নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পথে পথে চিরকাল

মানুষের সবচেয়ে বড় ক্ষমতা কিংবা অক্ষমতা এক জায়গায় কেন্দ্রীভূত। তা হলো নিজের উপর নিয়ন্ত্রন

আহমেদ রাকিব

যন্ত্র মানবে পরিনত হতে খুব বেশি দেরি নেই। কষ্টের অনুভূতিগুলো আগের মতন ধারালো নাই আর। অযাচিত আঘাতে হৃদয়ে আগের মতন রক্তক্ষরণ হয় না। ধীরে ধীরে আমি অজেয় হয়ে উঠছি। বিবর্তনের এই ধাপটা খুব আনন্দদায়ী নয়। বরং একটু বেশি অস্বস্তিকর।

আহমেদ রাকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবনে যা কিছু খেলেছি

১৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:০৫

আমার ছেলেবেলাটা কেটেছে চার দেয়ালের মধ্যে।(লেখার শিরোনাম আর প্রথম লাইন, এই দুইটা পইড়া যারা এখনি আমার জন্য দুঃখে কপাল চাপড়াইতেছেন তাগো মুখে ছাই।) আমার চার দেয়ালটা ঘরের চার দেয়াল না। কলোনীর চার দেয়াল। বেশ বড়সড়ো একটা কলোনী। কলোনীর ভেতরে স্কুল, পুকুর, খেলার মাঠ,মসজিদ সব আছে।ওই স্কুলেই পড়েছি। আর সবকিছু হাতের কাছে থাকায় ওই চার দেয়ালেই কেটে গেছে ছেলেবেলার একটা বিশাল সময়।হয়তো জীবনের অন্যতম দারুন সময়টাও। কলোনীর জীবন একেবারেই আলাদা। কেমন আর কতটা সেটা কাউকে বলে বোঝানো সম্ভব না। কলোনী জীবন নিয়ে অন্য একদিন বলবো। হুট করে মনে হলো জীবনে এত খেলা খেলেছি, এটা লিখে না রাখলে হয়তো একদিন ভুলে যেতে পারি। এই জন্যই শত যন্ত্রণার মধ্য এই ক্ষুদ্র প্রয়াশ। যারা খেলাধূলা পছন্দ করে না, ভাইরে, এই পোষ্ট থেকে এক হাজার হাত দূরে থাকেন।



ফুটবলঃ

এই খেলা যে খেলে নাই, তারে নিয়া কিছু বলা উচিত না। বাঙ্গালীর রক্তে মিশে আছে এই খেলা। সব মৌসুমে অত্যন্ত আনন্দ নিয়ে হাত পা ছিলে এই খেলা খেলতাম। সবচেয়ে জমত বর্ষায়। কাদার মধ্যে দৌড়ায় আইসা একটা ডাইভ দেয়া। উফ কি যে জোস। আর মুষল্ধারে বৃষ্টির মধ্যে কাদায় মাখামাখি হয়ে তারপর পুকুরে গলা পানিতে ডুবে বসে থাকা। সেই সব দিন ছিল বটে। তবে খেলতে খেলতে মাঝে মাঝে বোর হয়ে যেতাম। তখন কিছু নতুন খেলা বের করতাম। যেমন ফুটবল দিয়ে পানিতে হ্যান্ডবল টাইপ একটা খেলা।এটা জমানো অনেক কঠিন ছিল। আরেকটা খেলা ছিল এইটার নাম দিছিলাম বোম্বাই। এটা বোম্বাস্টিং এর উন্নত ভার্সন। টেনিস বলের বদলে ফুটবল দিয়ে খেলা হতো। একটা নির্দিষ্ট সীমানার বাইরে যাওয়া যেত না।সবাই গোল হয়ে দাড়াতো, বলটা উপরে ছুড়ে মারা হতো। বল গড়িয়ে যার পায়ে পরবে সে চোর। চোর এখন দল ভারী করার জন্য এক এক জনের দিকে বল ছুড়ে মারত। কনুই পর্যন্ত বল ঠেকানোর অস্ত্র। এছাড়া শরীরের কোথাও লাগলেই চোরের পার্টি।(চোর হইতেই এই খেলায় মজা বেশি।)



ক্রিকেটঃ

এটাযে প্রচুর খেলছি এটা বলার কোনো দরকার নাই। এটা সবাই খেলে। যথারিতী কিছু আলাদা আবিষ্কার ছিল এই খেলার। সবচেয়ে জনপ্রিয় হইল শর্ট বাউন্ডারী। এটা এখনো তুমুল জনপ্রিয়।এই খেলা একসময় কলেজিয়েট এর মাঠে খেলতাম।পরে কলোনীতে এটা চালু করেছিলাম। নিয়ম কানুন না জেনেই স্টাম্প দিয়ে বেজবল এবং হকি খেলতাম। ঘরের মধ্যে স্পিন স্পিন খেলতাম। কে কত বল ঘোরাতে পারে। বল কোনো ভাবেই স্টাম্পে লাগতে পারবে না এই খেলায়। ছাদের উপরে ক্রিকেট খেলা অনেক যন্ত্রণা ছিল। বল পরে যেত শুধু। ক্রিকেট নিয়েও একি ঘটনা মনে পরছে। ফিল্ডিং শেষ করে ওপেনিং ব্যাটসম্যান ছাড়া বাকী সব পুকুরে। একজন করে আউট হয় আর একজন করে পুকুর থেকে উঠে এসে ব্যাটিং করে।বাকী ঘটনা অন্য কোনোদিন।



দাড়িয়া বান্ধা, গোল্লা ছুট, বৌ চিঁ, কাবাডিঃ

দাড়িয়া বান্ধা খুব মজার খেলা। একটা চরম টিম গেইম। একটা কোর্ট কাটা থাকতো দুই কলাম চার রো। বিপক্ষ দল দাগের উপরে দাড়াইয়া গার্ড দিত। আর ওদেরকে ফাঁকি দিয়ে ওপারে গিয়ে আবার ফিরে আসতে হতো। সবচেয়ে মজা ছিল কাঁচা পাঁকা গোল্লা। গোল্লাছুট মজার খেলা ছিল। এটাতে আমি বেশ ভাল খেলোয়াড় ছিলাম, কারন আমি অনেক দ্রুত গতীতে দৌড়াতে পারতাম, আর শব্দ কম করে দৌড়াতে পারতাম। বৌঁচি একটু মেয়েলি খেলা। এখানে যারা চি দেয় ওদের অনেক দম থাকতে হয়। আমার দম কম ছিল। তাই আমি এখানে খুব ভালো খেলোয়াড় ছিলাম না। তবে বৌ যে ছিল তার অনেক দ্রুত দৌড়াইতে হইত। আর একটা গুন থাকতে হইত। সেটা হলো অনেক দূরে থু থু নিক্ষেপ করা। এই কাজটাও আমি ভালো পারতাম। তাই আমারে বৌ বানানো হইত এই খেলায়। চি দেয়ার সময় নানা ধরনের কথা বলতো। একটা ভালো লাগতো। আকাশের তারা ঝিকি মিকি করে, কোন শালা আমারে ধরতে পারে? কাবাডি আমি তেমন একটা পারতাম না।আমার দম থাকে না। তাও খেলতাম। একদিন একটা লাথি মাইরা একজনের দাত ভাইঙ্গা ফালাইছিলাম। তারপর থেকে আর খেলি নাই।



বরফ পানি, লুকোচুরী, কানামাছি, রুমালচুরী,ওপেন্টি বায়স্কোপ

কম বেশি সবাই এইগুলা খেলছে। আমিও খেলছি অনেক। এই টাইপের আরেক্তা খেলা ছিল। এলনা বেলেনা ঝুমকাটা ঝুম আজি সালাইকা মালাইকা সালামালাইকা। একজন সবার দিকে পেছন ফিরে এটা বলত। এই সময় সবাই ওর দিকে আগায় যাইত। ওর এটা বলা শেষ হলেই সে পেছন ফিরে দেখত কেউ নড়ছে কিনা। কাউরে নড়তে দেখলে সে বাদ। এভাবে সবাই আগায় গিয়ে ওর পিঠে একটা কিল দিত। আর একটা খেলা ছিল আয়রে আমার আম, জাম, শাপলা। পিছে ঘুরে তালি। নাম ভুলে গেছি।



ডাঙ্গুলী, মার্বেল, চাক্কি

এইগুলা হইল সেই খেলা যা মা-বাবারা সহ্য করতে পারে না। দুই ধরনের ডাঙ্গুলী খেলতাম। একটা হইল এক দুই গুনা। আরেকটা অনেক কঠিন ছিল, এরি দুরি তেরি চুরী চম্পা জেট জান। এক একটা এক এক ভাবে মারতে হয়। এর মধ্যে এরি সবচেয়ে কঠিন। পায়ের আংগুলে গুলি থাকে, সেটা ছুড়ে হাতের ডান্ডা দিয়ে বাড়ি মারতে হয়।মার্বেল খেলা খুব ভালো লাগতো আমার। আমি যেভাবে খেলতাম সবাই হাসত। মাটিতে গরায় যেত না। উড়ে গিয়ে পড়ত। পরে পদার্থ বিজ্ঞান পড়তে গিয়ে জানলাম এটার নাম প্রজেক্টাইল। চাক্কি হইল চার কোনা একটা ইটের অথবা লোহার টুকরা দিয়ে চার আংগুল ব্যবধানের সই সই খেলা। কাইন্ড অফ জুয়া। তবে টাকা হিসেবে ম্যাচের কাঠির বাক্স ব্যবহৃত হতো।



ব্যাডমিন্টন, ভলিবল,বাস্কেটবল,টেবিলটেনিস

ব্যাডমিন্টন খুব ভালো লাগে। তবে ডাবলস খেলাই মজার বেশী। সিঙ্গেলস খেলা অনেক কঠিন। ভলিবল এ আমি ছিলাম খুব বিশ্বস্ত পকেট, যে কিনা কোনায় দাঁড়ায় থাকে।আর টুকটাক বল সেভ করে। হাইট কম, তাই এটা আসলে আমার খেলা না।বাস্কেটবল খেলেছি ইউনি, খুব অল্প। কিন্তু অনেক ভাল লাগছে।আর টেবিল টেনিস হইল সেই খেলা যেটা এখনো খেলি। বলের টুক টুক শব্দ আর স্ম্যাশ, এটা একটা নেশা।



বোম্বাস্টিং,সাতচারা

খুব জনপ্রিয় খেলা। বোম্বাস্টিং খুব বাজে লাগতো। কারন আমি বল মারলে যাকে মারতাম সে বল্টা ধরে আমাকে ফাটায় মারত আবার।অনেক লাগতো। সাতচারা খুব মজার খেলা। আমার নিশানা ভাল ছিল তাই আমি অনেক গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় ছিলাম।



কুতকুত, দড়িলাফ

কুতকুত তেমন না পারলেও দড়িলাফ বেশ ভাল পারতাম। সোজাটা খেলতে বোর লাগতো বলে সবসময় উলটা মারতাম। আর একটা আছে কেচকি, ওটাও মারতাম।



ক্যারাম,দাবা,লুডু,বাগাডুলি,কার্ড

জনপ্রিয় ইন্ডোর খেলা। সবাই খেলেছে। আলাদা করে একটা কথা বললে কার্ডের কথাই বলতে হয়। ইউনি লাইফ পুরাটাই খেলেছে এটা খেলে।অসাধারন সেই সব সময়। সারা রাত জেগে কার্ড খেলে ভোরের নাস্তা। হায়রে। দাবা একসময় ভালোই খেলতাম। এখন ভুলে গেছি। ক্যারাম খেলতে ভালো লাগে এখনো।লুডু খেলতাম খালাদের সাথে। ওরা অনেক চুরী করে। আমি ধরতে পারি না একদম। বাগাডুলীর একটা বোর্ড ছিল। কাজিন ফুয়াদের সাথে মারামারী করে ভেঙ্গে ফেলছি।



ষোল গুটি,তিনগুটি

এইগুলা অনেক মজার খেলা ছিল। দুপুরে রোদ বেশি থাকলে এগুলো খেলে সময় কাটত।এই ধরনের আরো কিছু খেলা ছিল। একটা হইল দশটা গর্ত থাক্তো। সব গুলাতে পাচটা করে পাথরের কনা। একজন শুরু করত, যেকোনো একটা গর্তের পাথরের কনা নিয়ে পরের গুলোতে বিতরণ। যদি বিতরণ করতে করতে একসময় সে যেই গর্তে শেষ করলো তার পরের গর্ত যদি ফাঁকা থাকে তাহলে এর পরের গর্তের সব কনা তার। এভাবে চলতে থাকে। আরো কিছু ছিল এই ধরনের। আফসোস। ভুলে গেছি।



ঘুড়ি

এক জীবনে এটা অনেক অনেক বেশি মিস করবো।অনেক অনেক প্রিয় একটা খেলা ছিল। কলোনীতে মোটামুটি ত্রাস ছিলাম আমরা। আমি আর আমার ছেলে বেলার বন্ধু ব্লগার চতুষ্কোন আর ওর বড় ভাই। আমাদের ভয়ে আশে পাশের সবাই এমন ভাবে ঘুড়ি ওড়াতো যাতে করে আমরা নাগাল না পাই। একদিনের কথা মনে আছে। আমাদের ঘুড়িটা অনেক পোষা ছিল। আকাশে উঠে চুপচাপ থাকতো যতক্ষন না আমরা কিছু নির্দেশ দিই। আমি আর চতুষ্কোন হঠাৎ দেখলাম পাশের বাড়ির ছাদে এক অপরুপা সুন্দরী। কোনো বাড়িতে বেড়াতে এসেছে বোধহয়। নাটাই ছাদের উপর রেখে মেয়েটাকে দেখতে দেখতে হঠাৎ আবিষ্কার করলাম শান্ত ঘুড়ি অশান্ত হয়ে কোথায় যে গিয়ে পড়েছে ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। আরেকদিন মাঞ্জা দেয়ার নতুন স্টাইল নিলাম। ঘুড়ি উড়িয়ে সুতো ছাড়তে ছাড়তে মাঞ্জা দেয়া। চতুষ্কোনের দায়িত্ব ছিল দুই বান্ডিল সুতো নাটাইয়ে স্থানাত্বর করা। আর আমার ছিল মাঞ্জা দেয়ার সময় ছাড়া। মাঞ্জা দিতে দিতে সুতো ছাড়তে ছাড়তে এক সময় টের পেলাম শালা চতুষ্কোণ সুতো বটেছে বটে, কিন্ত গিট দেয় নাই। দুই বান্ডিল সুতো তরতাজা মাঞ্জা সহ আমাদের শখের ঘুড়ি নিয়ে হাওয়া।



আরো কিছু খেলা বাদ পরছে। পরে মনে পরলে এড কইরা দিমু। আর যা যা খেলা হয় নাই কিন্ত ইচ্ছা ছিল তা হইল



লন টেনিস (বড়লোকের খেলা, এত টাকা নাই),পুতুল খেলা (খেলার সাথী ছিল না, আফসুস) আর কৃষ্ণ ভাইজানের খেলাটা খেলা হয় নাই, এইটা ঠিক বুঝি না। :P



মন্তব্য ১০২ টি রেটিং +১৮/-০

মন্তব্য (১০২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:০৮

রোহান বলেছেন: লীলা খেলা বুঝো না এইডা কি কইলা ;)

বোম্বাষ্টিং খেলারে ভালো পাই... কলেজিয়েটের মাঠে এইডা খেলার মজাই আলাদা আছিলো :)

১৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:৪২

আহমেদ রাকিব বলেছেন: কৃষ্ণ ভাইজানের খেলাডা মনে হয় অনেক কডিন। ;) আফসুস ভালো ট্রেনার পাই নাই। বোম্বাস্টিং এর দেখি মেলা ভক্ত। :)

২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:১১

শূন্য আরণ্যক বলেছেন: "বরফ পানি" নামটা পইরা আমোদ পাইলাম ।

পাশের বাড়ীর সেই রুপবতীর কি খপর হৈসে পরে ? ;)
~~~~~~~~~~~~


ব্লগার জানাজাবিদ এর এমন একটা সিরিজ ছিলো এই নিয়ে ।

১৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:৪৪

আহমেদ রাকিব বলেছেন: পাশের বাড়ির রুপবতীর কারনে শখের ঘুড়ি হারানোর শোকে সে হয়ে গেল রুপবতী ডাইনি। আর আছিল অতিথি পাখি। চইলা গেছিল। এর পরের খবর আর জানি না।

জানাজাবিদ ভাইয়ের লেখাটা পড়া হয়নাই। লিঙ্কু দেন্না। পইড়া দেখতাম।

৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:২০

মাসুদ চৌধুরী বলেছেন: ভালোই খেলেছেন ভাই।

১৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:৪৫

আহমেদ রাকিব বলেছেন: হমম ভাই, এক জীবনে অনেক অনেক খেলেছি। এখন প্রায়ই মন খারাপ হয় সেই সব দিনের কথা মনে পরলে। :(

৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:২১

হেমায়েতপুরী বলেছেন: ক্রিকেট... আর ২৯

১৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:৪৬

আহমেদ রাকিব বলেছেন: কি কইলেন হেমায়েতপুরী ভাই। বুঝলাম নাতো। ২৯ কি?

৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:২৩

অদ্বিতীয়া সিমু বলেছেন: বরফপানি আমিও খেলেছি...ভাল লাগল।
Click this link

১৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:৪৮

আহমেদ রাকিব বলেছেন: এত খেলার মধ্য শুধু বরফপানি কমন পড়ল? আর কোনো খেলা খেলেন নাই? আয় হায় বলেন কি? কোনো খেলা শিখতে চাইলে বইলেন শিখায় দিমুনি। লিঙ্ক দেখেছি। অনেক ভাল ভাল পোষ্ট আছে। সময় করে পড়ে কমেন্ট দেব।

৬| ১৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:২৫

জুল ভার্ন বলেছেন: সুন্দর বর্ণনা।

১৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:৫৫

আহমেদ রাকিব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জুলভার্ন ভাই।

৭| ১৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:২৭

ভাঙ্গন বলেছেন: খেলা নিয়া রাকিব্বাই ভালাই খেল দেখাইলেন।

,,,,
ফুটবল খেলা নিয়া প্রিয় লেখক সৈয়দ মুজতবা আলীর একটা কথা আমার আজকে খুব মনে পড়ে।
"একদিন সৈয়দ সাহেব এবং তার কোন এক গুরুজন ব্যাডমিন্টন খেলার কোটের পাশে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। তখন সেই গুরুজন সৈয়দ সাহেবকে বললেন, দেখলে হে বৃটিশরা জাতে কেমন?
তারা বাঙ্গালীরে দিল একটা গোল বল, আর সেইডা নিয়া বাইশজন কাড়াকাড়ি। একে অন্যকে লাথি উষ্টা দ্যাও,ঝগড়া কর। তারা এসে মিট করবে।
আরা নিজেরা ভদ্রলোক, দুইপাশে সীমানা নির্ধারন করে মাঝখানে জাল পেচিঁয়ে ভদ্রলোকের খেলা ব্যাড মিন্টন খেলে। ঝগড়া করবা?
জাল পেরুতেই ঝগড়া শেষ। ঐপাড় পর্যন্ত যাইয়া পৌছাবা কখন।"

১৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:৩১

আহমেদ রাকিব বলেছেন: সৈয়দ মুজতবা আলী একখান জিনিষ। বড় ভালা পাই তারে। আর খেলা জীবনে অনেক খেলছি। খেলতো দেখাইতেই হয়, তাই না? তুমার খপর কি রুকু? আছ কেমুন?

৮| ১৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:২৯

ক্যামেরাম্যান বলেছেন: কলোনীর মজা কলোনীতেই, পাড়ার মজা পাড়াতেই। তবে কলোনীতে ছোট-বড় সবাই সম্পর্কের ব্যাপারে খূবই আন্তরিক। পাড়াতে হয়তো নিজের এপার্টমেন্ট বিল্ডিং টা ছাড়ালেই আন্তরিকতাটা ফিকে হয়ে আসে আজকাল।

বোম্বাষ্টিং এর কথা মনে পড়ে গেল। এটা টেনিস বলের বদলে স্পঞ্জের বল দিয়ে খেললে মারাত্মক হতো। মাঝে মাঝে বল পড়তো ড্রেনে। দুই আঙ্গুলে কোনরকমে তুলে মাটিতে একটা গড়ান দিয়ে ... । যার লাগতো, বাসায় ফিরে তার কপালে জুটতো বোনাস :)

১৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৩

আহমেদ রাকিব বলেছেন: হা হা হা হা ড্রেন থেকে বল তোলা। যে ফেলবে সে তুলবে নিতিতে চলতাম আমরা। দুই আংগুল দিয়া বল তুলে গড়ানো দেয়া। তারপর দেয়ালে ছুরে মেরে মেরে শুকানো। আহারে কত কত স্মৃতিরে। অনেক ধইন্যা ক্যামেরাম্যান ভাই।

৯| ১৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:৩১

ভাবের অভাব বলেছেন: বোম্বাষ্টিং খেলতে আবার ইচ্ছা করতাছে। যারা যারা খেলতে চান টেনিস বল লইয়া চলেন সবাই আবার নাইমা পড়ি।

১৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:১৪

আহমেদ রাকিব বলেছেন: কই খেল্বেন? প্লেইস ঠিক করছেন নি? ঢাকা শহরে খেলতে গেলে টাকা দিয়া মাঠ ভাড়া নিতে হয়। আফসুসে আমার কান্দন আহে।

১০| ১৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:৩৩

মিনু বলেছেন: আপনি তো মেয়েদের অনেক খেলাই খেলতেন! :-*

১৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৫

আহমেদ রাকিব বলেছেন: হ, মেয়েদের অনেক খেলাই খেলছি। খেলার আসলে ছেলে মেয়ে নাই। খেলতে পারলেই হইল। আপ্নে আফা হইলে আপ্নেরেও দড়ি লাফে চ্যালেঞ্জ।

১১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:৩৮

শ।মসীর বলেছেন: রোহান বলেছেন: লীলা খেলা বুঝো না এইডা কি কইলা ;);)

বোম্বাষ্টিং খেলারে ভালো পাই... কলেজিয়েটের মাঠে এইডা খেলার মজাই আলাদা আছিলো :):)

আবারও মার্বেল খেলার ইচ্ছা জাগতাছে :(:( বাসায় কাওকাও করত বলে খুব বেশী খেলতে পারিনাই

ইচ্ছা করতাছে এখনই একটা বল নিয়া বাইর হয়ে পড়ি :):)

১৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৭

আহমেদ রাকিব বলেছেন: ইশ, এই লেখাডা লেইখা আমারো এখনি খেলতে বসতে ইচ্ছা করতাছে। চল খেলি। আফসুস খাওয়ার চেয়ে খেলা ভাল।

১২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:৪৮

রোহান বলেছেন: রাকু, ফর এ গুড লীলা খেলা ট্রেইনার কন্টাক্ট শামসু নানা ;)

১৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:০১

আহমেদ রাকিব বলেছেন: @
শামসু নানা,

বিষয়ঃ কৃষ্ণ ভাইয়ের খেলা শিখতাম চাই

জনাব,
সবিনয় নিবেদন এই যে, সামু ব্লগে জানিতে পারলাম আপনি একজন দক্ষ লীলা খেলোয়াড়। ছুডুবেলা থেকে শুধু শুনে এসেছি, মাগার আইজো জানতে পারলাম না এইডা কেম্নে খেলে। জনৈক ব্লগার রুহান আপ্নেরে সাজেস্ট কইরা গেল বিধায় আমি এই আবেদন পত্র লিখতে বসলাম। আপ্নের ভিজিটিং আওয়ার আর পারিশ্রমিক জানিয়ে একটা মেইল দিলে বাধিত হইতাম।সব যাচাই বাছাই কইরা ট্রেনার পরীক্ষায় আপ্নে উত্তীর্ন হইলে এই দরখাস্তের পরের প্যারা লিখবো। মানে ওই যে বিনীত নিবেদন......

ইতি
নাদান রাকিব

রেফারেন্স রোহান।

১৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:০২

নোঙ্গর ছেঁড়া বলেছেন: কাদা দিয়া এই খেলাডা কিরাম লাগ্তো? ;)



১৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:০৮

আহমেদ রাকিব বলেছেন: :) অনেক ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটা ছবি দেয়ার জন্য। এই খেলাডাও অনেক ভালা পাইতাম। কিন্ত খেলছি একটু কম এই আর কি। সাগর পাড়ের মানুষ ছিলামতো। তাই কাদা মাটি খুব কম পাইছি হাতের কাছে।

১৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:১৩

শূন্য আরণ্যক বলেছেন: Click This Link

স্যরি ওনার নিক জানজাবিদ ।

১৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৭

আহমেদ রাকিব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই। আমিও তাই ভাবতেছিলাম। জানজাবিদ

১৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:১৪

চতুষ্কোণ বলেছেন: গোল্লাছুট আর বৌচি খেলার কথায় রুমকি আপুর কথা খুব বেশী মনে পড়ে গেল। তয় বৌ হিসাবে তুই ফার্স্ট চয়েস আছিলি এই টা স্বীকার কইরা নেওয়ায় খুশি হইলাম ;)
ঘুড়ী উড়ানোটা এখনো খুব বেশী মিস করি।আমার অপকর্মের লাইগা এখনো আফসোস হয় :(( :(( :((
আর সবচেয়ে মিস করি সাতচারা, মার্বেল, ডাঙ্গুলি, চাক্কি এই খেলা গুলা।

পোলাপাইনরে ক্রিকেট খেলতে দেখলে এই বয়সেও হাত নিশপিশ কর।

লেখাটা পুরা নষ্টালজিক কইরা দিলরে। প্রিয়তে রাখলাম লেখাটা।ভালো থাকিস।

১৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:৪০

আহমেদ রাকিব বলেছেন: আর ভালা থাকা। আগের মতন ভাল কি আর কখনো থাকা যাবে? জীবনটাই এখন নস্টালজিক। শুধু অতীত আনন্দের স্মৃতি রোমন্থন হইয়া গেছে। আমারে বৌ বানাইতো এইটা অস্বীকার করমু কেন ক? এইগুলানইতো স্মৃতি। সেই কি দিন আছিল। আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম আমরা। তুইও ভাল থাকিস দোস্ত।

১৬| ১৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:২৭

শ।মসীর বলেছেন: নাদান রাকিব

যারা লীলাখেলায় ক্যাম্পাস মাতাইয়া আসিয়াছে তাদের কে নতুন করে শেখানোর কিছু নাই।

কৃষ্ণ করছে মামীর লগে আর কেউ করছে বড় আপুদের লগে - এইটা খুব বেশী বড় পার্থক্য না।

খেলা চালাইয়া যাও, মঙ্গল হইবেক ।

অধম পিয়ন কে গুরু বলায় তোমার প্রতি শ্রদ্ধা আরেক দফা বাড়িয়া গেল।

১৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:৫৬

আহমেদ রাকিব বলেছেন: নানা,

যুগে যুগে বড় আপুরা অনেকেরেই ভালা পায়
সেসব কাহিনী লোকচক্ষুর আড়ালেই রইয়া যায়

আমার তোমার সবারি আছে
কিছু কিছু অনেক ভাল বড় আপু
বন্ধুর মতন, বন্ধুর চেয়েও হয়তো বেশি কিছু
শ্রদ্ধায় নত মস্তুক, ধন্যবাদ হে ভাল কিছু সময়ের জন্য।
তুমি কি ভুলে গেছ তাদের হে শামসু?
বুকে হাত দিয়া কও।

তারপরো কই তুমিই গুরু,
দক্ষিণা দিবার মঞ্চায়
পাগলতো আজো হইল না কেউ
আমার প্রেমের প্রতিক্ষায়।

১৭| ১৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:৪০

রোহান বলেছেন: রাকুর বড় আপু সংক্রান্ত ঘ্যটনা হুনবার মন্চায় ;)

১৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:০৫

আহমেদ রাকিব বলেছেন: তেমন কোনো ঘটনা নারে ভাই। আমার কিছু খুব ভাল বন্ধু, এদের মধ্যে কয়েকজনের বয়শ আমার চেয়ে বেশি এবং ওনারা মেয়ে। শামসুও কিন্ত আমার বন্ধু। বয়সও আমার চেয়ে বেশী, মাগার পোলা এই হইল পার্থক্য। আর শামসুর কমেন্টের রিপ্লাই দিছিতো। :)

১৮| ১৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:৫৮

চতুষ্কোণ বলেছেন: আমগো খেলার মাঠ দেইখা মনে হইতাছে লিভারপুলের মাঠ :)

রাকুর বড় আপু সংক্রান্ত ঘ্যটনা আমিও হুনবার চাই :D :D

১৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:০৮

আহমেদ রাকিব বলেছেন: লিভারপুলের মাঠ ভালা না। আমাগোডাই ভালা। দেখ কি সুন্দর অরিজিনাল ঘাস। আর বড় আপু সংক্রান্ত ঘটনা শুনতে চাইলে আমার আম্মারে গিয়া জিগা। আম্মা সবাইরে চিনে। ডিটেইলস সব বলবে নে।

১৯| ১৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:৫৮

রোহান বলেছেন: তারপরো কই তুমিই গুরু,
দক্ষিণা দিবার মঞ্চায়
পাগলতো আজো হইল না কেউ
আমার প্রেমের প্রতিক্ষায়।


রাকু রে জাঝা ;)

১৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:১০

আহমেদ রাকিব বলেছেন: ;) ;) ;) ;) ;)

২০| ১৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:১৫

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: ছোট বেলায় অনেক খেলা খেলেছি ----আপনার লেখা পড়ে মনে পড়ে গেল। পাঁড়ার সবাই বলত, ‌এই মেয়ে ছেলেদের খেলাও খেলে''
বরফ পানি খেলাটা আমার কাছে নতুন লাগলো
ধন্যবাদ

১৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:২০

আহমেদ রাকিব বলেছেন: অনেক অনেক ধ্ন্যবাদ আপু। আমিও অনেক মেয়েদের খেলা খেলেছি। এটা কোনো ব্যাপার না।:)

২১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:৩২

চতুষ্কোণ বলেছেন: কবিগুরু রাকুরে জাঝা।

খেলা দেখার বয়সটা না থাকলেও অপরুপা সুন্দরী দেখার বয়সটা মনে হয় এখনো আছে :P B-) B-)

১৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:২৩

আহমেদ রাকিব বলেছেন: হ, এই বয়সের কুনু শেষ নাই। এরশাদ হু আ এরা অনেক নজীর সৃষ্টি কইরা গেছে। তাই রুপবতী দেখনের বয়সের কুনু শেষ নাই। ;)

২২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:৩৪

ভেবে ভেবে বলি বলেছেন: দাড়িয়াবান্ধা খেলার নাম শুইনা ব্যাপক ণষ্ঠালযিক হয়া পর্লাম, কত যে পাগলামি কর্সি এডি লয়া! অহনও ঐ পাগলামি কাটে নাই।

১৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:২৪

আহমেদ রাকিব বলেছেন: তা অহন দাড়িয়াবান্ধাটা কই খেলা হয় শুনি? আম্র অবশ্য একটা কিছু মনে হইতাছে। ১৮+ কথা বইলাই কইলাম না। বুইজ্ঝা লও।

২৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:৪৪

হেমায়েতপুরী বলেছেন: ২৯ হইল তাসের খেলা।

১৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:২৫

আহমেদ রাকিব বলেছেন: আমি ব্রীজ খেলা বেশি ভালা পাই। তয় ২৯ ও অনেক খেলছি।

২৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:১৪

বড় বিলাই বলেছেন: মজার মজার সব খেলা।

১৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:২৬

আহমেদ রাকিব বলেছেন: খেলা গুলা যেমন অনেক মজার। সময়টাও অনেক অনেক মজার ছিল। আপনি কেমন আছেন?

২৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:১৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: ঘুড়ি ছাড়া সবগুলা কমন পর্ল। আমিও কলোনিতে জীবন কাটাইসি। পুরা উদাস হৈলাম লেখা পৈড়া।

ওহো ডাঙ্গুলী, মার্বেল, চাক্কি এঘুলাও খেলা হয়নাই :|

১৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:২৮

আহমেদ রাকিব বলেছেন: সেই সব দিন মানেই উদাস হইয়া যাওয়া। আহা বড় মধুর ছিল। হামা ভাই আপ্নে কিন্তু মিস্করছেন। ডাঙ্গুলী, মার্বেল, চাক্কিও কিন্তু অনেক মজার খেলা। :)

২৬| ১৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:২০

সীমানা ছাড়িয়ে বলেছেন: এত কিছু খেললেন, কিন্তু কুতকুত খেললেন না, কামডা ঠিক হইল?

১৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:২৭

আহমেদ রাকিব বলেছেন: কুতকুত খেলি নাই কেডা কইল? আবার পইড়া দেখেন লেখা আছে। :)তয় খুব বেশি ভাল খেলতে পারতাম না এইডা সইত্য।

২৭| ১৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:৪০

ভেবে ভেবে বলি বলেছেন: আরে অখন খেলি গেরামের বাড়িত। এই খ্যালা শিখছিলাম মাদারিপুর যায়া, বাপজান ঐহানে চাক্রি কর্তো তো হের্লিগা। পরে আমগো গেরামে আইসা দেহি আমার ভাইবইনেরা কেউই এই খ্যালা জানে না, তহন আমিই ওগোরে শিখায়া দিলাম। অহনও গেরামে গ্যালে ভাইবইনগো লগেই খেলি আর কি।

মিয়া তুমার মুখে দেহি কিছুই আটকায় না!

১৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:৪৩

আহমেদ রাকিব বলেছেন: এত দিনে বুঝলা যে মুখে কিছু আটকায় না? আফসুস আর সাপধান। :)

২৮| ১৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:৪৪

রোহান বলেছেন: রাকুরেও বিয়া দেওন দর্কার... বেচারা লীলা খেলা লীলা খেলা কইরা মাথাডা খ্রাপ কইরা ফেললো ;)

১৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:৫৫

আহমেদ রাকিব বলেছেন: :P :P :P :P :P :P :P :P :P :P :P :P

২৯| ১৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:৪৪

নাজমুল আহমেদ বলেছেন: নষ্টালজিক হয়ে পড়লাম রাকু জেডার পুষ্ট'টা পড়ে :(


আমিও কলোনীতে বড় হৈচি। ছুডকালের বাপের পকেট থিকা পয়সা চুরি, বাজারের পয়সা চুরি থিকা শুরু কইরা টিফিনের পয়সা সব খরচ হইত টেনিস বল, ফুটবল, ব্যাট, মার্বেল, ঘুড়ি, লাটাই, সুতায় মাঞ্জা এগুলাইন বাবদ। আর এই হার্ডকোর খেলার ফলাফল স্বরুপ বাপের মাইর নামক ভালুবাসার চিহৃ আজও শরীরের প্রতিটি লোমকূপ স্বাক্ষী হয়ে আছে। তবে যত বেশি মাইর তত বেশি পড়া ফাঁকি দিয়া খেলা এই নীতিতে অটল আছিলাম :P

১৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:০০

আহমেদ রাকিব বলেছেন: আরেকজন উদাসী পাওয়া গেল। আহারে সেই দিন গুলা। বড় চমৎকার আছিল। ঘুড়ী উরাইতে মঞ্চায়। আহারে কতদিন উড়াই না।

৩০| ১৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:৪৮

নাজমুল আহমেদ বলেছেন:

বাপে কইত:

লাফফাল কতকাল
পড়ালেখা চীরকাল

আমি কইতাম:
পড়ালেখা কতকাল
লাফ ফাল চীরকাল

আফসুস সেই লাফ ফাল আজ আর নেই :(

১৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:০১

আহমেদ রাকিব বলেছেন: মা বাপে বুঝে না, লাফ ফাল যে কতটা অন্তরে গাঁইথা থাকে। আফসুস।

৩১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:২৬

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: নষ্টালজিক করে দিলে।
দু'জনের শৈশব একই জায়গায় কীনা! :)
তবে, আমার ক্রিকেট আমাকে অন্য খেলাগুলো খেলার সুযোগ কমিয়ে দিয়েছিল।
সকাল নাই, বিকাল নাই- ক্রিকেট, ক্রিকেট, ক্রিকেট।
আমার বাসার ছবিটা দেবার জন্য ধন্যবাদ।

১৬ ই নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:১৩

আহমেদ রাকিব বলেছেন: এত ক্রিকেট পাগল হইয়া এই ক্রিকেট খেলতা? :P ফুহ ফুহ ফুহ কত কিছু মিস করলা। বুঝলা না তায়েফ। ওয়েল্কাম।

৩২| ১৬ ই নভেম্বর, ২০০৯ ভোর ৫:৫৮

কঁাকন বলেছেন: ফুরবল: খেলিনাই
ক্রীকেট: অল্প কিছুদিন খেলসি তবে পাড়ায় আমি স্বনাম ধন্য আম্পায়ার ছিলাম, (আম্পায়ারিং এর স্মৃতি নিয়া একটা পোস্ট লিখতে মন্চায়তেসে :()

দাড়িয়া বান্ধা, গোল্লা ছুট, বৌ চিঁ, কাবাডি এগুলা খেলসি এইটাইপের আরেকটা খেলাছিল কাঠের পুতুল

বরফ পানি, লুকোচুরী, কানামাছি, রুমালচুরী,ওপেন্টি বায়স্কোপ , ডাঙ্গুলী, মার্বেল, চাক্কি(EIta kmn pre nai)-- স্মৃতি তুমি বেদনা

ব্যাডমিন্টন, ভলিবল,বাস্কেটবল,টেবিলটেনিস -- শুধু ব্যাডমিন্টন খেলসি :(

বোম্বাস্টিং,সাতচারা, কুতকুত, দড়িলাফ , ক্যারাম,দাবা,লুডু,বাগাডুলি,কার্ড,ষোল গুটি,তিনগুটি, ঘুড়ি এত এত খেলার ভিড়ে ফুলটোক্কার নাম না থাকায় তীব্র ধিক্কার আর ইচিং বিচিং চিচিং চা খেলেন নাই ?

১৬ ই নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:১৬

আহমেদ রাকিব বলেছেন: ইচিং বিচিং চিচিং চা প্রজাপতি উড়ে যা। খেলছিতো বটেই। কিন্তু খেলাটাযে কেমন ভুইলা গেছি। আর ফুল্টোক্কা কোনটা? আয়রে আমার শাপলা? ঐটা? ঐটার কথা লেখছিতো। নাম জানি না বলে নাম দিই নাই। আপ্নে এত খেলা কই খেলছেন? ছুডুবেলায় আছিলেন কই?

৩৩| ১৬ ই নভেম্বর, ২০০৯ ভোর ৬:১১

অন্যরকম বলেছেন: +
apatoto comment koira gelam!
kon colonyte chhilen?

১৬ ই নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:১৮

আহমেদ রাকিব বলেছেন: চট্টগ্রামে, পতেঙ্গায়, টি,এস,পি কলোনী।

৩৪| ১৬ ই নভেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:০২

পুরাতন বলেছেন: খড়ের গাদায় গড়াগড়ি ,বালির স্তুপে গড়াগড়ি , পড়ার টেবিলে কলম ফাইট... :P

১৬ ই নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:১৭

আহমেদ রাকিব বলেছেন: :) :) :) :) পুরা শৈশবই আসলে খেলাধূলা কইরা কাটছে। কত কত যে খেলার স্মৃতি। আহা।

৩৫| ১৬ ই নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:৩৫

সব্যসাচী প্রসূন বলেছেন: তুই তো ইন্টারন্যাশানাল খিলাড়ি দেহি ;) ... চান্দু কই লীলা খেলা বোঝে না B-))

১৬ ই নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:৪৩

আহমেদ রাকিব বলেছেন: হ। আমি হইলাম খিলাড়ি। আর তুমি হইলা কৃষ্ণ। তোমার কৃষ্ণ গাড়ির কথা মনে আচে? যেইটা গার্লস স্কুলের সামনে গিয়া থাইমা যাইত? কমু নাকি ওই সব কাহিনী? নাকি বউ বাচ্চা নিয়া সুখে থাকবি? :P

৩৬| ১৬ ই নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:৩৭

শাওন৩৫০৪ বলেছেন: লাটিমের কথা বাদ গেছেরে...

১৬ ই নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:৪৪

আহমেদ রাকিব বলেছেন: ওরে লাটিম বাদ গেছে। আয় হায় এটা কেম্নে বাদ দিলাম? আফসুস। আমার মাথায় বাড়ি। :)

৩৭| ১৬ ই নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:৩৩

সব্যসাচী প্রসূন বলেছেন: চান্দু ... আমারে তুমি এত বেকুব ভাবচ্ছ!!! ;) ... আমি আমার বউরে পরথমেই আমার হতেও পারত প্রেমিকাগুলানের কথা বয়ান করছি =p~ .... আর গার্লস স্কুলের সামনে গাড়ি কেন থামত সেটা গাড়িরে জিগা আমারে জিগাস ক্যান /:)

১৬ ই নভেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:৪৩

আহমেদ রাকিব বলেছেন: :P :P :P :P :P :P :P :P :P :P :P :P :P :P :P :P :P :P :P :P

৩৮| ১৬ ই নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:৫৯

মায়ানেকড়ে বলেছেন: খেলাধুলারে মাইনাচ।আমি কিছুই খেলিনি।

১৬ ই নভেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:৪৬

আহমেদ রাকিব বলেছেন: আপ্নেরে মাইনাস। খেলা ধূলা করেন না মিয়া। :P :P

৩৯| ১৬ ই নভেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:২৬

জেরী বলেছেন: +

১৬ ই নভেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:৪৮

আহমেদ রাকিব বলেছেন: আমি কি লিখলে আপ্নে একটা কথা কইবেন এইটা নিয়া একটা গবেষণা মূলক পোষ্ট দিমু ভাবতাছি। :(

৪০| ১৬ ই নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:১৬

চাঙ্কু বলেছেন: কতডি খেলারে !!!!
যতগুলা খেলার কথা কইলা , অধিকাংশ খেলাতেইতো ব্যাপক দৌড়ঝাপ দেওয়া লাগে। তুমি যেইরাম চিকনা লুক, তাতেতো তুমার উড়ে যাওনের কথা :P অবশ্য লীলাখেলা করতে দৌড়ঝাপ দেওন লাগে কিনা কইতে পারি না। আপা-সুস B-))

১৭ ই নভেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:২৯

আহমেদ রাকিব বলেছেন: তুমারে মাইনাস জ্যাডা। তুমি এত্ত কুম্ভ কর্ণের মতন ঘুম দাও। কামডা ঠিক কর নাই।

৪১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:০৭

জেরী বলেছেন: কথা বলতে ভালো লাগে না....একদমই না....সেটা রিয়েল আর ভার্চুয়াল উভয় লাইফেই:(

১৭ ই নভেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:১৮

আহমেদ রাকিব বলেছেন: আহারে। আমারো আজকাল ভাল লাগে না কথা বলতে। অবশ্য কথা বলার মানুষও নাই আশে পাশে খুব একটা। সবাই ব্যস্ত। আমিও অনেক ব্যস্ত। যাই হোক, তাও মাঝে মাঝে কথা বলি। নইলে মনে হয় পেট ফাইটা মইরা যামু। :)

৪২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:১৬

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক খেলাই কমন পড়ছে। ক্রিকেট (ছাদে খেলতাম), দাড়িয়া বান্ধা, গোল্লা ছুট, বৌ চিঁ, বরফ পানি, লুকোচুরী, কানামাছি, রুমালচুরী,ওপেন্টি বায়স্কোপ, এলনা বেলেনা, আয়রে আমার আম, জাম, শাপলা, ব্যাডমিন্টন,কুতকুত, দড়িলাফ এই সবগুলা খেলাই খেলছি। পুতুল খেলতাম অনেক। ইচিং বিচিং অনেক পছন্দের একটা খেলা ছিল। আরো দুইটা খেলা খেলতাম। আতা-পাতা: চোর একেকটা পাতার নাম বলতো, এক দমে সেগুলো এনে বাসার মধ্যে মাটির নিচে লুকায়ে রাখতে হইতো, চোর খুঁজে বের করবে। আর ছিল হোয়াট কালার: চোর একটা রঙের নাম বলতো। দৌড়ে সেটা ধরতে হতো।
এখন আবার সব খেলার কথা মনে পড়ে গেল। আহারে, কই গেল সেইসব দিন :((

১৭ ই নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৯

আহমেদ রাকিব বলেছেন: আপ্নে কুন সমুদ্রের কইন্যাগো? আমার বাসার ছাদ থেকে একটা সমুদ্র দেখা যায়। ঐটানাতো? কই খলেছেন এত খেলা?

৪৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:৪৫

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: কোন সমুদ্রের সেটা না হয় নাই জানলেন। থাক না একটু রহস্য।
ছোটবেলায় মিরপুরে থাকতাম। বাসার কাছেই দুইটা খালি প্লট ছিল। ওগুলা ছিল আমাদের মাঠ। ওখানেই খেলতাম।

১৭ ই নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:০৩

আহমেদ রাকিব বলেছেন: রহস্যের আর কি আছেকন? সমুদ্রতো আর আমাগো দশটা না। এক্টাই। ঐডার ব্যাপ্তি এক এক জায়গায়, এই আর কি। থাক রহস্যই থাক। যতক্ষন রহস্য ততক্ষনই মজা। ঢাকায় কেউ এসব খেলছে শুইনা খুব ভাল লাগলো। ঢাকায় আসার পর থেইকা এখানকার বাচ্চা কাচ্চাদের জইন্য দুঃখে আমার বুক্টা ফাডি যায়।

৪৪| ১৯ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:১৯

নীল-দর্পণ বলেছেন: ভাইজানে পুতুল খেলার সাথী পান নাই... আহেন আমি খেলুম আপনের লগে.... :P

১৯ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:৫২

আহমেদ রাকিব বলেছেন: হে হে হে হে, নীল-দর্পন ভাইয়া ;), আপনি পুতুল খেলতে পারেন? আহারে কি মজা। কোথায় যাইতে হবে সেইটা বলেন শুধু, আমি এই খেলা খেলতে চাই।

৪৫| ১৯ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:৫৫

চাঙ্কু বলেছেন: জেডা আমিও পুতুল খেলতে চাই ;)

২০ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:২০

আহমেদ রাকিব বলেছেন: নীল দর্পন ভাইয়ার কাছ থেকে সিডিউল নাও। তবে অবশ্যই আমার পরে। ;) ;)

৪৬| ২০ শে নভেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:০৭

নীল-দর্পণ বলেছেন: আর কই আমার বলগ বাড়ীতে আইবেন। :)
আমার কিন্তু মাইয়া পুতুল কইলাম :)

২০ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:২৪

আহমেদ রাকিব বলেছেন: তাতো বটেই, আম্নে কি ভাবছেন আমি মাইয়া পুতুল নিমু? আমি পণ করছি। আমার পুতুলরে লুল বানামু। তাই আমারটা পোলা পুতুল। :D

৪৭| ২০ শে নভেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:১১

নীল-দর্পণ বলেছেন: জেডা চিন্তা নাই আপনেরেও শিখামু :)

২০ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:২৭

আহমেদ রাকিব বলেছেন: জ্যাডার সিরিয়াল কিন্ত কইলাম পরে। আগে আমি শিখমু।

৪৮| ২৭ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:১৪

ম্যাকানিক বলেছেন: রাকিব ভাই হকি বাদ গেছে।
সারা বছরের খেলা না খালি অলিম্পিকের সময় কাঠ কাইট্টা বানানো স্টিক আর টেনিস বল দিয়া হকি খেলা।
পুরা নস্টালজিক কইরা দিলেন মিয়া
আপনে মানুষ ভালা না।
ঘুট্টি ঊরাইন্না তে জীবনে কোনো দিন শাইন করতারি নাই।
সব দোষ দোকানদারের আর দোস্তগো হেগো পচা সুতা দিত আমারে।
আর ওই সুতা এমনই ভুয়া আছিলো যে বস্তির পোলাপানের টোকাইন্না সুতা দিয়া গুতা লাগলে আমার শখের ঘুট্টি আমারে বাই বাই দিত।
আর নাটাই এ সুতা না বাইন্ধা পেচানের ব্যাপারে আমার বিশেষ সুনাম আছিলো।
ফুটবল ভলিবল ক্রিকেট খেলা মেডেল ট্রফি আর শিল্ড এখনও বেশ কিছু আছে বাসায়।
গ্লাশ প্লেট ও পাইছিলাম প্রচুর আম্মার ভয়ে বাসায় ই আনি নাই অনেক।
সবচাইতে দুঃক্ষের কথা কি জানেন
আমার দুই ছেলের একটাও খেলাধুলায় আগ্রহী না।
ঘর থেইকাই বাইর হইতে চায় না আর আমারে বাইন্ধাও ঘরে রাখতে পারতো না।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ১১:২৩

আহমেদ রাকিব বলেছেন: আজকালের পোলাপান একদম খেলতে চায় না। খুব খারাপ। পোলাপানরে নিয়া মাঝে মাঝে নিজেই খেলা ধুলা শুরু করে দেন। ওগো লাইগা একটা কিছুতো করতে হইবই। অন্তত ব্যাল্কনিতে ক্রিকেট খেলুক, তাও ভালো। :( :( :(

৪৯| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ১০:৪৬

নিঃসঙ্গ নির্ঝর বলেছেন: বোম্বাষ্টিং এর স্মৃতি মনে পড়ে গেলো। :( :( :(

আমরা আরেক কাজ করেছিলাম। ;)

বোম্বাষ্টিং খেলার সময় শুরুতে আমরাও টেনিস বল দিয়েই খেলতাম। বল খেয়ে(!) কয়েকজন কেঁদেও দিতো। ;) :P আমিও কেঁদেছিলাম, শুধুমাত্র একদিনই। :(( কারণ, এক ছেলে আমাকে টার্গেট করেছিলো। বলটা মেরেছে। কিন্তু বল এসে লেগেছিলো আমার ডান চোখের অল্প একটু নিচেই! :-/ এমন ব্যাথা! :(( :(( আরেকটু হলেই আমার চোখ গিয়েছিলো। এরপর সিদ্ধান্ত হলো, ফুটবল দিয়ে খেলা হবে। ;) একই ফুটবল দিয়ে ফুটবল-বোম্বাষ্টিং দুইটাই খেলা হতো। :| তো, ফুটবলের মার খেয়েও দেখা যায় কয়েকজনের ভেউ ভেউ শুরু হয়ে যায়। আমার অবশ্য সেই সমস্যা থাকতো না। কারণ, আমি ফুটবল টিমের কঠিন গোলকিপার ছিলাম। বলের আঘাত সামলাতে অভিজ্ঞ। ;) এখনও মনে আছে, টানা তিন বছরে গোল খেয়েছিলাম মাত্র ৪টা। পেনাল্টি কিক ফেরাতে গিয়ে আমার হাতের তিনটা আঙুল মচকে গিয়ে বেঁকে গিয়েছে। বল ফেরাতে গিয়ে হাত একটু ত্যাড়াভাবে পড়েছিলো জন্য। একটা আঙুল ভেঙেও গিয়েছিলো। তারপরও খেলা ছাড়িনি। কিন্তু ছেড়েছিলাম অন্য একটা কারণে। একদিন গোলকিপারগিরি ছেড়ে মিডফিল্ডার হয়ে গিয়েছিলাম। সেই হাতের জন্যই। আঙুলগুলো সেদিন খুব সমস্যা করছিলো। একে মচকানো আঙুল। তার উপর সে বল ফেরাতে গিয়ে আঙুলগুলোতে আবারও বল লেগে খুব ব্যাথার সৃষ্টি করতো। তাই মিডফিল্ডার হয়েছিলাম। আল্লাহ বাঁচিয়েছেন আমাকে। নয়তো আমি হয়তো কোনদিনও ফুটবল খেলা ছাড়তাম না।
হয়েছে কি, একজন বল ক্রস করেছে আমার কাছে। আমি বল রিসিভ করার জন্য প্রস্তুত। কিন্তু, আমি বল রিসিভ করার আগেই কে যেন আমার পেছন থেকে আমার পিঠের ওপর হাঁটু দিয়ে লাফ দিয়ে এসে পড়েছে। সেই সাথে আরেকজন বল আমার কাছে আসার আগেই মেরেছে আমার বাম পায়ে সজোরে কিক। একসাথেই ঘটেছে ঘটনা দুইটি। মনে হয়েছিলো তখন, আমি একদম শেষ। পিঠে হাঁটু আর পায়ে কিক, দুটো একসাথে। একে তো তখন ছিলাম অনেকটা ছোট। এমন ব্যাথা পেয়েছিলাম, খেলার জীবনে দ্বিতীয়বারের মত কেঁদেছি সেদিন। :( এরপর থেকে ফুটবল খেলা বাদ।

কথা থেকে সরে এসেছি। :(

তো যেটা বলছিলাম। ফুটবলের মার খেয়েও বোম্বাষ্টিং এ কয়েকজন কেঁদে দিতো। পরে ফুটবলটার উপরের লেদারটা ছিঁড়ে খুলে ফেলা হলো। ভেতর থেকে বের হলো শুধুমাত্র পাতলা রবারের একটা বল। যেটার মাঝে বাতাস দিয়ে বল ফুলিয়ে রাখা হয়।

এটা দিয়ে খুব মজা করে খেলতাম আমরা। নো কান্নাকাটি, নো নাথিং। ;) :) :) কোন ব্যাথাও নেই, কিছুই নেই।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ১১:২৫

আহমেদ রাকিব বলেছেন: রে ফুটবলটার উপরের লেদারটা ছিঁড়ে খুলে ফেলা হলো। ভেতর থেকে বের হলো শুধুমাত্র পাতলা রবারের একটা বল। যেটার মাঝে বাতাস দিয়ে বল ফুলিয়ে রাখা হয়।
------------------------------------------------------------------------
হা হা হা হা হা হা হা হো হো হো হো হো হো।

৫০| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ১১:৫৭

সাঁঝবাতি'র রুপকথা বলেছেন: বিশ্বাস কর আর নাই কর, সবগুলাই কমন পড়সে, খালি টেবিল টেনিস ছাড়া, এই খেলাডা খেলিনাই কখন ও ...ঃ(

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৩:৪৩

আহমেদ রাকিব বলেছেন: বিশ্বাস না করার কি আছেরে? জানিতো। তুইতো আর ইয়ো ইয়ো যুগের পোলা না। :) :)
টেবিল টেনিস খুব মজার খেলা। একবার মনে ধরলে পুরাই আক্রান্ত হইয়া যাবি।

৫১| ২৭ শে মার্চ, ২০১০ বিকাল ৩:৩১

প্রতীক্ষা বলেছেন: সবগুলো খেলার নাম অনেক শুনেছি, কিন্তু শুনলে হাসবেন কোনটিই তেমন খেলা হয়নি! ইনডোর গেমস কিছু খেলেছি তবে একা! যেমন দাবাতে একবার আমি সাদা আর একবার আমি কালো হতাম। মনে করতাম কালো টা আমি আর সাদা টা শত্রু। তারপর যেভাবেই হোক নিজেকে জিতিয়ে দিতাম :)

আর একদম ছোট থাকতে পুতুল খেলছি অনেক। আমার অনেনক পুতুল ছিল। ডমিনোস দিয়ে অনেক ঘর বানাইছি, ব্লক আমার অনেক ছিল, ব্লক দিয়ে যা যা বানানো যায় সব বানাইছি, সুইট ডল হাউস ছিল, পাজেল খেলছি। পাজেল খেলতে অনেক ভাল লাগত! মার্বেল, ছোট বল খেলছি আর বোধ হয় ভিডিও গেমস আর কম্পিউটার গেম খেলছি! এখন সব বাদ :)
তবে খেলার চাইতে আমার কার্টুন দেখতে বেশি ভাল লাগত! আমি বেশির ভাগ সময়ই কার্টুন দেখে কাটাতাম

২৮ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ১১:৪৩

আহমেদ রাকিব বলেছেন: ইশ দাবা প্লেয়ার দেখলে হিংসা লাগে। খেলাটা ভালো লাগতো, কিন্ত এত হাজার হাজার আউটডোর গেমসের অনেক আনন্দের চিপায় হারিয়ে গেল। পুতুল খেলাটা মনে হয় ঠিক ছেলেদের জন্য না। যে কারনে কখনো তেমন একটা আগ্রহ হয় নাই। :) আর আমার কাছাকাছি বয়সের কোনো বোন নাই। থাকলে নিশ্চয় তার সাথে অন্তত খেলা হতো। :)
ভিডিও গেমস আমিও খেলেছি কিছুদিন, স্কুল পালিয়ে, কিংবা রমজানের সময় তারাবীর নামায ফাকি দিয়ে। কম্পিউটার গেমসও খেলেছি কিছু, তবে এসব আমাকে অনেক কম টানে। মাঠ ঘাট অনেক বেশি টানে। মনে হয় আমার মধ্যে মাটির টানটা একটু বেশি। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.