নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফেসবুকঃ https://www.facebook.com/Desaif69

ডি সাঈফ

অ্যান্টি-হিরো

ডি সাঈফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মোতাহার হোসেন প্রিন্স নিছক একটি নাম নয়, ছাত্ররাজনীতির ইতিহাস

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৪৬

মান্নার কথা মনে আছে? নায়ক মান্না না, ভিলেন মান্না। ঢাবির বিরুদ্ধে যার গোপন ষড়যন্ত্র ফাঁস হয়ে গিয়েছিলো ২০১৫ সালে। নাশকতা করে ক্ষমতার স্বপ্ন দেখা মান্না টেলিফোনে সাদেক হোসেন খোকাকে যে বুদ্ধি দিয়েছিলেন--
.
মান্নাঃ "সরকারকে ফেলতে হলে পেট্রোল বোমার পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণ্ডগোল পাকিয়ে ২/৩টি লাশ ফেলে দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করতে যে ধরণের পরিস্থিতি সৃষ্টি করা দরকার সেটাই করতে হবে। ঢাবির ২/৩টি হল দখল করে অবস্থান শক্ত করতে হবে।"
.
এতেই ধারণা পাওয়া যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের রাজনীতিতে কতটা গুরুত্বপূর্ন। বড় কোনো ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে টার্গেট হিসেবে রাখা হয়। কারণ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর ছাত্রদের বিভাজন করতে পারলে এখানে এসে তৃতীয় পক্ষ সুবিধা নিতে পারে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অরক্ষিত হয়ে পড়লে সুযোগ পেয়ে বসে সেই শ্রেণী যারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে স্বীকার করে না।
.
সম্প্রতি রাজনীতি আঁতুড়ঘর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে নতুন ধরণের এক ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। কারণ, গত আট বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ নস্ট হয়নি। দু'পক্ষের মারামারিতে ক্যাম্পাস অনির্দিস্টকালের জন্য বন্ধ এমন শিরোনাম হয়নি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। গত আট বছরে সেশনজট কমতে কমতে এখন শূন্যের কোঠায়। রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ হয়েছে। এখন আর অছাত্ররা নেতৃত্ব দখল করে ছাত্রদের উপর ছড়ি ঘোরায় না।
.
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতারা এখন ধমক দেন ছাত্রদের, কিন্তু সেটা পড়তে যাওয়ার জন্য, ক্লাসে যাওয়ার জন্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ এখন হলে হলে গিয়ে সাধারণ ছাত্র, হল কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় করে, কিভাবে খাবারের মান আরো উন্নত করা যায়, কিভাবে হল পরিবেশ আরো শিক্ষাবান্ধব করা যায় এগুলো তাদের মাথাব্যাথার কারণ।
.
ছাত্রলীগের ভালো কাজ কখনোই কোনো পত্রিকা গুরুত্বসহকারে নিউজ করে না। প্রত্যেকটা জাতীয় দৈনিকে একটা ফিচার পাতা থাকে। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক বিভিন্ন সংগঠন, বিভিন্ন ভালো কাজের খবর ছাপা হয়। আমি আজ পর্যন্ত কোনো পত্রিকার ওই বিশেষ পাতায় ছাত্রলীগ নিয়ে কোনো রিপোর্ট দেখিনি। কিন্তু আমি দেখেছি অনলাইন নিউজ পোর্টালের দৌড়াত্ম। আমি দেখেছি হলুদ সাংবাদিকতা ও মৌলবাদীদের পত্রিকার নিউজ খাওয়ানোর বিশেষ তরীকা।
.
লাইসেন্সবিহীন তথাকথিত এইসব অনলাইন গনমাধ্যম একটা কম্পিউটার আর একটা খুপড়ি রুম এ বসে নিজেদের গনমাধ্যম দাবি করে। এদের সাইট চলবে না এরা ভালো করেই জানে। জানে বলেই এরা টার্গেট করে বিশেষ কিছু অনুভূতিকে। এরা ধর্মীয় অনুভুতিতে উসকানি দেয়, এরা খেলোয়াড় থেকে শুরু করে সেলিব্রেটিদের নিয়ে এমন শিরোনাম দিয়ে নিউজ করে যে তাদের ওয়েবসাইটে বলদ পাঠক হুমড়ি না খেয়ে পারে না। এরা আধুনিক রনকৌশল হিসেবে টার্গেট করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে, ছাত্রলীগকে, ছাত্রলীগের নেতৃত্বকে...
.
এর সাথে সাথে কিছু জাতীয় দৈনিক এখন অনলাইন ভার্শনে আসায় তারাও আলোচনায় থাকার জন্য উসকানিমূলক বক্তব্য প্রচার করে। আমি সবচেয়ে অবাক হয়েছি বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ সম্পাদককে করা নিউজটায়। এই নিউজটা শেয়ার করে অনেকে আহাজারি করছেন। সাময়িক রাগ কিংবা ক্ষোভ থেকে আপনারা যারা এইসব নিউজ শেয়ার করে প্রিন্স ভাইকে কটাক্ষ করে মন্তব্যগুলো করছেন তারা আসলে অসচেতন ভাবে ওই পক্ষকেই খুশি করছেন যারা চায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভেদ সৃষ্টি হোক, যারা চায় ঢাবির ছেলেরা গ্রুপিং করে মারামারি করে লাশ ফেলে দিক। গ্রুপিং নিয়ে করা নিউজটা শেয়ার করে গ্রুপিং এর প্রমাণ আপনারাই দিচ্ছেন। যিনি অভিভাবক তার শাসনের প্রতিক্রিয়া দেখাতে যা ইচ্ছা তা বলছেন।
.
কাজটি আপনারা করেছেন সাময়িক ক্ষোভ থেকে। তিনি হয়ত সব ভুলে সবাইকে বরাবরের মতো কাছে টেনে নেবেন। যেভাবে তিনি গ্রুপের বাইরে, হলের বাইরে, সাধারণ ছাত্র নির্বিশেষে সবাইকে বিপদে কাছে টেনে নিতেন সেভাবে। কিন্তু এই সাময়িক ক্ষোভ থেকে ঘরের নেতাকে বাইরের মানুষের কাছে ছোট করতে গিয়ে আপনারা সংগঠনকে ছোট করছেন। যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ রোলমডেল সবার কাছে সেখানে আপনাদের এই মন্তব্যগুলো সবার কাছে কি ভুল বার্তা পৌঁছে দেবে না?
.
ব্যাক্তি মোতাহার হোসেন প্রিন্স আগের দিনও শিবিরের বিরুদ্ধে প্রমাণসহ ফেসবুকে পোস্ট লিখেছিলেন। যেটা তিনি সবসময় করেন। মঞ্চে যার তুখোড় বক্তব্যে কাঁপে অপশক্তির আত্মা। যার স্লোগানে মুখরিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। যার পরিশ্রম এর কথা সর্বজনবিধিত। যাকে কর্মীবান্ধব নেতা বলা হয় কর্মীদের কাছাকাছি থেকে তাদের সমস্যা সমাধান করার গুণের জন্য। এসব কিছু আড়াল করে তাকে নিয়ে হুট করেই কেনো এই সমালোচনা ? কে লাভবান হয় মোতাহার হোসেন প্রিন্সকে বিতর্কিত করতে পারলে ?

এই প্রিন্স ভাই-ই বঙ্গবন্ধু হলের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের সুন্দর বন্ধনের ছবি শেয়ার করে সবাইকে গ্রুপিং না করে একসাথে চলার পরামর্শ দেয়। যে কথাটি এখন অন্যান্য হলের নেতৃত্বের কাছেও অনুসরনীয় হয়েছে। কারণ, ছাত্রলীগ করে একটাই গ্রুপ - একজনের রাজনীতি - সেটি হচ্ছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাই আড়াল থেকে বিভাজন করার কলকাঠি নাড়বেন না।
.
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ এর যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক বনী আমিন মোল্লা ভাই এর কথার সুরে একটাই কথা বলতে চাই, অভিভাবকের অভিভাবকত্ব নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলে তারা সুস্পষ্টভাবে ছাত্রলীগের চেইন অব কমান্ড ভঙ্গ করছে। তারা সুযোগ পেলে দেশরত্ন শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত নিয়েও যে প্রশ্ন তুলবে না সে কথা কে জানে !
.
সবশেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স এর সুরে বলতে চাই, এই বিশ্ববিদ্যালয় দেশরত্ন শেখ হাসিনার জন্য শতভাগ নিরাপদ জায়গা। আর এই নিরাপত্তাকে সুদৃঢ় করতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ যেকোনো সময় উপযুগী সিদ্ধান্ত গ্রহণের এখতিয়ার রাখে। এখানে অরাজকতার সুযোগ নেই। এখানে ষড়যন্ত্র করে বহিরাগত কাউকে খুশি করার সুযোগ নেই। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করার ষড়যন্ত্র, লাশ ফেলে দেয়ার ষড়যন্ত্র, স্বাধীনতার বিপক্ষের কাউকে এই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে রাজনীতি করতে দেয়ার সুযোগ নেই। এতদিনের তিল তিল করে গড়ে ওঠা সুনামে কালিমা লেপনের সুযোগ দেয়া হবে না। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের চার সুযোগ্য নেতার হাত ধরে সুশৃঙ্খল যে ইতিবাচক রাজনীতি গড়ে উঠেছে এখানে বিভাজনের সুযোগ দেয়া হবে না।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.