নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার সম্পর্কে: https://t.ly/atJCp এছাড়া, বইটই-এ: https://boitoi.com.bd/author/2548/&

দারাশিকো

লেখালিখির প্রতি ভালোবাসা থেকে লিখি

দারাশিকো › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভ্রমণ কাহিনী: রাজশাহী-নাটোরে (শেষ পর্ব)

২৮ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:১৯



রাজশাহী-নাটোরে (নাটোর পর্ব)

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

এবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে দেখার কোন পরিকল্পনা ছিল না, যেহেতু শোয়াইবের বিয়ে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্টোদিকে আবাসিক এলাকায়, তাই একবার ঘুরে দেখার পরিকল্পনা হলো।

পরিকল্পনা অনুযায়ী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে ব্যাটারীচালিত একটি রিকশা নেয়া হলো। রিকশা আমাদের এ পথ সে পথ ঘুরিয়ে যখন শহীদ জিয়াউর রহমান হলের কাছাকাছি, তখন ঝুম বৃষ্টি শুরু হয়ে গেলো। উপায়ান্তর না দেখে হলের গাড়ি বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকতে হলো। বৃষ্টি থামলো মিনিট পনেরো পরে। তারপর আবার রিকশায় উঠে বেড়ানো।

একে তো শুক্রবার, তার উপর সাথে পরিচিত কেউ নেই, তাই ফাঁকা ক্যাম্পাস ঘুরে দেখতে বেশী সময় লাগলো না, আবার ভ্রমণটা ঠিক উপভোগ করাও গেল না।

শোয়াইবের বিয়েতে

অবশেষে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ এল। নানা পথ ঘুরে, ভুল রাস্তা থেকে সঠিক রাস্তায় ফিরে যখন বিয়েবাড়িতে উপস্থিত হয়েছি, তখন জুমার নামাজ শুরু হলো বলে। বিয়েতে বরের সঠিক সময়ে উপস্থিত হবার নিয়ম নেই, ফলে শোয়াইবসহ অন্যান্য বরযাত্রীরা তখনও উপস্থিত হতে পারেনি। অগত্যা জুমা পড়ে আমি অপেক্ষা করতে লাগলাম।

কনের বাড়ির সামনের উঠোনে বিয়ের আয়োজন। বৃষ্টি হতে পারে এই আশঙ্কায় ত্রিপল দিয়ে ছাউনি দেয়া হয়েছে। সবদিক আবদ্ধ বলে প্রচন্ড গরম। এর মাঝে চলে গেলো বিদ্যুৎ। চালু হলো জেনারেটর। তারপর কি এক জটিলতায় সেই জেনারেটরও বন্ধ হয়ে গেলে গভীর অন্ধকারে বসে থাকলাম। একসময় জেনারেটর চালু হলো আর শোয়াইবসহ বরযাত্রীও উপস্থিত হলো। তারপর শুরু হলো মুষলধারায় বৃষ্টি। ত্রিপলের ফাঁক দিয়ে সেই বৃষ্টির পানি পড়তে লাগলো অঝোরধারায়।

দেখা গেল বিয়ের ঘটক আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় ভাই। তার সাথে এসেছে শোয়াইবের একজন বন্ধু সে আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছোট ভাই। আরও দুই-একজন পরিচিত-আধা পরিচিত লোক পাওয়া গেল। সবার সাথেই বহুদিন বাদে দেখা, ফলে বেশ আলাপ জমে উঠল।

ভোজনপর্ব শেষ করে এসে দেখি শোয়াইবকে ঘিরে রেখেছে তার শ্যালক-শ্যালিকাদের দল আর মাঝখানে শোয়াইব তার ঝোলমাখা শুকনো হাত নিয়ে বসে আছে, কারণ বকশিস ছাড়া তারা বরের হাত ধুয়ে দিবে না। বেচারা শোয়াইব! তার পকেটে নাই টাকা আর এই ধরণের বিপদ থেকে উদ্ধারের জন্য যে সকল বন্ধুকে নিয়ে এসেছিল তারা কেউই আশেপাশে নেই। অগত্যা নাক গলিয়ে দেন-দরবার করে শোয়াইবকে উদ্ধার করতে হলো।

বিকেলে আসরের পরে নববধূকে নিয়ে শোয়াইবরা যাত্রা করলো ঢাকার পথে, আমরা ফিরে এলাম আস্তানায়।

রাজশাহীর কোন দিকটি সবচেয়ে ভালো লাগলো – এই প্রশ্নের উত্তরে বিনা ভাবনাতেই আমি বলবো বিদিরপুরের কথা। নদীর তীরে একাকী বসে আছি – চারিদিকে শুনশান, কেবল ঢেউয়ের ছলাৎ ছলাৎ শব্দ আর ছায়াঘেরা তীরে মৃদু বাতাস – আমার শিহরন জাগে। আর ভালো লেগেছে রাজশাহীর ভীড়-কোলাহল মুক্ত শহর। দক্ষিণ এশিয়ার গ্রীন সিটি হিসেবে রাজশাহীর পরিচিতি রয়েছে। এখানে রাস্তায় কালো ধোঁয়া নেই – কারণ রিকশা-অটো সবই ব্যাটারি চালিত। তবে বিরক্তির কারণও এই অটোগুলো। তারা অনর্থক হর্ন বাজায়। গোটা শহরে দূষিত বাতাস না থাকলেও রাস্তার মোড়গুলোতে শব্দ দূষণের আধিক্য রয়েছে।

রাতের নাইটকোচে বসে চেকলিস্টের সাথে মিলিয়ে নিচ্ছিলাম। পুঠিয়ার রাজবাড়িতে যাওয়া হলো না শহর থেকে বেশ দূরে অবস্থিত হওয়ায়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ যাওয়ার ইচ্ছে থাকলেও নাটোর ভ্রমণের জন্য বাদ দিতে হলো। নাটোরের চেকলিস্ট সফলভাবে সম্পূর্ণ হয়েছে। সাহেববাজারে বিদ্যুতের কলিজা সিঙ্গারা খাওয়া হলো না। তিলের জিলাপীর খোঁজই পেলাম না। তারমানে আবারও আসতে হবে রাজশাহীতে। কখন, কোন ছুতোয় তা উপরওয়ালাই ভালো জানেন।

রাজশাহী-নাটোর ভ্রমণ শেষ হলো। যারা নিয়মিতভাবে এই ভ্রমণকাহিনীর সবকটি পর্ব পড়েছেন তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ। যারা নিয়মিতভাবে মন্তব্য করে উৎসাহ দিয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ব্লগে লিখে যে তৃপ্তি পাওয়া যেতো সেটা আবারও পাচ্ছি। এই সম্পূর্ণ ভ্রমণকাহিনীটি আমি ই-বুক আকারে প্রকাশ করেছিলাম, সংগ্রহে রাখতে চাইলে অথবা পড়তে চাইলে নিচের লিংকে দেখার অনুরোধ রইল। সবাই ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।

ই-বুক: রাজশাহী-নাটোরে

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: এরপর রাজশাহী গেলে বিদিরপুর অবশ্যই যাবো।

২৮ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:১৩

দারাশিকো বলেছেন: যদি নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে চিন্তা করি, তাহলে হয়তো বিদিরপুরের কোন বিশেষত্ব নেই। ঐ সময়ে নদীতে পানি বেশি, গাছের ছায়ায় বসে নদী উপভোগ করা গিয়েছিল। ব্যস্ততার মাঝে বিদিরপুর আমাকে সম্ভবত দুদন্ড শান্তি দিয়েছিল - তাই বিদিরপুর ছাপ রেখে দিয়েছে। অন্য সময়ে এই তৃপ্তি দিতে পারতো কিনা কে জানে।

২| ২৮ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:০৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: অনেক কিছু জানা যায় লেখা পড়ে

২৮ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:১৩

দারাশিকো বলেছেন: জ্বি।

৩| ২৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:৪৪

ওমেরা বলেছেন: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা আর একটু বর্ণনা করলে ভালো হত।

২৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৫৪

দারাশিকো বলেছেন: এটা আমারও মনে হয়েছে। কিন্তু সত্যি কথা হলো - রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরে দেখার অভিজ্ঞতা অতটুকুই। যদি আরও কিছু সময় কাটাতে পারতাম - তাহলে হয়তো আরও কিছু বলা যেতো। ওয়েবে যা পাওয়া যায় তা দিয়ে পোস্ট বড় করতে চাইনি।

আপনাকে ধন্যবাদ ওমেরা, চমৎকার মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন :)

৪| ২৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৩:০৮

জাদিদ বলেছেন: আমি রাজশাহীতে শীতকাল এবং গরমকাল দুই সিজনেই বিয়ে খেয়েছি। তবে রাজশাহী অঞ্চলে মে জুন মাসে বিবাহ করা বিশাল কলিজার ব্যাপার। আরো কলিজার ব্যাপার ভর দুপুরে ভারী পোষাকে ভারী খাবার খেয়ে গরম উপভোগ করা। ফলাফল হিসাবে আমি ঢাকায় ফেরত আসার সময় শ্রেফ হাফপ্যান্ট পড়ে খালি শরীরে গাড়ি চালিয়ে এসেছি। পথে এক স্থানে রাতের বেলা খালি গায়ে পানি কিনতে নেমেছিলাম। আশেপাশের মানুষের দৃষ্টি নিয়ে আলাদা ব্লগ করা যাবে।

আমি রাজশাহীতে একটা ছোট্ট হোটেলে কাবাব দিয়ে এক ধরনের বার্গার খেয়েছিলাম। হোটেল ডালাস ইন্টারন্যাশনালের সামনের কোন একটা গলির মুখে সেই দোকান ছিলো। খুবই স্বাদের লেগেছিলো, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেটা অনেক আগের আগে হওয়াতে আমি পরে গিয়ে আর খুঁজে পাই নি।

তবে সত্যি বলতে কালাইয়ের রুটি আমার কাছে এতটা আহামরী কিছু লাগে নাই। আমি গরম গরম খেয়েছি। ঠান্ডা হলে খাওয়া যায় না। গরম অবস্থায় আমার রেটিং ছিলো ৫.৫/১০ বা সর্বোচ ৬/১০।

তবে রাজশাহীর বিভিন্ন স্ট্রিট ফুড খুবই চমৎকার। সিংগারা, ভালো লেগেছে। গরুর কালো ভুনা, গরুর বট ইত্যাদি ভালো লেগেছে। তবে এখানে তালাইমারির মোড়ে কিছুটা ভিন্নভাবে ডিম বিক্রি হয়। আমি অবশ্য শীতে খেয়েছিলাম। সিদ্ধ ডিম কে দুইভাগ করে মাঝে সরিষার তেল মাখা পেঁয়াজ আর মরিচ কুঁচি আর মশলা মেরে দেয়া হয়। খেতে অস্থির!! আবার একটা হাফ সিদ্ধ ডিম যার কুসুম নরম সেটার ভেতরে কিভাবে যে সরিষার তেল ঢুকিয়ে বিট লবন ও মশলা দিয়ে খেতে দেয়!! সমস্যা হচ্ছে আপনি একটা খেয়ে থামতে পারবেন না। শীতে আমি সর্বোচ্চ ৬ টা পর্যন্ত খাওয়া হয়েছে। অনেকে ১০/১২ টা খায়।
আপনি ৩/৪ টা হাঁসের ডিম খাওয়ার পর একটু পর কান টান সব গরম হয়ে যাবে। মনে হবে শীতের পোষাক একটু খুলে ফেলি!!

তবে আমার পরামর্শ থাকবে আগামীবার যদি রাজশাহী যান তাহলে অবশ্যই সোনা মসজিদে যাবেন। সেখানে দুইটা হোটেল আছে সেরাটন আর সোনারগাঁও নামে। সেখানে অর্ডার দিয়ে হাঁস খাবেন। আস্ত হাঁস অর্ডার দিবেন। খুব সম্ভবত এখন ৫৫০ বা ৬০০ করে নিবে। আমি খেয়েছিলাম লাস্টে ৩৮০ টাকা দিয়ে। অসাধারন টেস্ট। অসাধারন রান্না।

যাক, আপনার প্রতিটি ব্লগ আমি পড়েছি। গত পর্বে আমার অন্য নিক থেকে মন্তব্যও করেছি। আমার খুবই ভালো লেগেছে। নতুন জায়গায় আমিও নতুন খাবার চেখে দেখতে পছন্দ করি। পান্থপথে যেখানে দোকানে জিলিপি পাওয়া যায়, সেটা আমার বাসার থেকে দুই কদম। আগে জিলাপী এত ভালো ছিলো না। এখন ভালো।

তবে আপনি যেহেতু জিলাপী পছন্দ করেন। সময় করে একদিন পুরানো ঢাকায় চলে আসুন, চক বাজারের দিকে। আপনাকে ঢাকার অন্যতম বেস্ট কিছু জিলাপীর দোকান চিনিয়ে দিবো। চকবাজারে ইফতারের সময় যা বেঁচে - সেটা ঢাকাইয়ারা কেউই খায় না। স্থানীয় ভাষায় এডি জট মাল।

আর নাস্তা খেতে চাইলে সকালে আসতে হবে। সকাল ৭ টায় যদি উপস্থিত থাকতে পারেন তাহলে আপনি খেয়ে আনন্দ পাবেন। ৮ বা ৯ টার মধ্যে শেষ হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে।

আর কাবাব খেতে চাইলে আসবেন বিকাল সাড়ে ৫ টার মধ্যে। কাবাব খেতে হবে হেঁটে হেঁটে। এক দোকান থেকে আরেক দোকানে।

২৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:০৩

দারাশিকো বলেছেন: ওয়াও! আপনার অসাধারণ মন্তব্য পড়ে খুবই ভালো লাগলো।

ডিমের যে বর্ণনা দিলেন - লোভ লেগে গেলো। বিদিরপুর থেকে ফেরার সময় আমিও একজায়গায় থেমে সিদ্ধ ডিম খেয়েছিলাম। সেটা অবশ্য সিম্পল - হাফ বয়েল্ড হাঁসের ডিম। খুবই চমৎকার জিনিস। আপনার বর্ণনার ডিম খেতে কেমন লাগবে সেটাই ভাবছি।

পরেরবার রাজশাহী গেলে অবশ্যই চাঁপাই যাবো - আগেই সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছি। চাঁপাই-তে আগেই গিয়েছি, সোনা মসজিদ এবং তার আশেপাশের এলাকা বেড়িয়েছি, তবে আবারও যেতে চাই এবং তখন সোনারগাঁও কিংবা শেরাটনে বসে হাসেঁর মাংস খাবারও ইচ্ছা করি। আমার ইচ্ছা - সরাসরি চাঁপাই গিয়ে নামবো, বেড়ানো শেষ করে তারপর ভাটির দিকে নামা যাবে।

পুরান ঢাকার জিলাপি আর নাস্তার যে 'হিন্ট' দিলেন, মনে হচ্ছে - এখনই রওয়ানা করে দেই। কষ্ট করে - এই বিষয়ে একটা পোস্ট লিখেন, নাম-ঠিকানা-সময় ইত্যাদি দিয়ে। তাহলে সময়মতো ঢুঁ দেয়া যাবে। বাইদ্যওয়ে, চকবাজারের ইফতারীর প্রতি আমার কোনই আগ্রহ নাই। টেস করার জন্য খেয়ে দেখেছি কিছু আইটেম, বাকী জীবনের জন্য আগ্রহ ফুরিয়েছে :(

আবারও বলছি - আপনার এই অসাধারণ মন্তব্য আমার বেশ ভালো লেগেছে। ব্লগের মজাটা আবারও পাচ্ছি। ভালো থাকবেন সবসময় :)

৫| ২৯ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:১৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম।

২৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:০৪

দারাশিকো বলেছেন: গ্রেট। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একদিকে গরুর খামার দেখলাম। এ বিষয়ে কিছু জানাতে পারেন?

৬| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ২:১২

জোবাইর বলেছেন: 'ভ্রমণ কাহিনী: রাজশাহী-নাটোরে' অভিজ্ঞতা, ইতিহাস, তথ্য, ছবি সব মিলিয়ে ভালো হয়েছে। অন্যান্য ভ্রমণ কাহিনীর সাথে তুলনা করলে আপনার এই সিরিজের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে খাবারদাবার নিয়ে বিস্তারিত বিবরণ। ভোজনপ্রিয় পর্যটকদের খুবই উপকার হবে। আমি ভ্রমণে গেলে খাবারদাবার নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামায় না। ভবিষ্যতে কিছুটা গুরুত্ব দিতে হবে :)

আপনার নিজস্ব ব্লগ থেকে ঘুরে এলাম।
'কত কথাই না লেখা হয় – ব্লগে, ফেসবুকে, কমেন্টের ঘরে। যখন লিখি তখন তো নিজের মেধাকে কাজে লাগিয়েই লিখি – কিন্তু লেখার পর সেটা হারিয়ে যায় কোথায় তার খবর কে রাখে। এদিক সেদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ছোট ছোট লেখাগুলোও যদি এক জায়গায় রাখা যায় তবে মন্দ কি? এই ভাবনা থেকেই দারাশিকো’র ব্লগ!'

কথাটা সঠিক। এই আমাদের সামু ব্লগে প্রতিদিন শতশত ব্লগার দীর্ঘ সময় নিয়ে পরিশ্রম করে যে লেখাগুলো লিখছেন সেগুলো কয়েক ঘন্টার মধ্যে প্রথম পৃষ্টা থেকে সরে যায়। এরপর সময় যতই যেতে থাকে পোস্টও তত পেছনে চলে যায়। তাই যারা নিয়মিত লেখে এবং ভালো লেখে তাদের উচিত নিজের লেখাগুলো যেভাবেই হোক সংগ্রহ করে রাখা।

আগামীতে আপনার থেকে আরো ভালো ভালো লেখা পাওয়ার প্রত্যাশা রইলো। ভালো থাকুন।

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৫৩

দারাশিকো বলেছেন: রাজশাহী-নাটোর ভ্রমণ নিয়ে ব্লগ লিখে সবচেয়ে বড় লাভ হলো - আপনাদের মতো কিছু নিয়মিত পাঠক পাওয়া। বিশেষ করে, আপনি এই ব্লগের আরও অনেকের মতো না - যারা কেবল মন্তব্যের জন্য মন্তব্য করে। চমৎকার সব গঠনমূলক মন্তব্য করার কারণে আপনাকে বেশ পছন্দ হয়ে গেছে :)

আপনার মত আমিও লক্ষ্য করলাম - ভ্রমণের চেয়ে খাদ্য-সংক্রান্ত পোস্টের পাঠক বেশি। মানুষ যে পড়ার চেয়ে খেতে বেশি পছন্দ করে - এটা তার আরেকটা প্রমাণ ;)। তবে, আমিও কিন্তু ভোজনরসিক নই। বরং খাওয়ার ব্যাপারে আমার বেশ বাছ-বিচার রয়েছে। কিন্তু ভ্রমণের ক্ষেত্রে খাওয়াকে আমি অভিজ্ঞতার অংশ হিসেবেই মনে করি। চেষ্টা করি যে এলাকায় যাচ্ছি - সে এলাকার ভালো-জনপ্রিয় খাবারগুলো চেখে দেখার। এতে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা পাকাপোক্ত হয়।

আপনাদের এইসব অনুপ্রেরণামূলক মন্তব্য যে আমাকে আবারও লিখতে উদ্বুদ্ধ করবে, তাতে কোন সন্দেহ নেই। প্রার্থনা করি - আপনারাও সুস্থ্য থাকুন, ভালো থাকুন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.