নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দেওয়ান তানভীর আহমেদ

দেওয়ান তানভীর আহমেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার শুরুটা যার হাত ধরে...!!

০৫ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১:০৯


লেখালেখির প্রতি আমার ঝোক ছোটবেলা থেকেই। সেই ক্লাস থ্রিতে থাকতেই প্রথম গল্প লেখার ভূত চাপে এই ছোট্ট মাথাটায়! যদিও সেসময় আমার দৌড় ছিল ফুল-পাখি-লতাপাতা পর্যন্তই! ঐ গণ্ডির বাইরে বেরিয়েও যে লেখালেখি করা যায়, এটা প্রথম জানলাম মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের বই পড়ে। বলার অপেক্ষা রাখে না, আমার মাথায় লেখার ভূত চাপার জন্যে দায়ী ব্যক্তিটি আর কেউ নন, স্বয়ং ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল!

ক্লাস ফোরে পড়ার সময় প্রথম স্যারের বই পড়েছিলাম, বইটার নাম ছিল "অবনীল"। ব্যস! তারপর থেকেই আমার শরীরের ওজন কমতে শুরু করল। আমি ক্রমশ শুকিয়ে হাড্ডিসার হতে লাগলাম! কীভাবে? সোজা উত্তর- একদিনও টিফিন পিরিয়ডে দুপুরের খাবার খেতাম না, বরং খাবারের টাকা বাঁচিয়ে রাখতাম স্যারের বই কেনার জন্য! এভাবেই ক্লাস সিক্সে উঠতে উঠতে স্যারের লেখা সব কিশোর উপন্যাস এবং সায়েন্স ফিকশন পড়ে শেষ করে ফেলেছিলাম!

২০০৭ সাল পর্যন্ত আমার অনেক লেখা ঘরের কোণেই ফেলে রেখেছিলাম, কোথাও প্রকাশ করার ইচ্ছা কখনোই ছিল না। কিন্তু কোথা থেকে যেন নতুন একটা ভূত এসে চেপে বসলো আমার মাথায়! সেই ভূতটা আমাকে বললো- "স্যারের নজরে পড়তে হবে! স্যারের সাথে দেখা করতে হবে!" তখনই মনে হল, স্যারকে নিয়ে একটা গল্প লিখলে কেমন হয়?? যেই ভাবা সেই কাজ! লিখে ফেললাম রম্যগল্প "দৈনিক ভূত সমাচার", যার কেন্দ্রীয় চরিত্র ছিলেন জাফর ইকবাল স্যার। গল্পটা ছাপা হলো প্রথম আলোর রস+আলো তে। এই এক লেখায় তো স্যারের নজরে আসতে পারলাম না, কিন্তু আমি চেষ্টা চালিয়ে যেতে লাগলাম! আরো বেশ কয়েকটা গল্প লিখে ফেললাম স্যারকে নিয়ে। তার মধ্যে একটা ছিল- "মুহম্মদ জাফর ইকবালের একদিন"! এরপর স্যারের "নিউরণে অনুরণন" পড়ে মাথায় খেললো নতুন বুদ্ধি! পাইয়ের মান দশমিকের পর পঞ্চান্ন ঘর পর্যন্ত মুখস্ত করলাম। তাতেও কাজ হয় নি অবশ্য! তারপর বইমেলায় বৃষ্টির মধ্যে স্যারের বইয়ের স্টলের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা, পাইয়ের মান লেখা প্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে থাকা- আরো কত রকম চেষ্টা যে করেছিলাম এই একজনের নজরে আসার জন্য! এরপরে আরো অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে অবশেষে একদিন গুরুদেবের দেখা পেলাম! বেশ অনেকক্ষণ স্যারের সাথে কথা হল। সেদিন আমি হড়বড় করে কী বলছিলাম আমি নিজেই জানি না!

পরিশিষ্টঃ আমার জীবনে সাফল্যের ইতিহাস খুবই কম। কিন্তু যা কিছুই আছে, তার পেছনে এই মানুষটার অবদান আমাকে স্বীকার করতে হবে সবার আগে। ইনিই আমার সবকিছুর পেছনে মূল অনুপ্রেরণা! এবং শুধু আমি না, আমার মত আরো লক্ষ লক্ষ মানুষের সাফল্যের পেছনেও মূল অনুপ্রেরণা এই মানুষটি। সেই তুলনায় আমি তো একেবারেই নগণ্য!!

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১:১৬

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: শুভ কামনা উনার জন্য।

২| ০৫ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১:২২

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: অবনীল গল্পটা আমারও পছন্দের ।
আপনার লেখা পড়ে আবার পড়ার ইচ্ছে জাগছে । এই ধরনের গল্প পড়ার পর কেমন একটা যেন ঘোর কাজ করতো ।
গুনী মানুষ গুলো র মূল্যায়ন বুঝি এভাবেই হয়

৩| ০৫ ই মার্চ, ২০১৮ ভোর ৪:১৭

কলাবাগান১ বলেছেন: ছবিটা কিভাবে???

৪| ০৫ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:০৪

নিরাপদ দেশ চাই বলেছেন: নব্বই দশকের কিশোর তরুনদের মনোজগতে বিড়াট একটা স্থান তৈরী করেছিল জাফর ইকবাল। দীপু নাম্বার টু, হাতকাটা রবিন ধাচের কিশোর উপন্যাস থেকে শুরু করে সাইন্স ফিকশন। একেবারেই অন্যরকম ধাচে লেখা তার বইগুলোর কিশোরদের পজিটিভ মেন্টালিটি তৈরীতে বিরাট ভুমিকা ছিল। তখনকার কিশোর তরুনরা টিফিনের পয়সা জমিয়ে জাফর ইকবালের বই কিনত, দীপু রবিনদের মত বন্ধুদের সাথে আ্যডভেঞ্চারে যেত। এখনকার মত ড্রাগ, ইন্টেরনেট এডিকশন বা জঙ্গীবাদে কিশোর তরুনদের জড়িয়ে পড়ার কথা শোনা যেত না।

জাফর ইকবাল অবস্যই একজন আলোকিত মানুষ । শাহজালাল ইউনিভার্সিটির জন্য তিনি অনেক কিছু করেছেন। রাজনৈতিক কিছু বক্তব্য দিয়ে তিনি বিতর্কিত হয়েছেন । তার মত একজন গুনী মানূষের বাংলাদেশের রাজণিতি নামধারী মাফিয়া ব্যবসার হাত থেকে দূরে থাকাই উচিৎ ছিল। রাজণিতিতে অযাচিত মন্তব্য করে বিতর্কের জন্ম দিয়ে অযথা নিজের সম্মানও কমিয়েছেন এবং শত্রুও তৈরী করেছেন।শুধু তাই নয় নোংরা মাফিয়া রাজনীতির ''ফায়দা নেয়ার'' ভয়ঙ্কর খেলার একজন গুটিতে পরিনত হয়েছেন। অনেক রক্ত ঝড়িয়ে এখন হয়ত তিনি দেখতে পেয়েছেন মাফিয়া রাজনীতির কুৎসিত দিক।

ব্লগে এবং বাইরে নানান কারনে জাফর ইকবালকে অপছন্দ করা ব্যক্তিরা লিখেছে যে জাফর ইকবালের জন্য নাকি আমাদের মাফিয়া সরকার অনেক কিছু করছে যা সাধারন মানুষের জন্য করা হয় না!!! সরকার কি করেছে তাই ঠিক বুঝতে পারছি না!! হামলায় আহত হবার পর দেখলাম জাফর ইকবালকে সিলেটের সরকারি হাসপাতালে ছাত্ররা নিয়ে গেছে যেখানকার ইমারজেন্সী মানূষে গিজগিজ করছে!! না রোগী না, কৌতুহলী দর্শক যারা ইমারজেন্সির ভিতরে গেছে নাটক দেখার আশায়!! যাই হোক অস্ত্রপচারের পর তাকে এয়ার এম্বুলেন্সে করে আনা হয় সিএমেইচ, এপোলো বা ইউনাইটেডে নয়। এইটাই কিছু মানুষ দেখলাম সহ্য করতে পারছে না। তার জন্য নাকি কি বিড়াট কিছু করে ফেলা হয়েছে। এই এরাই আবার জনগন টাকায় সিঙ্গাপুরে লাখ লাখ ডলারের চিকিৎসা করতে যাওয়া মন্ত্রীদের যাওয়ার ব্যপারে একেবারে নিশ্চুপ থাকেন!!

পত্রিকায় একদা অতি প্রিয় এই লেখকের রক্তাক্ত ছবি দেখে নিজেকে সামলাতে পারছিলাম না। তার পরিপুর্ন সুস্থতা কামনা করি এবং এই হামলার
'' বিচার চাই না''।

৫| ০৫ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: জাফর স্যার একজন সহজ সরল ভালো মানুষ।

৬| ০৫ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৫২

পলাশবাবা বলেছেন: হু আমিও এক সময় 'জাফর ইকবাল' এ অবসেসড ছিলাম ।
আমার দুর্ভাগ্য!!! , আমার শিক্ষা আমাকে অন্ধ হতে দেয়নি।

৭| ০৫ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:০২

জাহাঙ্গীর কবীর নয়ন বলেছেন:
জন্তু জানোয়ার ছাড়া আর কারও পক্ষে এমন কাজ করা সম্ভব নয়। এরা মানুষ না। এদের মানবাধিকার দেয়া মানে মানবতার অবমাননা করা।
আসামীর এলাকার আশেপাশের কয়েকটা মসজিদ-মাদ্রাসা থেকে হুজুরদের নিয়ে এসে ঠিকমতো প্যাঁদানী দিলেই সব সত্য বের হবে।

৮| ০৫ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:২৮

শামছুল ইসলাম বলেছেন: আল্লাহ উনাকে দ্রুত সুস্থ করে তুলুন । আমীন ।

৯| ০৫ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৪৫

পলাশবাবা বলেছেন: জাহাঙ্গীর কবীর নয়ন বলেছেনঃ আসামীর এলাকার আশেপাশের কয়েকটা মসজিদ-মাদ্রাসা থেকে হুজুরদের নিয়ে এসে ঠিকমতো প্যাঁদানী দিলেই সব সত্য বের হবে।


ভাই আপনি কি 'মুক্তমনা'?

১০| ০৫ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:২০

কামরুননাহার কলি বলেছেন: ভালো থাকুন তিনি সব সময় , সুস্থ হয়ে যান তিনি যেনো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.