেলেছে তখন এটি যে এদেশের চলচ্চিত্র ধ্বংসের নীলনকশা তা আর বুঝতে বাকি নেই।” – চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি শহীদুল ইসলাম খোকন



এদেশের চলচ্চিত্রকারদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা ছাড়াই এই ‘গোপন উদ্যোগ’ কেন? কার স্বার্থে? এর কয়েকটি উদাহরণ দিলেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে। যেমন ২০১২ সালের ৩ এপ্রিল চলচ্চিত্রকে শিল্প ঘোষণা করা হয়। শিল্পের নীতিমালা তৈরির জন্য এ পর্যন্ত দুবার চলচ্চিত্র সংগঠনের নেতাদের প্রধানমন্ত্রী বৈঠকের জন্য ডেকেও তা স্থগিত করে দেন। এফডিসি ও প্রেক্ষাগৃহকে ডিজিটাল করার দীর্ঘদিনের দাবির প্রতিও সরকার কর্ণপাত করেনি। ১৫ বছর ধরে সেন্সর বোর্ডে গ্রেডেশন পদ্ধতি চালুর দাবি করে আসছিলাম। কিন্তু তা করা হয়নি। হঠাৎ করে সম্প্রতি এ উদ্যোগ নেওয়া হলো। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে ভারতীয় চলচ্চিত্র বিনাকর্তনে এখানে প্রদর্শন করা। কারণ ভারত কখনো তাদের ছবি এখানে সেন্সর করতে দেবে না। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী ফিল্ম আর্কাইভ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেছেন, সিনেমা হলকে ডিজিটাল করার জন্য অর্থমন্ত্রীকে তিনি অর্থ বরাদ্দের অনুরোধ করেছেন। এটাও হঠাৎ করে কেন? এই দাবি ছিল আমাদের দীর্ঘদিনের। এখন তাহলে ভারতীয় চলচ্চিত্র প্রদর্শনের স্বার্থেই তড়িঘড়ি করে এ উদ্যোগ।চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু



এদেশে ভারতীয় চলচ্চিত্র প্রদর্শন করতে হলে তা হতে হবে সুষম বিনিময় নীতিমালার অধীনে। নয়তো এ উদ্যোগ মেনে নেওয়া হবে না। বর্তমানে সুষম বিনিময়ের অবস্থা আমাদের নেই। আমরা যাতে ভারতীয় ছবির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় যেতে পারি সে ব্যবস্থা আগে করা হোক। তারপর মেলবন্ধনের বিষয়টি বিবেচনা করা যাবে।চলচ্চিত্র চিত্রগ্রাহক সমিতির সভাপতি আবদুল লতিফ বাচ্চু



কলকাতার সঙ্গে আমাদের ছবির আনুপাতিক আদান-প্রদানকে সাধুবাদ জানাই। কিন্তু আমাদের ছবিকে তো আগে তাদের সমপর্যায়ে যেতে হবে। এ জন্য সরকার মেলবন্ধনের চুক্তির আগে এখানে আন্তর্জাতিকমানের চলচ্চিত্র নির্মাণের ব্যবস্থা করুক। তারপর বাট্টা প্রক্রিয়ার আদান-প্রদানে যেতে আমাদের কোনো অমত থাকবে না।চলচ্চিত্র গিল্ড সমিতির সভাপতি আবু মুসা দেবু



বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিকে এভাবে ভারতের কাছে বিকিয়ে দেয়ার উদ্যোগ এটাই প্রথম নয়, বলা উচিত, সরকার দায়িত্ব গ্রহনের পর সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী কর্নেল (অবঃ) ফারুক এ বিষয়ে উদ্যোগ নেন । বঙ্গবন্ধুর সময়ে গৃহিত সিদ্ধান্তকে বাতিল করে কোলকাতা এবং ভারতীয় সিনেমাকে এদেশে ঢোকানোর প্রস্তাবের প্রবল বিরোধিতায় সরকার পিছাতে বাধ্য হয়, তবে সিদ্ধান্তের সময়েই ‘এলসি’ খোলা কিছু সিনেমার তিনটি গত দুই বছরে এদেশে প্রদর্শিত হয়। পরবর্তীতে, সরকার চলচ্চিত্রের উন্নয়নে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহন করে যার মধ্যে চলচ্চিত্র-কে শিল্প হিসেবে ঘোষনা, সেন্সরবোর্ড তুলে দিয়ে গ্রেডিং সিস্টেম চালু করা অন্যতম। সাম্প্রতিক সময়ের কার্যক্রম নির্দেশ করছে এর কোনটিই দেশীয় ইন্ডাস্ট্রি নয় বরং কোলকাতার সিনেমাকে এদেশে প্রবেশের সুবিধা প্রদানের জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা। মজার বিষয় হল, এর আগে যখন কোলকাতার সিনেমা বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হল তখন দেশে তেল-গ্যাস রপ্তানি কানকো-ফিলিপস চুক্তি নিয়ে আন্দোলন চলছে, আর বর্তমানে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবীতে সারাদেশ ব্যস্ত – অথচ পেছনে সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির গুহ্যদ্বারে আগুন দেয়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন চলছে।



দুর্ভাগ্য এই দেশের মানুষের, দুর্ভাগ্য এই দেশের সিনেমা নির্মাতা-দর্শকদের। খুব কম সরকারই সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়নে নির্মাতা-দর্শকদের দাবীকে পাত্তা দিয়েছেন। অশ্লীলতা দূরীকরণ, সিনেমা নির্মাতাসহ নতুনদের প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা, স্বয়ংসম্পূর্ণ ফিল্ম ইন্সটিটিউট তৈরী, উন্নত কারিগরী প্রযুক্তি নিশ্চিতকরন, সিনেপ্লেক্স তৈরীর অনুমতি প্রদান, ডিজিটাল সিনেমাহলসহ অন্যান্য হলের মানোন্নয়নে সহযোগিতা প্রদাণ ইত্যাদি দাবী তুলে ধরা হয়েছে ফিবছর, কোন লাভ হয় নি। বাংলাদেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়নের জন্যই কোলকাতার সিনেমা-কে বাংলাদেশে প্রদর্শনের সুযোগ দেয়া উচিত, কিন্তু সেটা এখনই নয়। অতিসম্প্রতি-ই যে সকল সুযোগ সুবিধার দরজা উন্মুক্ত করে দেয়া হল সেই দরজা দিয়ে বের হয়ে বাহিরের আলো-বাতাসে আরেকটু পুষ্ট হওয়ার সুযোগ চাই বাংলাদেশী সিনেমার। খুব বেশী সময় নয়, আমি বিশ্বাস করি ২০১৮ সাল পর্যন্ত এই সুযোগের সদ্ব্যবহার এদেশের ইন্ডাস্ট্রিকে শুধু প্রতিদ্বন্দ্বীতা নয়, টপকে যাওয়ার মত যোগ্যতা অর্জন নিশ্চিত করবে। সকল দরজা বন্ধ অবস্থায় যদি চলচ্চিত্র শিল্প এত বছর টিকে থেকে সিনেমা নির্মান করতে পারে, তবে এরকম আশা করা খুব বেশী কিছু নয়। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত যা আশার আলো দেখা গিয়েছিল , সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ থেকে মনে হচ্ছে – অন্ধকারই ভালো।



দেশীয় এই ধরনের ইস্যুগুলোতে সবসময়ই বামপন্হীরা আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে, একই মতাদর্শী নেতা দেশের স্বার্থবিরোধী এরকম সিদ্ধান্ত কিভাবে গ্রহণ করে সেটা ভাবনার বিষয়। বোধহয়, কোলকাতা বাংলাদেশের বাম দিকে অবস্থিত বলেই সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির মুখ সেদিকে ঘুরিয়ে দেয়ার চেষ্টা চলছে।





ছবি: বাংলাদেশ প্রতিদিন



কৈফিয়ত ও অনুরোধ:

তথ্যসমূহের রেফারেন্সের জন্য স্বল্প/অপরিচিত কিছু নিউজ সাইটের লিংক ব্যবহার করতে হল। গুগল করে দেশের প্রথম সারির সংবাদগুলো থেকে কোন সংবাদ পাওয়া গেল না বলেই এসকল উৎস থেকে সাহায্য গ্রহণ করতে হল। পাঠকরা যদি এ ব্যাপারে সাহায্য করেন, তবে কৃতজ্ঞ থাকবো।

দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশে কেন এখনই কোলকাতার চলচ্চিত্র নয় – এ বিষয়ে এর আগে বিভিন্ন লেখায় আমার মতামত ব্যক্ত করেছি বলে এই লেখায় সেগুলো উপস্থাপন করা হল না। পাঠকের প্রতি অনুরোধ থাকবে পূর্বের লেখাগুলো (এক , দুই , তিন , চার ) পড়ে নেয়ার। ধন্যবাদ।



মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৫৪

কান্টি টুটুল বলেছেন:

আপাত দৃষ্টিতে তথ্য মন্ত্রীর সাম্প্রতিক কার্যকলাপ চলচ্চিত্র শিল্প-বিধ্বংসী পদক্ষেপ মনে হলেও আসলে এটি আওয়ামী সরকারের একটি বড় এজেন্ডা বাস্তবায়নের অংশ বলা যায়।

এজেন্ডা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ভারত আর বাংলাদেশের দুটি শহরের মাঝের দৃশ্যমান ব্যবধান গুলা কমিয়ে আনা হবে এবং এই দেশটি ক্রমশ সিকিমের ভাগ্য বরণ করার দিকে এগিয়ে যাবে।

১২ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৫

দারাশিকো বলেছেন: আওয়ামী লীগ তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে সিকিমের মত পরিণতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে - এরকম চিন্তা যে মাথায় আসে নি তা নয়, যদি সত্যিই হয় তবে বলতে হবে - আমার চিন্তা শক্তির যথেষ্ট দুর্বলতা আছে। একটা স্বাধীন দেশ যেটা এত ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত সেই দেশকে নিয়ে এরকম পরিকল্পনা আমার কেন সম্ভবত এই দেশের কোটি কোটি মানুষের পরিকল্পনায়ও আসা সম্ভব না।

আনফরচুনেটলি, কার্যক্রম সব সেদিকেই নির্দেশ করে।

ভালো থাকুন কান্টি টুটুল।

২| ১২ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:০৭

সর্দার বলেছেন: :( :( :(

১২ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৬

দারাশিকো বলেছেন: :'( :'(

৩| ১২ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৬

সুস্ময় পাল বলেছেন:

লেখাটা দুইবার এসেছে। এডিট করতে হবে। :)

একটা কথা কিন্তু সত্যিই খুব দরকারি। এদেশের চলচ্চিত্র মাত্র শিল্পের মর্যাদা পেল। ফলে বাজেট বাড়তে আরম্ভ করেছে। সাথে বাড়ছে মানসম্মত 'বাণিজ্যিক' সিনেমা। এই মূহুর্তে যদি 'বলিউডের সাথে পাল্লা দেওয়া' টালিউডের সিনেমাগুলোকে এদেশে প্রচার করতে দেওয়া হয়, তাহলে দেশের চলচ্চিত্র দর্শক হারাবে। চাকচিক্য যেখানে বেশি, লোক ত সেখানেই ছুটবে! স্বাভাবিক ব্যাপার। আর এখানে ত জিৎ, দেব, প্রসেনজিৎ, সোহম - ওদের জনপ্রিয়তার হার বেশ উঁচুতে।

সাধারণ টিভির দিকে নজর দিলেই অনেককিছু পরিষ্কার হয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন চ্যানেলে দেশীয় আমেজে ধারাবাহিক বা নাটক বা রিয়েলিটি শো করবার পরেও যখন বিপুল পরিমাণ দর্শক পায় না, তখন তারা ঠিকই ভারতীয় কালচার অনুযায়ী ধারাবাহিক বা অন্যান্য কিছু তৈরি করছে। এতে কতটুকু লাভ হয়েছে আমি জানি না ... তবে এখনো ঘরে ঘরে সন্ধ্যা হলেই বাংলাদেশের চ্যানেল থেকে 'জি বাংলা' বা 'স্টার জলসা' বেশি চলে।

কাজেই যা সিদ্ধান্তই হোক, ভেবে চিনতে কাজ করতে হবে। ওদের সাথে পাল্লা দিতে হয়ত বা অনন্ত জলিল কাজ করতে পারবে (সে নিজে ত চ্যালেঞ্জটা গ্রহণ করেছিল) কারণ তার প্রচুর টাকা আছে, কিন্তু অন্যরা কুলোতে পারবে না। এভাবে চার পাঁচজন টিকতে পারে, বাকিরা ঝড়ে যাবে।

আর তথ্যমন্ত্রীর একটা কথায় আমি সত্যিই লজ্জা পেলাম। মাল্টি-সিনেপ্লেক্স তৈরি করার জন্য কেন ভারতীয় ব্যবসায়ীদের কাছে হাত পাততে হবে? নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে এতটা সংকোচ বোধ কেন? এদেশেই ত সাউথ এশিয়ার বৃহৎ শপিং মল রয়েছে। কয়েকদিন পর উদ্বোধন হতে চলেছে এশিয়ার সবচেয়ে বড়টি। এগুলা কি আমাদের দেশের ব্যবসায়ীরা নিজেরা করেনি? :-*

আর ইণ্টারনেটের যুগে কোন দেশের শিল্পকে আটকে রাখাটা বোকামী ... আমিও তা মানি। আশা করি সকলেই মানে। কিন্তু তাই বলে কেবল কলকাতার ছবিই এখানে একইসাথে মুক্তি দিতে হবে, এমন কোন কথা নেই। প্রকৃতপক্ষে টালিউডের ছবি মুক্তি দেবার পিছনে উনার যুক্তিগুলো গ্রহণযোগ্য নয়।

১২ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:২২

দারাশিকো বলেছেন: একটু দেরী করে উত্তর দিলাম বস, কারণ আসলে আপনার প্রত্যেকটা কথা সত্যি। সুবিধাগুলো মাত্র পাওয়া গেল, তাও ঘোষনা মাত্র, এখনো কাজ শুরু হয় নাই। ৫টা বছর কি পাওয়া যাবে না এই সুবিধাগুলো ব্যবহারের জন্য?

সিনেপ্লেক্সের ব্যাপারে জানি আরও অনেকেই বসুন্ধরার মত সিনেপ্লেক্স বানাতে চেয়েছে, পারমিশন পায় নাই। সরকার দেয় নাই। আর এখন ভারতকে ডেকে আনা হচ্ছে সিনেপ্লেক্স বানানোর জন্য? আমাদের ব্যবসায়ীরা কোথায়? মানসম্মত সিনেপ্লেক্স বানানোর জন্য যোগ্য লোক এখানেই আছে।

কষ্ট লাগতেছে ভাই। আমি জানি এই ব্লগ, আপনার মন্তব্য কোন কাজে লাগবে না। সরকার বড়ই ক্ষমতাবান, যা চায় তাই হয়। চোখের সামনে কেমনে এইগুলা দেখবো বুঝতে পারতেছি না :(

৪| ১২ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৯

ভাম_বেড়াল বলেছেন: আগে তো দেশের মার্কেটটা দাঁড় করানো উচিত। পরে বাইরের জিনিস ইম্পোর্ট করা যাবে।

১২ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৪১

দারাশিকো বলেছেন: এই সাধারণ ব্যাপারটা কেন নীতিনির্ধারকরা বুঝতে চাচ্ছেন না?

৫| ১২ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৫০

আমি সাজিদ বলেছেন: সুস্ময় পাল ও ভাম বেড়ালের সাথে একমত।:(

১২ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:০৫

দারাশিকো বলেছেন: ধন্যবাদ সাজিদ।

৬| ১২ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৩৭

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: একমত নই। প্রতিযোগিতা না থাকলে মান বাড়ে না বলেই আমার মনে হয়। ভারতীয় বাংলা সিনেমা আসলে নিজেদের বাচানোর তাগিদেই ভালো মানের সিনেমা বানাতে হবে। আমাদের প্রতিভার অভাব নেই কিন্তু বস্তা পচা জিনিস দিয়েই যদি সিনেমা চলে তাহলে টাকা ওই প্রতিভাদের পিছনে কে ঢালবে? এই কারণে হয়ত তারা এবার সুযোগ পাবে।

১২ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:২৭

দারাশিকো বলেছেন: শুধু প্রতিযোগিতা যে মান বাড়ানোর উপাদান নয় তা নিশ্চয়ই মানবেন। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য আরও অনেক উপকরণের প্রয়োজন আছে, সেগুলোর খুব অল্পই আছে বাংলাদেশে। যে কোলকাতার সাথে প্রতিযোগিতায় নামানোর জন্য আপনি একমত হচ্ছেন তাদের পেছনের ইতিহাসটুকুই দেখুন। নিজেদের ইন্ডাস্ট্রিকে এই পর্যায়ে নিয়ে আসার জন্য তারা কতরকমের প্রটেকটিভ মেজারমেন্ট নিয়েছিল। সে তুলনায় আমরা কিছুই করি নি - একটা ফিল্ম ইন্সটিটিউট হয় নি, সিনেপ্লেক্স তৈরীর জন্য এত এত আবেদনকে পাত্তা দেয়া হয় নি, ইন্ডাস্ট্রি ঘোষনার অনুরোধ কানে তোলা হয় নি, সেন্সরবোর্ড শিথিল বলেন আর রেটিঙ বোর্ড স্থাপন বলেন - কিছুই পরিবর্তিত হয় নি। এখন যখন এগুলো সবই হচ্ছে তখন সেই উপকরণগুলোকে কাজে লাগানোর সময় তো দেয়া চাই, নাকি?

আর বিস্তারিত বলতে চাচ্ছি না, আমার পূর্বের পোস্টগুলোতে এ বিষয়ে অনেকবার বলেছিলাম। ভালো থাকুন রাজন আল মাসুদ।

৭| ১২ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:২২

সুনীল রায় বলেছেন: ৭০ এর দশকে যশোরে ৩টা সিনেমা হল ছিল। ৮০এর দশকে আরও ২টা যোগ হয়ে হলের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫এ। কিন্তু ২১ শতকের প্রথম দশকে এই সংখ্যা ২ এ নেমে এসেছে। তসবির এবং মনিহার ধুঁকে ধুঁকে চলছে। প্রায় ২০ বছর পর লাল টিপ দেখতে সপরিবারে মনিহার গিয়েছিলাম। এই হলের আসন সংখ্যা ১৪৩০. অর্ধেক আসনও পূর্ণ হল না। কিভাবে এই হল টিকে থাকবে। ৮০ এর দশকে এই হলের প্রতিটি শো হাউসফুল হত। শুধু তাই নয়। যারা স্ত্রী, মেয়ে বন্ধু বা অন্য কোন মেয়ে নিয়ে গেছেন তাদেরকে তাদের টিকিটে উল্লেখিত আসনে বসতে না দিয়ে আলাদা স্থানে বসানো হল। কারণ কি? কারণ একটু পরে টের পেলাম। লাল টিপের মত একটি পরিচ্ছন্ন ছবি চলার সময়ও কিছু বখাটে ছেলে শিটি মারতে শুরু করল। ৮০র দশকে ছাত্র থাকা অবস্থায় এই হলে অনেক ছবি দেখেছি। অনেক কষ্ট করে তবে একটি টিকিট মিলত। তখন হলের পরিবেশ মোটও এরকম ছিল না। সবাই টিকেটে উল্লেখিত আসনে বসত। ছেলে-মেয়ে কোন ভেদাভেদ ছিল না। নায়ক কিংবা সৎ কোন চরিত্র কোন কারিশমা দেখালে অনেকে হাততালি দিত। নাচের সময় বা নায়িকা দেখে অশ্লীল ভাবে শিটি মারত না।

এভাবে কি সিনেমা হল গুলি টিকে থাকতে পারবে? শুধু শিল্পিদের কথা নয়, সিনেমা হলের মালিকদের কথাও ভাবতে হবে। দেশে যে মানের সিনেমা তৈরি হচ্ছে তা দিয়ে কি হল গুলি টিকিয়ে রাখা যাবে?

১২ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৫৪

দারাশিকো বলেছেন: প্রিয় সুনীল রায়, আমি শুধু শিল্পীদের কথা ভাবি নাই, আমি ভেবেছি অনেক লোকের কথা - এদের মধ্যে প্রযোজক আছে, পরিচালক আছে, শিল্পীরা আছে, কলাকুশলীরা আছে, সিনেমা নির্মানের সাথে জড়িত নানারকমের কার্যক্রমভিত্তিক প্রতিষ্ঠান-ব্যক্তি আছে, প্রদর্শকরাও আছে - এদের সবার কথা ভেবেছি। এছাড়াও ভেবেছি সেইসব তরুনদের কথা যারা সীমাহীন স্বপ্ন নিয়ে এই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে প্রবেশের চিন্তা করছে, নিজেকে সাজিয়ে গুছিয়ে নিচ্ছে। এদের সবার কথা ভেবেছি বলেই আমি বিরোধিতা করতে পারছি, কিন্তু আপনি, এদের কারও কথাই ভাবেন নি, আপনি ভেবেছেন শুধু মাত্র প্রদর্শকদের কথা। এই প্রদর্শকদের কথা ভাবলে ভারতীয় সিনেমা প্রদর্শনের কোনই বিরোধিতা করার সুযোগ নেই। স্বয়ংসম্পূর্ণ একটা ইন্ডাস্ট্রির কথা ভাবুন, আপনাকে কোলকাতার সিনেমা এখনই প্রদর্শনের বিরোধিতা করতে হবে। কোলকাতার সিনেমা কেন সারা বিশ্বের সিনেমাকে আমরা আমাদের হলে প্রদর্শন করতে দিতে পারি, তবে আমাদের সিনেমাগুলোও অন্যদের হলে প্রদর্শনের যোগ্য করে তুলতে কিছু সময় আপনাকে দিতেই হবে। এই সময় মাল-মশলাহীন ৪২ বছর নয়, যথাযথ মাল-মশলা-উপকরন দিয়ে ৫ বছর দিলেই চলবে।

দয়া করে শেষ লাইনে যে চারটে লেখার লিংক দিলাম, সেগুলো পড়ে দেখুন। আশা করছি আপনি বিষয়টা বুঝতে পারবেন।

৮| ১২ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৩১

হাসান মাহবুব বলেছেন: বাংলাদেশের সিনেমা ধীরে হলেও একটা শুভ পরিবর্তনের দিকে যাচ্ছে। এসময় ভারতীয় সিনেমা প্রদর্শন করে এই শুভগতি শ্লথ করে দেয়ার তীব্র প্রতিবাদ জানাই।

৯| ১২ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:০৯

সিদ্ধার্থ. বলেছেন: ইতিহাস কিন্তু অন্য কথা বলে ।বাংলাদেশের মুভি র হাত ধরেই টলিউড ঘুরে দাড়িয়েছে ।আজ থেকে ১৫-২০ বছর আগে মানুষে (পশ্চিম বাংলায় )বাংলাদেশের মুভিই বেশি দেখত ।বাংলাদেশী হিরো রা এখানে রাজত্ব করত ।তাতে কিন্তু টলিউড এর উপকারই হয়েছে ।

এই সময় আপনারা যদি নিজেদের গুটিয়ে রাখেন তাহলে অদূর ভবিষ্যতে কি কোনো লাভ হবে ?(বৃহত্তর পরিপেক্ষিতে )

১২ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:২৬

দারাশিকো বলেছেন: হায় সিদ্ধার্থ! আপনি বোধহয় এখনো জানেন না যে বাংলাদেশের মুভি এখনো ভারতে চলে না, চলার কোন অনুমতি তারা দেয় না। বাংলাদেশের ছবির মান ভালো না, সেইটা কিন্তু কারণ না, কারণ মানের কথা ভাবলে বাংলাদেশী টিভি চ্যানেল ভারতে প্রদর্শনের সুযোগ পেত অন্তত একযুগ আগে। এখনো পায় নাই সেই সুযোগ, আদৌ পাবে কিনা , পেলে কবে পাবে সে আল্লাহ মালুম।

ছবি দেখা আর ছবির ইন্ডাস্ট্রি নিয়ন্ত্রন করা মোটেই এক বিষয় না। আপনি বাসায় বসে সারা দুনিয়া এমনকি মঙ্গলের ছবিও দেখতে পারেন, কারণ এতে করে আপনার ইন্ডাস্ট্রি খুব ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে না, কিন্তু আরেকটা দেশের ইন্ডাস্ট্রিকে এই দেশের ইন্ডাস্ট্রির নাজুক অবস্থার সময়ে প্রবেশের সুযোগ দিলে ইন্ডাস্ট্রিটাই আর দাড়াতে পারে না। যে বৃহত্তর পরিপ্রেক্ষিতে আমি প্রতিবাদ করছি, সেই বৃহত্তর পরিপ্রেক্ষিতটা সম্ভবত আপনার চোখে পড়ছে না।

চোখে পড়ুক, শুভকামনা।

১০| ১২ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৩৩

সিদ্ধার্থ. বলেছেন: না না ।আমি এখন কার কথা বলছি না ।আজ থেকে ১৫-২০ বছর আগে কার কথা ।তখন তো বেদের মেয়ে জোত্স্না ,ফিরদৌস এরা তো খুব জনপ্রিয় ছিল ।
তখন ঋতুপর্ণা বাংলাদেশী মুভি তে অভিনয় করত ।আমার কি ভুল হছে কিছু ?

১১| ১২ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৩৭

সিদ্ধার্থ. বলেছেন: "কারণ মানের কথা ভাবলে বাংলাদেশী টিভি চ্যানেল ভারতে প্রদর্শনের সুযোগ পেত অন্তত একযুগ আগে।"

ভাই এই ব্যাপার টাও আমি বুঝি না ।আমাদের বাড়িতে তো বহুদিন ধরেই এ টি এন বাংলা আসে ।এখন তো বাংলাদেশের অনেক টি ভি চ্যানেল আসে যেমন বৈশাখী টি ভি ।

১২ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৪৬

দারাশিকো বলেছেন: জনপ্রিয়তার কথা জানি না সিদ্ধার্থ, সিনেমাহলে বাংলাদেশী সিনেমা প্রদর্শনের কোন সুযোগ ছিল না, বাংলাদেশে ভারতীয় সিনেমা প্রদর্শিত হয়েছে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত।

আপনি কি ওপার বাংলায় থাকেন? বাংলাদেশের সীমান্তের ধারে কাছে কোথাও? আপনার ওখানে কেন এটিএন বাংলা আসে আমি বলতে পারবো না, তবে চ্যানেলমালিকদের দীর্ঘদিনের দাবী বাংলাদেশের চ্যানেলগুলোকে ভারতের প্রদর্শনের সুযোগ প্রদান। একটু ওয়েব ঘাটলেই পাবেন আশা করছি।

১২| ১২ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৫১

সিদ্ধার্থ. বলেছেন: হ্যা ।সীমান্তের ধরে আমার দেশের বাড়ি ।কিন্তু কলকাতার বাড়ি তেও এ টি এন বাংলা আসে ।তাছাড়া এখন এখানে ডিজিটাল (আগের মতো কেবেল লাইন আর নেই ) হয়ে গেছে ।সরকার যা চ্যানেল দেখাবে তাই দেখবে ।আগের মতো জালিয়াতি হবার সুযোগ নেই ।যাই হোক বিষয় টি খোজ নিয়ে দেখছি ।

১৩| ১২ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:১২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: “কয়েক মাস আগে তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েই আমি বিষয়টিতে অগ্রাধিকার দিই। কারণ, ইন্টারনেট-ওয়েবসাইটের যুগে আইন করে কোনও দেশের সিনেমার প্রদর্শন বন্ধ করে রাখা হাস্যকর।”



ও রে আল্লাহ আমি কই জামু , :-/ :-/ :-/ :-/ কবে আমরা ভারতিয় দের মত দেশ প্রেম শিখব ? এত কিছু শিখি, ...
টিভি চ্যানেল এর সময় ঠিক কথা মনে হয় এমনটি ই হয়েছিল , আফসোস ৭ বছরে ও দেখলাম না কোন চ্যানেল এর এক্সেস :(


আভিনেতা আবুল হায়াত কলকাতা থেকে ফিরে একটা সৃতি কাহিনী তে লিখেছিলেন, উনি আয়োজক দের কোন এক বাসায় দাওয়াত রক্ষা করতে যান , প্রবেশ এর পর উনি গৃহ করতি কে নমস্কার বৌদি জানেতে বা আদাব জানানোর পর , উনি এর উত্তর দিয়েছিলেন , এর উত্তরে বলেছিলেন, আপনাদের দেশ এ কিভাবে সম্ভাষণ জানায় বা, এর উত্তরে কি বলে আপনাদের ওখানে আমি জানি না ত ভাই ।


টিভি চ্যানেল বিনিময় এর এই পরিনতির পর ও যদি আমাদের শিক্ষা না হয় ... :(( :(( :(( :(( :(( :((

১৪| ১২ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:১৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ভারত কিভাবে আইন করে বন্ধ রাখতে পারছে ? এত বড় দেশ ই যদি ভয় পায় , আমদের আইন করতে বাধা কোথায় ।

১৫| ১৩ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:২৮

এস দেওয়ান বলেছেন: ্বাংলাদেশের চলচত্র শিল্প ধ্বংসের প্রধান কারণ হলো হিন্দী ছবি ও হিন্দী টিভি চ্যানেল । যারা হিন্দী অনুষ্ঠান পছন্দ করেন তাঁরা স্বভাবতই হিন্দীর বিরুদ্ধে মুখ খুলতে চান না । তবে ভারতের বাংলা ছবি গুলি এই ভাবে আমদানি না করে কো-প্রোডা্কশনে যাওয়া উচিৎ ছিল । বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মতো যোগ্যতা বা দক্ষতা ঢাকার চলচিত্র শিল্পের নেই, তাই কোলকাতার সাথে মিলে ছবি নির্মান করার যৌক্তিকতা রয়েছে । আমি ছবি আমদানিকে সমর্থন করি না ।

১৬| ১৩ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:২৬

ভাম_বেড়াল বলেছেন: বাইদ্যাওয়ে, ডিজিটাল সেট টপ বক্সের ব্যবস্থায় কলকাতা সহ পশ্চিমবঙ্গের বহু অংশে এখন এটিএন বাংলা আর বৈশাখী টিভি দেখা যায়। আমার বন্ধুবান্ধবদের সুবাদে এটা জানি। ভারত যথেষ্ট ডিপ্লোম্যাটিক্যালি এ ব্যাপারগুলা হ্যান্ডেল করে।

তবে কর্তাব্যক্তিদের বোঝা উচিত, নিজের দেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে পরিণত করতে প্রোটেক্টিভ হওয়া দোষের নয়। একটা চারাগাছের পাশে অনেকগুলো বড় গাছ থাকলে সেগুলো চারাগাছটার প্রাপ্য খাদ্যলবণ, জল, সূর্যের আলো টেনে নেয়। তখন চারাগাছটাকে বাঁচাতে চাইলে তাকে আলাদা করে জল, আলো, বাতাস পাওয়ার সুযোগ করে দিলে সেটা অন্যায় বলা চলেনা।

১৭| ১৩ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:০৬

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: দারাশিকো ভাই,হলিউডের ছবি গুলোও কিন্তু আমাদের প্রেক্ষাগৃহে দেখানো হয়।

তাই ভারতের আউল ফাউল কপি পেস্ট সিনেমা না দেখিয়ে মান সম্মত সিনেমা যদি আমাদের দেশের প্রেক্ষাগৃহে দেখানো হয় তাতে দোষের কি ?? বরঞ্চ আমার দেশের পরিচালকদের মধ্যে ভালো সিনেমা বানানোর তাড়না বৃদ্ধি পাবে ।তাছাড়া প্রেক্ষাগৃহ গুলোর ব্যবসাও একটু আলোর মুখ দেখবে ।

আর পশ্চিম বঙ্গে বৈশাখী টিভি প্রথম থেকেই দেখানো হচ্ছে,আর বর্তমানে এটিএন বাংলাও দেখানো হয় ডিজিটাল সেট টপ বক্সে ।

১৩ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৪৩

দারাশিকো বলেছেন: মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়, আপনার প্রশ্নের উত্তরের জন্য শেষ প্যারায় প্রদত্ত চারটি পোস্টের লিংক দেখার জন্য অনুরোধ করছি। একই কথা বারবার বলতে কষ্ট লাগে।

পড়ার পরে যদি কোন প্রশ্ন করেন, তাহলে আলোচনা করার চেষ্টা করবো। ধন্যবাদ।

১৮| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:২৩

বাংলার হাসান বলেছেন: কেন করো আড়াল
খুলে দাও দার
কি ই বা নেবার
রয়েছে বাকী আর।

১৪ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৫১

দারাশিকো বলেছেন: এইটাই- ন্যাংটার আবার লজ্জা কি :(

১৯| ১৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:১৮

মুনতা বলেছেন: কোলকাতার ছবি এই দেশে পাত্তা পাবে না দেইখেন। মাথায় ঘিলু আছে এমন দর্শক চোরাবালি-দেহরক্ষীর মত মুভি থুয়ে জিত-দেবের মুভি দেখতে হলে যাবে এইটা বিশ্বাস হইতে চায় না।

+++

১৫ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:০৯

দারাশিকো বলেছেন: ঘিলু ওয়ালারা হয়তো যাবে না, না গেলেও সমস্যা নাই, সিনেমার বাজার কিন্তু ঘিলুওয়ালারা টিকায়ে রাখে নাই, রাখছে সোকলড ঘিলুছাড়াওয়ালারা যারা শাকিব খানকে এক নাম্বার পজিশনে তুইলা আনছে, ধৈরা রাখছে।

ধন্যবাদ মুনতা :)

২০| ১৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৩৯

নুর ফ্য়জুর রেজা বলেছেন: +++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.