নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার সম্পর্কে: https://t.ly/atJCp এছাড়া, বইটই-এ: https://boitoi.com.bd/author/2548/&

দারাশিকো

লেখালিখির প্রতি ভালোবাসা থেকে লিখি

দারাশিকো › বিস্তারিত পোস্টঃ

মথুরাপুর দেউল

২৫ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:২৫



বিভিন্ন উদ্দেশ্যে বেশ কয়েকবার ফরিদপুর যাওয়া হলেও বেড়ানোর সুযোগ হয়নি। এটা নিয়ে একটা আফসোস ছিল। আফসোস কমেছে ২০১৮ সালে অফিসের কাজেই ফরিদপুরে আসার পর পল্লী কবি জসিমউদদীনের বাড়িতে ঝটিকা ভ্রমণের পর। তাই এবারও যখন ফরিদপুর যাবো বলে ঠিক হলো, তখন থেকেই পরিকল্পনা করলাম – যদি সময়ের আগেই কাজ শেষ করতে পারি তাহলে ফরিদপুরের আরও কিছু স্থাপনা ঘুরে দেখবো। দেখার মধ্যে আছে – সাতৈর মসজিদ, পাতরাইল মসজিদ, জগদ্বন্ধু সুন্দর-এর আশ্রম, নদী গবেষনা ইনস্টিটিউট আর মথুরাপুর দেউল।

অবশ্য এর পুরোটাই ভেস্তে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে, কারণ আবহাওয়া সংবাদ বলছে – বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়েছে যা ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’-তে রূপান্তরিত হয়ে দুই একদিনের মধ্যে আঘাত হানতে পারে। ফরিদপুরে যেতে পারবো কিনা তা নিয়েই সংশয় শুরু হলো। যাবার সময় শিমুলিয়া-কাঁঠালিয়া নৌ-পথ পার হবো স্পিড বোটে। হয়তো দেখা গেলো, গুলিস্তান থেকে বাসে যেতে যেতেই আবহাওয়া এত খারাপ হয়ে গেলো যে স্পিড-বোট, লঞ্চ, ফেরী সব বন্ধ করে দেয়া হলো, আর আমাদের ফিরতে হলো ঢাকাতে।

ফণী পৌঁছানোর আগেই আমরা ফরিদপুর পৌঁছে গেলাম। এক বেলার কাজ, তাও শেষ করতে করতে বেলা চারটা বেজে গেল। এবার আমি ফ্রি। টিমের বাকী সদস্যরা ঢাকার দিকে রওয়ানা হলো, আর আমি মথুরাপুর দেউলের দিকে। আকাশে মেঘ জমেছে, বৃষ্টি নামবে যে কোন সময়, তাছাড়া সন্ধ্যাও নামছে দ্রুত।

মথুরাপুর দেউল ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার গাজনা ইউনিয়নের মথুরাপুরে অবস্থিত। দেউল শব্দের অর্থ মন্দির বা মঠ। মথুরাপুরের মঠই আজকের মথুরাপুর দেউল। রাজবাড়িগামী চড়ে প্রথমে মধুখালী যেতে হবে, তারপর সেখান থেকে অটো-তে চরে দেউল। মধুখালী যেতে যেতে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেলো। অটোতে করে যখন দেউলের সামনে নামলাম, তখন আমি যথেষ্ট ভিজে গিয়েছি।

বাংলাদেশে হিন্দু ধর্মের অনেক ধরনের স্থাপনা দেখেছি, কিন্তু মথুরাপুর দেউলের মতো কোন স্থাপনা দেখিনি। আমার দেখা বেশিরভাগ স্থাপনাই ধ্বংসপ্রায়, সে তুলনায় মথুরাপুর দেউলের অবস্থা বেশ ভালো। দেউলটি বারো কোনা বিশিষ্ট, উচ্চতায় ২১ মিটারের সামান্য বেশি। মঠটি উপরের দিকে কিছুদূর সোজা উঠে গিয়েছে, তারপর সরু হয়ে উঠেছে। তবে চূড়া সমতল। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের ফলক বলছে – এটি আগে আরও উঁচু ছিল।

যেহেতু বৃষ্টি হয়েছে, তাই মথুরাপুর দেউলের চত্ত্বরে কিছু জায়গায় পানি জমেছে। সবুজ ঘাসে মোড়ানো চত্ত্বর। আমি ছাড়া আর দুজনে সনাতন ধর্মাবলাম্বী ভদ্রলোক আছেন। তারা বেশ কসরত করে দেউলের বহিরাংশের টেরাকোটার ছবি তুলছেন
সুন্দরবনের যে অংশে হরিণ চড়ে সেখানে গাছপালায় একটি নির্দিষ্ট উচ্চতার মধ্যে গাছের পাতা পাওয়া যায় না। কারণ হরিণ পেছনের পায়ে ভর করে যতটুকু পর্যন্ত মাথা তুলতে পারে ততটুকু অংশের পাতা খেয়ে নেয়। দেখে মনে হয় নিপুণভাবে গাছের নিম্নাঙ্গের পাতা ছেটে রেখেছে কোন মালি। এখানে হরিণ নেই, কিন্তু দুপেয়ে জীব মানুষ আছে। ফলে এখানেও একটি নির্দিষ্ট উচ্চতার মধ্যে কোন টেরাকোটা নেই। টেরাকোটাগুলো অসাধারণ। সেখানে নানা ধরনের ছবি রয়েছে। দিনাজপুরের কান্তজি মন্দিরেও এ ধরনের টেরাকোটা ছিল। টেরাকোটার মাধ্যমে সম্ভবত রামায়ন ও মহাভারতের কোন গল্প বলা হয়েছে, অথবা প্রত্যেকটি টেরাকোটাই স্বতন্ত্র কোন গল্পের চিত্র।

কবে এই মথুরাপুর দেউল তৈরী হয়েছে? এর সঠিক কোন তথ্য পেলাম না। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের ফলক বলছে –

এই মঠ কে নির্মাণ করেছিলেন, সে সম্পর্কে কোনো সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। ফরিদপুর-যশোর জেলার এই অঞ্চলে একটি জনপ্রবাদ আছে যে, রাজা প্রতাপাদিত্যকে যুদ্ধে পরাজিত করে সম্রাট আকবরের সেনাপতি রাজা মানসিংহ এই বিজয়স্তম্ভ নির্মাণ করেছিলেন। মানসিংহের সাথে প্রতাপাদিত্যের কোন যুদ্ধ হয়েছিল এবং সে যুদ্ধে মানসিংহ জয়লাভ করেছিলেন, এমন কোন নির্ভরযোগ্য তথ্য প্রামাণ্য ইতিহাসে পাওয়া যায় না। সপ্তাদশ শতাব্দীতে সংগ্রাম সিংহ নামক একজন ফৌজদার ভূষণাতে ছিলেন। তিনি বহুকাল ধরে এই অঞ্চলের ফৌজদার ছিলেন বলে জানা যায়। যশোর ও ফরিদপুরের আরেকটি জনপ্রবাদ মতে এই সংগ্রামসিংহ মথুরাপুর দেউল নির্মান করেছিলেন। এর স্থাপত্যিক শৈলী অনুযায়ী এটি সপ্তাদশ শতাব্দীর বলে ধারনা করা হয়।

এ রকম মঠ বা দেউল বাগেরহাটে আছে একটি, নাম কোদলা মঠ। ফরিদপুরের কাছে বাকেরগঞ্জের মাহিলারাতেও একটি আছে। সবগুলোই কাছাকাছি সময়ে নির্মিত। ভেতরে একটি কক্ষ থাকলেও সেখানে কোন মূর্তি নেই, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের ফলক বলছে, কখনও ছিলও না।

খুব বেশি সময় কাটানোর মতো জায়গা নয় মথুরাপুর দেউল। তাই বের হয়ে এলাম। পাশেই ফরিদপুর চিনি কল। স্বাধীনতার পরে এই চিনিকলটি স্থাপিত হয়। দক্ষিণবঙ্গের একমাত্র ভারী-শিল্প প্রতিষ্ঠান ছিল একসময়। এখন আখ মাড়াই বন্ধ। তাই চিনিকলের ভেতরেও শুনশান নিরবতা। এই ধরনের কল-কারখানাগুলো বিশাল জায়গা নিয়ে গড়ে উঠে। সেখানে প্রচুর গাছপালা থাকে। পরিবেশটা মন ভালো করে দেয়ার মতো। বৃষ্টিতে ভিজে আর একাকী ভ্রমণ করার কারণে মনটা একটু বিষন্ন হয়ে ছিল, চিনিকলের পরিবেশ সেটা কিছুটা দূর করলো।

সন্ধ্যা হয়ে আসছিল। ফিরতি পথে মধুখালী বাজারে দাঁড়িয়ে ট্রাকে পাট বোঝাই করতে দেখলাম। ফরিদপুর অঞ্চল পাটের জন্য বিখ্যাত ছিল। সোনালী আঁশ একসময় আমাদের গৌরবের বিষয় ছিল, এখন বোঝা। অবশ্য দুর্নীতির চেয়ে পাটের বোঝা বোধহয় ভারী নয়। কিন্তু সে ভেবে কি হবে।

বাসে চড়ে বসলাম। যাবো জগদ্বন্ধু সুন্দর-এর আশ্রম

ভ্রমণ নিয়ে আমার অন্যান্য পোস্ট

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৩৩

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: সুন্দর একটি ভ্রমণ কাহিনী পড়লাম,সেই সাথে দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য জানলাম।

২৬ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ৭:৫৭

দারাশিকো বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ জাহিদুল ইসলাম ২৭। ভালো থাকবেন।

২| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৩৮

রফিকুল ১৯৯০ বলেছেন: সত্যি সুন্দর লিখেছেন। চাকুরীর সুবাদে এই উপজেলায় অবস্থান করায় প্রায়ই দেউলটি দেখার সুযোগ হয়। মুগ্ধ হয় এর শিল্পকর্ম দেখে।

২৬ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ৮:০২

দারাশিকো বলেছেন: ধন্যবাদ রফিকুল ১৯৯০। জায়গার আশেপাশের প্রাকৃতিক পরিবেশ বেশ ভালো লেগেছিল। চোখে লেগে আছে এখনও। আবার যদি কখনও ফরিদপুর যাই, তাহলে হয়তো আবারও বেড়িয়ে আসবো সেই জায়গা।

বাইদ্যওয়ে, মধুখালীর মিষ্টি নাকি বিখ্যাত? কোথায় পাওয়া যায় জানেন?

৩| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: আমি দুই বছর আগে গিয়েছিলাম। এই যে ছবি-

১।

২।

২৬ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:১২

দারাশিকো বলেছেন: বাহ। কমন পড়ে গেলো, না? ভালোই হলো।

৪| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:০২

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: এইটা এখনো দেখার সুযোগ হয়নি। কত কিছুই দেখার বাকি!!!

২৬ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:২৭

দারাশিকো বলেছেন: ফরিদপুরে একবার ঘুরে আসতে পারেন। শহরের আশেপাশেই কয়েকটি দেখার মত জায়গা আছে। ভালো লাগবে।

৫| ২৬ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১২:৪১

মা.হাসান বলেছেন: কিশোরগঞ্জে কবি চন্দ্রাবতির মন্দির দেখেছি, ওটাও ১৭ শতকের, এরকম উপরের দিকে সরু হয়ে উঠে গিয়েছে, তবু চূড়া ফ্ল্যাট না, সূচালো। ওটা সম্ভবত ৮ কোনা বিশিষ্ট। অনেক জায়গায় প্রত্নতত্ম বিভাগ স্থাপনা গুলো সাদা রঙ করে মূল সৌন্দর্যের বারোটা বাজিয়েছেন। কপাল ভালো এখানে করে নি। হরিণের পাতা কাটার উপমা খুব বাস্তবধর্মি হয়েছে। সৌভাগ্য যে দোপায়া হরিনরা মই লাগিয়ে উপরের ইট খুলে নেয় নি।

ফরিদপুরে পরের বার গেলে দেউল দেখার ইচ্ছে রইলো।

* মধুখালির মিষ্টির সুনাম সুনেছি। আপনি মনে হয় চেখে দেখার সময় পান নি।
চন্দ্রাবতির মন্দির। আমার নিজের ছবি গুলো ভালো আসেনি, এটা সংগ্রহ করা।

২৬ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৩৩

দারাশিকো বলেছেন: চন্দ্রাবতীর মন্দির আমি দেখেছি। খুবই দুঃখ পেয়েছিলাম জায়গাটা দেখে। অযত্নে অবহেলায় সব ভেঙ্গেচুরে পড়ছে। ভেতরে একটি-দুটি পরিবারও বাস করে। সাইনবোর্ড লাগিয়েই প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কাজ শেষ বলে মনে হয়েছিল। তবে, যতটুকু পড়েছি, মথুরাপুর দেউলের মতো স্ট্রাকচার মাত্র তিনটা, কিন্তু চন্দ্রাবতীর বাড়িতে যে স্ট্রাকচার আছে সেটা আরও অনেক জায়গায় আছে, সম্ভবত ওগুলো মঠ বলে পরিচিত।

মধুপুরের মিষ্টির কথা সত্যিই শুনিনি ভাই। এই প্রথম আপনার কাছ থেকে জানলাম। পরেরবার অবশ্যই সেই মিষ্টি চেখে আসবো ইনশাআল্লাহ। কোন দোকানের নাম সাজেস্ট করবেন? বা ঠিক কোথায় গেলে পাওয়া যাবে?

৬| ২৬ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১২:৫৭

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: দারুন লেখা।

২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৪৩

দারাশিকো বলেছেন: ধন্যবাদ কবিতা পড়ার প্রহর। ভালো থাকবেন :)

৭| ২৬ শে জুলাই, ২০২০ রাত ২:১৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আজ চিনলাম

২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৪৪

দারাশিকো বলেছেন: গুড :)

৮| ২৬ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:০৩

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: মথুরাপুর দেউল আমিও গিয়েছিলাম এক বৃষ্টির দিনে। আপনার প্রাঞ্জল বর্ণনা ও অভিজ্ঞগতার সাথে মিলিয়ে নিজেরও কিছুটা স্মৃতিচারন হল।
শুভেচ্ছা।

২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৪৪

দারাশিকো বলেছেন: ধন্যবাদ ইফতি। ভালো লাগলো জেনে যে একইরকম সময়ে একই জায়গায় আপনি আমি দুজনেই গিয়েছিলাম।

ভালো থাকবেন :)

৯| ২৭ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৫৩

মা.হাসান বলেছেন: শুধু চন্দ্রাবতির মন্দির না, ঐ এলাকায় যা আছে, এমন কি ঈসা খাঁর জঙ্গলবাড়ি দূর্গের কিছু অংশও বেদখল হয়ে আছে। যারা আছেন তারা নিজেদের ঈসা খাঁর বংশধর দাবি করেন শুনেছি। চন্দ্রাবতির মন্দিরে সম্ভবত দুটো অষ্টকোন বিশিষ্ট স্থাপনা আছে, কিছু পাকা চত্তর আছে, বসার জায়গা ইত্যাদি আছে। ওনার মূল ভিটায় দুটি পরিবার বাস করতে দেখেছি (২০১৭), একটি সনাতন ধর্মাবলম্বি পরিবার (উত্তরাধিকার), একটি মুসলিম পরিবার (ক্রয় সূত্রে মালিক)।

সাইনবোর্ড লাগানো ছাড়া প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আর কিছু করার বাজেট, লোকবাল বা ইচ্ছা কোনোটাই নেই বলে মনে হয়।
মধুপুরে বাগাট (অথবা বাঘাট) নামের একটা যায়গায় ভালো মিষ্টি এবং দই দেখেছি। দোকানের নাম রাজা বা এরকম কিছু একটা । স্থানীয় কাউকে বললেই দেখিয়ে দেয়, ঐ অঞ্চলে বেশ ভালো পরিচিত বলে মনে হয়। রফিকুল ১৯৯০ ভালো বলতে পারবেন মনে হয়।

অনেক শুভকামনা।

২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:০৮

দারাশিকো বলেছেন: আমি সম্ভবত ২০১৮তে গিয়েছিলাম। চন্দ্রাবতীর বাড়িতে যে কোন মুসলমান পরিবার আছে সেটা বুঝতে পেরেছিলাম, কিন্তু নিশ্চিত ছিলাম না। ঈসা খাঁ'র জঙ্গলবাড়ি পুকুরে গোসল করেছিলাম - চমৎকার অভিজ্ঞতা।

মধুপুরে বেশি সময় ছিলাম না বলে আসলে খাবারের কোন অভিজ্ঞতা নেয়া হয়নি। তবে ফরিদপুর শহরে বাগাট ঘোষের মিষ্টির স্বাদ অসাধারণ। সম্ভবত চমচম বাসা পর্যন্ত নিয়ে এসেছিলাম। আবারও গেলে মধুপুরের মিষ্টির খোঁজ নিয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ।

ভালো থাকবেন মা.হাসান ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.