নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার সম্পর্কে: https://t.ly/atJCp এছাড়া, বইটই-এ: https://boitoi.com.bd/author/2548/&

দারাশিকো

লেখালিখির প্রতি ভালোবাসা থেকে লিখি

দারাশিকো › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভ্রমণঃ নেত্রকোনায় জল নেই, কেবল ড্রেজার আর ট্রাক (শেষ পর্ব)

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৪


(৩য় পর্ব)

ইউক্যালিপটাস

এই সুসং দূর্গাপুরেই বেড়াতে এসে ভোরবেলা গ্রামের দিকে হাঁটতে বেরিয়েছি আমরা দুজন। কারও বাড়ির সামনে, কারও বাড়ির পেছনে কিংবা দুই বাড়ির মাঝের পায়ে চলা পথ পেরিয়ে বিশাল খোলা প্রান্তরে উপস্থিত হলাম। ধান উঠে গেছে, কিন্তু পরের চাষাবাদের কাজ শুরু হয়নি। মাঠ খটখটে শুকনো। ক্ষেতের মধ্যেই কেউ একটা বাড়ি বানাচ্ছে। তার আশেপাশে দুয়েকটা লোক দেখা গেলো। ঐ দূরে যে রাস্তাটা দেখা যাচ্ছে সেটা দিয়ে উত্তরে কিছুদূর গেলে বামে সোমেশ্বরী নদী পড়বে, তাই সেদিকেই হাঁটতে শুরু করলাম।

গতকাল থেকে বেড়াচ্ছি কিন্তু এবার খেয়াল হলো ভোরবেলায় গ্রামে যতরকম পাখ-পাখালি দেখা যায় তার কিছুই প্রায় দেখা যাচ্ছে না। এখন মাঠে আছি, শীতের দিন, কিন্তু পাখি নেই। কিছুক্ষণ আগে বাড়ির মধ্যে ছিলাম, গাছপালা ছিল, তাও পাখি দেখিনি। অথচ ভোরই হলো পাখি দেখার উপযুক্ত সময়।

রহস্যের সমাধান মিলল রাস্তায় উঠার পর। রাস্তার দুধারেই ইউক্যালিপটাস গাছ। মনে পড়ল – গ্রামেও এই গাছ দেখেছি, বিজয়পুরেও। সিএনজিতে বিরিশিরি আসার পথেও এই গাছ দেখেছিলাম। বহু বছর আগে, রাজনৈতিক ডট কম নামে মোহাম্মদ আরজুর সম্পাদনায় প্রকাশিত একটা অনলাইন ম্যাগাজিনে আমার কয়েকটা লিখা প্রকাশিত হয়েছিল। সেখানেই প্রকাশিত অন্য কারও একটা লেখা পড়ে বাংলাদেশে ইউক্যালিপটাস গাছের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে জেনেছিলাম। সংক্ষেপে কিছুটা বলা যাক।

ইউক্যালিপটাস এই অঞ্চলের গাছ নয়। এই গাছ খুব দ্রুত লম্বা হয় এবং মোটামুটি মানের কাঠ পাওয়া যায়। বিদেশী এই গাছের বিস্তার লাভ করার পেছনে মূল কারণ বিদেশী অর্থসাহায্য। আশির দশকে সামাজিক বনায়নের নামে বিশ্বব্যাংক, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ও ইউএসএআইডি এর অর্থায়নে এই দেশে ইউক্যালিপটাস ও অ্যাকাশিয়া বা আকাশমনি ও পাইন গাছের চারা রোপন শুরু হয়। এই অঞ্চলের সমৃদ্ধ বন ধ্বংস করে বিদেশী এইসব গাছ লাগানোর ক্ষতিকর প্রভাব আবিষ্কার করতে অবশ্য দুই আড়াই দশক লেগে গেছে।

ইউক্যালিপটাস গাছের শেকড় মাটির ২০-৩০ ফুট গভীরেও প্রবেশ করে এবং এই শেকড় দিয়ে প্রতিটি গাছ দৈনিক ৩০-৯০ লিটার পানি শোষণ করে। ফলে, এই গাছের আশেপাশে অন্যান্য ফলজ ও বনজ গাছ টিকে থাকতে পারে না, জমিতে মরূকরণ ঘটে। আরও ভয়ানক হলো, এই গাছ অক্সিজেন গ্রহণ করে ও বিষাক্ত নাইট্রোজেন ত্যাগ করে। সম্ভবত এ কারণে ইউক্যালিপটাস গাছের আশেপাশে পাখি বাসা বানায় না। উত্তরবঙ্গে এই গাছের ব্যাপক প্রসার ঘটেছিল। ওইসব অঞ্চলের ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নীচে নেমে যাওয়া ও পানিতে আর্সেনিকের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে এই গাছকে দায়ী করা হয়। পরিবেশের উপর এইসব ক্ষতিকর প্রভাবের কারণেই ২০০৮ সালে ইউক্যালিপটাস গাছের চারা উৎপাদনকে নিষিদ্ধ করা হয়। তা সত্ত্বেও গাছের বিস্তার কমেনি।

যাহোক, রাস্তায় উঠে আসার পর পাখি দেখার আশা যেমন ছাড়তে হলো, নদীতে বেড়ানোর ইচ্ছাও বাদ দিতে হলো। যে রাস্তায় উঠেছি সেটাকে প্রথমে মাটির রাস্তা বলে মনে হলেও পরে আবিষ্কার করলাম – কোন একসময় এটা পিচ রাস্তা ছিল। একের পর এক বালুবাহী ট্রাক যাওয়ার কারণে রাস্তার আসল চেহারা হারিয়ে গেছে। যে রাস্তাটি নদীর দিকে গিয়েছে সেদিক দিয়েই ট্রাক আসছে, ভোরবেলায় ধূলোয় মাখামাখি হবার ইচ্ছা ছিল না। গ্রামের দিকেই ফিরলাম।



এদিকটায় খ্রীস্টানদের আধিক্য রয়েছে। আমরা একটা ক্যাথলিকদের সমাধিস্থান দেখলাম। যতটুকু জানি, এ অঞ্চলের গারো উপজাতির প্রায় শতভাগ ধর্মান্তরিত হয়ে খ্রীস্টধর্মে দীক্ষিত হয়েছে। উনিশ শতকের শেষ দিকে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাপ্টিস্ট মিশনারিগণ ব্যপকভাবে খ্রীস্টধর্ম প্রচার শুরু করেন। এছাড়া ক্যাথলিক মিশনারিগণ প্রচারকার্য শুরু করেন ১৯০৯ সালের দিকে। এই এলাকায় মিশনারিদের প্রচুর সামাজিক কাজও রয়েছে। এক দশক আগে এসে দেখেছিলাম অনেক বড় আয়োজনে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠার কাজ চলছে। এবার দেখলাম সেই কলেজের নাম ডন বাস্কো কলেজ। অনেক বড় জায়গা নিয়ে বেশ কিছু ভবন ও হোস্টেল নিয়ে কলেজটি। সদর দরজা বন্ধ ছিল, ফাঁক দিয়ে দেখলাম ভেতরের ছেলেরা হোস্টেল থেকে মাঠে নেমেছে খেলাধূলার জন্য। এছাড়া বিরিশিরি দূর্গাপুরে নানা ধরণের প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনা রয়েছে যেগুলো খ্রীস্টান মিশনারিরা পরিচালনা করছেন।

দূর্গাপুর সেতু

আমাদের প্রাতঃভ্রমণ শেষ হলো। এবার যেতে চাই গোপালপুরের গারো পাহাড়ে। যেতে হবে সোমেশ্বরী নদীর উপরের সেতু পেরিয়ে। এই সেতুটা আমার বিশেষ পছন্দের। আগেরবার এসে বার কয়েক সেতুর উপরে দাঁড়িয়ে নীচের নদীতে স্বচ্ছ পানির মৃদু স্রোত বয়ে যেতে দেখেছি। এবার সেরকম কিছু দেখতে পারবো না বুঝে গিয়েছিলাম। তারপরও ভাবলাম হেঁটে সেতু পার হয়ে অটোরিকশা ভাড়া করবো।

দূর্গাপুর সেতু থেকে এক দশক আগে তোলা ছবি

রাস্তা দেখা যাচ্ছিল না। কাদার পুরু স্তর। তার উপর দিয়ে বিশাল বিশাল ট্রাক বালু ভর্তি করে যাচ্ছে অত্যন্ত ধীরগতিতে। উল্টোদিক থেকে খালি ট্রাক ছুটে আসে তীব্র গতিতে। বালিভর্তি ট্রাকগুলোর শরীর থেকে পানি ঝরতে থাকে। সেই পানিতে রাস্তা কাদা হয়ে যায়। সেই কাদা শুকানোর সুযোগ পায় না। দিনে-রাতে হাজারের বেশি ট্রাক চলে রাস্তার উপর দিয়ে।

বালুর ট্রাক থেকে পানি ঝরে কেন? নেত্রকোনার মহাসড়ক জুড়ে একটু পর পর ভুল বানানে ‘নেত্রকোণা’ সড়ক বিভাগের সাইনবোর্ডে নিষেধাজ্ঞা – ‘ভেজা বালুবাহী ট্রাক চালাবেন না।’ সেই নিষেধাজ্ঞা কেউ মানছে না। নদী থেকে বালু তুলে ভেজা অবস্থায়ই ট্রাকে করে পরিবহন করা হয়, বালু চুয়ে পানি ঝরতে থাকে সড়কে। ২০১৬ সালে ৩১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে শ্যামগঞ্জ-জারিয়া-বিরিশিরি-দুর্গাপুর মহাসড়ক নির্মাণ করা হয়েছিল। সেই সড়ক এখন গাড়ি নয়, ঘোড়া চলাচলের জন্য উপযুক্ত। ভেজা বালুর কারণে ট্রাকের ওজন যায় বেড়ে। আবার প্রত্যেকটি ট্রাকের সীমানা দ্বিগুণ উঁচু করা হয়েছে কাঠ দিয়ে। এর ফলে এক ট্রাকে দুই ট্রাক সমান বালু পরিবহন করা যায়। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় তৈরি রাস্তা খেয়ে ফেলেছে বালুখেকোরা।


সেতুর কাছে গিয়ে জানলাম – রাস্তা বন্ধ। সেতু ভেঙ্গে গিয়েছে ভারী বালুর ট্রাকের কারণে, তাই মেরামত চলছে। বিকল্প রাস্তা তৈরি করা হয়েছে নদীতে মাটি-বালু ফেলে। সেই রাস্তা ধরেই আমাদের পার হতে হলো। তারপর অল্পবয়সী চালকের একটি অটোরিকশা ভাড়া করে ফেললাম। এই ছেলেটার কথাবার্তা পরিষ্কার – নানা আলাপ করতে করতে আমরা গেলাম গোপালপুরে।

পাহাড়ে

নেত্রকোনা ভ্রমণের সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশ এটুকুই। অটো ড্রাইভার আমাদের নিয়ে গেলো গ্রামের একদম গভীরে। পাহাড় শুরু হয়েছে। মাঝে রাস্তা এঁকেবেঁকে গিয়েছে। পাহাড়ের উপর ঘরবাড়ি আছে। একটা লোক গরু নিয়ে আরও গভীরে যাচ্ছিল। অটো গাড়ির শক্তিতে অতটা গভীরে যাওয়া সম্ভব না। পায়ে হেঁটে এদিক সেদিক কিছুদূর গেলেও শান্তি পাচ্ছিলাম না। পরে ড্রাইভার নিজেই রাস্তা দেখিয়ে দিল। এই পথ ধরে পাহাড়ে উঠলে পাহাড়ের অন্য দিক দিয়ে নামা যাবে গাড়ি নিয়ে সে অপেক্ষা করবে ওখানেই।

বাচ্চারা সহ সকলে মিলে পাহাড়ে চড়লাম। পর্যটকেরা হয়তো আসে এখানে, স্থানীয়রা তো আসবেই। আমাদের কপাল ভালো – কেউ নেই, কেবল আমরাই। পাহাড়টা বেশ উঁচু নয়, টিলাই বলা ভালো। কিন্তু অনেক গাছপালা, ঝোপঝাড়। ঘাসের উপর পায়ে চলা পথ। সেই পথ কখনও উঠে গেছে, কখনও নামছে। কখনও পাহাড়ের একদম কিনারা ঘেঁষে চলেছে। বাচ্চারা খুবই আনন্দ পাচ্ছিল, আমি পাচ্ছিলাম ভয়। আছাড় খেয়ে পড়লে গড়িয়ে পড়তে হবে। ঠিক পথে এগোচ্ছি কিনা সেই ভয়ও পাচ্ছিলাম। কিন্তু এক সময় দেখতে পেলাম নীচে অটোরিকশা নিয়ে আমাদের পাইলট দাঁড়িয়ে আছে। বুঝলাম, রাস্তা একটাই, পথ হারানোর ভয় কম।


নেত্রকোনা ভ্রমণের সমাপ্তি এখানেই। সময়ের অভাব ছিল বলে পাহাড়ে আরও বেড়ানোর ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও ফিরতে হলো।

সোমেশ্বরীতে মুগ্ধ হয়ে ফিরে এসেছিলাম। সোমেশ্বরী মরে গেছে। পাহাড়টা ভালো লেগে গিয়েছে এবার, হয়তো এক দশক বাদে ফিরবো আবার।

(সমাপ্ত)

(প্রায় তিন হাজার শব্দের এই ভ্রমণ অভিজ্ঞতা চারটি কিস্তির পরিবর্তে একসাথে পড়তে চাইলে আমার ব্লগ ঘুরে আসতে পারেন। আর এক দশক আগে ও পরের নেত্রকোনা ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি পিডিএফ-ও রয়েছে সেখানে, চাইলে ডাউনলোড করে নিতে পারেন। ভ্রমণ বিষয়ে অন্যান্য কাহিনীগুলো পাবেন এখানে। ধন্যবাদ।)

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫১

শেরজা তপন বলেছেন: ব্যাপক মন খারাপ নিয়ে আপনার ভ্রমন কাহিনী শেষ করলাম :(
আহা কিভাবে আমাদের সৌন্দর্যগুলো ধ্বংস করে ফেলছি আমরা। ধিক এই জাতির

লেখায় ভাল লাগা।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:০৮

দারাশিকো বলেছেন: ধন্যবাদ এবং ভালোবাসা প্রিয় শেরজা তপন।

দেশের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে আমি কেবল মানুষের লোভ আর নির্বুদ্ধিতা দেখি। সোমেশ্বরী ধ্বংসের পেছনে এই লোভটাই বড় নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে। সরকারি কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাই বেশি। অনুমোদনের চেয়ে বেশি বালু-পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে, ড্রেজার ব্যবহার করা হচ্ছে, ভেজা বালুর ট্রাকে দ্বিগুণ পরিমাণ বালু বহনের মাধ্যমে রাস্তা নষ্ট করতেছে - কিন্তু ঠেকানোর কেউ নেই। আফসোস।

ভালো থাকবেন।

২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৫৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: নেত্রকোনা ভ্রমনের সুন্দর ভ্রমণ অভিজ্ঞতা লিখেছেন। তবে লেখার তুলনায় আরো কিছু ছবি দিলে ভালো লাগতো। যাইহোক খুবই আকর্ষণীয় একটি সিরিজ লাগলো। সময় নিয়ে আগেরগুলোও‌ দেখে আসবো। পোস্টে লাইক।
শুভেচ্ছা আপনাকে।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:১০

দারাশিকো বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ পদাতিক চৌধুরী। ছবির কথা আরও অনেকেই বলেছে, কিন্তু লিখতেই তো ব্লগে আসা। তাছাড়া, এবার ছবি তুলেছি কম, তার উপর লেখার সাথে প্রাসঙ্গিক নয় বলে দেয়া যায়নি। ভবিষ্যতে চেষ্টা থাকবে আরও ছবি তোলার এবং পোস্টে যুক্ত করার।

ভালো থাকুন।

৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:০৮

অপু তানভীর বলেছেন: পুরো ভ্রমন কাহিনীটা একবারে পড়ে ফেললাম । এখানে যাওয়ার ইচ্ছে আমার অনেক দিনের । তবে আপনার বর্ণনা পড়ে মনে হল যে কেবল পাহাড়ের অংশ টুকু বাদ দিয়ে পুরো ভ্রমন আমাকে হতাশই করবে । দেখা যাক যাওয়ার কী করা যায় !



অফটপিকঃ আপনার ব্লগের থিমটা কি প্রিমিয়াম থিম?

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:৫১

দারাশিকো বলেছেন: নেত্রকোনায় সোমেশ্বরী নদী দেখার আশা না করে যেতে পারেন। বিজয়পুর সীমান্তে যে সোমেশ্বরীকে দেখবেন, সেটাই আসল রূপ বলতে পারেন। আর, পাহাড় কিন্তু বান্দরবানের মতো কিছু না, তবে ভালো লাগবে আশা করি।

অট: নারে ভাই। হিটম্যাগ - এর ফ্রি থিম। আমার বেশ পছন্দের। কার্যকরীও।

৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: ভ্রমন কাহিনী আমার খুবই ভালো লাগে।
নতুন আরেকটা ভ্রমন কাহিনী শুরু করুণ।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:৫২

দারাশিকো বলেছেন: করুণ বললেই তো আর শুরু করা যায় না। আবার কোথাও গেলে, তবেই।

৫| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৫১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার এই সংক্রান্ত সব কয়টা পর্ব পড়বো সময় করে। ইন্টারেস্টিং মনে হচ্ছে!! :)

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৪২

দারাশিকো বলেছেন: শুকরিয়া। অল্প কটা ছবি দিয়েছি, অনেকে আরও বেশি ছবি আশা করেছিল। আপনার কেমন লাগলো জানাবেন কিন্তু :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.