নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার সম্পর্কে: https://t.ly/atJCp এছাড়া, বইটই-এ: https://boitoi.com.bd/author/2548/&

দারাশিকো

লেখালিখির প্রতি ভালোবাসা থেকে লিখি

দারাশিকো › বিস্তারিত পোস্টঃ

রমজানের সামাজিক প্রস্তুতি

১১ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:২৯



সময় বাকী পনেরো দিনেরও কম। এই মার্চের ২২/২৩ তারিখ থেকে শুরু হবে পবিত্র রমজান মাস। অনেকে এর মধ্যেই রমজানের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ শুরু করে দিয়েছেন। বিশেষতঃ বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ ব্যবসায়ীরা বরাবরের মতই গলাকাটার প্রস্তুতি নিয়েছেন, অন্যদিকে গলা বাঁচাতে অপেক্ষাকৃত স্বচ্ছল লোকজন রমজানের প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী কিনে রাখছেন। আধ্যাত্মিক পূর্ণতা লাভে সহায়তার জন্য নানা ধরণের সভা-সেমিনার, আলোচনা-বক্তৃতা, ওয়াজ ইত্যাদি শুরু হয়েছে, আগ্রহীরাও সেগুলো থেকে উপকৃত হওয়ার জন্য অংশগ্রহণ করছেন বা ইচ্ছা করছেন। ব্যক্তিগত পর্যায়েও প্রস্তুতি চলছে – ইবাদতের পরিমাণ বাড়াচ্ছে। রমজানের আধ্যাত্মিক প্রস্তুতি গ্রহণের পাশাপাশি সামাজিক প্রস্তুতিও গ্রহণ করা যেতে পারে। কিছু আইডিয়া দিচ্ছি।

১। রোজাদারকে ইফতার করানো একটি উত্তম কাজ। কিভাবে বেশি মানুষকে ইফতার করানো যায় সেই উপায় খুঁজে নেয়া যেতে পারে। অনেক মসজিদে ইফতার আয়োজন করে, সেখানে অংশগ্রহণ করা যেতে পারে। যারা ব্যাচেলর বা মেসে থাকেন, তারা সেখানে বাকীদের ইফতার করানোর উদ্যোগ নিতে পারেন। একদিনের বড় আয়োজনের চেয়ে নিয়মিতভাবে ছোট আয়োজন করলে উপকার বেশি পাওয়া যাবে মনে হয়।

২। ইফতার করানো ছাড়াও খাদ্য সহায়তা দেয়া আরেকটি উত্তম কাজ। এ বছর খাবারের দাম যেহেতু বাড়তি, তাই এটাও খুব ফলপ্রসূ হতে পারে৷ সামর্থ্য অনুযায়ী ইফতার বা অন্যান্য খাবারের একটা প্যাকেজ চিন্তা করে নিন, তারপর আত্মীয় স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীদের মধ্যে যারা অপেক্ষাকৃত দরিদ্র, তাদেরকে উপহার হিসেবে দিন। এই দুর্মূল্যের বাজারে উপহার হিসেবে খাদ্যসামগ্রী পেলে নিশ্চয়ই খুশি হবেন তারা।

৩। আমাদের বন্ধু ও আত্মীয়দের মধ্যে কিছু মানুষ থাকে যারা আধ্যাত্মিকভাবে অনগ্রসর। হয়তো নিয়মিত নামাজ পড়ে না অথবা পড়লেও অন্য দিকে ঘাটতি আছে। রমজানের আগে থেকেই তাদেরকে রমজানের প্রস্তুতি নেয়ার জন্য উৎসাহিত করা, প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা ও খোঁজ খবর নেয়া শুরু করা যেতে পারে। যে কোন কাজেই সঙ্গী থাকলে ভালো ফল পাওয়া যায়। আমরা যদি ভালো মুসলমান হবার ক্ষেত্রে তার সহযোগী হতে পারি, তাহলে হয়তো সেও নিয়মিত হবে।

৪। ইসলামের একটি আর্থিক ইবাদত হলো যাকাত। রমজান মাসেই সাধারণত সকলে যাকাত হিসাব ও আদায় করে থাকে। রমজান মাস আসার আগেই তাই যাকাত হিসাবায়ন এবং আদায়ের বিষয়ে প্রস্তুতি নেয়া যেতে পারে। যাদেরকে যাকাত দেয়া যেতে পারে তাদেরকে আগে থেকেই চিহ্নিত করা, যারা যাকাত দেয়ার মতো স্বছল তাদেরকেও উৎসাহিত করা গেলে সঠিকভাবে আদায় এবং ব্যবহার নিশ্চিত করা সম্ভব।

৫। এই আইডিয়াটা সবার জন্য সম্ভব হবে না হয়তো। যারা একটু বড় প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন এবং যেখানে কিছুদিন পরপর কর্মী ও তাদের আত্মীয় স্বজনের সহায়তার জন্য চাঁদা তুলতে হয়, তারা এই উদ্যোগটি নিতে পারেন। প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় একটি তহবিল গঠন করে সেখানে প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের স্বেচ্ছায় যাকাত, দান ইত্যাদি দেয়ার জন্য উৎসাহিত করা যায়। সহকর্মীদের বিপদ-আপদে এই তহবিল থেকে সহায়তা দেয়া গেলে বছরের অন্য সময়ও চাপ কমবে।

৬। এলাকায় যে হোটেল রেস্তোরাঁগুলো রয়েছে সেখানেও বোধহয় সামাজিক কিছু প্রস্তুতিমূলক কাজ করার সুযোগ রয়েছে। ইফতারের আয়োজনে যেন ভেজাল না দেয়া হয় এবং দিনের বেলা খাবারের হোটেল চালু রাখলেও সেটা যেন গোপনীয়তার সাথে পরিচালনা করা হয় সে ব্যাপারে উৎসাহিত করতে পারেন। আশা করা যায় আগে থেকেই অনুরোধ করলে তারা পালনের চেষ্টা করতে পারে।

৭। তুরস্কে একটা ভালো কাজ প্রচলিত রয়েছে বলে শুনেছি। সেখানে রুটির দোকানদাররা দোকানে আলাদা একটি পাত্র রাখেন। কেউ রুটি কিনতে এলে ইচ্ছেমাফিক রুটি কিনে সেই পাত্রে রেখে দেয়। অন্যদিকে দরিদ্র যে মানুষটি রুটি কিনতে পারছে না সে সেই পাত্র থেকে প্রয়োজনীয় রুটি সংগ্রহ করে নেয়। বাংলাদেশেও করোনার সময় কেউ কেউ এমনটা চালু করেছিল। আমরা কয়েকজন মিলে যদি বাজারের দোকানগুলোতে এরকম একটা পাত্র রাখার ব্যবস্থা করি এবং সাথে একটা নোটিশ টানিয়ে দেই, তাহলে কে জানে, হয়তো কিছু লোক সেই পাত্রে দান করতে আগ্রহী হবে আর কিছু লোক প্রয়োজনমাফিক নিয়েও যাবে। আল্লাহ ভালো জানেন।

সকলে মিলে এবং সকলের কল্যাণে যদি কিছু করা হয় তবে সেটাকেই সামাজিক কাজ হিসেবে ধরে নেয়া যায়। সে হিসেবে রমজানের প্রস্তুতির জন্য সামাজিক কাজ কি হতে পারে তা আপনিও ভেবে চিন্তে বের করে নিতে পারেন। আপনার বন্ধু এবং পরিবারের সাথে আলোচনা করে সমাজের লোকদের কল্যাণে কি করা যায় সেটা ঠিক করতে পারেন। তারপর আরও বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করে সেটা বাস্তবায়নের চেষ্টা করাটাও রমজানের একটা সামাজিক প্রস্তুতি হতে পারে। আমি কেবল কিছু আইডিয়া দিচ্ছি, আমি নিজে তার কিছু পালন করতে চেষ্টা করি, কিছু পালনের স্বপ্ন দেখি। আপনাদের সাথে শেয়ার করার উদ্দেশ্য একটাই, যদি এই লিখা থেকে আপনারা কেউ উৎসাহিত হন এবং বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হন, তাহলে সমাজের মানুষেরা উপকৃত তো হবেই, তার সওয়াব আমিও পাবো।

রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে রমজানকে সঠিকভাবে পালনের সুযোগ করে দিন। আমীন।

ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটে ধর্ম বিষয়ে আমার অন্যান্য চিন্তাসমূহ

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:২৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: রমজান মাসে আল্লাহতায়ালা ইবলিশ শয়তানকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখেন। সেই কারণে ইবলিশের কাজটা রমজান মাসে লোভী ব্যবসায়ীরা করে দিয়ে থাকেন সীমাহীন লাভ করার মাধ্যমে।

অনেক দামী হোটেলে একজনের ইফতারির দাম থাকে প্রায় ৫/৬ হাজার টাকা বা আরও বেশী। এই ইফতারি খেলে রোজা হবে কি না এটা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে।

দেশের সুদি প্রতিষ্ঠানগুলি ধুমধাম করে ইফতার পার্টির আয়োজন করে থাকে। কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলি ইফতার পার্টি না করে এই টাকা গরীবদের উদ্দেশ্যে ব্যয় করতে পারে। আসলে এই ইফতার পার্টি প্রতিষ্ঠানগুলির মান সম্মানের ( সামাজিক অবস্থান) একটা ব্যাপার। মান সম্মান রক্ষার জন্য এবং ব্যবসার বিপনন এবং প্রচারমূলক কর্মকাণ্ড হিসাবে মুলত ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়ে থাকে।

১২ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:৩০

দারাশিকো বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ প্রিয় সাড়ে চুয়াত্তর। মোটাদাগে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে নৈতিকতাবোধের ঘাটতি আছে। সুযোগের অভাবে অনেক লোক সৎ আছে, সুযোগ পেলে কি করবে বলা মুশকিল। ব্যবসায়ীরা এদিক থেকে বেশি সুযোগ পায়। তবে, এক্ষেত্রে আমি বরং সরকার এবং নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যর্থতা এবং সদিচ্ছার অভাব দেখি।

এর বাইরে ধর্মীয় জ্ঞান এবং উপলব্ধির অভাব তো প্রকট। এ কারণেই বিলাসী ইফতার, পার্টির নামে হৈচৈ বা বিজ্ঞাপনের মাধ্যম হিসেবে ইফতার আয়োজনের ঘটনা ঘটে। সচেতনতা বাড়ানো গেলে এই দিকগুলোর উন্নয়ন সম্ভব - কিভাবে সচেতনতা বাড়ানো যায় সে নিয়ে আলাপ করা যায়, কি বলেন?

২| ১২ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:০৬

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
রোজা ইফতার শুনলেই শরীর-মনে একটা আলোড়ন জাগে।
দারুন পোস্ট +++

১২ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:৩১

দারাশিকো বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় স্বপ্নবাজ সৌরভ! রাব্বুল আলামীন এই আলোড়নকে কাজে লাগানোর সুযোগ করে দিবেন ইনশাআল্লাহ।

৩| ১২ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:২৫

বিটপি বলেছেন: আপনি এমন কিছু সামাজিক কাজের কথা বললেন, যার বিরূপ প্রভাব বাজারের উপর পড়বে। একজন রোজাদারকে ইফতার করাতে কম করে হলেও ৫০ টাকা খরচ হবে। এমনিতেই অনেকের খরচ রোজার মাসে বেড়ে যায়। এই বাড়তি ৫০ টাকা কোত্থেকে জোগাড় হবে? যদি বলে খেজুর এবং পানি - তাহলে ঠিক আছে। ২০ টাকায় সেরে যায়।

খাদ্য সহায়তা অন্য সময়ে দেন। রমজানে দেবার দরকার নেই। ফুড কনজিউমিং রমজানে যত কমিয়ে আনা যায়, তত ভালো। একটু ভাত ডাল দিয়ে সেহেরি করে আর দুটো খেজুর দিয়ে ইফতার করলে মোটামুটি সব ধরণের পুষ্টি চাহিদা পূরণ হয়। এইটুকু সবাই যার যার উপার্জন থেকেই করতে পারবে।

যাকাত দেবার ক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে। এমনভাবে দেবেন না, যেন এটা ফকির মিসকিনদের একটা মৌসুমী উপার্জনের উৎস হয়ে যায়। যাকাতের ক্ষেত্রে সবচেয়ে অগ্রাধিকারী গরীব আত্মীয় স্বজন। তাদেরকে অন্তত ৩ হাজার টাকা করে দেবেন, যাতে তাদের ঈদ ভালো কাটে।

সর্বোপরি এরকম একটি টপিকে লেখার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

১২ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:৪৯

দারাশিকো বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ বিটপি। একটু দ্বিমত করি?

রোজাদারকে ইফতার করানোর উদ্দেশ্য যেহেতু সওয়াব প্রাপ্তি সেক্ষেত্রে রোজাদারের সন্তুষ্টি অর্জন করা গেলে সওয়াবের মাত্রাটাও বেশি হবে সম্ভবত। কাউকে শুধু পানি খাওয়ানোর মাধ্যমেও ইফতার করানো যায়, কিন্তু আরেকটু ভালো ইফতার করালে রোজাদারের তৃপ্তিটা একটু বেশি হওয়ার কথা। তাছাড়া, উদ্দেশ্য যদি সওয়াব হয়, তাহলে ২০/৩০ টাকার কষ্ট হয়তো গায়ে লাগবে না। সবচেয়ে বড় কথা - এটা সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাশ্রম - কেউ যদি বহন করতে না পারে, তাহলে সে করবে না - সমস্যা কই?

যাকাত দেয়ার ক্ষেত্রেও একটু দ্বিমত করি। যারা যাকাত পাওয়ার হকদার তাদের অংশ বুঝিয়ে দেয়াটাই যাকাতের উদ্দেশ্য। কেউ মৌসুমী উপার্জনের উৎস বানালো কিনা সেটা বোধহয় যাকাতদাতার বিবেচনা করার দরকার নেই।

ভালো থাকবেন :)

৪| ১২ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:২৭

নেওয়াজ আলি বলেছেন: জিনিসের যে দাম মানুষের খুব কষ্ট হবে রমজানে ভালো খাবার খেতে গেলে। কিছু শয়তান লোক দেখানো যাকাত দিবে নিতে গিয়ে গরিব মরবে

১৩ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:৪৯

দারাশিকো বলেছেন: এবার সত্যিই জিনিসপত্রের দাম অস্বাভাবিক বেশি। বিশেষ করে মধ্য ও নিম্নমধ্যবিত্তরা বেশ কষ্ট পাচ্ছে। যাকাত নিয়ে সচেতনতা তৈরীই মুক্তির সঠিক উপায়। আমাদের একটা বিশাল অংশ যাকাত নিয়ে সচেতন না, সঠিকভাবে হিসাব করেন না এবং যেনতেনভাবে আদায় করে দায় সারেন। আশেপাশের মানুষদের মধ্যে সচেতনতা তৈরীতে আমাদের আরও সচেষ্ট হওয়া উচিত।

আপনাকে ধন্যবাদ নেওয়াজ আলি। ভালো থাকবেন প্লিজ :)

৫| ১২ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: গুড পোষ্ট। আচ্ছা, শুনলাম বাংলাদশের ধর্মপ্রাণ সরকারী লোকজন নাকি রোযা আর ঈদকে সামনে রেখে ঘুষের রেট বাড়িয়ে দিয়েছে? এই বিষয়ে আপনার কোন জানাশোনা আছে? দেশে আমি এক সরকারী কর্মকর্তার কাছে টাকা পাই। বেশ কিছুদিন ধরে ঘোরাচ্ছে। খবর সত্য হলে ব্যাটাকে চাপ দিতে পারতাম। ;)

১৩ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:৫২

দারাশিকো বলেছেন: এ বিষয়ে আমার আসলে ধারণা নেই। আল্লাহর রহমতে সরকারি অফিসগুলোতে ঘুষ দিয়ে কোন কাজ টাজ করতে হচ্ছে না। তবে আপনার মন্তব্যের উত্তর বিটপি দিয়েছেন নীচে, দেখতে পারেন।

৬| ১২ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:০১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আমার কোনো প্রস্তুতি নেই।

১৩ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:৫৩

দারাশিকো বলেছেন: নিতে চাইলে এখনও সময় আছে। তাড়াহুড়ার কিছু নাই। :)

৭| ১৩ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১:১২

রাজীব নুর বলেছেন: রমজান মাস টা আমার খুবই পছন্দ।
ভর সন্ধ্যায় নানান রকম খাবার টেবিলে সাজিয়ে পরিবারের সবাই মিলে খেতে বসা। দারুন ব্যাপার।

১৩ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:০০

দারাশিকো বলেছেন: এই যে সকলে মিলে আরও কত রকম ইবাদত এবং সামাজিক কাজে অংশগ্রহণ করে - এটাও বেশ ভালো লাগে।

ইয়ে, আপনি কমেন্ট ব্যান খাইছিলেন দেখলাম। ঘটনা কি?

৮| ১৩ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:৪৯

বিটপি বলেছেন: ভুয়া মফিজ, আপনার শোনায় ভুল আছে। আমি সরকারী অফিসের একজন রেগুলার কাস্টোমার। ঈদে ওনারা দাম বাড়ান না, বরং স্পেশাল ডিসকাউন্ট দিয়ে থাকেন বলে দেখেছি। এজন্য আমি আমার বসকে বলি সব ধরণের ঘুষ ঈদের আগে আগে দেবার জন্য জমিয়ে রাখতে। তখন বিশ লাখের কাজ অনেক সময় ১৫ লাখে হয়ে যায়। এ সময় তাদের টাকা পয়সার চাহিদা বেশি থাকে বলে যা পায়, তাতেই খুশি। গতবার এক ক্লায়েন্টের ৫ লাখ টাকার কাজ ঈদের চামে সাড়ে তিন লাখ টাকায় করে দিয়েছিলাম বলে কাস্টোমার খুশী হয়ে আমাকে টিপ্স দিতে চেয়েছিল, কিন্তু আমি নেইনি। আমি সব সময় চেষ্টা করি উপার্জন হালাল অবস্থায় রাখতে।

১৬ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪২

দারাশিকো বলেছেন: ভুয়া মফিজকে জানিয়ে দিয়েছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.