নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার সম্পর্কে: https://t.ly/atJCp এছাড়া, বইটই-এ: https://boitoi.com.bd/author/2548/&

দারাশিকো

লেখালিখির প্রতি ভালোবাসা থেকে লিখি

দারাশিকো › বিস্তারিত পোস্টঃ

জন্ম ও যোনির ইতিহাস কেন না পড়লেও চলবে

০২ রা মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৯


মোবাইলে ইংরেজি পত্রিকা স্ক্রল করে যাচ্ছিলাম, তখন শিরোনামটা নজরে এলো। ‘একুশে বইমেলায় প্রীতির বই নিষিদ্ধ’। প্রত্যেক বইমেলাতেই কিছু বইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে, নিষিদ্ধের দাবী করা হয়। বিস্তারিত পড়ে জানা গেলো এবার নিষিদ্ধ বইয়ের নাম ‘জন্ম ও যোনির ইতিহাস’, লেখকের নাম জান্নাতুন নাঈম প্রীতি।

জান্নাতুন নাঈম প্রীতির কোন লিখাই, হোক সেটা বই কিংবা ব্লগ-ফেসবুকে প্রকাশিত, পড়েছি বলে মনে করতে পারি না। তবে তার প্রোফাইল ঘাঁটতে গিয়ে দেখলাম শর্টফিল্মমেকার আসিফ খান এর ‘পোস্টার’ ছবিতে তিনি কাজ করেছিলেন। আসিফ খানের সাথে সেইসময় টুকটাক কথা হয়েছিল, পোস্টার টিমের কয়েকজনকেও চিনতাম। সে হিসেবে প্রীতিকেও হয়তো দেখে থাকতে পারি।

প্রীতি কেন নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে সেটা তার লিখায়, বইয়ের ফ্ল্যাপে লেখক পরিচিতি এবং ফেসবুকে এবাউট পাতায় স্পষ্ট। প্রীতি ক্লাস টু-তে থাকতেই গল্প লিখে পুরস্কার পেয়েছে। পরবর্তীতে বিভিন্ন গ্রন্থ ও বইয়ের জন্য পুরস্কৃত হয়েছে। এর মাঝে উল্লেখযোগ্য হলো ইউনিসেফ মিনা মিডিয়া এ্যাওয়ার্ড, এ্যাঙ্কর প্রথম আলো গল্প লেখা প্রতিযোগিতার খেতাব ইত্যাদি। তার গুরুত্বপূর্ণ বইয়ের মধ্যে একটি হলো শিশুতোষ বই ‘বাংলাদেশ নামটি যেভাবে এলো’। এছাড়া, একাডেমিক পড়াশোনায় কৃতিত্বের জন্য তিনি জাতীয় পর্যায়ে, বিভাগীয় পর্যায়ে পুরস্কার পেয়েছেন বলেও জানা গেলো। এই স্বীকৃতি ও সাফল্য স্বাভাবিকের তুলনায় আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে যে কারণে সেটা হলো তার বয়স। ১৯৯৬ সালে জন্ম নেয়া প্রীতির জন্য অনেক বেশীই।

বাংলাদেশে বই নিষিদ্ধের পেছনে যে কারণগুলো সাধারণত বিদ্যমান থাকে, প্রীতির জন্ম ও যোনির ইতিহাস-এ তার সবগুলোই আছে। বইয়ের নামের মধ্যেই স্পষ্ট যে, প্রীতি তার আত্মজীবনীতে অবাধ যৌনতার গল্প বলবে। আত্মজীবনী হওয়ার কারণেই আরও এমন সব মানুষের নামও আসবে যাদেরকে দেশের মানুষ এক নামে চিনবে। এর ফলে আলোচনা হবে এবং বইয়ের কাটতি বাড়বে। হয়েছেও তাই।

প্রীতি তার যৌনজীবনের স্পষ্ট বর্ণনা দিয়েছেন, বিশেষ করে বিভিন্ন সময়ে যাদের সাথে তিনি শয্যাসঙ্গী হয়েছেন। এদের মধ্যে আইনজীবী ইমতিয়াজ মাহমুদ এবং মনপুরা চলচ্চিত্রের পরিচালক গিয়াসউদ্দিন সেলিম এর নাম রয়েছে। এছাড়া, অন্যান্যরা কার সাথে কে শুয়েছে তারও উল্লেখ করেছেন। ফলে গিয়াসউদ্দিন সেলিমের শয্যাসঙ্গী হিসেবে জয়া আহসান এবং পরীমনির নাম যেমন এসেছে, তেমনি টেকনাফে ওসি প্রদীপ-এসআই লিয়াকতের ক্রসফায়ারে নিহত মেজর রাশেদ সিনহার সাথে শিপ্রা দেবনাথের নামও এসেছে। আরও এসেছে বিখ্যাত কবি হেলাল হাফিজ সহ অনেকের নাম।

এটুকুই। বিভিন্ন জায়গায় প্রীতির এই বইকে যেভাবে অশ্নীল সাহিত্য, চটি ইত্যাদি বলে পরিচিত করানো হচ্ছে সেটা যথেষ্ট সৎ নয়। যারা এ ধরণের অশ্লীল সাহিত্য পড়তে আগ্রহী, তারাও বেশ হতাশ হবেন নিশ্চিত। এর চেয়েও অশ্লীল বর্ণনা লিখে বহু বাংলাদেশী সাহিত্যিক বিখ্যাত হয়েছেন, নির্দিষ্ট এক ঘরানার মানুষের কাছে পূজনীয় হয়েছেন। যেমন হুমায়ূন আজাদ। নারীদের মধ্যে তসলিমা নাসরিন ছাড়া আর কারও নাম জানি না। প্রীতি এই দুজনকেই পছন্দ করেন, হয়তো তাদের পথ অনুসরণ করতেও চেয়েছেন।

প্রীতির বইয়ের মজার দিক হলো প্রেম-যৌনতা বিষয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গী। যৌন সম্পর্কের ব্যাপারে বাংলাদেশের স্বাভাবিক মানুষের যে অবস্থান ও রক্ষণশীলতা, প্রীতির তা নেই। ফলে বিবাহ ব্যতিরেকেই কারও সাথে বিছানায় যাওয়াকে তিনি মোটেও অন্যায় মনে করেন না। তবে বিছানায় যাওয়ার স্বপক্ষে তিনি যুক্তি হিসেবে প্রেমের সম্পর্ক থাকা উচিত বলে মনে করেন। তার বইয়ে উল্লিখিত সকল পুরুষের দোষ হিসেবে তিনি প্রেমহীন শারীরিক আকর্ষণকে চিহ্নিত করেছেন। ব্যাপারটা একটু অদ্ভুত। শারীরিক সম্পর্ক নিয়ে একদিকে যেমন তার রক্ষণশীলতাহীনতা রয়েছে, অন্যদিকে এমন সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রেমের পূর্ব শর্ত জুড়ে দিয়ে তিনি রক্ষণশীল অবস্থান নিচ্ছেন। যে সকল পুরুষ তার সাথে সম্পর্ক স্থাপন করেছেন বা করতে আগ্রহী হয়েছেন, তারা কিন্তু এ দুয়ের কোন ক্ষেত্রেই রক্ষনশীল নন। শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে প্রীতি রক্ষণশীল না হয়ে রুচিশীল হতে পারতেন, তাহলে শারীরিক সম্পর্কের পেছনে প্রেমের অভাব উপলব্ধি করে মানসিক যন্ত্রণায় ভুগতেন না।

প্রীতির বইতে আরও যা থাকা উচিত – সমকামিতা, নাস্তিকতা, ধর্ম-বিরোধিতা – সবই আছে। সুযোগ পেলেই তিনি ধর্ম, বিশেষতঃ ইসলাম ধর্ম, এবং ধর্ম প্রচারক ও ধর্মের অনুসারীদেরকে কটাক্ষ করেছেন, আক্রমণ করেছেন। এছাড়া সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের দূর্নীতি নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে গ্রেফতারি এড়াতে পালিয়ে বেড়ানো এবং ফ্রান্সে আশ্রয় গ্রহণ করার ঘটনাবলী উল্লেখ রয়েছে।

প্রীতির মত চিন্তাভাবনা যারা ধারণ করেন তারা ধর্মীয় নির্দেশনা, মতামত ও অনুসাশনের বিরোধী হবেন এটাই স্বাভাবিক। মোটাদাগে বাংলাদেশের সামাজিক রীতিনীতি ধর্মীয় অনুসাশনের মধ্য দিয়ে নির্ধারিত হয়েছে। ফলে প্রীতিদের অনৈতিক ও অবৈধ যৌনতার বিষয়ে সমাজ ও ধর্ম সবসময়ই বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় এবং এ কারণেই প্রীতিদের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতেও পরিণত হয়।

প্রীতি নিজেকে সাহসী মানুষ হিসেবে মনে করেন। নিজের জীবনের নোংরা বিষয়াবলী এবং সমাজের নোংরামি নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করা যদি সাহসের পরিচায়ক হয় তাহলে সিটি কর্পোরেশনের সুইপাররা এদেশের সবচেয়ে সাহসী হতো। প্রীতিকে খুব একটা দোষও দিতে পারি না। এদেশের পত্রিকাগুলো বিনোদন জগতের নায়িকার সংক্ষিপ্ত কাপড় পড়া বা কাপড় না পড়াকে যেভাবে সাহসের পরিচায়ক হিসেবে উপস্থাপন করে তাতে তাতে যে কারও এ ধরণের মানসিকতা গড়ে উঠতে পারে। ব্যক্তিগত খায়েশ পূরণের জন্য বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর বিশ্বাস ও মতামতের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো সাহসিকতা নয়, আহাম্মকি। প্রতিবাদ করতে গিয়ে যৌক্তিক ও সর্বজনগ্রাহ্য কোন উপায় অবলম্বন না করে নিজেকে ন্যাংটোভাবে উপস্থাপন করাও এক ধরণের উন্মাদনা ও অসুস্থ্যতা যা আমাদের দেশের হিজড়াগোষ্ঠী চাঁদাবাজিতে ব্যর্থ হলে অবলম্বন করে। অবশ্য ফ্রান্সের আশ্রয় ও পৃষ্ঠপোষকতায় লালিত-পালিত হলেও এ ঘটনা ঘটতে পারে। শুনেছি সেখানকার অক্ষম নারী-পুরুষেরা নাকি প্রতিবাদের জন্য এ ধরণের অহিংস(!) উপায় গ্রহণ করে।

প্রীতি প্রকৃতপক্ষেই সাহসী হয়ে উঠতে পারতেন যদি জনমানুষের কল্যাণ হয় এমন বিষয়গুলোতে কাজে অংশগ্রহণ করতেন। নারীদের কল্যাণে করার মতো কাজের অভাব এই দেশে নেই। নারী স্বাধীনতার নামে প্রীতি যেরকম অবাধ যৌনতা, সমকামিতা, নাস্তিকতা আর ধর্ম-বিরোধিতার পথ বেছে নিয়েছে, তা বেশিরভাগ নারীরই না-পছন্দ। প্রীতির মাতো নারীর নেতৃত্বে নারীরা যে অগ্রসর হতে অনাগ্রহী সেটা প্রীতি এবং তার মতো নারীরা যত দ্রুত বুঝবেন ততই কল্যাণ।

কে কার সাথে শুইল – সেটা জেনে আপনার আমার আসলে ফায়দা কি? জৈবিক তৃপ্তি ছাড়া আর কোন উপকার বোধহয় নাই। সাধারণভাবে কম বেশি সবার নৈতিকতা এখন এমন পর্যায়ে যে মনে মনে এ ধরণের ভোগের সম্পর্কে জড়াতে আগ্রহী। এদের বড় অংশই সুযোগ পায় না বলে কার সাথে কে শুইল তা জানতে আগ্রহী হয়। মিডিয়ায় কাজ করে এমন নারী পুরুষের মধ্যে কম বেশি সকলেই এ ধরণের অনৈতিক সম্পর্কে জড়ায়, গিয়াসউদ্দিন সেলিম, জয়া বা পরিমনির নাম না জানলেই বা কি হতো! পত্রিকার পাতায় প্রেমের গুঞ্জন বলে যা শুনবেন তার সবটাকেই সত্যি হিসেবে ধরে নিতে পারেন, কারণ নিশ্চিত জেনে রাখেন, বিনোদন সাংবাদিকরা না জেনে পত্রিকার পাতায় সংবাদ ছাপান না।

যদি শুধু প্রবৃত্তির চাহিদা পূরণই আপনার লক্ষ্য হয়ে থাকে, তাহলে সত্যিই এই বইতে সেরকম কিছু নেই। এখানে শারীরিক বিষয়ে কোন রগরগে বর্ণনা নাই যেমনটা হুমায়ূন আজাদের বইতে পাবেন। যদি ধর্মীয় বিষয়ে কেউ কটুকথা বললে আপনার কষ্ট হয়, যদি মুসলমান হিসেবে আপনার প্রিয় নবী সম্পর্কে হাস্যকর ও অযৌক্তিক কথা শুনলে আপনার হৃদয়ে ক্ষত তৈরি হয় তাহলেও এই বই আপনার পাঠ করা উচিত হবে না। কারণ জেনে রাখুন, আপনাকে এই ধরণের কথাগুলো জানানোর জন্য, আপনাকে বিভ্রান্ত করার জন্যই এই টোপ ফেলা হয়েছে। প্রীতি এমন কোন মহান ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেননি যার আত্মজীবনীর আড়ালে উপস্থাপিত অন্যের শিখিয়ে দেয়া বুলি থেকে আপনি প্রকৃতপক্ষেই কিছু শিখতে পারবেন। প্রীতির অভিজ্ঞতার ঝুলিতে কিছু বিখ্যাত ব্যক্তির সাথে সম্পর্ক আর যোগাযোগ ছাড়া আর কিছুই নেই, তিনি আরেকজন তসলিমা নাসরিন হয়ে উঠতে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন কেবল, শেষ পর্যন্ত তাও হয়ে উঠতে পারবেন কিনা সন্দেহ আছে।

বরং প্রীতি ও প্রীতিকে যারা প্রমোট করেন তাদেরকে এড়িয়ে চলতে শিখুন। প্রীতির বই না পড়লে আপনার জীবনে কোন প্রভাবই পড়বে না। প্রীতিকে নিয়ে না লিখলে, প্রীতির ফেসবুক প্রোফাইলে চোখ না বুলালে এবং কোন মন্তব্য না করলেই ভালো। কারণ আপনার এই কাজটিই তাকে নতুন করে শক্তি জোগাবে, তাকে আলোচনায় রাখবে এবং নতুন নতুন সমালোচিত বই লিখতে উৎসাহিত করবে। তাকে তার মতো থাকতে দিন, সামাজিকভাবে বয়কট করুন এবং আরও বহু মানুষের মতো কালের গহবরে তাকেও হারিয়ে যেতে দিন

আমার ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটে বই বিষয়ক অন্যান্য পোস্ট

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৮

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


প্রীতিকে রোকেয়া হতে বাধ্য করবে কারা?

০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:০১

দারাশিকো বলেছেন: বাধ্য করার দরকার কি?

(ঢাকায় ছিলাম না বলে উত্তর দিতে দেরী হয়ে গেলো। আন্তরিকভাবে দুঃখিত!)

২| ০২ রা মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:৫৭

অধীতি বলেছেন: লেখক বলেছেনঃ ব্যক্তিগত খায়েশ পূরণের জন্য বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর বিশ্বাস ও মতামতের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো সাহসিকতা নয়, আহাম্মকি।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:০২

দারাশিকো বলেছেন: ধন্যবাদ অধীতি। ঢাকায় ছিলাম না বলে উত্তর দিতে দেরী হয়ে গেলো। আন্তরিকভাবে দুঃখিত!

ভালো থাকবেন।

৩| ০২ রা মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:৪৯

শেরজা তপন বলেছেন: তার ভান্ডারে যা ছিল সব উপুড় করে দিয়েছে। ভবিষ্যতে কাকে আর ফাঁসাবে!

০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:০৫

দারাশিকো বলেছেন: হা হা। আপনার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে যোগ করতে পারি - ‌'ভান্ডারে আপাততঃ যা ছিল', ভবিষ্যতে ভান্ডারে যে নতুন কিছু জমবে না, সেটা নিশ্চিত করে বলা যায় না। ধরেন, এই বই প্রকাশ ও নিষিদ্ধের যে ঘটনাপ্রবাহ-আলোচনা-সমালোচনা, সেগুলোও তো ভান্ডারে জমা হচ্ছে, সামনে হয়তো তৃতীয় আত্মজীবনীতে পাওয়া যাবে।

(ঢাকায় ছিলাম না বলে উত্তর দিতে দেরী হয়ে গেলো। আন্তরিকভাবে দুঃখিত প্রিয় শেরজা তপন!)

৪| ০২ রা মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:৩১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার লেখাটা অনেক ভালো লাগলো, বস্তুনিষ্ঠ।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:১৪

দারাশিকো বলেছেন: কৃতজ্ঞতা জানাই সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই। এই মন্তব্য অনুপ্রেরণাদায়ক!

(ঢাকায় ছিলাম না বলে উত্তর দিতে দেরী হয়ে গেলো। আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।)

৫| ০৩ রা মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:০৩

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: এই প্রথম মনে হয় আপনার লেখা পড়লাম। দারুণ বিশ্লেষণ।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:১৬

দারাশিকো বলেছেন: আমিও সম্ভবত এই প্রথম আপনার মন্তব্য পেলাম। চমৎকার মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ রূপক বিধৌত সাধু! ভালো থাকবেন।

৬| ০৩ রা মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: এই মেয়ে মূলত চায় সবাই তাকে চিনুক। জানুক। তাকে নিয়ে আলাপ আলোচনা করুক।
খালি কলস বাজে বেশি।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:৩১

দারাশিকো বলেছেন: হতে পারে। কলস খালি না, তার গদ্য ভালো। ভালো কিছু সৃষ্টি করলেই হয়।

৭| ০৩ রা মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩১

নেওয়াজ আলি বলেছেন: এই উনি প্রচুর পরিচিত হলেন । আর নিষিদ্ধ জিনিস মানুষ খোজে বেশী

০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৯

দারাশিকো বলেছেন: হ্যাঁ, এটা সত্যি কথা। বইটার পিডিএফ পাওয়া যায় একটা ওয়েবসাইটে, ওখানে দেখলাম - এই বইটা ডাউনলোড হয়েছে ৪৪ হাজারের বেশি বার। তাহলেই বুঝেন অবস্থাটা!

ভালো থাকুন :)

৮| ০৩ রা মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:১৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: আলোচনাটি সুলিখিত তো বটেই, নির্মোহ এবং objective ও। আলোচনায় পরিমিতিবোধের পরিচয় দিয়েছেন। ভালো লেগেছে। + +

এক নজরে আপনার ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটটির (নীচে দেয়া লিঙ্ক ধরে) উপরেও একটু চোখ বুলিয়ে এলাম। সেটাও বেশ পরিচ্ছন্ন, ভালো লেগেছে।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৭

দারাশিকো বলেছেন: ঢাকায় ছিলাম না বলে উত্তর দিতে দেরী হয়ে গেলো, আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আপনার মন্তব্যটা অনুপ্রেরণাদায়ক। আমার ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটে ঘুরে আসার জন্যও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আবারও আসবেন। ভালো থাকুন প্রিয় খায়রুল আহসান :)

৯| ০৩ রা মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:০৯

রানার ব্লগ বলেছেন: ইহা প্রিতীর ব্যাক্তিগত ডায়েরি।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৮

দারাশিকো বলেছেন: হুম :)

১০| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩ রাত ২:১১

শার্দূল ২২ বলেছেন: দুটি মনের সম্মতিক্রমে যেই ক্রিয়া সম্পাদিত হয় সেটা বৈধ ক্রিয়া .

শিরোনাম দেখে কি বলতে আসছি আপনার লেখা পড়তে পড়তে আমি সেটাই ভুলে গেছি । বিষয়টা অনেক গুরুত্বপুর্ন কিন্তু আমি ভাবছি এই বিষয় আমি ধর্মীয় আলোকে বলবো নাকি একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে বলবো বুঝতেছিনা।

আল-কোরাণে আল্লাহ বলেছেন যদি কোন অবিবাহীত মানুষ বিবাহ বহির্ভুত যৌন কাজে লিপ্ত হয় আর তা যদি কেউ দেখেছে বলে বিচার দাবি করে তাহলে বাদি যেন ৪ জন স্বাক্ষি হাজির করে, যদি তা পারে তাহলে অপরাধিদের ৮০ দোর্রা দিয়ে ছেড়ে দাও, আর যদি বাদি তা না পারে তাহলে বাদিকে ১০০ দোর্রা দেয়া হোক।অপরাধিদের নিঃশর্ত মুক্তি ,এমনই একটা বিচার আল্লাহ বলেছেন। এখন প্রশ্ন হলো যৌন কর্ম কে করে ৪ জনের সামনে? তার মানে এই কাজটা যদি কেউ করে তারা করুক সিসি ক্যমেরা নিয়ে তার পিছে পিছে আপনাকে না হাটার জন্য আল্লাহ উৎসাহ দিচ্ছেন। যারা এই কাজ করবেন তারা যেন নিজ দায়িত্ব আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নেয়। এটাই হলো বাধ অবাধ যৌন কাজের করনীয়।

নিজেকে উঠানো নামানো টাঙানো নিংরানো যেই উদ্দ্যেশ্যেই যৌন কাজ করা হোকনা কেন সেটা সেই ব্যক্তিদের দায়। এখানে কে ভালোবেসে করছে কে ভালো পেতে ভালো খেতে চলতে করছে সেটা তৃতীয় ব্যক্তির দায় নেই। প্রীতিরা হলো এই সমাজের হিপোক্রেট।

আর আপনি হুমায়ুন আযাদের বই কে রগরগে যৌন বই বলছেন।আমি সেই কথাটার জন্যই এখানে মন্তব্য করতে আসছি, প্রীতি নাসরিন এরা আমার কাছে মানসিক বিকার গ্রস্থ্ প্রানী মনে হয়। সমাজে কিছু মানুষ আছে চটি বই পড়ে যৌন সুরসুরি নেয় আর এরা লিখতে লিখতে ,দুই পক্ষই চটিবাজ।
আমি সিওর আপনি তার নারী বইটা পড়েছেন। আমিও পড়েছি বইটা, শুধু নারী না ,হুমায়ুন আযাদের কোন বই নেই যে আমি পড়িনি। কিন্তু আমি তার বইতে কোন যৌনতা পাইনি। বরং যারা ভালোবাসা সম্পর্ক ব্যতিত বহুগামী এবং কুৎসিৎ যৌন পিপাষু তাদের তিনি নিচু ভাবে তুলে ধরেছেন।

হুমায়ুন আযাদের নারী বই যখন প্রকাশ পেলো ততকালিন জিয়া সরকার তা নিষিদ্ধ করে দেন। আমরা নিষিদ্ধ বিষয়ে বেশি আগ্রহ দেখাই। এবং সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়েছে সেই নারী বইটি পড়ার জন্য। ঐ সময়রে বাস্তবতায় একটা যৌনাচার নিয়ে লেখা বই বর্তমানে সানিলিওনের ভিডিওর মতই প্রভাব বিস্তার করতো। সঙ্গত কারণেই মানুষ এই বইটি এতটাি লুফে নিচ্ছিলো যে ছাপা খানা থেকে মলাট ছাড়াই বইটি কিনে নিচ্ছে । এটা দেখে হুমায়ুন আযাদ খুশি না হয়ে বরং খুব কষ্ট পেয়েছেন যে বাঙালী তার বইটাকে চটি বই ভেবেই লুফে নিচ্ছে যেখানে হুমায়ুন আযাদ তুলে ধরতে চেয়েছেন যে নারীকে পুরুষ মানুষ না ভেবে এক টুকরো মাংস পিন্ডের মত নেয় । একটা নারীকে পুরুষ কিভাবে খুলে খুলে কাঁটা চামচ দিয়ে খুছিয়ে খুচিয়ে খায় সেটার তুলে ধরতে চেয়েছেন ।

নারী বইয়ের প্রথম লাইন- কেউ নারী হয়ে জন্মায়না, ক্রমশ নারী হয়ে উঠে, এই নারী বানানোর কারিগর আল্লাহ নন, এই নারী বানায় পরিবার সমাজ। শিশুটিকে যতটা নারী করে বানানো হবে বাজারে তার মুল্য ততটাই।

নারী বইটির বিক্রি যখন তুঙ্গে তখন সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলো হুমায়ুন আযাদকে যে- কি এমন আছে বইটায় যে বইটির মলাট লাগানোর সময় পাচ্ছেনা ছাপা খানা, মলাট ছাড়াই কিনে নিচ্ছে? হুমায়ুন আযাদ একটু চুপ থেকে উত্তর দিলেন - আমাদের সমাজে নারী মলাট ছাড়াই জনপ্রীয়।

আমরা এমন জাতি একদল নগ্নতার দাবি নিয়ে.নগ্ন হয়ে মিছিল করে আরেক সভ্য জাতি দুরে দাড়িয়ে তাদের ছবি তুলে রাতে বুকে হাত বুলায়।

শুভ কামনা



০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:৫২

দারাশিকো বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার বিস্তারিত এবং চমৎকার মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন শার্দূল।

১১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩ সকাল ৭:১৯

সোহানী বলেছেন: আপনার সাথে একমত।

আমি তার নাম মাত্রই শুনে তার লিখা বা পরিচয় খুঁজতে যেয়ে যা পেয়েছি তা হলো, সে ক্লাস টু থেকে কি কি পুরস্কার পেয়েছে তার বিশদ বিবরন। নিজের ঢোল পিটাও ভালো কথা, কিছুতো থাকতে হবে পিটানোর জন্য!! ক্লাস টু এর পুরস্কার বা সে পরমিান জ্ঞান নিয়ে ঢোলটা বড্ড বাজে শোনায়।

তসলিমা একজন ডাক্তার ছিলেন। যথেস্ট পড়াশোনাও ছিল। তার ঢোলটা অতটা বাজে শোনায়নি।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৩

দারাশিকো বলেছেন: আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ সোহানী। তার এই বিষয়টা আমিও খেয়াল করেছিলাম। এমনটাও মনে হয়েছে যে অল্প বয়সের এই স্বীকৃতিগুলো তার জন্য ক্ষতিকর হয়েছে।

১২| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:৫৪

বিটপি বলেছেন: চটি পড়ার নেশা ত্যাগ করেছি প্রায় বছর দশেকের বেশি হয়ে গেল। মাঝে মাঝে সেরকম নেশা উঠলে হুমায়ূন আজাদের সাহিত্য (!) পড়ি আবার মাঝে মাঝে তসলিমা নাসরীনেও হাতাই। কিছুটা কাজ হয়। কিন্তু আপনি যে বইয়ের নাম শুনালেন, তাতে আবারো সেই বিচিত্র নেশা উঠেছে। এখান এই বই না পড়া পর্যন্ত তো শান্তি পাচ্ছিনা।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:৫৩

দারাশিকো বলেছেন: পড়ার পর আরেকবার আইসেন। শান্তি পাইলেন কিনা জানায়েন।

১৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:০৫

নতুন বলেছেন: no publicity is bad publicity

এই বই নিয়ে যত আলোচনা হবে ততই মানুষ বেশি পড়বে।

আমিও আগের এক ব্লগের আলোচনা থেকে অনুপ্রানিত হয়ে এই বই নামিয়ে ছিলাম। আসলেই এই বই না পড়লেই চলে। কিন্তু জনগনের এই আলোচনা এটাকে সুপার হিট বানিয়ে দেবে মনে হচ্ছে।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:৫৪

দারাশিকো বলেছেন: জ্বি। পিডিএফ ডাউনলোড হয়েছে ৪৪ হাজারের বেশি। এতদিনে পঞ্চাশ পার হয়েছে কিনা কে জানে।

১৪| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:৫৯

নতুন বলেছেন: বিটপি বলেছেন: চটি পড়ার নেশা ত্যাগ করেছি প্রায় বছর দশেকের বেশি হয়ে গেল। মাঝে মাঝে সেরকম নেশা উঠলে হুমায়ূন আজাদের সাহিত্য (!) পড়ি আবার মাঝে মাঝে তসলিমা নাসরীনেও হাতাই। কিছুটা কাজ হয়। কিন্তু আপনি যে বইয়ের নাম শুনালেন, তাতে আবারো সেই বিচিত্র নেশা উঠেছে। এখান এই বই না পড়া পর্যন্ত তো শান্তি পাচ্ছিনা।

B-) ভাই চটির নেশায় পড়তে গেলে পুরাই নিরাশ হবেন। বাংলা চটি সাহিজ্যে রসময় গুপ্তের চেয়ে ভালো আর কেউই নেই।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:৫৪

দারাশিকো বলেছেন: যা বলছেন!

১৫| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:০০

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ভাল মতামত।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:৫৪

দারাশিকো বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় সাহাদাত ভাই :)

১৬| ০৮ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:১৫

ফুয়াদের বাপ বলেছেন: বইটা নিয়ে এপর্যন্ত যতোগুলো রিভিও পড়েছি তার মধ্যে আপনারটা বেষ্ট লেগেছে। সুন্দর লেখনীর জন্য সাধুবাদ।

মানুষ মনে হয়ে স্বভাবগত ভাবেই বহুগামী। সমাজিক শৃঙ্খলা, ধর্মীয় বাঁধা, পারিবারিক বন্ধন, ভালোবাসার টান মানুষকে একগামী থাকতে বাধ্য করে। কেউ কেউ সকল বাধাকে চাদরে ঢেকে নিজেকে নগ্ন করে চুপিসারে। কেউ কেই খোল্লামখাল্লা খদ্দের ডাকে টানবাজারের রাস্তার ধারে, একটু আধুনিক হলে ফেবু তটে এক্সকর্ড গার্ল।

আমার মনে হয় বেশিরভাগ নারী-পুরুষই সুযোগের অভাবে ভদ্র। সুযোগ পেয়ে সেই ভদ্রতা উপরে ফেলে যারা প্রীতি প্রতি আকৃষ্ট হয়েছেন তাদের বেলুন ফেটেছে বৈকি। সাথে প্রীতিও পেয়ে গেল দ্রুত সস্তা জনপ্রিয়তা। এই জনপ্রিয়তা তাকে বড় মাপের লেখক বানাবে না বরং স্বস্বীকৃত পতিতা হয়েই থাকবে।

০৮ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:৫৮

দারাশিকো বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রিয় ফুয়াদের বাপ।
ভালো থাকবেন।

১৭| ০৮ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:১২

জাহিদ অনিক বলেছেন: পড়া হয় নি। ইচ্ছা শেষ হয়ে গেছে। ধন্যবাদ

০৯ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৮:৫৯

দারাশিকো বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় জাহিদ অনিক। আপনি ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

১৮| ০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:১৪

নীল আকাশ বলেছেন: পড়লাম এটা। তবে আপনি ওর লেখায় কিছু বিষয় এড়িয়ে গিয়েছেন। সে ধান্দাবাজ মেয়ে। ইচ্ছাকৃত ভাবে কারো নাম ফাস করেছে কারো টা করেনি। কেন কারো নাম গোপন করেছে ভেবে বের করুন? ও যা যা লিখেছে সব সত্য ধরে নিয়েছেন কেন?
শুভ কামনা।

০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:৩৯

দারাশিকো বলেছেন: ধন্যবাদ নীল আকাশ। কেন কারও নাম গোপন করেছে সেটা নিয়ে আসলে ভাবার প্রয়োজন বোধ করি নাই। সে যার ক্ষতি করতে চেয়েছে এবং যার নাম বললে সবাই চিনবে, সেজন্য নাম বলেছে - এটা হতে পারে। আরও অনেক কারণ থাকতে পারে। বাকীরা হয়তো এখনও তার শত্রু হয় নাই। বা, বাকীদের নাম বললে যেহেতু কেউ চিনবে না - সেহেতু নিজেকে ভালো রাখার যে চেষ্টা সেটা ব্যর্থ হবে - এ কারণেও হয়তো নাম বলে নাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.