নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার সম্পর্কে: https://t.ly/atJCp এছাড়া, বইটই-এ: https://boitoi.com.bd/author/2548/&

দারাশিকো

লেখালিখির প্রতি ভালোবাসা থেকে লিখি

দারাশিকো › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফেসবুকের লেখক-পাঠকদের কেন সাবস্ট্যাক ব্যবহার করা উচিত

১৯ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৫

আপনারা যারা ফেসবুকে লিখালিখি করেন কিন্তু নিজেদের এবং আপনারা যারা ফেসবুকে উনাদের লিখার পাঠক – তাদের উভয়েরই উচিত সাবস্ট্যাক ডট কম ব্যবহার করা।

সাবস্ট্যাক হলো লিখালিখির প্লাটফর্ম। ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠার পরপরই এই প্লাটফর্মটি পেশাদার এবং অপেশাদার লেখকদের প্রিয় ওয়েবসাইটে পরিণত হয়। পাশাপাশি পাঠকেরাও একই জায়গায় পছন্দের লেখকদের লেখা ঝামেলামুক্ত উপায়ে পড়ার সুযোগ পেয়ে গ্রহণ করে। বাংলাদেশে লেখকদের কাছে সাবস্ট্যাক অবশ্য অতটা পরিচিতি পায়নি। আমি অল্প কিছু বাংলা সাবস্ট্যাক একাউন্ট পেয়েছি। এদের মধ্যে নিয়মিতভাবে যারা সাবস্ট্যাকে লিখা প্রকাশ করেন তাদের মধ্যে ব্রাত্য রাইসু, মুরাদুল ইসলাম, জিয়া হাসানকে পেয়েছি।

সাবস্ট্যাকে সুবিধা কী? রেজিস্ট্রেশন করলে সাবস্ট্যাকের ডোমেইনে আপনার নিজের পছন্দের সাবডোমেইন ওয়েবসাইট তৈরি করা যাবে এবং প্রকাশিত লিখাগুলো ওয়েবসাইটের মতো করেই সাজিয়ে রাখা যাবে। লিখালিখির প্লাটফর্ম হওয়ার কারণে এখানে আপনি প্রয়োজন অনুযায়ী ফরম্যাটিং করতে পারবেন, ছবি ভিডিও ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারবেন। এজন্য কোন ফি নেই, স্পেস এর সীমাবদ্ধতাও নেই। যা লিখবেন তা সাজিয়ে রাখা হলে আগ্রহী পাঠকরা পুরাতন লিখাগুলোও খুঁজে নিতে পারবেন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী আপনিও হাইপারলিংক করতে পারবেন। যারা লিখালিখির পাশাপাশি পডকাস্ট করতে আগ্রহী তাদের জন্যও সাবস্ট্যাক এ প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা রয়েছে, ইচ্ছে করলে সেগুলোও ব্যবহার করতে পারবেন।

লিখালিখির এরকম প্লাটফর্ম আগে থেকেই ছিল, যেমন ওয়ার্ডপ্রেস, ব্লগার ইত্যাদি। অনেকে সেটা ব্যবহারও করেন। সাবস্ট্যাক-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ ফিচার হলো নিউজলেটার। অর্থ্যাৎ, আপনি কোন লিখা প্রকাশ করলে সেটা ইমেইলের মাধ্যমে সাবস্ক্রাইবারের কাছে পৌঁছে যাবে। এর ফলে আপনার কোন পাঠক যদি লিখা প্রকাশের সময় অনলাইনে নাও থাকতে পারেন, পরবর্তীতে কোন একসময় লিখাটি পড়ে নেয়ার সুযোগ পাবেন। সাবস্ট্যাকের ইমেইল কখনও স্প্যাম ফোল্ডারে যায় না – এমনটি দাবী করবো না, তবে এমন ঘটনা তুলনামূলকভাবে কম ঘটে। এছাড়াও, সাবস্ট্যাক এ একাউন্ট থাকলে সেখানে নোটিফিকেশন পৌঁছায়, ফলে ইমেইল ছাড়াও আপনার প্রকাশিত লিখার খবর আপনার পাঠকের কাছে যাওয়ার সুযোগ থাকছে।

পাঠকের জন্যও সাবস্ট্যাক অনেক বেশি উপকারী। যাদের লিখা বা পডকাস্ট ভালো লাগে এবং কখনও মিস করতে চান না এমন লেখকদের সাবস্ক্রাইব করে রাখলে লিখা প্রকাশের খবর পৌঁছে যাবে ইমেইলে, মোবাইলে অ্যাপ ইনস্টল করা থাকলে নোটিফিকেশন যাবে। যারা নোটিফিকেশন বন্ধ করে রাখেন তারা দিনে একবার ফ্রি সময়ে সাবস্ট্যাক-এ ঢুঁ দিলে নতুন লিখাগুলোর খোঁজ পেয়ে যাবেন। সাবস্ট্যাক এ একাউন্ট থাকলে কমেন্ট করার সুযোগ পাওয়া যাবে এবং রিপ্লাই বা অন্যান্য নোটিফিকেশনও পাওয়া যাবে।

লেখক বা পাঠক – উভয়ই প্রশ্ন করতে পারেন – ফেসবুক থাকার পরেও সাবস্ট্যাক এর প্রয়োজন কোথায়? উপরের অংশ পড়ে থাকলে বুঝবেন সাবস্ট্যাক এ লেখকের জন্য পাঠক হারানো এবং পাঠকের জন্য লেখা মিস করার সুযোগ থাকেনা বললেই চলে। আর্কাইভিং ফিচার থাকার কারণে পুরাতন লিখাগুলো সহজে খুঁজে পাওয়া যায়। এছাড়া, লেখাকে পরিশীলিতভাবে উপস্থাপনের জন্য লেখককে বাড়তি অনেক সুবিধা প্রদান করে সাবস্ট্যাক। এর মধ্যে অন্যতম একটি বড় সুবিধা হলো – প্রয়োজনমাফিক অন্য কোন সাইটের সূত্র হাইপারলিংক করা।

ফেসবুকে লিখালিখির নানাবিধ সমস্যার একটি হলো – অন্য যে কোন সাইটের লিংক যুক্ত করলেই পোস্টের রিচ কমে যায়। লেখকরা বিষয়টি খেয়াল করে থাকবেন। যারা ফেসবুক পেইজ পরিচালনা করেন তারা আরও সমস্যায় আছেন। বুস্ট করা ছাড়া ফেসবুক পেইজ থেকে রিচ হয় সামান্যই। এছাড়া, ফেসবুকে ডিসট্র‍্যাকশন অনেক অনেক বেশি, সাবস্ট্যাক বিজ্ঞাপনমুক্ত। সবচেয়ে বড় কথা হলো ফেসবুক নিজেই কর্তা, কে কি দেখবে, সেটা ফেসবুকই ঠিক করে।

স্পষ্ট করে বলি – ফেসবুকে লিখালিখি বাদ দেয়ার জন্য উৎসাহিত করছি না কিন্তু। ফেসবুক আমজনতার জায়গা। অন্যান্যদের দেয়া ছবি, ভিডিও দেখার পাশাপাশি মাঝেমধ্যে দুইএকটি লিখা পড়তে আগ্রহীদের সংখ্যাই এখানে বেশি। কিন্তু কিছু মানুষ আছে যারা পাঠক হিসেবে একটু সিরিয়াস, লেখকরাও এমন পাঠককে কদর করেন। এজন্য ফেসবুকের তুলনায় সাবস্ট্যাক অনেক বেশি উপকারী। একই লিখাকে সাবস্ট্যাক এবং ফেসবুকে প্রকাশের জন্য সামান্য বাড়তি কষ্ট লেখককে করতে হবে বটে, কিন্তু নিবেদিত পাঠকের জন্য এ কষ্টটুকু সহ্য করা যায়, নাকি?

বলে রাখি, লেখকদের জন্য বাড়তি সুবিধা হলো – সাবস্ট্যাক-এ পেইড কন্টেন্ট যুক্ত করার সুযোগ রয়েছে। ফলে নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে সাবস্ক্রাইব করা পাঠকরাই সে সকল লিখা পাঠের সুযোগ পান, লেখকও কিছু বাড়তি উপার্জন করতে পারেন। ব্রাত্য রাইসু, মুরাদুল ইসলাম সহ কেউ কেউ তাদের সাবস্ট্যাক এ ফ্রি কন্টেন্ট এর পাশাপাশি পেইড কন্টেন্টও রাখেন। তবে, আপনারা যারা ফেসবুকে বিনামূল্যে লিখালিখি করেন, তাদেরকে সাবস্ট্যাকেও মূল্য গ্রহণ না করার জন্য অনুরোধ করবো।

সুতরাং, যারা লিখেন, তারা সাবস্ট্যাক-এ লিখা প্রকাশ শুরু করুন। যারা পাঠক, তারা আপনাদের প্রিয় লেখকদেরকে সাবস্ট্যাকে লেখা প্রকাশের জন্য উৎসাহিত করুন, নিজেরাও সাবস্ট্যাকে পড়ার অভ্যাস করুন। ঠকবেন না।

আমার ওয়েবসাইটে লিখালিখি বিষয়ে অন্যান্য পোস্ট

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫০

পাজী-পোলা বলেছেন: ব্লগার বা ওয়ার্ড প্রেসে মূলত নিজের একটা সাইট তৈরী হয়, সব ডোমেইন কিন্তু সাইট নিজের। আর ব্লগার বা ওয়ার্ড এটা কারে কারণ ভবিষ্যৎ এ আপনার ব্লগ পপুলার হয়ে গেলে আপনি তাদের থেকে ডোমেইন কিনে নিবেন। তাদের ব্যাবসা ডোমেইনের, এই কারণে তাদের চলে যাওয়ার সম্ভবনা নাই। সুতরাং লেখে থেকে যাবে।

সাবস্ট্যাক কি এ রকম? মানে যেমন ধরেন আমার লেখা সামু ছাড়া আর কোথাও নেই। ফেসবুকে আছে কিন্তু খুবি কম। এখন কখনো কোন কারণে সামু যদি তাদের সাইট বন্ধ করে দেয় তাহলে তো লেখা গুলো গেল। সাবস্ট্যাক ও কি এমন?

১৯ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:৩২

দারাশিকো বলেছেন: আমার বুঝতে ভুল হতে পারে, তবে আপনি সম্ভবতঃ ডোমেইন আর হোস্টিং এদিক ওদিক ব্যবহার করেছেন। ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগার উভয়েই তাদের ডোমেইন ব্যবহার করে ওয়েবসাইট তৈরীর জন্য ফ্রি স্পেস দেয়, নির্ধারিত সীমার মধ্যে ব্যবহার করা যায়। নিজস্ব ডোমেইনে ব্লগারের ফ্রি স্পেস ব্যবহারের সুযোগ আছে, তবে ওয়ার্ডপ্রেসের স্পেস কিনে নিতে হয়, সেক্ষেত্রে ওয়ার্ডপ্রেস থেকেই কিনতে হবে সেরকম না, যে কোন হোস্টিং বিক্রেতার কাছ থেকেই কিনে নেয়া সম্ভব। ঘটনা হলো - ওয়ার্ডপ্রেস এখন একটা বড় প্লাটফর্ম এবং ওয়েবসাইট তৈরীর জন্য একটি জনপ্রিয় সিস্টেম হয়ে গেছে। অন্যদিকে, ব্লগার হলো গুগলের মালিকানাধীন। এ কারণে আপনার ধারণা সত্যি - এই বড় সাইটগুলো বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা কম। এ বিষয়ে ব্লগের টেকি লোকরা ভালো বলতে পারবে, আমি সামান্য ধারণা দেয়ার চেষ্টা করেছি।

সাবস্ট্যাক যতটা না ওয়েবসাইট তার চেয়ে বেশি নিউজলেটার বলতে পারেন। আপনার লেখা পড়ার জন্য আমাকে সামুতে আসতে হয়, কিন্তু আপনার যদি সাবস্ট্যাক একাউন্ট থাকে এবং আমি সেখানে সাবস্ক্রাইব করি, তাহলে আপনার লেখাটি আমার ইমেইলে বসেই আমি পড়তে পারবো। সেক্ষেত্রে, আপনার যত বেশি ইমেইল সাবস্ক্রাইবার থাকবে, তত বেশি ডেডিকেটেড পাঠক থাকবে কারণ তাদের মেইলে আপনার লেখা পৌছাবেই। অন্যদিকে, সেই লেখাগুলো আপনার সাবস্ট্যাক একাউন্টে সাজিয়ে গুছিয়ে অনেকটা ওয়েবসাইটের মতো রাখতে পারবেন। ফলে যে কোন নতুন পাঠক আপনার আগের বিভিন্ন লেখা পড়তে পারবেন। মুরাদুল ইসলামের সাবস্ট্যাক দেখতে পারেন, তাহলে কিছুটা ধারণা পাওয়া যাবে।

আর যদি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা বলেন - এটা যে কোন ওয়েবসাইটের জন্যই প্রযোজ্য। সামুও যে কোন সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে, কিন্তু চলছে তো প্রায় দুই দশক হয়ে গেলো। সাবস্ট্যাক সামুর তুলনায় অনেক বড়, সারা বিশ্বব্যাপী এর লেখক-পাঠক। সুতরাং চট করে বন্ধ হয়ে যাবে - এমন সম্ভাবনা কম। তা সত্ত্বেও - যদি এরকম ভয় থাকে, তাহলে নিজস্ব ডোমেইন হোস্টিং এ ওয়েবসাইট বানানোর বিকল্প বোধহয় থাকবে না।

আশা করি বোঝাতে পেরেছি। ধন্যবাদ।

২| ১৯ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:৩৭

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ফেসবুকে কোন আর্কাইভ সিস্টেম নেই, যে কারণে অনেক দিনের পুরোনে লেখা খুঁজে পাওয়া দুরূহ। তাছাড়া ইদানিং ফেসবুক খুবই কমার্শিয়াল হয়ে গেছে। দেখি সাবস্ট্যাকে একটা একাউন্ট করতে হবে। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

আপনার ওয়েব সাইটের বয়স কত হলো, ভিজিটর কেমন পান? বিজ্ঞাপন বসানোর চিন্তাভাবনা আছে নাকি?
আপনার সাইট'টি কিন্তু বেশ পরিপাটি এবং গোছানো মনে হচ্ছে।

১৯ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:৫৭

দারাশিকো বলেছেন: ধন্যবাদ জ্যাক স্মিথ। লেখক ব্লগারদের জন্য সাবস্ট্যাকে চলে আসাটা জরুরী। ফেসবুক টেক্সট এর চেয়ে ছবি ভিডিও ইত্যাদিকে বেশি গুরুত্ব দেয়/দিচ্ছে, সাবস্ট্যাকে সেই ঝামেলা নাই আপাতত।

আমার ওয়েবসাইটের বয়স অনেক বছর হলো - সম্ভবত ২০০৮/০৯ সাল থেকে ব্যবহার করছি। ভিজিটর খুব বেশি পাই না, বিজ্ঞাপন বসানোর চিন্তাভাবনা নাই। এটা মূলত আমার সিন্দুক, স্মৃতির ভান্ডার।

ভালো থাকবেন :)

৩| ১৯ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:৩৯

অপু তানভীর বলেছেন: আমার কেন জানি এটার দিকে মন টানে না ।
লেখা জমা করে রাখার জন্য আমার নিজের ওয়েবসাইট রয়েছে । চাইলে সেখানে সাবস্ক্রাইবার চালু করা যায় । একই ভাবে ইমেল দিয়ে লেখা চলে যাবে । আমি অবশ্য ফেসবুকে শেয়ার দিই লেখা । সেখানে থেকেই পাঠকের কাছে পৌছায় ।

বাঙালি অনলাইনে টাকা দিয়ে লেখা পড়বে এমন মনভাব এখনও তৈরি হয় নি আর হবে বলে মনে হয় না । আমাদের ভেতরে এই ব্যাপারটা একদমই নেই ।
আপনি যে ফেসবুকে রিচ কমের কথা বলছেন, সাবস্ট্যাকে তো রিচ আরো কম । আসলে একজন লেখক যত সহজে ফেসবুকে পরিচিতি পায় অন্য কোথাও পাওয়া সম্ভব না ।
আমাদের ভেতরে ইমেল ব্যবহারের প্রবনতাও অনেক অনেক কম । সেখানে ইমেল থেকে লেখা পড়ার প্রবনতাও অনেক কম। আমাদের বাঙ্গালী লেখক পাঠকদের বেলাতে সাবস্ট্যাক সুবিধা করতে পারবে বলে আমার মনে হয় না ।

২০ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:৪৫

দারাশিকো বলেছেন: প্রথমেই বলে নেই - যাদের নিজেদের ওয়েবসাইট আছে এবং সেখানে যথেষ্ট পাঠক আছে, সাবস্ট্যাক তাদের জন্য না। এমনকি, যারা লিখালিখিতে নিয়মিত নন বা নিয়মিত হতে চান না, সিরিয়াসলি লিখেন না - তাদের জন্যও সাবস্ট্যাক না।

এছাড়া আপনার প্রত্যেকটা যুক্তিই যথাযথ। ফেসবুকের তুলনায় সাবস্ট্যাক আসলেই অজনপ্রিয় কারণ সাবস্ট্যাক আমজনতার জায়গা না। এককালে সামু ব্লগের তীব্র জনপ্রিয়তা ছিল, কিন্তু ফেসবুক জনপ্রিয় হতে শুরু করার পর অনেকেই ফেসবুকের দিকে সরে গেছে। সাবস্ট্যাক ধীরে ধীরে একটা শক্ত পাঠক ভিত্তি তৈরি করে - এটা দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া কিন্তু অপেক্ষাকৃত টেকসই। টাকা দিয়ে লিখা পড়বে না এমনটা আমারও মনে হয়েছে, কিন্তু উল্টাদিকে বইটই এর উদাহরণও আছে, সেখানে লোকজন বই কিনে পড়তেছে। মুরাদুল ইসলামের পেইড রিডার আছে, হয়তো আপনার লিখাও কিনে পড়তে রাজি হবে অনেকে। ফেসবুকে রিচ বেশি সেটা আমিও মানি - কিন্তু এজন্য ফেসবুকে যে পরিমাণ সময় ইনভেস্ট করতে হয় সেটা নিতান্তই কম। ভালো কিছু লিখতে গেলে এই সময়টা দেয়া কষ্ট হয়, ফেসবুকও অনিয়মিত গ্রাহকের পোস্ট রিচ কমিয়ে দেয়। এ বিষয়ে সাবস্ট্যাকে জিয়া হাসানের সাম্প্রতিক পোস্টটা দেখতে পারেন। এখন ধরেন, কারও ফলোয়ার লাখের বেশি, কিন্তু সেই তুলনায় তার ফেসবুক পোস্টের রিচ কতো হয়? সবচেয়ে বড় কথা - ফেসবুককে ত্যাগ করার কথা আমি একবারও বলি নাই - আমি কেবল বিনামূল্যে শক্ত একটি পাঠক ভিত্তি তৈরি এবং গোছানো আর্কাইভের সন্ধান দিতে চেয়েছি।

৪| ১৯ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:৪৩

অপু তানভীর বলেছেন: অফ টপিকঃ আপনার ওয়েব সাইটের থিমটা আমি আমার ওয়েবসাইটে সেট করেছি । হিটম্যাগ আসলেই বেশ চমৎকার একটা থিম । সেদিন জিজ্ঞেস করেছিলাম থিমের ব্যাপারে অন্য একটা পোস্টে ।

২০ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:৪৯

দারাশিকো বলেছেন: খুব ভালো লাগলো যে আমরা একই থিম ব্যবহার করছি। আসুন হাত মিলাই :)

আপনার সাইটে আগে একবার অনেক সময় নিয়ে বেড়িয়েছিলাম। ইমেইল সাবস্ক্রাইবও করেছিলাম সম্ভবত, কিন্তু কোন মেইল নোটিফিকেশন অবশ্য পাই না। আজ আবার যাবো। ওয়েবসাইট নিয়ে কোন সমস্যা বোধ করলে নক করতে পারেন। আমি মোটেও জ্ঞান রাখি না, তারপরও চেষ্টা করবো সহায়তা করার জন্য।

ভালো থাকবেন প্রিয় অপু তানভীর :)

৫| ২০ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:৫৭

অপু তানভীর বলেছেন: ইমেল সাবস্ক্রিপশনটা ঠিক সমাধান করতে পারছি না । আমি সেট করছি কিন্তু কাজ হচ্ছে না । আপনি কি বলতে পারেন কোন প্লান ইন ব্যবহার করলে এটা ভাল ভাবে কাজ করবে । আমি চাচ্ছি এমন যে আমি কোন পোস্ট করলে অটোমেটিক ভাবে ইমেল চলে যাবে । এমন একটা অটোমেটিক সিস্টেম করতে । আমার সাইটে একটা মেইল এড্রেস পাবেন । যদি খুব সমস্যা না হয় সেখানে একটা মেইল পাঠিয়ে এই উপকার টুকু করলে বাধিত থাকবো ।

আপনাকে ধন্যবাদ আগে থেকেই ।

২০ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:২০

দারাশিকো বলেছেন: ওকে। পরে আপনাকে ইমেইল করবো কিছু পরে।

৬| ২০ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: যারা ফেসবুকে লিখে তাঁরা ব্লগে লিখলেই পারে। কিন্তু লিখবে না। কারন ফেসবুকে লাইক কমেন্ট বেশি হয়। ব্লগে এত হয় না। একসময় আমিও ফেসবুকে লিখতাম।

২০ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৮

দারাশিকো বলেছেন: হুম

৭| ২০ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:২১

ডার্ক ম্যান বলেছেন: আমিও একটা ওয়েবসাইট করতে চাচ্ছি। সেটা নিজের নামে করবো নাকি অন্য নামে করলে ভাল হয় ।

২০ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৯

দারাশিকো বলেছেন: কি উদ্দেশ্যে ওয়েবসাইট করতে চাচ্ছেন তার উপর নির্ভর করবে। ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট মেইনটেইন করা কষ্ট, সামুর মতো কমিউনিটি ব্লগিং সাইটের মতো সেখানে পাঠক পাওয়া এবং পাঠকের সাথে ইন্টারেকশন হওয়ার সম্ভাবনা কম। সাধারণত ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট একটা আর্কাইভ। সুতরাং সেটা নিজের নামে হওয়াই বাঞ্ছনীয়।

৮| ২০ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:২৪

ডার্ক ম্যান বলেছেন: নিজের নামের ডোমেইনটা খালি নেই । তবে নামের সাথে সংখ্যা যোগ করলে হয়ত পারা যাবে ।

২০ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:০১

দারাশিকো বলেছেন: ডোমেইনে সংখ্যা টংখ্যা যোগ করলে সেটা খুব একটা ভালো দেখাবে না মনে হয়। কি উদ্দেশ্যে ওয়েবসাইট বানাতে চাচ্ছেন, সেখানে কি থাকবে, কাদের উদ্দেশ্যে বানাচ্ছেন ইত্যাদির উপর নির্ভর করে নাম ঠিক করা যেতে পারে এবং সেভাবে সার্চ করা যেতে পারে। এ বিষয়ে কোন সাহায্য দরকার হলে আমাকে নক করতে পারেন, আমার কোনই টেকি জ্ঞান নেই, তবে যা কিছু অভিজ্ঞতা আছে, চেষ্টা করবো সহায়তা করতে। ধন্যবাদ।

৯| ২৮ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার আলোচিত ব্লগে থাকা যাকাত বিষয়ক পোষ্টে মন্তব্য করলাম, সেইটা ব্যর্থ হলো। দেখি, পোষ্ট সরায়ে ফেলেছেন। ঘটনা কি? :(

২৮ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:৫৩

দারাশিকো বলেছেন: ঘটনা এবং দুর্ঘটনা। পোস্টটা ড্রাফট করেছি, তারপর এডিট করে আবার প্রকাশ করেছিলাম। পরে আবারও ড্রাফট করতে গিয়ে ডিলিট করে ফেলেছি। মোবাইল থেকে বেশি কিছু করতেও পারি না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.