নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার সম্পর্কে: https://t.ly/atJCp এছাড়া, বইটই-এ: https://boitoi.com.bd/author/2548/&

দারাশিকো

লেখালিখির প্রতি ভালোবাসা থেকে লিখি

দারাশিকো › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামী ব্যাংকিং: ঘুরিয়ে সুদ খাওয়া বিষয়ক তিনটি বই পরিচিতি ও অন্যান্য আলাপ (শেষ পর্ব)

১৯ শে মে, ২০২৩ সকাল ৮:৪৯



{ ডিসক্লেইমার: ১ম পর্বে ইসলামিক ব্যাংকগুলোর ঘুরিয়ে সুদ খাওয়া বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত দেয়ার চেষ্টা করিনি, কেবল তিনটি বইয়ের পরিচিতি তুলে ধরেছি যেন আগ্রহীরা নিজেরা ইসলামিক ব্যাংকিং সম্পর্কে ধারণা গ্রহণ করতে পারেন। সিদ্ধান্ত গ্রহণের ইখতিয়ার সম্পূর্ণই স্কলারদের। শেষ পর্বে ইসলামিক ব্যাংকিং সম্পর্কে আমার ব্যক্তিগত কিছু ধারণা টুকে রাখছি। আগ্রহ বজায় থাকলে ভবিষ্যতে আরেকটু গভীরে যেতেও পারি। সম্পূর্ণ লেখাটি দারাশিকো ডট কম-এ পাওয়া যাবে }

ইসলামিক ব্যাংকিং এর কিছু সমস্যা

ইসলামিক ব্যাংকিং নিয়ে কিছু সমস্যা আমি ব্যক্তিগতভাবে উপলব্ধি করতে পারি। সে বিষয়ে সামান্য কিছু বলা প্রয়োজন।

প্রথমত, আমরা সুদ সম্পর্কেই জানি না। আরও বড় সমস্যা হলো – আমরা জানার চেষ্টাও করি না এবং নিজের মনে যে ধারণা আসে তাকেই সত্য বলে ধরে নেই। নিজস্ব ধারণা যে কতটা অদ্ভুত – সেটা অনেকের সাথে আলোচনা করলে তবেই বোঝা সম্ভব। কেউ সুদের হারকেই সুদ বলে মনে করেন, কেউ মহাজনের সুদকেই কেবল সুদ হিসেবে মেনে নিয়েছেন। প্রকৃত সংজ্ঞা কুরআন-হাদীসে রয়েছে, শত শত বছর ধরে তার আলোকে আলেমগণ এর ব্যাখ্যা করেছেন, তার পুরোটা না হলেও কিছুটা আবশ্যিকভাবে জেনে নেয়া উচিত।

দ্বিতীয়ত, আমরা ইসলামিক ব্যাংকিং সম্পর্কেও ধারণা রাখি না। ফলে ইসলামিক ব্যাংকগুলো কী পদ্ধতিতে আমানত গ্রহণ করেন এবং কী পদ্ধতিতে বিনিয়োগ করেন, কিভাবে আয় করেন, কিভাবে লাভ-লোকসান শেয়ার করেন তার ধারণা রাখি না এবং এক্ষেত্রেও মনগড়া ধারণাকেই সত্য হিসেবে ধরে নেই ও তার ভিত্তিতে যত্রতত্র মতামত প্রকাশ করি। এই বিষয়টি উপলব্ধি করতঃ জ্ঞানার্জনের উদ্যোগ নেয়া উচিত।

তৃতীয়ত, ইসলামিক ব্যাংকগুলো সাধারণ মানুষদের অজ্ঞতা দূর করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেন না। একমাত্র আইবিবিএল-কেই এই বিষয়ে যা পদক্ষেপ নিতে দেখেছি। ইসলামিক ব্যাংকগুলো কেন ঋণ না দিয়ে বিনিয়োগ দেয়, লাভ লোকসানের শর্তে বিনিয়োগ দেয় কিনা এবং অবধারিতভাবে সুদ মিশ্রিত হয় এমন বিষয়গুলোতে তাদের অবস্থান কী ইত্যাদি বিষয়গুলো সম্পর্কে নিয়মিতভাবে প্রচার করা উচিত। ব্যাংকগুলোর নিজস্ব ওয়েবসাইটের একটি অংশে অথবা ইসলামিক ব্যাংকগুলোর সম্মিলিত উদ্যোগে পৃথক কোন ওয়েবসাইটে এ বিষয়গুলো থাকতে পারে। যদি বিনামূল্যে কোন শর্ট কোর্স চালু করা হয় তবে সেটা তো আরও উত্তম কাজ হবে।

চতুর্থত, ইসলামিক ব্যাংকিং শব্দটাও গোলমেলে। ব্যাংকিং শব্দের সাথে ঋণ অঙ্গাঙ্গী জড়িত। অথচ ইসলামিক ব্যাংকগুলো ঋণের কারবার করে না, তারা করে ব্যবসা, ক্রয়-বিক্রয়, ইজারা। যেহেতু বর্তমান এই সমাজে ইসলামী শিক্ষার প্রচলন কম এবং ব্যাংক বলতে প্রধানত সুদভিত্তিক ব্যাংকিংকেই বোঝানো হয়, সেহেতু ইসলামিক ব্যাংকিং শব্দটা স্বচ্ছ ধারণা প্রদান করে না। এর বিকল্প কোন সমাধান খোঁজ করা যেতে পারে।

পঞ্চমত, ইসলামিক ব্যাংকিং ধারণাটাকে আরোপিত বলে মনে হয়। কনভেনশনাল ব্যাংকিংকে ইসলামিকীকরনের চেষ্টা থেকে ইসলামিক ব্যাংকিং এর ধারণা তৈরি হয়েছে বলে মনে করি। সুদভিত্তিক ব্যাংক যে সকল কাজ করছে সেগুলোরই একটা ইসলামিক ভার্সন দাঁড় করানো হয়েছে যা সাধারণ মানুষের কাছে, যার কিনা ইসলামিক বিনিয়োগ পদ্ধতি সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা নেই, একই কাজ ঘুরিয়ে করা হিসেবেই ধরা দেয়। আর, মোহাইমিন পাটোয়ারির মতো স্বল্পজ্ঞানসম্পন্ন লোকেরা তখন যুক্তিহীন ‘শুভঙ্করের ফাঁকি’র মত বই রচনা করে।

বাংলাদেশে ইসলামিক ব্যাংকিং সফল হবে কি?

বাংলাদেশে ইসলামিক ব্যাংকিং সফল হওয়া প্রায় অসম্ভব একটি বিষয় বলে আমার মনে হয়। এর প্রধান কারণ ইসলামি ব্যাংকিং সেবা প্রদান এবং গ্রহণের জন্য যথাযথ মানসিকতাসম্পন্ন লোকের অভাব। ব্যাংকিং ব্যবসায়ের সাথে পুঁজিবাদি মানসিকতার নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। যারা ইসলামিক ব্যাংকিং ব্যবসায়ে নিয়োজিত আছেন, যারা নতুন করে আগ্রহী হচ্ছেন তাদের সকলেই একে পুঁজি বানানোর একটা শক্তিশালী উপায় বিবেচনা করেই এগিয়ে আসছেন। আইবিবিএল এর মালিকানা-ব্যবস্থাপনায় জোরপূর্বক পরিবর্তনের ঘটনা এর স্পষ্ট প্রমাণ। ইসলামিক জীবনধারণের প্রতি আকৃষ্ট জনগণের নিকট থাকা বিপুল পরিমাণ আমানত সংগ্রহের জন্য ইসলামিক ব্যাংকিং এর পোষাক চাপানো উৎকৃষ্ট পন্থা। ইদানিং শুনতে পাচ্ছি, কিছু ইসলামিক ব্যাংক নাকি সুদ থেকে তৈরি তহবিলের টাকা আয়খাতে স্থানান্তর করছে। ব্যাপারটা সত্যি কিনা তা খতিয়ে দেখার দায়িত্ব নিতে পারে ইসলামিক ব্যাংকিং বিষয়ের গবেষকরা।

ইসলামিক ব্যাংকগুলো থেকে যারা বিনিয়োগ সুবিধা নিচ্ছে তাদের কত অংশ সৎ এবং ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে এই বিনিয়োগ গ্রহণে আগ্রহী – তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা যায়। ব্যবসায়ে টিকে থাকতে হলে ঋণখেলাপী হওয়া যাবে না। শোনা যায়, ইসলামিক ব্যাংকগুলোর ব্যাংকিং পদ্ধতির কারণে সহজেই খেলাপী হওয়া এড়ানো যায় বলে ইসলামিক ব্যাংক থেকে বিনিয়োগ গ্রহণে আগ্রহীর সংখ্যা বেড়েই চলছে।

ইসলামিক ব্যাংকগুলোর পুঁজিবাদী মানসিকতাকেও এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। ইসলামিক ব্যাংকগুলোর প্রধান উদ্দেশ্য হওয়া উচিত ছিল মানুষের কল্যাণ। অথচ, সুদভিত্তিক ব্যাংকগুলোর সাথে প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে মানব কল্যাণের তুলনায় মুনাফা বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। এ কারণেই সম্ভবতঃ বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে আইবিবিএল এর শাখার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি এবং সারাদেশে বিস্তৃত থাকলেও ডাচ বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথের সংখ্যা বেশি। আবার, শুধুমাত্র ইসলামিক ব্যাংক হওয়ার কারণেই সাধারণ মানুষের কাছ থেকে প্রচুর আমানত সংগ্রহ করতে পারলেও তাদের মুনাফার হার সুদী ব্যাংকের তুলনায় কোনভাবেই কম নয় এবং অনেকক্ষেত্রে বেশি৷

বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অবহেলার বিষয়টিও প্রাসঙ্গিক। ইসলামিক ব্যাংকিং এর নীতি-পদ্ধতি কনভেনশনাল ব্যাংকিং এর তুলনায় ভিন্নরকম হওয়া সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রায় সকল নীতিমালা অভিন্ন। ব্যাংক কোম্পানী আইন সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে যা কিছু পার্থক্য তা মূলতঃ ইসলামিক ব্যাংকগুলোর (প্রধানত আইবিবিএল) প্রচেষ্টার ফল। অথচ ইসলামিক ব্যাংকগুলোর ব্যবসায়ের জন্য প্রধান যে নীতি, অর্থ্যাৎ লাভ-লোকসানের শর্তে বিনিয়োগ সুবিধা প্রদান, সেই পরিবেশ নিশ্চিতের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দায়িত্ব ছিল। ১৯৮৩ সালে দেশের প্রথম ইসলামিক ব্যাংকের যাত্রা শুরু হয়ে এখন দেশে এক ডজনের বেশি পূর্ণাঙ্গ ইসলামিক ব্যাংক এবং অনেকগুলো ব্যাংকের ইসলামিক ব্যাংকিং শাখা/উইন্ডো থাকা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিজস্ব কোন স্বতন্ত্র কেন্দ্রীয় শরীয়াহ বোর্ড নেই, শরীয়াহ সুপারভিশনও নেই। ফলে, ইসলামিক ব্যাংকগুলো প্রকৃতপক্ষেই ইসলামিক কিনা তার তদারকি নেই। ব্যক্তিগতভাবে বাংলাদেশের ইসলামিক ব্যাংকগুলোর সকল দোষত্রুটির জন্য আমি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই অবহেলা এবং বিমাতাসুলভ আচরনকেই দায়ী করবো।

বাংলাদেশে বর্তমানে ইসলামিক ব্যাংকগুলোর যে অবস্থা, তা থেকে সহজে উত্তোরণের কোন উপায় দেখি না। বেশিরভাগ ইসলামিক ব্যাংক এমন গোষ্ঠির মালিকানাধীন যারা লুটপাটের জন্য কুখ্যাত হয়ে গিয়েছে। গ্রাহকদের একটি অংশ অন্যায় সুবিধা গ্রহণের জন্য ইসলামিক ব্যাংকিং এর বিনিয়োগ/সেবা গ্রহণ করেন। অথচ ইসলামিক ব্যাংকিং মডেলের সফলতার প্রধান পূর্বশর্ত হলো ব্যাংকার ও গ্রাহকের সততা, তাকওয়া ইত্যাদি। দুই পক্ষই যদি ইসলামের নীতিগুলো মেনে চলতে আগ্রহী না না হয় বা মেনে না চলে, তাহলে কেয়ামত পর্যন্ত এই মডেল কার্যকর হবে না। তা সত্ত্বেও, কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক যথাযথ নীতিমালা জারী করা এবং সুপারভিশন নিশ্চিত করা হলে এবং ব্যাংক এ বিষয়ে আগ্রহী থাকলে হয়তো অনেকটা সফল করা যেতো।

কিছু পরামর্শ

যেহেতু প্রকৃত ইসলামিক ব্যাংকিং এ আগ্রহী মানুষের সংখ্যা কম নয়, সেহেতু ইসলামিক ব্যাংকিং সেবাকে সর্বত্র ছড়িয়ে দেয়ার জন্য কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে। যারা পণ্যদ্রব্য উৎপাদন ও ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যবসায়ে নিয়োজিত, তারা ইসলামিক ক্রয়-বিক্রয়ের নীতিমালা গ্রহণ করে ধারে বিক্রয়ের সুবিধা প্রদান শুরু করতে পারেন। এক্ষেত্রে ব্যাংকের উপর নির্ভরতা কমানো সম্ভব। ব্যাংকিং পণ্যগুলোর অনেকগুলোকেই সার্ভিস মডেলে রূপান্তর করে প্রদান করা যেতে পারে। ব্যাংকগুলো মুনাফার প্রতিযোগিতা থেকে সরে এসে কল্যাণমুখী ব্যবসায়ে অধিকতর নিয়োজিত হওয়া উচিত। সর্বোপরি, লাভ-লোকসানের ভিত্তিতে বিনিয়োগের উপরই গুরুত্ব প্রদান করতে হবে, এজন্য যদি ব্যবসায় সংকুচিত হয়, বৃহত্তর কল্যাণে সেটাই গ্রহণ করা উচিত। ইসলামিক ব্যাংকিং ও ব্যাবসায়ের খুঁটিনাটি সম্পর্কে জনসাধারণ যেন সহজে জ্ঞানার্জন করে তাদের লেনদেন এবং ব্যবসায় উদ্যোগের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।

মনে রাখা উচিত – ইসলামিক ব্যাংকিং, ইসলামিক ব্যবসায়, ইসলামিক লেনদেন সব কিছুরই উদ্দেশ্য একটিই – আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। সেই উদ্দেশ্য থেকে বিচ্যুত হলে যতই লাভজনক হোক না কেন, আদতে সেটা ক্ষতিকর।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে মে, ২০২৩ সকাল ১০:২৮

শেরজা তপন বলেছেন: সত্যিকার অর্থে ইসলামী ব্যাঙ্কিং ব্যাবস্থা এই চোরের দেশে সম্ভব নয়।
নতুন ধান্দায় সবাই ফেক হুজুর হয়েছে। সবুজ রঙ মসজিদের/মিনারের আদল আর আরবি হরফের অনুকরণে বাংলা আর ইংরেজীতে ধর্মপরায়ন মানুষকে ধোঁকাবাজির ফন্দি সব।
চমৎকার বিশ্লেষণধর্মী লেখা। এমন গবেষনাধর্মী ও বিশ্লেষনধর্মী নিবন্ধ ব্লগকে আরো সমৃদ্ধ করবে নিঃসন্দেহে।

২০ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৮

দারাশিকো বলেছেন: নিরেট সত্য কথা। ধন্যবাদ প্রিয় শেরজা :)

২| ১৯ শে মে, ২০২৩ দুপুর ১২:০৭

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: ইসলামিক ব্যাংকগুলো বলছে তারা সুদ দেয় না, তারা ব্যবসায় বিনিয়োগ করে মুনাফা করে সেখান থেকে গ্রহণকদের লভ্যাংশ দিয়ে থাকে।

আমার কথা হলো আমি নিজে তো আর ব্যবসা করছি না, আমি যদি ইসলামী ব্যাংকে টাকা খাটিয়ে অতিরিক্ত টাকা পাই সেটা কি সুদ হয়ে গেল না? এক্ষেত্রে অন্য ব্যাংক এর সাথে এদের পার্থক্য হলো অন্যান্য ব্যাংক আগে থেকেই বলে দেয় আমার কাছে টাকা রাখলে তোমাকে এত পার্সেন্ট দেব আর ইসলামী ব্যাংক গুলো এইটা গোপন রাখে এটুকুই।

আবার ইসলামে সুদ দেয়া নেয়া দুটোই অপরাধ, সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকার সাথে ইসলামী ব্যাংকের সুদমুক্ত কোন আছে বলে তো সোনা যায়নি।

তাহলে শেরজা তপন যে বলেছেন: সত্যিকার অর্থে ইসলামী ব্যাঙ্কিং ব্যাবস্থা এই চোরের দেশে সম্ভব নয়। নতুন ধান্দায় সবাই ফেক হুজুর হয়েছে। সবুজ রঙ মসজিদের/মিনারের আদল আর আরবি হরফের অনুকরণে বাংলা আর ইংরেজীতে ধর্মপরায়ন মানুষকে ধোঁকাবাজির ফন্দি সব। কথাটিকে তো অমূলক বলা যাবে না।

২০ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫২

দারাশিকো বলেছেন: যেহেতু তিনটা বই পড়ে তারপর এই পোস্টটা লিখেছি - তাই জানি - ইসলামিক ব্যাংকগুলো মুদারাবার শর্তে আপনার থেকে জামানত গ্রহণ করে বলে আপনাকে যে প্রফিটের অংশ দেয়া হয় সেটা সুদ হিসেবে গণ্য হবে না। তাছাড়া, তারা একটা মুনাফার হার শুরুতেই জানিয়ে দেয়। প্লাস, তাদের লোকসান হলেও কেন সবসময় আপনাকে প্রফিট দেয় তার ব্যাখ্যাও আছে। সম্ভব হলে- হামিদা মুবাশ্বেরা বা শামসুদ্দোহার বইগুলোর একটি পড়ে নিতে পারেন। কনসেপ্ট ক্লিয়ার থাকা ভালো হবে, প্লাস ব্যক্তিজীবনে যদি ইসলামিক পদ্ধতিতে লেনদেন করতে চান, তবে এপ্লাই করতে পারবেন।

৩| ১৯ শে মে, ২০২৩ দুপুর ১:১০

রাজীব নুর বলেছেন: ব্যাংকের সাথে ইসলামী নামটা ব্যবহার করাই অন্যায় হয়েছে।
আসলে দেশের লোকজন ধর্ম বলতে অজ্ঞান।

২০ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৩

দারাশিকো বলেছেন: দ্বিমত পোষন করলাম।

৪| ১৯ শে মে, ২০২৩ দুপুর ২:০৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ইসলামী ব্যাংকগুলি আল্লাহর সাথে প্রতারনা করছে। এরা ঘুরিয়ে সুদ নিচ্ছে। আমি এই বিষয়ে একটা বই পড়েছিলাম। আমার মনে হয়েছে এই লেনদেনগুলি কৃত্রিমভাবে তৈরি করা। পরে বিস্তারিত বলার চেষ্টা করবো।

২০ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৪

দারাশিকো বলেছেন: বিস্তারিত বলার আগে ইসলামিক ব্যাংকগুলোর বক্তব্য কি সে বিষয়ে সামান্য পড়াশোনা করে নিতে পারেন। আবদুল মান্নানের বইটা এজন্য বেস্ট। ধন্যবাদ সাড়ে চুয়াত্তর :)

৫| ১৯ শে মে, ২০২৩ দুপুর ২:৩৯

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: আগের মন্তব্যে টাইপো ছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে ইসলামী ব্যাংকের সুদমুক্ত কোন লেনদেনের ব্যবস্থা আছে বলে তো শোনা যায়নি।

২০ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৪

দারাশিকো বলেছেন: নো প্রবলেমো :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.