![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এখন সময় এসেছে না বলা কথা গুলো বলে বধীর মানুষের বধীরতা ঘোঁচানো, এখন সময় এসেছে আলোর বাঁধ ভাঙ্গার। যে আলোয় অন্ধকারগামী মানুষ চলতে শিখবে। আমি ভীতু, আমার গলার স্বরও নরম। আমি বলতে সাহস করবনা বললেও কেউ শুনতে পাবেনা। যাদের সাহস আছে, যাদের গলা উঁচু আছে তাদেরকে সমবেত স্বরে বলতে হবে। আলোর বাঁধ ভেঙ্গে দাও! অন্ধকারকে হটাও!
ঢাকাতে রাস্তা ও গাড়ী দু’টোতেই জ্যাম হয়, মিয়ানমারে গাড়িতে জ্যাম হয় রাস্তায় না। ঢাকাতে অটোমেটেড ট্রাফিকের ব্যবস্থা থাকলেও সেগুলো কোথাও কোথাও কখনও কখনও ব্যবহার করা হয়।
ইয়াঙ্গুনে অটোমেটেড ট্রাফিক ব্যবস্থায় ব্যবহার করা হয় কখনও কখনও নাকি ম্যানুয়াল ট্রাফিক ব্যবস্থা ব্যবহার করা হয়। ঢাকাতে দামী খাবার আছে তেমনি দামও বেশি নেওয়া হয়, ইয়াঙ্গুনে দামী খাবার আছে তবে দাম বেশি নেওয়া হয়না।
ঢাকাতেও দূর্নীতি আছে, আছে ইয়াঙ্গুনেও, ঢাকাতে দোকানি কোন ভাবে দাম বেশী নিতে পারলে সেগুলো হজম করার সমস্ত আয়োজন করে, ইয়াঙ্গুনে, দোকানিকে ভুল করে ক্রেতার স্বীকৃতিতে টাকা নিলেও ভুল বুঝতে পারার সাথে সাথে ক্ষতিগ্রস্থ বিক্রেতাকে নিজ দায়িত্বে টাকা ফেরত দেয় (যদি সম্ভব হয়)।
ধর্মীয় গোঁড়ামি ইয়াঙ্গুনে আছে তবে আপনি ধর্ম বিশ্বাস না করলে ধর্ম বিশ্বাসী আপনার পাশ কাটিয়ে চলে যাবে, ঢাকাতে আপনি ধর্ম বিশ্বাস না করলে অন্য পাশ থেকে এসে ধর্ম বিশ্বাসীরা আপনার পাশ কেটে দিয়ে যাবে।
ঢাকা ও ইয়াঙ্গুনের ধনীরা বিপরীত ধর্মী হলেও দরিদ্ররা কিন্তু একই শ্রেণীর। ইয়াঙ্গুনে সকল নারীই এমনকি Big boobs থাকলেও বক্ষ ঢাকার জন্য অতিরিক্ত কাপড় ব্যবহার না করেই দিন রাত একা একা ফাঁকা রাস্তায় ঘুরে বেড়ায়, এমনকি ধর্ষণ যৎসামান্য হলেও নারীর পোষাককে দায়ী করে পুরুষদেরকে পাপমুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করা হয় না। ঢাকাতে শিশু ধর্ষণ হলেও নারীদের পোষাককে দায়ী করা হয় এমনকি প্রেমিকের চরিত্র নষ্ট হলেও প্রেমিকার বক্ষ বেষ্টনীর সাইজকে দায়ী করা হয়।
ইয়াঙ্গুনের সাধারণ মানুষের ভাষ্যমতে- রোহিঙ্গাদের সরকার ও সাধারণ মানুষ বের করে দিতে না চাইলেও সেনাবাহিনী বের করে দিয়েছে, ঢাকার মানুষ না চাইলেও সরকার রোহিঙ্গাদেরকে আশ্রয় দিয়েছে।
১৪ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:৫০
আলোর_পথিক বলেছেন: ধন্যবাদ সাজ্জাদ ভাই!
২| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:২০
রাজীব নুর বলেছেন: এক কথায় বলুন, কে ভালো?? ঢাকা না ইয়াঙ্গুন??
১৪ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:৫০
আলোর_পথিক বলেছেন: বিচারের দায়িত্ব নেওয়ার মত সামর্থ্য আমার নাই ভাই, আমি যে সামান্য অংশ দেখেছি তা তুলে ধরেছি মাত্র।
৩| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৪:১০
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: বর্তমানে যেমন বাংলাদেশের আদম মধ্যপ্রাচ্য সহ সিঙ্গাপুর মালয়েশিয়া কামলা খাটছে ১৯৭১ এর আগে শত শত বছর বাংলাদেশের মানুষ বার্মা রেঙ্গুনে কামলা দিতো। বৃটিশ উপনিবেশে বৃটিশদের পছন্দের সমুদ্র বন্দর রেঙ্গুন।
এই মুহুর্তে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে একটি মাত্র দেশের সাথে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ আচড়নে হয় সহজ সমাধান ঘরের মানুষ ঘরে ফিরে যাবে আর বার্মা-বাংলাদেশ-বার্মা ব্যাবসা কার্যক্রম পূণরায় শুরু করা।
১৪ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:১৯
আলোর_পথিক বলেছেন: আমি আপনার মতটাকে পুরোপুরি সমর্থন জানাই।
৪| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৯
শায়মা বলেছেন: পাশ কেটে নেওয়া! হা হা হা
১৪ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:২০
আলোর_পথিক বলেছেন: হে হে হে বলা ছাড়া উপায় নেই
৫| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:১৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
তা'হলে, এখন মগের মুল্লুক এ'পাশে
১৪ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:২০
আলোর_পথিক বলেছেন: ধরনীতে এখন টয়লেট ছাড়াতো কোন মগের মুল্লুক দেখি না।
৬| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২০
জুন বলেছেন: আমি যখন মিয়ানমার ভ্রমণে যাই তখন আমার ধারণা ছিল দেশটি খুবই দুর্দশাগ্রস্ত, এত দিনের সামিরিক শাসনের ঘেরাটোপে বন্দী একটি ছন্নছাড়া দেশ। কিন্ত আমি তাদের ইয়াংগুন, মান্দালে, বাগান আর ইনলে ঘুরে বিস্মিত হয়েছি। তাদের মিউজিয়াম দেখেও বিস্মিত হয়েছি। যাদের সাথে আমাদের আলাপ পরিচয় হয়েছিল তারা প্রত্যেকেই আমাদের সাথে যথেষ্ট আন্তরিক। এমনকি থামাডা হোটেল যেখানে আমরা ছিলাম তার সামনে বসে থাকা ড্রাইভারগুলোও আমাদের সাথে খুবই ভালো আভরন করতো। আমরা ওদের সাথে বসে ফ্রি ফ্রি চা খেতাম আর নানা রকম গল্প করতাম। ওরাই আমাদের জানিয়েছিল জাপানী ওয়ার সিমেট্রির কথা যেটা আমাদের একটা দুর্লভ দর্শন ছিল। আপনি একটু বিস্তারিত লিখবেন। আমিতো ব্লগে মিয়ানমার নিয়ে কত পোষ্ট দিয়েছি।
শুভকামনা রইলো।
১৪ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:৪১
আলোর_পথিক বলেছেন: আপানার অভিজ্ঞতা আর আমার অভিজ্ঞতা একই রকতম। আমি যে হোটেলে থাকি তার মান, তাদের আচরণ, আন্তরিকতা খুবই ভাল মানের। তবে আপনি আমাকে লিখতে বলেছেন সেটা খুব বেশি সম্ভব হবেনা। কারণ আমি এখানে এসে কাজে এতটায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছি যে, কাজ রেখে বেড়াতে পারছিনা। তবে সামরিক শাসনের ব্যাপার শুধুমাত্র রাজনৈতিক কাভারেজ মাত্র। জনগণের মধ্যে খুব সামান্যই তার প্রভাব আছে। রাস্তা-ঘাট অনেক সুন্দর। ধন্যবাদ আপনাকে।
৭| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:০১
মাহের ইসলাম বলেছেন: ছোট করে লিখলেও অনেক সুন্দর এবং গুছিয়ে লিখেছেন।
ভালো লাগলো।
এত খাবারের ছবি দিলেন, টেস্ট কিরকম?
ক্ষেতে ইচ্ছে করছে।
আর, আপনার কথা শুনে যেতেও ইচ্ছে করছে।
শুভ কামনা রইল।
১৪ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:৪২
আলোর_পথিক বলেছেন: মায়ানমার-ইসরায়েল এসব দেশে ভ্রমণ না করে কোন প্রকার ধারনা পোষণ করলে তা যথেষ্ঠ ভুল হতে পারে!
১৪ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:৫১
আলোর_পথিক বলেছেন: খাবারের টেস্টগুলো ভাল এবং ভেজালের মাত্রা কম আছে। মিয়ানমারে বেড়াতে পারেন, একটু ভিন্ন স্বাদ পাবেন।
৮| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৬
জুন বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন ওদের রাজনীতি, শাসক শ্রেণির সাথে সাধারণ মানুষের কোন মিল নেই। প্রতিটি জায়গার গাইডের সাথে আমাদের এখনো যোগাযোগ আছে। আমাদের অত্যন্ত সন্মান করে কথা বলে। আমরাতো সাধারণ পর্যটকই ছিলাম তাদের কাছে।
@মাহের ইসলাম বার্মিজ রান্না খুবই মজার। ওদের মেইন ডিসের সাথে এত সাইড ডিস দেয় যেগুলো দিয়েই আপনি তৃপ্তির সাথে দু প্লেট ভাত খেয়ে উঠবেন। আমার খুবই ভালোলেগেছিল ওদের খাবার।
৯| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৫:৫৮
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: অনেক সুন্দর পোস্ট ! বছর তিরিশ আগে বার্মা যাওয়ার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল এবং তখনকার অভিজ্ঞতা প্রায় আপনার অভিজ্ঞতার মতোই | খাওয়াদাওয়া সস্তা তো বটেই অনেক সুস্বাদু মনে চেয়েছিলো | আর রাস্তাঘাটে চলাচলে তারা অবশ্যই আমাদের চাইতে অনেক সভ্য | ওদের গণতন্ত্র না থাকার কারণেই ওদের রাজনীতিবিদরা আমাদের রাজনীতিবিদদের চাইতে অনেক ত্যাগী ও পেশাদার | একমাত্র ওদের সেনাবাহিনীর কিছু কিছু সদস্যের আচরণ আর আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কিছু সদস্যের আচরণের মধ্যে বেশ মিল আছে |
মাঝে মধ্যে ভাবি আমরা কেন সভ্য, সৎ ও মানুষ হতে পারলাম না ?
১০| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৬:০৩
চাঙ্কু বলেছেন: সুন্দর তুলনা! মিয়ানমার নিয়ে ব্লগে তেমন পোষ্ট দেখি না। ডিটেইলস একটা পোষ্ট দিয়েন!!
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:১৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।