নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“Peace comes from within. Do not seek it without.” ― Gautama Buddha

আলোর_পথিক

এখন সময় এসেছে না বলা কথা গুলো বলে বধীর মানুষের বধীরতা ঘোঁচানো, এখন সময় এসেছে আলোর বাঁধ ভাঙ্গার। যে আলোয় অন্ধকারগামী মানুষ চলতে শিখবে। আমি ভীতু, আমার গলার স্বরও নরম। আমি বলতে সাহস করবনা বললেও কেউ শুনতে পাবেনা। যাদের সাহস আছে, যাদের গলা উঁচু আছে তাদেরকে সমবেত স্বরে বলতে হবে। আলোর বাঁধ ভেঙ্গে দাও! অন্ধকারকে হটাও!

আলোর_পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বপ্ন পূরণ হলেও শঙ্কিত উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট অভিভাবকগণ

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৭


মুখবন্ধ : লেখাটি আমার নয়, আমার পরম শ্রদ্ধেয় বড় ভাই আব্দুস শুকুর কর্তৃক লেখাটি লেখা হয়েছে। যার মেয়ে এবার মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে কিন্তু প্রশ্নপত্র ফাঁস সংক্রান্ত প্রকাশিত খবরেরর কারণে এবিষয়ে তার উদ্বিগ্ণ ও অনুভূতির কথা জানিয়েছেন। তার কোন ব্লগ এ্যাকাউন্ট না থাকায় তার সেই অনুভূতির কথা আমার ব্লগে প্রকাশ করে তা আপনাদেরকে জানালাম।

আমি একজন এনজিও কর্মী এবং আমার মেয়ে এবছর ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে মোট ১৭৭.২৫ স্কোর পেয়ে কক্সবাজর মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে (মেধা তালিকায় তার অবস্থান ২৬০৯) (এবছর সুযোগ পাওয়া সর্বশেষ স্কোর ১৭৫), এতে করে মেয়ের ও আমার পরিবারের স্বপ্নপূরণ হয়েছে। অথচ সাম্প্রতিক কালের আন্দোলন আমাদের আনন্দ ও স্বপ্নকে অনেকাংশে ম্লান করে দিয়ে নতুন করে দুশ্চিন্তা ও মারাত্মক উদ্বিগ্নতার মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। কিন্তু কেন এই উদ্বিগ্নতা?

এবছর মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ১৮ সেপ্টেম্বর’১৫ ও ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয় ২০ সেপ্টেম্বর’১৫। পত্রিকা ও টেলিভিশনের খবর অনুযায়ী এবছর ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে মোট ৮৭৭৮৪ জন ছাত্র-ছাত্রী, যাদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয় ৪৮৪৪৮ জন। উত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে মেধা ও আসন অনুযায়ী মেডিকেল ও ডেন্টাল মিলে সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে ভর্তি হতে পারবে মোট ৩৭৪৪ জন। কিন্তু বিপত্তি বেঁধেছে, প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে অনুত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলন। তারা প্রকাশিত ফলাফল বাতিল করে নতুন করে পরীক্ষা গ্রহণের দাবী করছে, তাদের দাবী যৌক্তিক না অয়ৌক্তিক সে বিষয়ে আমি কোন মন্তব্য করতে চায়না। যতদূর মনে পড়ে, প্রশ্নপত্র ফাঁসের খবর আসে গত ১৬ সেপ্টেম্বর’১৫ এবং এ অভিযোগে ৪জনকে গ্রেপতারও করে র‌্যাব দল, সম্ভবত তারা এখন জেল-হাজতে। প্রশ্ন হচ্ছে, সেসময় কেন পরীক্ষা পেছানোর কথা বলা হলো না? আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণার সময় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মহোদয় পরিস্কার বলেছেন, সকল কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা স্বচ্ছতার সাথে হয়েছে, কোথাও প্রশ্ন ফাঁসের কোন খবর তাঁদের নজরে আসেনি। এরপরও সুপ্রীম কোর্টের একজন মান্যবর আইনজীবী এ বিষয়ে হাইকোর্টে রিট করেছিলেন যা মাননীয় আদালত গতকাল (২১.০৯.১৫) খারিজ করে দিয়েছেন, তদুপরি তিনি হয়ত আইনী লড়াই চালিয়ে যাবেন।

আরো কিছু প্রশ্ন দিয়ে আমার বেদনাটুকু শেয়ার করতে চাই, যেমন: প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে থাকলেও সেই প্রশ্নে পরীক্ষা হয়েছে কিনা? ফাঁসকৃত প্রশ্ন কতজন পেয়েছে? কারা এবং কোন শ্রেণীর মানুষ এগুলো পেয়েছে? কিভাবে পেয়েছে? সবশেষে, এই বলে শেষ করবো যে, দেশের সার্বিক উন্নয়নে মানসম্মত শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে যেকোন পরীক্ষায় (শিক্ষা ও চাকুরী) প্রশ্নপত্র ফাঁস একটি মরণ ব্যাধি। এর সাথে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়ে সরকার বাহাদুরের পক্ষ থেকে আশু সমাধান করা যেমন জরুরী তেমনি সবার আগে জরুরী সরকারি মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পাওয়া ধনী-মধ্যবিত্ত, নিন্ম মধ্যবিত্ত, দরিদ্র ও অতিদরিদ্র পরিবারের ছাত্র-ছাত্রী ও সংশ্লিষ্ট অভিভাবকদের উদ্বিগ্ন দূর করে ঈদের আনন্দ উপভোগের সুযোগ করে দেয়া।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.